রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য : বাংলাদেশ ন্যাপ

৬৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।

সোমবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, আজ থেকে ৬৫ বছর পূর্বে জাতির এক চরম ক্রান্তিকালে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বিশ্বনন্দিত নেতা, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী একটি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ন্যাপ এ অঞ্চলের মানুষের মুক্তি, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য সংগ্রাম করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দুর্নীতি ও দুবৃর্ত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

তারা বলেন, দলের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মহান দিনে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দলকে আরো গতিশীল করার ক্ষেত্রে মনেপ্রাণে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। পাশাপাশি দেশ, জাতি, গণতন্ত্রের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

নেতৃদ্বয় দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, পরবর্তী চেয়ারম্যান মশিউর রহমান যাদু মিয়া, পরবর্তী চেয়ারম্যান শফিকুল গানি স্বপন-সহ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে গণশক্তি গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

তারা বলেন, আকাশছোঁয়া স্বপ্ন, দিগন্ত বিস্তৃত প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজ সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ধ্বংসের পথে। দুর্নীতির মরন ব্যাধিতে রাষ্ট্র ও সমাজ ক্ষতবিক্ষত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ পদদলীত। বহুদলীয় রাজনীতি যদি না থাকে তাহলে সমাজ রাষ্ট্রে অশুভ ও অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটতে বাধ্য। আর অশুভ শক্তির উত্থান হচ্ছে সরকারের ভুল নীতির কারণে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মধ্যমন্থি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালের ২৬ জুলাই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

মালয়েশিয়ায় করোনায় নতুন করে ২ হাজার ৭২০ জন আক্রান্ত, ৩জনের মৃত্যু

মালয়েশিয়ায় রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত মহামারি করোনাভাইারাসে নতুন করে ২,৭২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে মোট ৪,৬৫২,৬৫১ জনে দাঁড়ালো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সিনহুয়ার।

মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উপাত্ত অনুযায়ী, এদের মধ্যে ২,৭১৫ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছে এবং বাকি পাঁচজন বিদেশ ফেরত। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে তিন জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশটিতে এনিয়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ৩৫,৯১৪ জনে দাঁড়ালো।

মন্ত্রণালয় জানায়, একই সময়ে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ৪,০১২ জন সুস্থ হয়ে উঠায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে মোট ৪,৫৬৭,৪৮৫ জনে দাঁড়ালো। বর্তমানে দেশটিতে ৪৮,২৫২ চিকিৎসাধীন রোগি রয়েছে। এদের মধ্যে ৫৪ জনকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৩২ জনকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় রোববার ১২,৫৮০ জ কে টিকা দেওয়া হয়। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৮৫.৯ শতাংশ কমপক্ষে প্রথম ডোজ, ৮৪ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ, ৪৯.৫ শতাংশ প্রথম বুস্টার ডোজ এবং ০.৯ শতাংশ দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ টিকা নিয়েছেন।

৭২টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ২৬ হাজার ৫০৪ হজযাত্রী

সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ২৬ হাজার ৫০৪ হজযাত্রী। গত ১১ দিনে ৭২টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। আজ সোমবার (২৫ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

বুলেটিন সূত্রে জানা যায়, গত ১১ দিনে ৭২ ফ্লাইটে মোট ২৬ হাজার ৫০৪ হজযাত্রী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩৪টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৩৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের পাঁচটি ফ্লাইট রয়েছে। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ৪ আগস্ট।

গত ৮ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী। এরপর গত ১৪ জুলাই থেকে হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৩ হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬ জন এবং নারী সাতজন। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৯, মদিনায় তিন ও জেদ্দায় একজন মারা যান।

তারা হলেন- ঢাকার বিউটি বেগম, মাদারীপুরের শিবচরের লায়লা আক্তার, রংপুরের পীরগাছার আবদুল জলিল খান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরের মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, রাজধানীর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকার মোছা. ফাতেমা বেগম, নোয়াখালী জেলার নুরুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির, টাঙ্গাইলের মো. আব্দুল গফুর মিয়া, ঢাকা জেলার তপন খন্দকার, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুরের মো. খয়বর হোসেন, নওগাঁর মো. আব্দুল মোত্তালিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিরিনা আক্তার, সিলেটের মো. ফয়জুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা জেলার ফারজিন সুলতানা, ঢাকা জেলার মোরশেদ হাসান সিদ্দিকী এবং সর্বশেষ ময়মনসিংহ জেলার মোছা. মমতাজ বেগম।

ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৪ জন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজঃ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৫৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৪২৫ পিস ইয়াবা, ১৮৫ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন ও ৫ কেজি ১৫২ গ্রাম ১২৫ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার (২৪ জুলাই ২০২২) সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪২টি মামলা রুজু হয়েছে।

আলেম সমাজ চুপ থাকলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সফলভাবে দেশের জঙ্গিবাদ দমন করলেও এ বিষয়ে আলেম সমাজ চুপ থাকলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আজ রোববার (২৪ জুলাই) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত ইসলামের দৃষ্টিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশকে এক সময় সিরিয়া বানানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওয়াজ-মাহফিলে জঙ্গিবাদ নিয়ে কেন কথা বলা হয় না, সে বিষয়ে অনুষ্ঠানে প্রশ্ন রাখেন পুলিশ প্রধান।

ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল : হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে

ক্যালিফোর্নিয়ার ভয়ংকর দাবানল রোববার আরো ছড়িয়ে পড়ায় হাজার হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দাবানলে পুড়ে গেছে আরো বাড়িঘর এবং হাজার হাজার একর এলাকা।

ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্টি এন্ড ফায়ার প্রটেকশন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ইয়েসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের কাছে এ দাবানলের সূত্রপাত ঘটে। আগুন নেভাতে কাজ করছে দুই হাজারেরও বেশি অগ্নিনির্বাপককারী। এদের সহায়তায় রয়েছে ১৭টি হেলিকপ্টার।

দাবানল শুরুর মাত্র দুদিনের মধ্যে পুড়ে গেছে ১৫ হাজার ৬শ’ একর এলাকা। ইতোমধ্যে ১০টি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো কয়েকটি। আরো হাজার হাজার বাড়িঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তীব্র খরা পরিস্থিতির কারনে জ্বালানি আদ্রতার মাত্রা মারাত্মক রূপ নেয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্টি এন্ড ফায়ার প্রটেকশন এর এক কর্মকর্তা জানান, ছয় হাজারেরও বেশি লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর গেভিন নিউসম শনিবার মারিপোসা কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় দ্রত  দাবানল ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড তাপমাত্রা ॥ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়

ক্যালিফোর্নিয়ায় শনিবার হাজার হাজার একর বনে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, একদিন আগে এই দাবানলের সূত্রপাত হয়। ইতোমধ্যেই তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ আমেরিকান তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে।  শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার কাছে ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কে ছড়িয়ে পড়া প্রধান ওকফায়ারের মতো চলমান তাপপ্রবাহ আরো একাধিক অঞ্চলে দাবানলের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের এই দাবানলে ইতোমধ্যে সংরক্ষিত দৈত্যাকার সিকোইয়াস (বিরল সুউচ্চ বৃক্ষ) হুমকির মুখে পড়েছে।

কর্মকর্তরা এই দাবানলকে ‘বিষ্ফোরক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, শুরুতে এটি ৬০০ একরে ছড়িয়ে পড়লেও ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে এখন ১১,৯০০ একরে (৪,৮০০ হেক্টর) বিস্তৃত হয়েছে। মারিপোসা কাউন্ট্রি ঘিরে এই দাবানলে ইতোমধ্যে ১০টি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, ৫ টি ক্ষতিগ্রস্ত এবং আরো হাজার হাজার হুমকির মুখে পড়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার বন বিভাগ ও ফায়ার প্রোটেকশন কর্মকর্তা হেক্টর ভাসকুয়েজ বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অনিয়ন্ত্রিত এ দাবানলের কারণে এলাকা থেকে ৬ হাজারের বেশী লোক সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফায়ার বিভাগ বলেছে, দাবানল পরিস্থিতি এ সময় চরম পর্যায়ে ছিল।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম ব্যক্তি ও সম্পদের চরম ঝুঁকির নিরাপত্তা বিধানে শনিবার মারিপোসা কাউন্টিতে “জরুরি অবস্থা” ঘোষণা করেছেন।

