বিএম ডিপো’র আরও একজনের মৃত্যু

সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বাসস’কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সীতাকু-ের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনে দগ্ধ মাসুদ রানা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।

মাসুদ রানা (৩৪) বিএম কনটেইনার ডিপোর অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জামালপুর জেলার খলিলুর রহমানের পুত্র।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনে যোগদানের অপেক্ষায় লাখ লাখ মানুষ

আগামী ২৫ জুন রেল ও সড়ক যোগাযোগসহ দ্বি-স্তর বিশিষ্ট বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের স্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক দিন উদযাপনের জন্য লাখ লাখ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাজিরার বাসিন্দা মো. সুলতান হোসেন আজ বাসস’কে বলেন, “মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর এলাকার নারী, পুরুষ, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে যাবেন।”
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে সব সময় কাজ করে যাওয়া সাহসী ও দূরদর্শী নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন দেশের দীর্ঘতম সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সুলতান আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন।

তরুণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মো. মনিরুজ্জামান বাসসে’র সাথে আলাপকালে বলেন, সেতুটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার প্রায় ছয় কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে, কারণ এটি এসব জেলাকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অবশিষ্ট অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজস্ব অর্থায়নে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বি-স্তর বিশিষ্ট পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এই সেতুর উপরের স্তরে যানবাহন চলাচল ও নিচের স্তরে ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে।”
মনিরুজ্জামান বলেন, স্বপ্নের এই সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে দেবে, পাশাপাশি এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশকে সংযুক্ত করবে এবং যোগাযোগ, বাণিজ্য, শিল্প, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, “আমরা যখন সড়কপথে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসি, তখন প্রমত্তা পদ্মা নদী ফেরিতে করে পার হতে এক অসহনীয় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহৎ কাজের কারণে আমরা অন্তত ১৯টি জেলার মানুষ কোনো রকম বিপদ ও ঝামেলা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারবো।”
মনিরুজ্জামান বলেন, লাখ লাখ মানুষ আগামী ২৫ জুনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কারণ এটি স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য উদ্বোধনের বহুল প্রত্যাশিত একটি দিন।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বাসসে’র সাথে আলাপকালে বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য সব কাজ ঠিকঠাক মতো চলছে।

সকল কাজ শতভাগ শেষ করতে নির্মাণ কর্মী ও বিশেষজ্ঞরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে আমরা বৈদ্যুতিক লাইন, বৈদ্যুতিক বাল্ব ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ পরীক্ষা করে দেখছি ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকার আশাবাদী যে, পদ্মা সেতু দেশের জিডিপি’তে ১.৫ থেকে ২ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে দেবে। পাশাপাশি এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশকে সংযুক্ত করবে এবং যোগাযোগ, বাণিজ্য, শিল্প, পর্যটন এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে অবদান রাখবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনা ঠিকাদার কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি নির্মাণ করেছে।

আগুন নেভাতে দেশে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক LUF-60 রোবটের ব্যবহার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রোবট ব্যবহার করছে ফায়ার সার্ভিস।

ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল ‘হ্যাজমট’ সোমবার (৬ জুন) সকালে পরীক্ষমূলকভাবে যন্ত্রটির ব্যবহার করে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, প্রথমবারের মতো গত সোমবার সীতাকুণ্ডের আগুন নেভাতে একটি অটোমেটিক হাইটেক রোবট ব্যবহার করা হয়েছে । এছাড়া ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ড্রোনও রয়েছে। আমাদের কাছে থাকা অটোমেটিক মেশিন ৩০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পানি ছিটাতে সক্ষম।

২০১৭ সালে প্রথমবার এই রোবট ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছিল সংস্থাটি। ২০১৯ সালে ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। করোনা মহামরির কারণে ক্রয় প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। বর্তমানে দেশে দুটি এলইউএফ-৬০ (LUF 60) রোবট রয়েছে।

রোবটটি প্রায় ছয় মাস আগে ফায়ার সার্ভিসে যুক্ত করা হয়েছে। এলইউএফ-৬০ মডেলের রোবটটি ধোঁয়া, তাপ এবং বিষাক্ত গ্যাস পরিষ্কার করে আগুনের তীব্রতা কমাতে পারে। প্রায় ৩০০ মিটার দূরে পর্যন্ত স্প্রে করতে পারে। যন্ত্রটি প্রতি মিনিটে ২,৪০০ লিটার পানি নিক্ষেপ করতে সক্ষম।

অস্ট্রিয়ার তৈরি এধরনের ২টি রোবট বহরে যুক্ত করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এধরণের আরও অত্যাধুনিক রোবট যুক্ত করা খুবই জরুরি।

