ইসি সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাপ : নির্বাচন ব্যাবস্থার উপড়ে জনগন আস্থা হারিয়ে ফেলেছে

বর্তমানে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ট এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যাবস্থা আছে বলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটের দলগুলো ব্যতিরেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ জনগন কেউই বিশ্বাস করে না বলে অভিমত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে দলটি এমন অভিমত প্রকাশ করেছে।

তারা আরো বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচন ব্যাবস্থার উপড়ে রাজনৈতিক দল গুলোর পাশাপাশি জনগনও সম্পূর্ণ ভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এমতবস্থায়, নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্রের স্বার্থে, সুস্থ ধারার রাজনীতির প্রয়োজনে সর্বাগ্রে স্বচ্ছ, প্রশ্নমুক্ত, গ্রহণ যোগ্য এশটি নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন ব্যাবস্থায় জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ যে কোন মূল্যে, সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন।

সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করে। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জসীমউদ্দিন তালুকদার, মো. রেজাউল করিম রীবন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এখলাস হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য মোফাক্কারুল ইসলাম পেলাব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

এসময় দলের পক্ষ থেকে আরো বলা হয় যে, ভোটের মাধ্যমে নিজের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং সংবিধান এই মৌলিক অধিকার প্রয়োগের দায়িত্বটি নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তাই
নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য হবে আগে সব রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের আস্থা অর্জনে যাবতীয় বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহান মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষে ১১দফা প্রস্তাবনা এবং পরামর্শ পেশ করে। এগুলো হলো : ০১. বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দারিয়ে বিশ্বের প্রায় সকল সংসদীয় গণতন্ত্রের রাষ্ট্র গুলোর মতই বাংলাদেশেও দ্বীকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ আজ সময়ের দাবী। ০২. গত ৫০ বছরে দেশের জনসংখ্যা দিগুনের বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে।ফলে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। ০৩. বিদ্যমান আসন ভিত্তিক প্রত্যক্ষ নির্বাচনের পাশাপাশি দল বা জোটের সারা দেশে প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। তাহলে সংসদে বেশী সংখ্যক দলের প্রতিনিধিত্ব ও তূলনা মুলক ভাবে যোগ্য ব্যাক্তিদের নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ০৪. জাতীয় নির্বাচনের কমপক্ষে ৬ মাস আগে ভোটারদের হাল নাগাদ তালিকা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা প্রয়োজন। ০৫. দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা-প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত ও তাদের ভোট গ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তাব করছি। ০৬. রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি শর্তাবলি সহজ করা। যে সব শর্ত সংবিধানের মৌল গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অসঙ্গতি পূর্ণ আরপিও’র সে সকল ধারা বাতিল করা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একশতাংশ সমর্থনের বিধান রহিতকরার প্রস্তাব করছি। ০৭. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন লেভেল প্লেইংফিল্ড। সে ক্ষেত্রে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই লেভেল প্লে­ইং ফিল্ড তৈরী করা সম্ভব নয়। সেহেতু, নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার সাথে সাথে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। ০৮. অবসর প্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক আমলা ও তারকা ব্যবসায়ীরা নূন্যতম পাঁচ বছর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পরই কেবল তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। ০৯. একটি আধুনিক ইলেকটরাল ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম (ইএমএস) অর্থাৎ এশটি আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে। যেমন; ক) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজনকে রিটার্নিং অফিসার না করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা রিটারনিং প্যানেল তৈরী করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১জন সশস্ত্র বাহিনির সদস্যকে অবশ্যই এই প্যানেলে অর্ন্তভূক্ত করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ ন্যাপ প্রস্তাব করছে। খ) প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার পৌঁছানো থেকে কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষ ব্যতীত প্রতিটি কক্ষে ও বুথে অনিয়ম রোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে লাইভ স্ত্রিমিং, রেকর্ডিং এবং কেন্দ্রের বাহিরে প্রদর্শন করতে হবে। প্রার্থীদের এই সিসিটিভি লাইভস্ত্রিমিং ও রেকর্ডিংএর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের সুযোগ করে দিতে হবে যেন যে কোন অনিয়মের অভিযোগ তাৎক্ষনিক ভাবে নিষ্পত্তি করা যায়। গ) প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে পিপল কাউন্টিং মেশিন স্থাপন করে নির্বাচনের দিন মোট ভোটের যোগফল এর সহিত কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণে আনতে হবে যাতে করে কোন ভাবেই একজন ভোটার একএর অধিক ভোট দিতে না পারে। ঘ) প্রতিটি কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সমুক্ষে কেন্দ্রতেই ঘোষণা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সার্টফিকেট ইস্যু বাধ্যতা মুলক হতে হবে। ১০. বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা। ভোটারদের মধ্যে ইভিএম’র বিষয়ে গ্রহন যোগ্যতা সৃষ্টি না করে ইভিএম চাপিয়ে দিলে সিদ্ধান্তটি একটি অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাড়াতে পারে। ১১. বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখন সময় এসেছে সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের নির্বাচন ব্যাবস্থায় প্রধান সহযোগী শক্তি হিসেবে অর্ন্তর্ভুক্ত করা।

