১৯ দিন পর সুপ্রিমকোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু

১ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আযহার সরকার ঘোষিত ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও কোর্টের অবকাশ শেষে আজ ২০ জুলাই থেকে সুপ্রিমকোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো।

সকাল সোয়া ৯ টার দিকে আজ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য আজ ২০ জুলাই থেকে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে হাইকোর্টের ৫০টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বেঞ্চ গঠন করে প্রধান বিচারপতির দেয়া নির্দেশনার নোটিশ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।

এই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমি এতদ্বারা নির্দেশ করছি যে, আগামী ২০ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য বেঞ্চগুলো গঠন করা হলো।’

নোটিশে ৫০ একক ও দ্বৈত বেঞ্চের নাম বিচারিক এখতিয়ারসহ উল্লেখ করা হয়। এসব বেঞ্চের মধ্যে রয়েছে  ৩০টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ২০টি একক বেঞ্চ। আজ থেকে এসব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তবে ছুটি ও অবকাশকালীন আপিল বিভাগে চেম্বার কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগে বেশ কয়েকটি অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে।

বন্যা চলে গেলেই পরীক্ষা নেয়া হবে : শিক্ষামন্ত্রী

বন্যার প্রাদুর্ভাব চলে গেলেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, বন্যা প্রাদুর্ভাব চলে গেলেই কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে বাধা থাকবে না। শিক্ষার্থীরা অনায়াসে পরীক্ষা দিতে পারবে। তখনই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব আয়োজিত ফল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জেআর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর  পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিতবরণ দাশ প্রমুখ।

ডা. দীপু মনি  আরো বলেন, আজ পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস জেগেছে। পদ্মার কারণে  দেশের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার চ্যালেঞ্জ জেগেছে। অনেকে অনেক কিছু দিয়ে পদ্মাকে ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এই যে সেতু হয়েছে, তা আর কিছু না, তা বঙ্গবন্ধু কন্যার শোককে শক্তিতে পরিণত করার একটা বড় স্তম্ভ। শেখ হাসিনা সকল বাধা অতিক্রম করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন। এটিই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।

চট্টগ্রামে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

চট্টগ্রামে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে এ সময় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দিনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুনের প্রথম সপ্তাহ শেষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় গতকালই সর্বোচ্চ রোগি শনাক্ত হয়।

রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবে গতকাল বুধবার ৭৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৪৬ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ৪৪ ও দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজান ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৪৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৩শ’ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৪৭ জন।

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখানে শহরের ৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।

সরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৬৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১ একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩১ জনের নমুনায় গ্রামের ৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৪টি নমুনার একটিতে করোনাভাইরাস মিলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৯ নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজনেরও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৯ জন করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৪ জন শনাক্ত হন। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটিতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৪০ নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ২টিতে জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। এখানে ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৬ নমুনার ৩টিতেই ভাইরাস শনাক্ত হয়।

এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায় বিআইটিআইডি’তে ১৬ দশমিক ৬৬, চমেকহা’য় ৯ দশমিক ৬৮, সিভাসু’তে ২ দশমিক ২৭, আরটিআরএলে ২২ দশমিক ২২, শেভরনে ২৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭ দশমিক ৪১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩ দশমিক ৭১, এপিক হেলথ কেয়ারে ১০, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১ দশমিক ৪২৮, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ।

নারী ও শিশু ধর্ষণের ভয়াবহ রূপ পাকিস্তানে, জরুরি অবস্থা জারি

ঢাকাঃ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে নারী ও শিশুদের ওপর যৌন অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (২১ জুন) পাঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্তা তারার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে ডন।

পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্তা তারার জানান, এমনভাবে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে, যে বাধ্য হয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। প্রদেশে নারী ও শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত বৃদ্ধি সমাজ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তারার বলেন, ‘‘প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে পাঞ্জাবে। শুধু মহিলারাই নয়, নির্যাতিত হচ্ছেন শিশুরাও। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে, মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষিত করতে জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

অব্যাহত ধর্ষণের ঘটনায় একাধিক অভিযুক্তকে আটকের খবর নিশ্চিত করেছেন তারার। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যৌন অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলোতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া পরিস্থিতি উত্তরণে ধর্ষণ বিরোধী সচেতনতা প্রচারণা শুরু করেছে প্রাদেশিক সরকার। যার অংশ হিসেবে স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্ষণ বিরোধী প্রচারণার আহ্বান এবং পরিবারের অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তারার।

