মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: ডব্লিউএইচও

ঢাকাঃ বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এতে আরও মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এমন কিছুর জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

এর পেছনে কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, যদিও রোগের এবারের প্রাদুর্ভাব খানিকটা অস্বাভাবিক। তারপরও বলা যায়, অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগ যেমন কভিডের মতো এটি সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না।

এটি ছড়াতে খুবই ঘনিষ্ঠ শারীরিক স্পর্শের প্রয়োজন হয়। সাধারণত আক্রান্ত একজনের চামড়ার সঙ্গে অন্যজনের চামড়ার সংস্পর্শ থেকে এ রোগ ছড়ায়।

এছাড়া এটা কোভিডের মতো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃদু বা উপসর্গহীন নয়। বরং মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে শরীর খারাপ করবে এবং শরীরে ফোস্কার মতো গোটা দেখা দেবে। তাই কেউ এ রোগে আক্রান্ত কি-না, সেটা জানতে পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সরাসরি এই রোগের টিকা এখনও সহজলভ্য না হলেও গুটিবসন্তের টিকা দিয়ে এ ভাইরাস প্রায় ৮৫ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারণ দুই ভাইরাসের মধ্যে মিল রয়েছে।

এমনকী মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের জন্য সবার টিকা নেওয়াও প্রয়োজন নেই বলেও মত ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদের।

টিকার বিষয়ে ডা. রোসামুন্ড লুইস বলেন, বিশ্ব থেকে গুটিবসন্ত বিলুপ্ত হয়েছে। ওই সময়ে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে গুটিবসন্তের টিকা মাক্সিপক্সের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর।

মাঙ্কিপক্সের টিকাও আছে। কিন্তু সেটা তুলনামূলক নতুন এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় না। যদিও ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা টিকা আরও সহজলভ্য করতে কাজ করছেন।

তবে সবার জন্য টিকার প্রয়োজন নেই বলে মত ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ফন কেরখোভের। তিনি বলেন, এ রোগ শুধু ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।

এর আগে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা (ইউকেএইচএসএ) এর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে ২১ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।

ইউকেএইচএসএ বলেছে যে, সমকামী এবং উভকামী পুরুষদের মধ্যে প্রাথমিক ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাতে শনাক্ত করা হয়েছে এবং বিশেষ করে এমন লোকদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডা. হপকিন্স বলেন, ‘যিনি নিয়মিত যৌন সঙ্গী পরিবর্তন করছেন বা কারো যৌনসঙ্গীর শরীরে ফুসকুড়ি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।’

এরই মধ্যে ‘মাঙ্কিপক্স’ সংক্রমণ মোকাবিলায় ২১ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন বিধি জারি করেছে বেলজিয়াম। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবে, তাদের তিন সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

দেশে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম জারি করা হলেও বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন বলেছে, তাদের দেশে মাঙ্কিপক্সের বৃহত্তর প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি কম।

‘মাঙ্কিপক্স’ মূলত গুটিবসন্ত বা চিকেনপক্স গোত্রেরই রোগ। তবে, এটি গুটিবসন্তের থেকে কম মারাত্মক, মৃত্যুর হার ৪ শতাংশেরও নিচে। বেশিরভাগ রোগীই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে ওঠে। এর আগে কখনও আফ্রিকার বাইরে মহামারি আকারে এই রোগ ছড়াতে দেখা যায়নি।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ভাইরাসে জনসাধারণের ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম।

নেত্রকোণায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১১

জেলার সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের চল্লিশা বাজার সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের সামনের সড়কে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় যাত্রীবাহী বাস ও ধান বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের চালক ও সহকারী মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হচ্ছে, বাসের চালক ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকার সবুজ মিয়া এবং সহকারী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সোহেল মিয়া।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শাহ্ পরান নামক একটি যাত্রীবাহী বাস সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা দিকে যাওয়ার পথে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় নেত্রকোণার চল্লিশা বাজারের সন্নিকটে গ্রামীন ব্যাংকের সামনে পৌছলে বারহাট্টা থেকে ধান বোঝাই একটি ট্রাক ঢাকায় যাওয়ার পথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই বাস চালক সবুজ মিয়ার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত সহকারী সোহেল মিয়াকে ময়মনসিংহ নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহত ১১ জনকে নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সড়কের দু পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ময়মনসিংহ থেকে পুলিশের একটি ক্রেন এসে দুঘটনায় কবলিত বাস ও ট্রাককে রাস্তার মাঝ খান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নেত্রকোণা মডেল থানার এস.আই জাহিদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে দেশের সব বন্দরে সতর্কতা

