ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া যাবে না : হাইকোর্ট

ঢাকাঃ ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এরপর থেকে ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী পরিবহন করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ট্টেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।

এদিকে রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

নোয়াখালীতে জিনের বাদশাসহ ৬ প্রতারক গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে জ্বীনের বাদশাসহ ৬ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি সীম. সীমের খোসা ও প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ১টি ম্যাগনেন্ট ও ১০টি ধাতব মুদ্রা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য আব্দুল মমিন (৬১), ইমাম উদ্দিন রাসেল (৩৫), আজিজুল হক (৪১), মোঃ নুরনবী মানিক (৪৭) নজরুল ইসলাম (২৬) মো. নুর হোসেন (৫০)।

বুধবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,উক্ত আসামীগণ ২০১৮ সাল হইতে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণা করে ১নং আসামী জ্বীনের বাদশা সাজিয়া রাতের বেলায় ফোন দিয়া প্রলোভন ও প্রতারণা করিয়া বিকাশ ও নগদে এবং ম্যাগনেন্ট দেখাইয়া বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। তারা প্রতারণা করে ৩ জন থেকে মোট এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। ওসি আরো জানায়, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মূল ম্যাগনেন্টি পলাতক আসামি রিপনের কাছে রহিয়াছে। অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামিদের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বার্তা প্রেরক

গৃহহীনদের কাছে আজ ২৬২২৯টি ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে আরো ২৬ হাজার ২২৯টি জমি সহ ঘর হস্তান্তর করেছেন।

 ‘দেশে একজন মানুষও গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবেনা’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এর মাধ্যমে দেশের ৪৯২টি উপজেলার ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৫ জন মানুষ নিজের ঠিকানা পেল।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবেও ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের কাছে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। স্থানগুলো হচ্ছে- লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্প, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ন প্রকল্প, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলাধীন চর ভেড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্প, পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন মহানপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্প ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলাধীন জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ন প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেয়া হচ্ছে। এই ৬৭ হাজার ৮০০ ঘরের মধ্যে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকী ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি, ৬৩ হাজার ৯৯৯ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার তাদের মাথার উপর ছাদ পায়। আর গত বছরের ২০ জুন আশ্রায়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবার ঘর পায়।

আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে সরকার ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই ও জলবায়ু সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে ঘরগুলোর নক্সা পরিবর্তন করেন। এতে ঘরগুলোর নির্মাণ খরচ বেড়ে যায়। আর এজন্যই এখন গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষরা দুই শতাংশ জমির ওপর আরো উন্নতমানের টিন-শেডের আধা-পাকা ঘর লাভ করেছে।

ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণব্যায় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত হয়।

সরকার ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে নির্মাণ করতে মজবুদ কড়ি কাঠ, পাথরের সর্দল ও রিইনফোর্স কংক্রিট কলাম (আরসিসি) পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।

ড.কায়কাউস জানান, ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ঘরের নির্মাণের জন্য ৪০২৮ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় চর অঞ্চলের জন্য ১ হাজার ২৪২টির মতো বিশেষভাবে নক্সাকৃত ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যার মতো যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষভাবে স্থানান্তরযোগ্য করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে- যাতে করে বাড়িগুলো অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আবাসনের জন্য সরকার খাস জমি ছাড়াও ১৯১ দশমিক ৭৯ একর জমি ক্রয় করেছে। বিশ্বের এটা একমাত্র দৃষ্টান্ত যে-কোন দেশের সরকার এ ধরনের কাজে জমি ক্রয় করেছে।

জমি ক্রয়ের জন্য ১৩৪ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ক্রয়কৃত জমিতে যে ঘরগুলো নির্মিত হয়েছে- সেখানে মোট ৮ হাজার ৪৬২টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের আবাসনের ব্যবস্থা হবে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে সরকার এই প্রকল্পের জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫১২ দশমিক ০৪ একর জমি উদ্ধার করে।
সরকারের উদ্ধারকৃত এই খাস জমির বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ দশমিক ০৯ কোটি টাকা।

আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ থেকে মোট ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৭০টি পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসিত পরিবারগুলোকে তিন মাসের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। সরকারের নীতি অনুযায়ী, এই সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা ও অসমর্থ মানুষদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য কমিউনিটি সেন্টার, মসজিদ, গোরস্থান, পুকুর ও রাস্তাঘাটও তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফলদ, বনজ ও ঔষধী গাছ লাগানো হয়েছে। গৃহহীনদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্যও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত আশ্রায়ন প্রকল্পটির একটি অনন্য বৈশিষ্ট হচ্ছে- জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)’র আবাসনের সাথে এর একটি বিশেষ যোগাযোগ আছে। বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে পথে কেবলমাত্র এই গৃহ নির্মাণ প্রকল্পটিই হতে পারে প্রধান পদচিহ্ন। অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নারী ক্ষমতায়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে এই আবাসন প্রকল্প ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রেখেছে।

ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোনার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, জামালপুরে বকশীগঞ্জ, চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগঞ্জ, ফেনীর ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া, বোদা।

এছাড়া ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রাণীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট, বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া নাটোরের বাগাতিপাড়া, পাবনার ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহম্মদপুর, শালিখা, ঝালকাঠির কাঠালিয়া, পটুয়াখালীর দশমিনা।

কোম্পানীগঞ্জে নারী-শিশুসহ ১৯ রোহিঙ্গা আটক
নোয়াখালী প্রতিনিধি  : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১৯ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
গতকাল বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, এদিন রাত ৮টার দিকে উপজেলার ৮নং চর এলাহী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফুল মিয়া চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খাল পাড় থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
আটককৃতরা হলেন- ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৭নং ক্লাস্টারের মো. ইসহাক (৮০) ছকিনা খাতুন (৬৫) ৮নং ক্লাস্টারের আইয়ুব হাসেম (৩২) ৭৪নং ক্লাস্টারের ফয়েজ উল্লাহ (২২) রহিমা খাতুন (২২) নুর কলিম (৩) নূর কায়দা (১) ৫৯নং ক্লাস্টারের জুবায়ের (১৭) শামসু আলম (৩১) খালেদা বেগম (২৮) মো. জানায়েত (৮) আমেনা বেগম (০৬) খালিমা সাহরি (১৮মাস) ৫৮নং ক্লাস্টারের আব্দুল্লাহ মাহমুদ (১৪) মো.আমিন (২২) (৭ মাস পূর্বে আসছে) ৬৯নং ক্লাস্টারের কালিম (২০) রিফা মনি (৪ মাস) ৭৩নং ক্লাস্টারের আরফা বেগম (২১) আনে (২)।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ৮নং চরএলাহী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফুল মিয়া চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খাল পাড় এলাকায় কয়েকজন তরুণী কয়েকজন শিশুসহ ঘোরাফেরা করছিলেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়।
চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ  উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) রমজান আলী বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে দালালের মাধ্যমে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে চট্রগ্রাম এবং কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়া উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসেন আটককৃত রোহিঙ্গারা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দশেনা অনুযায়ী আটককৃত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চট্টগ্রামে করোনায় একনজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৮

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৪০টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৮৬২ হাজি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৯টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ৫টি।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সৌদি আরবের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৯৬৬টি। এর মধ্যে মক্কায় ৮১ শতাংশ এবং মদিনায় ১৯ শতাংশ। পুরুষ ৭৪ শতাংশ এবং মহিলা ২৬ শতাংশ।

এদিকে হজে গিয়ে এ বছর বাংলাদেশি ২৩ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী সাতজন।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজ পালন করেছেন। হজ ব্যবস্থাপনা ও হজ প্রতিনিধি দলসহ এবার ১৬৫টি ফ্লাইটে হজে যান তারা।

এরমধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬৩ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩ হাজার ৯১৯ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী সৌদি গিয়েছিলেন।

পানি ও ওষুদের মূল্যবৃদ্ধি জনগনের সাথে প্রতারনা : বাংলাদেশ ন্যাপ

অবিলম্বে পানি ও ওষুধের মূল্যহ্রাসের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দেশবাসীর চরম দু:সময়ে পানি ও ওষুধের মুল্যবৃদ্ধি সাধারণ নাগরিকদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।

মঙ্গলবার ( ১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, এলাকাভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে ওয়াসা ধনীদের কাছ থেকে বাড়তি দাম নেওয়ার প্রস্তাব করেছে তার সম্পূর্ণ অবাস্তব ও সংবিধান পরিপন্থি। এই পদ্ধতি চালু হলে দেখা যাবে, পানি শুধু তাঁরাই পাচ্ছেন, যাঁরা বেশি দামে কিনছেন। আর যাঁরা কম দামে পানি পাবেন, তাঁদের পানির গুণগত মান খারাপ হবে। শ্রেণিভিত্তিক পানি বিক্রি শুরু হলে দেখা যাবে নিম্ন আয়ের মানুষ ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না। পানির মূল্যবৃদ্ধি নয় প্রয়োজন আগে ওয়াসাকে সংস্কার করা। ওয়াসার অপচয়, দুর্নীতি, অমিতব্যয়িতা বন্ধ করা।

নেতৃদ্বয় বলেন, ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র ১১৭টি জেনেরিক ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। বাকি সব ওষুধের মূল্য উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। গত কয়েক বছরে জীবন বাঁচানোর উপকরণ এই ওষুধের মূল্য দফায় দফায় বাড়িয়েছে তারা। দেশে প্রত্যেক পরিবারে মাসে গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার ওষুধ লাগে। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের মূল্য এভাবে বাড়ালে জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক ৫৩টি অত্যাবশকীয় ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্র্রতি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ড্রাগ প্রশাসন নির্বিকার এবং খুচরা বিক্রেতারা গ্রাহকদের মতোই অসহায়। মূল্য বৃদ্ধিতে বিপন্ন জনগণ এখন ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের কারণে প্রতিনিয়ত জীবন মৃত্যুর সংশয়ে রয়েছে।

তারা আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির প্রভাব নিন্ম আয়ের মানুষকে চরম দুরবস্থায় নিপতিত করেছে। এমনিতেই করোনার কশাঘাতে চাকরিহারা, বেকার ও আয়-রোজগার কমে যাওয়া জনগোষ্ঠী দৈনন্দিন খরচের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন, এর মধ্যে মূল্যস্ফীতির চাপে বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছে অনেক পরিবার। এ অবস্থায় একসঙ্গে এতগুলো ওষুধের মূ্ল্যবৃদ্ধি তাদের জীবনে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ দেখা দিয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, চিকিৎসা এখন আর সেবাধর্মী কাজ নয়, এটি পরিণত হয়েছে বাণিজ্যের প্রধান উপকরণে, যার প্রকৃষ্ট উদারহরণ হলো ওষুধের দাম নিয়ে এমন অশুভ তৎপরতা। দেশের বিপুলসংখ্যক সাধারণ রোগীর স্বার্থে এ তৎপরতা বন্ধ হওয়া উচিত।

সাবরিনা-আরিফুলদের ১১ বছর কারাদণ্ড

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ ৮ জনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই রায় দেন।

টাঙ্গাইলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা, এসিল্যান্ডের গাড়ি ভাঙচুর

টাঙ্গাইলে উত্তোলিত বালু (ড্রেজড ম্যাটার) পরিমাপকারীদের ওপর হামলায় এক প্রকৌশলী আহত হয়েছেন।
এ সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে এসিল্যান্ডের একটিসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা।