পাঁচ শতাধিক দমকলকর্মী বিমানের সহায়তায় আগুন নেভাতে কাজ করছেন, কর্মকর্তারা বলেছেন আগুন নিয়ন্ত্রনে আসতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোন সংকট নেই : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,  নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে কোন সংকট নেই, সংকট আছে বিএনপিতে এবং  তাদের নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্তে।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের চাওয়া আর আবদারের কোন শেষ নেই, তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, আবার কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং মাঝে মাঝে কখনো জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বলেন। আসলে বিএনপি নেতারা কি চায়, তা তারা নিজেরাও জানে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সংকটের কথা বলেছেন তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনকালে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন, সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়, সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন সুযোগ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে কিভাবে আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয় নি, আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিলো,আছে এবং থাকবে।

 বিএনপির শান্তিপূর্ণ যে কোন কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।

‘আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এমন বক্তব্য শুনলে দেশের জনগণ হাসে। যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না, তারা আবার আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে, এমনটা জনগণ বিশ্বাস করে না।

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ও নির্বাচন কমিশনের ডাকে সংলাপে না গিয়ে বিএনপি এবং তার দোসররা এখন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আসলে সংলাপ নয়, সংলাপের নামে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নিয়ে বিএনপির এ ধরনের ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমী জনগণ কিছুতেই মেনে নিবে না।

দেশবাসীকে নিজস্ব জলাধারে মাছ চাষের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য রফতানি পণ্য বাড়াতে যার যার জলাধার রয়েছে তাকে মাছ চাষের আওতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের মাছের কোন অভাব হবে না এবং নতুন রফতানি আইটেম যুক্ত করতেও সক্ষম হব। যার যার জলাধার আছে, তারা যেন সেই জলাধারকে মাছ চাষের আওতায় আনার ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দেন।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২’ উদযাপন এবং ‘জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে ২৩ জুলাই থেকে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
হাওর অঞ্চলে মৎস্য উৎপাদনের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু হাওর না, বাওর, খাল, বিল, বিভিন্ন জলাধার এত জায়গা আমাদের। আমার তো মনে হয় যার যেখানে এই ধরনের জলাধার আছে তারা যদি এই মৎস্য উৎপাদন করার দিকে একটু নজর দেন শুধু মাছও না মাছের সাথে কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক সব কিছুই চাষ করা যায়।
তিনি বলেন, ‘কাজেই সে গুলো করতে পারলে আমাদের নিজেদের কোন অভাব থাকবে না। রফতানি ক্ষেত্রে আমরা নতুন নতুন পণ্য দিতে পারবো।’

তিনি সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং তরুণ প্রজন্মকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
কোভিড-১৯, এর পরবর্তীতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাঞ্জা-এসবের ফলে বিশ^মন্দার পরিস্থিতি বিবেচনা না করেও যারা ঢালাও সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশকে অচিরেই শ্রীলঙ্কার কাতারে এনে দাঁড় করাতে চান তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নাই নাই, গেল গেল, হায় হায় করে বেড়াচ্ছে সেই হায় হায় পার্টি হায় হায় করতেই থাকুক। মাঝে মাঝে তাদেরও তো একটু বলতে দিতে হবে। আর আমরা আমাদের কাজ করে যাই। দেশ এগিয়ে যাক এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

টেকনাফের ইউএনও’র ভাষা মাস্তানের চেয়েও খারাপ : হাইকোর্ট
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরুর ভাষা মাস্তানের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাংবাদিককে ইউএনও’র অকথ্য ভাষায় গালাগালি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলে জানান সর্বোচ্চ আদালত।
রোববার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্ট বলেছেন- একজন ‘রং হেডেড’ মানুষ শুধু এরকম গালিগালাজ করতে পারে। ইউএনও যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা মাস্তানের ভাষার চেয়েও খারাপ।
হাইকোর্ট বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার আচরণ এমন হতে পারে না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
ইউএনও’র বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষকে আদালত জানাতে বলেছেন বলে উল্লেখ করেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
সম্প্রতি দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করায় কক্সবাজারের এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ইউএনও কায়সার খসরু। এরকম একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।