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি,রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপ একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছে এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের পাশাপাশি স্থানে উভয় পক্ষ এ কর্মসূচি আহ্বান করে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি দুভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সেতুমন্ত্রীর তিন ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু,ফখরুল ইসলাম রাহাত,রামপুর ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকীন রিমন।

অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আইযুব আলীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যের এনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে এক প্রতিবাদ মিছিলের আহ্বান করেন সেতুমন্ত্রীর তিন ভাগনের অনুসারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন। ওই প্রতিবাদ মিছিলকে চ্যালেন্জ করে একই সময়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনিয়ন যু্বলীগের সভাপতি আহছান উল্যাহ ভুট্রু একই বাজারের আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের ব্যানারে এক মতবিনিময় সভা আহ্বান করে। ইউপি সদস্য ভুট্রু বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আইযুব আলীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছে, এ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা ব্যাপক বেড়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা। মুছাপুর ইউনিয়ন ফেনীর সোনাগাজীর সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কা বেশি।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন বলেন, ফেসবুকে সেতুমন্ত্রীকে দেওয়া একটি জনমত জরিপের পোস্টে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে আমরা প্রথমে কর্মসূচি ঘোষণা করলে তারা পাল্টা মতবিনিময় সভার আহ্বান করে। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব।

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনিয়ন যু্বলীগের সভাপতি আহছান উল্যাহ ভুট্রু বলেন, আগামী ৩১ জুলাই ইউনিয়ন যু্বলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই মতবিনিময় সভাকে সফল করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা একটি প্রস্তুতি সভার আহ্বান করি। । ওই সভা থেকে বাংলাবাজরে একটি বিক্ষোভ মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। প্রথম আমরা এ কর্মসূচি আহ্বান করি। তারা পাল্টা কর্মসূচি ডেকে অন্যায় করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে জানতে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষ চেয়ারম্যান মো.আইযুব আলীর মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন,আমি ফেসবুকে দেখেছি মুছাপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ডেকেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মেজবা উল হক ভূঁইয়া বলেন,সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে কোন তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান জানান, তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সম্পর্কে জানেন না। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই সংলাপ চলবে।
সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে বৈঠকের মধ্যদিয়ে সংলাপ শুরু হয়। এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত রয়েছেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এনডিএম ছাড়া আরও তিনটি দলের সঙ্গে আজ সংলাপ করবে ইসি। সংলাপে নির্ধারিত কোনো আলোচ্যসূচি নেই। আলোচ্যসূচি উন্মুক্ত।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য দলগুলোর জন্য এক ঘণ্টা করে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই তিন দলের জন্য সময় রাখা হয়েছে দুই ঘণ্টা করে।
এরপর দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বিকেল আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বিকেল ৪টা থেকে ৫টা বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বি এম এল’র সঙ্গে বৈঠক কররে ইসি।
১৮ জুলাই (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টা সাড়ে ১১টা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, দুপুর ১২ টা থেকে ১টা বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, আর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা খেলাফত মজলিস, বিকেল ৪টা থেকে ৫টা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
১৯ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১ টা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ১টা ইসলামিক ঐক্যজোট, বিকাল আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল এম এল।
২০ জুলাই (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা গণতন্ত্রী পার্টি, দুপুর ১২টা থেকে ১টা বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ও বিকাল ৪ টা থেকে ৫টা গণফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।
২৪ জুলাই (রোববার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি- জেপি, আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি, বিকেল ৪টা থেকে ৫ টা ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।
২৫ জুলাই (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১ টা বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ, বিকাল ৪ টা থেকে ৫টা লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বিকেল আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিকেল ৪ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি।
২৭ জুলাই (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জাকের পার্টি, বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
২৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা গণফোরাম, দুপুর ১২ থেকে ১টা বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি -বাংলাদেশ ন্যাপ, বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।
৩১ জুলাই (রোববার ) ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ও বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