প্রদেশের আইনমন্ত্রী মালিক মহম্মদ আহমেদ খান বলেন, ‘‘হঠাৎ পরিস্থিতি এত খারাপ হল কেন, কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই বিষয়ে নাগরিক সমাজ, মহিলা অধিকার রক্ষা সংগঠন, শিক্ষক এবং আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নবনির্বাচিত এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

হামলার শিকার মো.হানিফ সবুজ (৫০) উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী। অপরদিকে,হামলাকারী আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজ মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী।

সোমবার (৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী বিল্লা বাড়ির সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় গুরুত্বর আহত ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপর আহত ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ খোকনকে (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামলার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ অভিযোগ করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোনকসহ আমি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে বের হই। বের হলে আমি দেখি মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ফখরুল ইসলাম সবুজ ও তাঁর ভাতিজারাসহ ইউপি সদস্য সবুজ এবং তাঁর ভাই রনিসহ ২০-৩০জন ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তায় ওঁৎ পেতে আছে। বিষয়টি আমি আচ করতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তা দিয়ে না গিয়ে বিকল্প পথে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ত্যাগ করতে চেষ্টা করি। ওই সময় তারা উল্টো পথে গিয়ে বিল্লা বাড়ির সামনে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমার ওপর হকিস্টিক,লোহার রড,হাতুড়ি দিয়ে অতর্কিত আক্রমন চালিয়ে আমার একটি পা, বুকের পাজর ভেঙ্গে দেয় এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা আমার কানে,মাথায় গুরুত্বর আঘাত করে ফাটিয়ে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের মির্জা অনুসারী আওয়ামীলীগ নেতা মো.ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ইউপি সদস্য মো.ওমর ফারুক সবুজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দাবি করেন তারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে দুপুর ২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসভি করেননি।

আব্দুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ছৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন,আহত ইউপি চেয়ারম্যানকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ২৪ঘন্টা পর তাঁর শারীরিক অবস্থা জানা যাবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ফিরে এলে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।

  বেগমগঞ্জে কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ৬

নোয়াখালী প্রতিনিধি : খেলাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের সাথে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলো,কৃষি ইনস্টিটিউটের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র নাহিদ, নাজিম, রিয়াদ ও মো. আশরাফুল। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো.আশরাফুল নামের অপর এক শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার কৃষি ইনস্টিটিউট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।  তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় দুই পক্ষের লোকজনই আহত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জের কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের পশ্চিম পাশে (চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণ দিকে) কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা কৃষি ইনস্টিটিউটের পূর্বদিকে অবস্থিত হেলিপ্যাড মাঠে খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে গতকাল শনিবার বিকেলে দিকে খেলার মাঠে কথাকাটাকাটি হয়।  এর জের ধরে শনিবার রাতে কৃষি ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে থাকা ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয় যুবকদেরসোথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওসি আরো জানায়, এটা অনেক পুরনো সমস্যা। কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা বাহিরে যায়,বাহিরের লোকজন ভিতরে আসে।  এরা পরস্পর বন্ধুবান্ধব,এক সাথে খেলাধুলা করে। কৃষি ইনস্টিটিউটের মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা থাকায় গ্রামবাসী অবাধে আসা যাওয়া করে। একটি ঘটনা থেকে এমন ঘটনা ঘটেনি। কয়েকটি ঘটনার জের ধরে গতকালের ঘটনা ঘটে। এরা এক সাথে খেলাধুলা করে। আবার তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি করে। ইনস্টিটিউটের নিরাপত্তায় জনবল সংকট রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ সমাপ্ত
নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’। শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপপ্তি টানা হয়। এর আগে ‘কেমন নোয়াখালী চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা তাদের ভাবনা তুলে ধরেন।
উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সমাপনী দিন পুরস্কার বিতরণ করেন নোয়াখালী  পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান।
বৃহস্পতিবার উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত।
উৎসবে অভিবক্ত নোয়াখালী জেলার অংশ ফেনী এবং লক্ষীপুর জেলা থেকেও নানা শ্রেণি পেশার নানা বয়সী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উৎসস্থল নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলে নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত বই এবং নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পন্যসামগ্রী প্রদর্শণ করা হয়। নোয়াখালীর আদি নাম ভুলুয়া। ১৭৭৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গোটা বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করে। এর মধ্যে ভুলুয়া নামে  নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮২২ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।
বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর  নোয়াখালী নামে পরিচিত।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জন্মদিন আজ