সোমবার বিকেলে কালিহাতী উপজেলার নিউ ধলেশ্বরী নদীর কুর্শাবেনু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় র্যাব গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর গোল চত্বর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেন করার নিমিত্তে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক উত্তোলিত বালু (ড্রেজড ম্যাটার) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে লক্ষ্যে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাউবোর চুক্তি সম্পাদিত হয়।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রতিনিধির সমন্বয়ে চুক্তি মোতাবেক উত্তোলিত বালু কুর্শাবেনু এলাকায় পরিমাপ করতে যায়।
পরিমাপ করতে গেলে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা পাউবোর ৪-৫ জন কর্মচারী ও মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ডিজিএম মোস্তাফিজুর রহমানকে বাধা দেন।
এ নিয়ে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী ও পরিমাপকারীদের বাগবিতণ্ডা হয়।

এক পর্যায়ে বালু ব্যবসায়ীরা উত্তোলিত বালু পাউবো নিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার জনসাধারণকে যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে একত্রিত হতে বলেন।
পরে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে পরিমাপকারীদের ওপর হামলা করে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ডিজিএম মোস্তাফিজুর রহমানের গাড়ি ভাঙচুর করেন।

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জনের মৃত্যু

 ঈদুল আজহায় ৩ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩১৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯৮ জন। আহত হয়েছেন ৯৬০ জন। গত সাত বছরের ঈদুল আজহার তুলনায় এবার সড়কে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৫৪টি। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৪০ জনের এবং আহত হয়েছেন ৭৯১ জন।

তিনি জানান, ১১৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের ৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, করোনা না থাকার কারণে এবারের ঈদে বেশি মানুষের যাতায়াত হয়। রাজধানী থেকে ১ কোটি ২০ লাখ এবং ৪ কোটি মানুষ আন্তঃজেলায় যাতায়াত করেছে। এছাড়া এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভাড়া নৈরাজ্য হয়েছে এবং ৪ ঘণ্টার যাত্রা ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লেগেছে। বাসের পাশাপাশি ঈদযাত্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল ও ৪০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় নামে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার উল্লেখযোগ্য তৎপরতার কারণে ঈদযাত্রা কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়ক দুর্ঘটনা বরাবরের মতো বেড়েছে।

তিনি জানান, সমিতির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩ জুলাই থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৭ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩১৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জন নিহত এবং ৭৭৪ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১০টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং ৩ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তথ্য মিলেছে। বিগত ৭ বছরের তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি দুটোই সর্বোচ্চ।

বুস্টার ডোজ দিবস আজ

করোনা সংক্রমণ রোধে আজ দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে আজ দেশব্যাপী এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এই ৭৫ লাখ টিকা বুস্টার (তৃতীয়) ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই দিন ১৮ বছরের বেশি যে কেউ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পূর্ণ হলে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা ব্যবহার হবে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে ৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রমাণ প্রদর্শন সাপেক্ষে (কোভিড-১৯ টিকার কার্ড বা সনদ) নিকটবর্তী টিকাদান কেন্দ্র বা দেশের যেকোনো কোডিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহীতা এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সব টিকাদান কেন্দ্রে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদানের শর্তাবলী অনুসরণ করতে হবে। সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ ১৬টি কেন্দ্রে ৮টি করে টিম ও ১১টি কেন্দ্রে ৪টি টিম কাজ করবে। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ১০টি কেন্দ্রে ৮টি করে টিম ও ৪টি কেন্দ্রে ৪টি করে টিম কাজ করবে।

একটি টিমে ২ জন টিকাদানকারী ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। প্রতিটি টিম ৫০০ জনকে টিকা প্রদান করবে। বুস্টার ডোজ দিবসের ফ্যাসিলিটিতে কেন্দ্রে নারীদের পর্দাঘেরা স্থানে পৃথকভাবে এবং বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।

এছাড়াও এদিন নিয়মিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ১ম ও ২য় ডোজের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন বুস্টার ডোজ কার্যক্রম ১ দিন পরিচালনা করতে হবে।