মাঙ্কিপক্স’  প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি বন্দরে (স্থল, নৌ এবং বিমান) বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বের ১২ টি দেশে ভাইরাসজনিত বিরল রোগ মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশ এই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও স্থল বন্দর সমূহে আক্রন্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং হেলথ স্কিনিং জোরদার করতে হবে।’

চিঠিতে আর বলা হয়, যে সব রোগীদের মধ্যে ফুসকুড়ি দেখা যায় এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে এমন দেশগুলিতে ভ্রমন করেছেন অথবা এমন কোন ব্যক্তি বা লোকের সাথে যোগাযোগ করেছেন যাদের একই রকম ফুসকুড়ি দেখা গেছে বা নিশ্চিত বা সন্দেহ জনক মাঙ্গিপক্স রোগী হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন এমন রোগীদেরকে মাঙ্কিপক্সের জন্য সন্দেহ জনক রোগীর তালিকায় আন্তভুক্ত করতে হবে। সন্দেহজনক ও লক্ষণ যুক্ত রোগীকে নিকস্টস্থ সরকারি হাসপাতালে  বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআর এ তথ্য প্রেরণ করতে হবে।

 মাঙ্কিপক্স ‘নতুন কোনো রোগ নয়’ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এ ধরনের রোগী পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে আগেও ধরা পড়েছে। সেখানে এই রোগকে এনডেমিক (সাধারণ রোগ) হিসেবে ধরা হয়। তবে সম্প্রতি এসব দেশে ভ্রমণের ইতিহাস নেই, ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।

নরসিংদীতে ঘরে মিললো মা ও দুই সন্তানের মরদেহ

নরসিংদীঃ বেলাবো উপজেলায় বসতঘর থেকে মা ও ছেলে-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ মে) সকালে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- বাবলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন শেখের স্ত্রী রাহিমা বেগম (৩৬), তার ছেলে রাব্বি শেখ (১২) এবং মেয়ে রাকিবা আক্তার (৭)। রাহিমা বেগম পেশায় একজন দর্জি ছিলেন।

পুলিশ বলছে, নিহত রহিমার স্বামী পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি। কাজের সুবাদে শনিবার গাজীপুরে যান তিনি। সকালে বাড়ি এসে দেখেন স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ পড়ে আছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। মরদেহ উদ্ধারের প্রস্তুতি চলছে।

জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইন ও বিচার বিভাগের আয়োজনে মামলাজট নিরসনে জিপি (গভর্নমেন্ট প্লিডার) ও পিপিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর) সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শনিবার এসব কথা বলেন তিনি।

আইন ও বিচার বিভাগের  সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের আট বিভাগের আটজন জিপি ও আটজন পিপি মামলাজট নিরসনের বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় জিপি-পিপিগণ মামলাজট নিরসনে আদালতে সময়মত সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা, আরও বিচারক নিয়োগ, আদালত সংখ্যা বাড়ানো, সময়মত সমন জারি ও তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, দেওয়ানী কার্যবিধির কিছু ধারা সংশোধন, মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ডাক্তারের আদালতে সময়মত উপস্থিতি,  বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সহ বিভিন্ন সুপারিশ করেন।

আইনমন্ত্রী তার বক্তৃতায় মামলার জট কমিয়ে আনতে বার বার সময় চেয়ে আবেদন না করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েন। তিনি বলেন, বলা হতো- সিভিল কেস বেগুন খেতের মতো। এটা প্রচলিত ছিল। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে মামলাজট এক বিরাট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশও এই সমস্যার বাইরে নয়। মামলাজট থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেওয়ানী কার্যবিধির (সিপিসি)  কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, সিপিসি যখন তৈরি করা হয়েছিল তখন প্রযুক্তির এত উন্নয়ন হয়নি। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এখন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় খবর পাঠাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। পৃথিবী যখন এত এগিয়ে গেছে, আমার মনে হয় সিপিসির যেখানে বলা আছে অমুকটার জন্য ৪৫ দিন সময় দিতে হবে, অমুকটার জন্য ৬০ দিন সময় দিতে হবে। এত সময়ের আর প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আদালত ও বিচারক সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এই আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিল করা হচ্ছে।  এনআই অ্যাক্ট, ১৮৮১ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) ওপর জোর দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী  বলেন, দেওয়ানী আদালতগুলোতে অনেক আপোষযোগ্য মামলা দীর্ঘদিন যাবত পড়ে রয়েছে। এই মামলাগুলো এডিআর পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা গেলে মামলাজট অনেক কমে আসবে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে আনিসুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা সংযোজন করে দিয়ে গেছেন, যেটা অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে নেই। বঙ্গবন্ধু এটা সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংযোজন করে দিয়ে গেছেন। তার কন্যার সরকার এমন কোনো আইন করবে না, যাতে বাক-স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়। আমরা সেটা করিনি।