প্রেম ও দ্রোহের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর আজ ৬১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৬ সালের আজকের এই দিনে (১৬ অক্টোবর) বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির জন্মদিন উদযাপনে রুদ্র স্মৃতি সংসদ আজ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সত্তরের দশকের অন্যতম প্রতিনিধি রুদ্র কবিতা পাঠকের কাছে পরিচিত তারুণ্য ও দ্রোহের প্রতীক হিসেবে। সাহস ও স্বপ্নে, শিল্প ও সংগ্রামে আপাদমস্তক সমর্পিত এ কবি তার স্বল্পায়ু জীবনকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে, হয়ে উঠেছিলেন তাদেরই কণ্ঠস্বর। অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’ এ। মাত্র ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা। ১৯৭৫ সালের পরের সবকটি সরকারবিরোধী ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা, ও অসাম্প্রদায়িকতা তার কবিতায় বলিষ্ঠভাবে উঠে আসে।

১৬ নভেম্বর ঢাকা লিট ফেস্ট শুরু

সপ্তমবারের মতো বাংলা একাডেমিতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’। আগামী ১৬ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী এ উৎসব। উৎসবে দেশি-বিদেশি সাহিত্যিক ও সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।

এবারও অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের দুই শতাধিক সাহিত্যিক, অভিনেতা, রাজনীতিক, গবেষক এবং সাংবাদিক। এবছর অংশগ্রহণকারীদের তালিকা ইতোমধ্যেই লিট ফেস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিদেশি অতিথির মধ্যে সিরিয়ার কবি আদোনিস, নাইজেরিয়ার সাহিত্যিক বেন ওক্রি, অভিনেত্রী টিল্ডা সুইন্টন, মার্কিন সাহিত্যিক লিওনেল শ্রিভার, প্রদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় কথাসাহিত্যিক নবনীতা দেব সেন, কথাসাহিত্যিক উইলিয়াম ড্যালরিম্পেল, লেখক এসথার ফ্রয়েড উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ থেকে থাকছেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মইনুল আহসান সাবের, আলী যাকের, সেলিনা হোসেন, শামসুজ্জামান খান, আনোয়ারা সৈয়দ হক, আসাদ চৌধুরী, আনিসুল হক, সলিমুল্লাহ খান, কায়জার হক, খাদেমুল ইসলাম প্রমুখ।

বিশ্বের ২৩টি দেশের দুই শতাধিকের বেশি বক্তা, পারফর্মার এবং চিন্তাবিদ তিন দিনের আয়োজনে অংশ নেবেন। উৎসবে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ সাহিত্য জার্নাল গ্রান্টা’র মোড়ক উন্মোচন হবে। আগামী ১০ নভেম্বর সম্ভাব্য সেশনের আনুষ্ঠানিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সাহিত্যের সম্মানজনক ডিএসসি পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া হবে লিট ফেস্ট প্রাঙ্গণে। এছাড়া ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার’ দ্বিতীয়বারের মতো লিট ফেস্টের শেষ দিনে ঘোষিত হবে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজনটি পরিচালনা করবেন কথাসাহিত্যিক কাজী আনিস আহমেদ, কবি সাদাফ সায্ সিদ্দিকী এবং কবি আহসান আকবর। এর টাইটেল স্পন্সর বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউন, কি স্পন্সর ব্র্যাক।

উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন চলছে www.dhakalitfest.com ঠিকানায়।

সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে এক অভিজাত পরিবারে তার জন্ম। তার বয়স যখন সাত বছর তখন তার বাবা নিরুদ্দেশে যাত্রা করেন। ফলে তার মা সাবেরা খাতুন অনেকটা বাধ্য হয়েই বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। এ কারণে তার শৈশব কেটেছে নানার বাড়িতে।

যে পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে পরিবারে নারী শিক্ষাকে প্রয়োজনীয় মনে করা হতো না। তার নানার বাড়িতে কথ্য ভাষা ছিল উর্দু। সেখানে বাংলা শেখারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বাংলা শেখেন মূলত তার মায়ের কাছ থেকে।

১৯২৩ সালে তিনি রচনা করেন প্রথম গল্প ‘সৈনিক বধূ’ যা বরিশালের তরুণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯২৬ সালে সওগাত পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা বাসন্তী প্রকাশিত হয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ছিল।

সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠন হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচি।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, এই মহীয়সী নারীর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি ও মমতাময়ী মা। বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার দৃপ্ত পদচারণা।

তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে-সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী, দিওয়ান, মোর জাদুদের সমাধি পরে প্রভৃতি। গল্পগ্রন্থ ‘কেয়ার কাঁটা’। ভ্রমণ কাহিনী ‘সোভিয়েত দিনগুলি’। স্মৃতিকথা ‘একাত্তুরের ডায়েরি’।

সুফিয়া কামাল ৫০টিরও অধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক উল্লেখযোগ্য।