দেশবাসীকে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হচ্ছে : বাংলাদেশ ন্যাপ

সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই দেশজুড়ে মারাত্মক লোডশেড়িং। দেশবাসীকে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের অতিকথন ও আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সরকারের ভুল নীতি, জ্বালানিখাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম লসের কারণে আজ বিদ্যুতের এই বেহাল দশা। অথচ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ দম্ভ করে বলে আসছিলেন যে, শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করে লোডশেডিং তারা যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, কেবলমাত্র ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বা আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বলে মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতির দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। ভর্তুকির নামে প্রতিদিন জনগণের করের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের ব্যর্থতা প্রমানিত।

নেতৃদ্বয় সারা দেশে ঘটা লোডশেডিং নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, সংবিধানের মূল দৃষ্টিভঙ্গিকে উপেক্ষা করে বেসরকারি খাতের প্রাধান্য বৃদ্ধির ফলে কমিশনভোগী ও বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। প্রতিবছর জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে ও হচ্ছে। আজ তার পরিণতিতে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কৃষি, শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশ আরেক সংকটে পড়বে।

তারা বিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতের অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের দাবি জানিয়ে কোনো কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হলে প্রথমে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে সাশ্রয়ী ব্যবহার, এসির ব্যবহার বন্ধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সর্বত্র এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সাধারণ মানুষ, কৃষি-শিল্পের অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে বিদুৎ খাতে চুরি, দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম লস কমাতে জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ, চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ দিতে না পারলে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহ বন্ধ করে দিয়ে বিশাল অংকের অর্থ সাশ্রয় করা এবং সে অর্থ বিদ্যুৎ পেতে অন্যত্র ব্যয় করা উচিত।

নেতৃদ্বয় বলেন, জরুরি ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং তার জন্য এই খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। দেশের বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সমূহের দ্রুত সংস্কার করে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। গ্যাস ও তেল উত্তলনে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এক্ষেত্রে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার প্রদান করা প্রয়োজন। শিল্প উৎপাদন, হাসপাতালসহ জরুরি পরিসেবাসমূহ লোডশেডিং এর বাইরে রাখার ব্যাবস্থা করতে হবে এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় আশু, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অবিলম্বে জাতীয় কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।

শিক্ষক উৎপলকে হত্যা লজ্জার-অপমানের : বাংলাদেশ ন্যাপ

সাভারের আশুলিয়ার হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, শিক্ষক উৎপলের হত্যাকান্ত বাংলাদেশের মানুষের জন্য লজ্জার, অপমানের।

বুধবার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, হামলাকারী ছাত্রের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্তের অভিযোগ দিয়েছিল এক ছাত্রী। হামলাকারী ছাত্র বিদ্যালয়ের সভাপতির আত্মীয়। এই হত্যায় জড়িত সবাইকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সামাজিক মূল্যবোধে এতটাই অবক্ষয় ঘটেছে যে, ২০২২ সালে আমরা সভ্যতার এমন একপর্যায়ে দাঁড়িয়েছি, যেখানে একজন ছাত্র তার শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারছে। এঘটনাই প্রমান করছে সভ্যতার উন্নয়নের নিচে আমরা যে অন্ধকার লালন করছি।

নেতৃদ্বয় বলেন, যে শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা পড়ায়, আলোকিত করে, সেই শিক্ষার্থীর আঘাতে শিক্ষককে মৃত্যুবরণ করতে হবে, এর চেয়ে লজ্জার, দুঃখের, ঘৃণার, অপমানের আর কিছুই হতে পারে না। এ অপমান, এ লজ্জা শুধু উৎপলের নয়, শুধু শিক্ষক সমাজের নয়; এ অপমান, এ লজ্জা বাংলাদেশের সকল মানুষের।