শাহজালাল বিমানবন্দরে আবার বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজে ধাক্কা

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও উড়োজাহাজে ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে।
এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজকে ধাক্কা দিয়েছে ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের একটি গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট (জিএসই)।
বিমানের ওই উড়োজাহাজটি বসিয়ে (গ্রাউন্ডেড) রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিমান তদন্ত করছে।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
সে সময় বিমানের একটি বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজ বে এরিয়াতে অপেক্ষমাণ ছিল।
তখন ইউএস–বাংলার একটি জিএসই ডলি-ট্রলি (মালামাল নেওয়ার গাড়ি) বিমানের বোয়িং-৭৩৭ কে ধাক্কা দেয়। এতে উড়োজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গ্রাউন্ডেড হয়। বিমানের এ উড়োজাহাজের পরদিন রোববার চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল।

বিমান জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ওই উড়োজাহাজ মেরামত করার বিষয়ে বোয়িং কোম্পানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষতির জন্য যে টাকা প্রয়োজন হবে, তা ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বহন করবে।

নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলবে

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে দুদকের পাল্টা মামলা বাতিল চেয়ে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এই মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে বাসস’কে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি বলেন, আদালত বলেছেন আদালতের কোন রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ সমীচীন নয়। উচ্চ আদালতের মর্যাদা ক্ষুণœ হয় এমন কোন পদক্ষেপ কাম্য নয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে, সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে দুদকের পাল্টা মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন নাজমুল হুদা।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান বিচারপতি সিনহা। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য আসে দুদকে। দীর্ঘ দেড় বছর তদন্ত করে বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকে। আর মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

অভিযোগে বলা হয়, আসামি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত না হয়ে বা মিথ্যা জেনেও আদালত ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য এবং তার নিজের বিরুদ্ধে থাকা ২০০৮ সালের মামলাটি প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন মানসে মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করে শাহবাগ থানায় ওই মামলা করেছেন মর্মে দুদকের তদন্তে ওঠে আসে বলে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন।

গত ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

৬০ ঘণ্টায়ও নেভেনি বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন

চট্টগ্রামঃ সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন এখনও জ্বলছে। ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। এর আগে শনিবার রাতে প্রথমে আগুন এরপর একের পর এক বিস্ফোরণ শুরু হয় ডিপোটিতে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার মঙ্গলবার সকালে বলেন, আমরা আগেই বলেছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু নির্বাপিত হয়নি। এখনও নয়টি ইউনিট কাজ করছে আমাদের। এর সাতটি সরাসরি অপারেশনে আছে। এখানে প্রচুর পরিমাণ কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ থাকায় কোনোভাবেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থেকেই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত সংখ্যা ৪১ জন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। নিহতদের মধ্যে নয়জন ফায়ার সার্ভিস সদস্যও রয়েছেন। রোববার রাত পর্যন্ত নিহত সংখ্যা ৪৫ বলা হলেও সোমবার নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা ৪১ বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।

নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এসব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ১৬৩ জন। এর মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৬৯ জন হাসপাতাল ছেড়েছেন।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ

আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬-দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।

এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গি, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআর-এর গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপোসহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি।

প্রতিবছরের মত এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কমূসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এদিন বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে বক্তব্য রাখবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬-দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬-দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ৬-দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে অনুমোদন করিয়ে নেন।

৬-দফার মূল বক্তব্য ছিল, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ৬-দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় উত্তর দেয়া হবে।

এদিকে, ৬-দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ৬-দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলে শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ৬ দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।

ছয় দফা দাবি আদায় প্রসঙ্গে ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কর্মীরা যথেষ্ট নির্যাতন ভোগ করেছে। ছয় দফা দাবি যখন তারা দেশের কাছে পেশ করেছে তখনই প্রস্তুত হয়ে গিয়াছে যে তাদের দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হবে। এটা ক্ষমতা দখলের সংগ্রাম নয়, জনগণকে শোষণের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য সংগ্রাম।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার বিশ^াস আছে আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের নিঃস্বার্থ কর্মীরা, তাদের সাথে আছে। কিছু সংখ্যক শ্রমিক নেতা-যারা সত্যই শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করে-তারাও নিশ্চয়ই সক্রিয় সমর্থন দেবে। এত গ্রেপ্তার করেও এদের দমাইয়া দিতে পারে নাই।’
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক ৬-দফাভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়।এ দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে।

অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দলকে জনগণ বিজয়ী করলেও  স্বৈরাচারী পাকিস্তানের শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে আবারো বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং সেই সময়ের ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ একটি নিবন্ধে লিখেছেন, ‘ছয় দফা’কে প্রতিহত করার জন্য পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী বহু ষড়যন্ত্র করেছে। বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়েছে। তারপরও যখন‘ছয় দফা’ আন্দোলন রোধ করা যাচ্ছিল না, তখন বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে চিরতরে তাঁর কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ তথা আগরতলা মামলা দেন। সেদিন‘ছয় দফা’ দাবি আদায় এবং বঙ্গবন্ধুকে কারামুক্ত করতে আমরা ছাত্ররা ’৬৯-এর জানুয়ারির ৪ তারিখে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে ৪টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ছয়-দফাকে এগারো দফায় অন্তর্ভূক্ত করে গ্রামে-গঞ্জে-শহরে-বন্দরে-কলে-কারখানায় ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা‘র (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ. আ. ম. স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, ৬ দফাই এনে দিয়েছে আমাদের তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূর দৃষ্টি, অন্তঃদৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এতই প্রখর ছিল যে, তিনি ৬ দফাকে এক দফার দাবিতে পরিণত করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনের ডাক দেন।

রাসায়নিক থাকা ৪ কনটেইনার চিহ্নিত, অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী…
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর ভেতর ৪টি কনটেইনারে এখনো দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এখন চিহ্নিত ৪টি কনটেইনার বিশেষ পদ্ধতিতে অপসারণের চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ডিপোতে থাকা ৪টি কনটেইনারে রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখন এই কনটেইনারগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপসারণের চেষ্টা চলছে।’ ‘এ কারণে ডিপোতে এখনো আগুন জ্বলছে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি’, যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডিপো কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে, এই ডিপোতে আড়াই হাজারেরও বেশি কনটেইনার ছিল। এরমধ্যে ১ হাজার ৩০০টি খালি, ৮০০টি রপ্তানিযোগ্য এবং ৫০০টির মতো কনটেইনারে আমদানি পণ্য ছিল। এ ছাড়া, ২৪টির মতো কনটেইনারে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ছিল।
সীতাকুন্ডে বিএম ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নেভেনি

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনো পুরোপুরি নেভেনি। কন্টেইনার ডিপো থেকে আগুনের ধোয়া বের হচ্ছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পর দুই দিন পার হলেও টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঘটনাস্থলে কাজ করছে সেনাবাহিনীও। কিন্তু এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ডিপোর ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান।

জানা গেছে, বিএম ডিপোর পশ্চিম পাশের কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। তাছাড়া আশপাশের আরও কয়েকটি কনটেইনার থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ওপর থেকে এসব কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। রাসায়নিক মিশ্রিত পানি যাতে সমুদ্রে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সেনা সদস্যরা কাজ করছে।

একটি গাড়ির পানি শেষ হলে আরেকটি পাঠানো হচ্ছে। ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছে পুলিশের একটি দল। আছে কড়া নিরাপত্তা।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বাসস’কে বলেন, আমরা এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছি। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগবে। বিভিন্ন কনটেইনারে এখনো আগুন জ্বলছে, ধোয়া বের হচ্ছে। আমরা সাবধানতার সঙ্গে সেগুলোতে পানি দিচ্ছি। আর যেসব কনটেইনার আগুনে ক্ষতি হয়নি সেগুলো নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছি।
ফায়ার সাভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমাদের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ডিপোর সবগুলো শেডের ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায় নি। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আশঙ্কা, আশপাশে থাকা কনটেইনার গুলোতে রাসায়নিক না থাকলে হয়তো আগুন আর বেশি ছড়াবে না। কিন্তু রাসায়নিক থাকলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা আছে। রাসায়নিক আছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা সীতাকু- থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুমন বণিক বাসস’কে বলেন, আগুন জ্বলছে। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ধোয়াও উঠছে।

জানা যায়, চট্টগ্রামে সীতাকু-ে বিএম ডিপোতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগার পর ভয়াবহ কনটেইনার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশত মানুষ নিহত এবং প্রায় চার শতাধিক আহত হন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরণের কারণে বারবার বিস্ফোরিত হয় কন্টেইনার। আগুনের তীব্রতার কারণে প্রথম দিকে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ স্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন..
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুন ১২ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ও র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি ডাকা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। আজ সকাল ১০টায় প্রায় ২০০ সদস্যের একটি সেনাবাহিনীর টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরই ডিপোতে থাকা আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনারে আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণে কম্পনের আওয়াজ এতটাই তীব্র ছিলো যে, আশেপাশের এলাকার অধিকাংশ বিল্ডিয়ের কাঁচের গ্লাস ভেঙে যায়। এই ঘটনায় ২১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিন শতাধিক। সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।