তিনি বলেন,  প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। সেসব সমস্যা হলো সাইবার ক্রাইম। আমাদের এই সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করতে হবে। অনেক অপরাধ আছে যেগুলো আর ফিজিক্যালি করা হয় না, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়। সেটার বিচার করা হবে কীভাবে? সে জন্য তো একটা আইন করতে হবে। আমরা সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার পরে কিছু মিসইউজ এবং অ্যাবিউজ যে হয়নি তা তো নয়। তিনি বলেন, আগে দেখা যেত, থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলেই একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হতো। আমি সেখানেও বলেছি যাতে এই মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে যেন কাউকে গ্রেফতার না করা হয়। আদালত যদি মনে করেন এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ তাহলে, সে রকম ব্যবস্থা নেবে। আর যদি মনে করেন, সমন দিলেই যথেষ্ট, সমন দেবেন। তাই বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে ফেলতে হবে, আমি এটা সমর্থন করি না। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আগে দেখবেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো একটি ঘটনায় আদৌ মামলা হয়েছে কি না। তারপর সেটা বিবেচনা করবেন।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব অযৌক্তিক ও অগ্রহনযোগ্য : বাংলাদেশ ন্যাপ

 

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবকে অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক এবং অগ্রগণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চরমভাবে যখন ব্যর্থ তখনই দেশবাসী অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের শুনানিতে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অনিবার্যভাবে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি তৈরি করবে এবং তা বহুগুনিতক হারে সব পণ্যের দাম বাড়াবে।

শনিবার (২১ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব গণবিরোধী যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার চাইলে আরো কম দামে সাশ্রয় মূল্যে শতভাগ বিদ্যুত জনগণকে দিতে পারে সে উদ্যোগ কিভাবে নেবে সেটি সরকারের বিবেচনা করা উচিত।

নেতৃদ্বয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির তৎপরতায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তখন দেখা যাচ্ছে সরকারি বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তা পরিহার করে ভুল সিদ্ধান্ত গস্খহন করে দুর্নীতিগ্রস্থ এবং অলাভজনক প্রকল্প নিয়ে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে ব্যস্ত।

তারা আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ খাতকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। নিজেদের পোষ্য লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। এই অব্যাহত লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই উপর্যুপরি বিদূতের মুল্যবৃদ্ধি করছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার তুলনায় ভীষণ ব্যয়বহুল বিদ্যুত উৎপাদন সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সরকারের যে লক্ষ শতভাগ বিদ্যুৎ আয়ন তা থেকে বিমুখ হবে সাধারণ জনগণ। সেই সাথে শিল্প উৎপাদন এবং সাধারণ নাগরিকদের পরিবহন অটো রিক্সা এবং বিদ্যুতের রিক্সা এবং আগামীতে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন এর ব্যয় কোথায় গিয়ে দাঁডাবেব তা অনুমান করা সম্ভব না। মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির সাথে সাথে বিদ্যুতের অবাস্তব প্রস্তাব মেনে নেয়া মানে বাংলাদেশকে বিপথগামী করে সাধারণ মানুষদের মধ্যে যে ভয় ঢুকে গেছে যে শ্রীলংকার মত হতে বাংলাদেশ তা আরেক ধাপ বাস্তবায়ন করে দেয়ার জন্য বিদ্যুত-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মরন ফাঁদ হিসেবে কাজ করবে।

নেতারা বিদ্যুতে মুল্যবৃদ্ধির গুবিরোধী তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তেরর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশসহ তিনজন নিহত

চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার মিরসরাই এবং পটিয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় পুলিশসহ তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশ এসব দুর্র্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার টিএসপি কমপ্লেক্সের সামনেসড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী বেণুরাম নাথ (৪০) নামে আর্মড পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন। নগরীর ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলামবলেন, নিহত এএসআই বেণুরাম নাথ আর্মড পুলিশের হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারি গার্ডে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলায়। যে সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। যে গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন বেণুরাম নাথ। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টিএসপি কমপ্লেক্সের সামনে বেণুরাম নাথের মোটরসাইকেলে একটি অজ্ঞাত গাড়ি ধাক্কা দেয়। পরে সেই গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করছি। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার (২০ মে) সকালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় দ্রুতগতির একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জয়নাল আবেদীন (২৩) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। জয়নাল আবেদীন চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়ানঘর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, হাটহাজারী থেকে আটটি বাইক নিয়ে কক্সবাজারে যাচ্ছিল একটি দল। ওই দলে একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন জয়নাল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শান্তির হাটের বোর্ড অফিস এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসচাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাইকে থাকা জয়নাল। ঘটনার পরপরই বাসের চালক পালিয়ে গেছে।

মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিজামপুর কলেজ এলাকায় আইল্যন্ডে ধাক্কায় পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে নিহত হয়েছেন ট্রাক চালক মুসলিম উদ্দিন (৫৫)। সে নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মধ্যরাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, গাড়ি চলতে চলতে সড়কের পাশে আইল্যান্ডে ধাক্কা খায়। তাৎক্ষণিক ট্রাক উল্টে চালক নিহত হন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ট্রাক ও চালকের মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই

ঢাকাঃ বর্ষীয়ান লেখক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জনপ্রিয় কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায়।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী স্বনামধন্য এ সাংবাদিক স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা।

যুদ্ধাপরাধ : মৌলভীবাজারের ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকাঃ একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৌলভীবাজারের বড়লেখার আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুলসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন মো. আব্দুল মতিন (পলাতক) ও আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও কে এম হাফিজুল আলম।

রায়ে ২৪০ পৃষ্ঠার মধ্যে সারসংক্ষেপ অংশ পাঠ করা হয়। সকাল ১০টা থেকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। এরপর রায় পড়েন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার এবং সর্বশেষ দণ্ডসহ মূল রায় ঘোষণা করে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি।

এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত, ঋষিকেশ সাহা, সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ হাসান, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি, রাজিয়া সুলতানা চমন, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, মোসফেকুর রহমান ও তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক।

চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রয়কারীদেরও গ্রেফতার করা হবে: ডিবি প্রধান

শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রয়কারীদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।

আজ বুধবার (১৮ মে ২০২২) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ১৫৮টি চোরাই ফোন উদ্ধার সংক্রান্তে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সাম্প্রতিককালে মোবাইল ফোন চুরি বা টান মেরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। পুলিশের নিকট যে ঘটনাগুলো আসে সেগুলো উদ্ধার করা হয় এবং আসামীদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তারা জামিনে এসে পুনরায় একই কাজে লিপ্ত হয়। কারণ চোরাই মোবাইল বিক্রি করতে পেরে তারা এ কাজে উৎসাহ পায়। যারা চোরাই মোবাইল বিক্রি করবে তাদেরকেও প্রচলিত আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হবে।

চোরাই মোবাইল বিক্রির প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুরি হওয়া মোবাইলগুলো ৩টি হাত বদল হয়। প্রথমত যে চুরি করে সে মোবাইলভেদে ৪-৮ হাজার টাকায় টেকনিশিয়ান বা কোন চোরাইফোন ক্রেতার নিকট বিক্রি করে দেয়। টেকনিশিয়ান বা চোরাই ফোন ক্রেতা ফোনের পার্সওয়ার্ড বা ফাইন্ড ইউর ফোন এ অপশনটি চালু থাকলে তার ডিসপ্লে ও কেসিং উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আর এসব অপশন চালু না থাকলে আইএমইআই পরিবর্তন করে আইফোনের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ও অন্য ফোনগুলো ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।

অল্প পয়সায় দামী ফোন ক্রয়-বিক্রয়ের কথা উল্লেখ করে গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুরাতন মোবাইল বিক্রির ক্ষেত্রে কোন আপত্তি নেই কিন্তু ব্যবসায়ীদের নিকট চোরাই মোবাইল থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। যারা বিক্রি করে তারাও অপরাধী। বিক্রেতাদের এসব কাজ থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধে জনসাধারণকে রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে চলাচল করতে অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া রিকশা বা পাবলিক পরিবহনে চলাচলের সময় কথা বলার প্রয়োজন হলে গাড়ির ভিতরের দিকে মোবাইল রেখে কথা বলার পরামর্শ দেন ডিবি এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল উত্তরা ১০ নং সেক্টরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুপুরে ওযু করার সময় এক ব্যক্তির প্রায় দুইলক্ষাধিক টাকার একটি আইফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় ১৬ মে তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়া তদন্ত করে রাজধানীর মোতালেব প্লাজা থেকে চুরি হওয়া মোবাইলটিসহ আরো ১৫৭ টি চোরাই মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ ও ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম এর নেতৃত্বে একাধিক টিম। এ ঘটনায় চোর ও বিক্রয়কারীসহ আটজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।