তারা আরো বলেন, এ হত্যাকান্ড নিছক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের ব্যাপার নয়। একে দেখতে হবে সমাজব্যবস্থার প্রগতির বাধা হিসেবে। একে দেখতে হবে, সমাজকে পিছিয়ে টেনে নেওয়ার নোংরা লক্ষণ হিসেবে। একজন অপরাধী, একজন খুনিকে ধরে শাস্তি দিলেই এই অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। এ ধরনের ঘটনা থেকে রেহাই পেতে সমাজের সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে শ্রদ্ধা-ভালোবাসার যে সংস্কৃতি, তাকে লালন করতে হবে। চর্চা করতে হবে। তা না হলে উৎপলের মতো ঘটনা আবার দেখা যাবে।

মিথ্যা অপবাদের শিক্ষকের গলায় জুতার মালা কিসের ইঙ্গিত : বাংলাদেশ ন্যাপ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে জুতার মালা পড়িয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

সোমবার (২৭ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তারা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে একজন শিক্ষককে এভাবে অসম্মান করা হলো। তাহলে কি কেবলমাত্র ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ওই শিক্ষককে এভাবে অপমানিত হতে হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের কোনো ভূমিকাই নেই। ওনাকে না বাঁচিয়ে পুলিশ তাকে বের করেছে। প্রশাসন যারা চালায় তারা কী চাইছে? কয়েকশ পুলিশের প্রহরায় এটা করা হলো। এটা বাংলাদেশের জন্য কিসের ইঙ্গিত বহন করছে ?

নেতৃদ্বয় বলেন, ধর্ম অবমাননার ধোয়া তুলে প্রকৃত অপরাধিরা মুলত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে কিনা তা খুজে বের করতে হবে। প্রকৃত অর্থেই দুর্নীতিবাজরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ধর্ম অববাননার বিষয়ে গুজব তুলেছে বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। এই ঘটনায় মধ্য দিয়ে প্রমানিত হচ্ছে দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও মানুষের মগজের উন্নয়ন হয় নাই। এখনও দুর্নীতিবাজ আর লুটেরারা নিজেরদের স্বার্থ রক্ষায় ধর্মকে ব্যবহার করছে আর আম জনতা ব্যবহৃত হচ্ছে।

তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে অধ্যক্ষকে সরিয়ে দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে ৫ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে তৎপর একটি চক্র, তারাই রাহুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে তোলে এবং স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনে যাতে তাকে অধ্যক্ষের পদ তেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। সেই পুরোনো কৌশল অবলম্বন করে। আর এই অপকৌশলের শিকার হয় সাধারন শীক্ষার্থীরা। যা আজকের ও আগামী দিনে জন্য কোন শুভ ইঙ্গিত বহন করছে না।

নেতৃদ্বয় ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার সাথে জড়িত দুর্নীতিবাজ ও সমাজবিরোধী প্রভাবশারী চক্রকে আইনের আওতায় এন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপমান করা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের অধপতনকেই ইঙ্গিত করছে।

রুল খারিজ, জুবাইদার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা খান ওরফে জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে বিচারিক আদালতের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (২৬ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে গত ১৯ জুন এ বিষয়ে শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৬ জুন দিন রাখা হয়।

আদালতে ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত ৫ জুনের শুনানিতে দুদক আইনজীবী বলেছিলেন, আপিল বিভাগ ১৩ এপ্রিল দেওয়া রায়ে বলেছেন জুবাইদা রহমান পলাতক।

এরপর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করা হবে। এ কথার জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রিভিউ করার আগে জুবাইদা রহমানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জুবাইদা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে জুবাইদা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জুবাইদা রহমান।

গত ১৩ এপ্রিল জুবাইদা রহমানের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সেই রায়ে জুবাইদা রহমানকে পলাতক বলে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।

একই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৭ সালে তারেক ও জুবাইদা পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।

রুল জারির ১৫ বছর পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ এপ্রিল রিট মামলা হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে।

সকলকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে : মোস্তফা ভুইয়া

সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, শেরপুর, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিয়ে দেশের সকল মানুষকে দল-মত নির্বিশেষে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এটিই হচ্ছে এখন প্রধান রাজনীতি। মনে রাখতে হবে মানুষের কল্যানের জন্যই রাজনীতি।

বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাপ’র উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নাজহাত গানি শবনমের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি মরহুমা নাজহাত গানি শবনমরে অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশের নারী সমাজের স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে জাতি। কর্মীবান্ধব এমন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব আজ বড়ই অভাব।

দেশবাসীকেও এই বানভাসী মানুষের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি, সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ননীতি ও প্রকৃতিবিরোধী প্রকল্পের কারণে একদিকে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, অপরদিকে একই বাঁধ প্রতিবছর ভাঙছে। অভিন্ন নদীসহ দেশের নদীগুলোতে বাঁধ দেওয়া, পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কারণে নদীগুলোর নাব্য ধ্বংস হয়েছে।

তিনি বলেন, নদীর পানি প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করা যাবে না, বরং নদী-খাল-বিল-হাওর-বাঁওড় খনন করার দ্রæত উদ্যোগ নিয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে। ভারতের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে পানির সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস প্রমুখ।

উৎসব বাদ দিয়ে সংকটাপন্ন বানবাসীদের পাশে দাঁড়ান : জাগপা
সিলেটসহ সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই চরম বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। গ্রাম কিংবা শহর, সবই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব ও আনন্দ মিছিল বাদ দিয়ে সরকারসহ দেশবাসীকে সংকটাপন্ন বানবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত।মঙ্গলবার (২১ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

তারা বলেন, সবমিলিয়ে বানভাসি মানুষদের দুর্ভোগ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় সরকার, রাজনৈতিক দল, বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায় থেকে বিপন্ন এবং দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানবিক বিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া অন্যকিছু প্রাধান্য পেতে পারে না।

নেতৃদ্বয় বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উৎসবের নামে শত শত কোটি টাকা ওড়ানো হচ্ছে। অথচ সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরাঞ্চলসহ বন্যা উপদ্রুত এলাকাসমূহে পানিবন্দি মানুষের জন্য যে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই অপ্রতুল।

তারা বলেন, আমরা অবিলম্বে সরকারকে বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে দুর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ওইসব অঞ্চলে যেন আর বন্যা না হয়, তার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

তারা বলেন, দেশের এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। অন্য কেউ দায়ী নয়। জনগণকে ক্ষুধায় রেখে পানিতে ডুবিয়ে আপনারা ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মা সেতু দেখাবেন, এটা দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না।

Attachments area
মূল্যবৃদ্ধির বোঝা জনজীবনে চরম সঙ্কট নিয়ে আসবে : জেবেল রহমান গানি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেছেন, সম্প্রতি সরকার গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি করেছে। কিছুদিন পূর্বে জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে সকল ধরনের দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের জীবনে এক চরম দুরবস্থা বিরাজ করছে। নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষেরা অভুক্ত থেকে দিনাতিপাত করছে। এর উপরে আবার এই মূল্যবৃদ্ধির বোঝা জনজীবনে চরম সঙ্কট নিয়ে আসবে।

শনিবার (১৮ জুন) গুলশানের বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে এই অজুহাত তুলে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে অর্ধেক মূল্যে জ্বালানি তেল কিনছে। রাশিয়া বাংলাদেশকেও আন্তর্জাতিক বাজারের প্রায় অর্ধেক মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সরকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। তার কারণ দেশবাসী এখনও জানে না।

তিনি বলেন, দফায় দফায় এই মূল্যবৃদ্ধি জনদুর্ভোগ চরম আকারে নিচ্ছে। সরকারকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসাতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি’র সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী ও মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন।

সভায় সিলেট ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় যে, ভয়াবহ বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নদীভাঙনে গৃহহারা মানুষ খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসার অভাবে দূুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। অথচ সরকারের তরফ থেকে কোনো জরুরি তৎপরতা নেই।

সভায় অবিলম্বে সিলেট, সুনামগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যা ও নদীভাঙনের কবলে পড়েছে, সেসব এলাকায় জরুরিভিত্তিতে সরকারি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর জোর দাবি জানিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ স্বচ্ছল ও বিত্তবান মানুষকেও দ্রুততার সঙ্গে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।