বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে : ওবায়দুল কাদের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই নির্বাচনে আসতে হবে। আমরাও একটি শক্তিশালী বিরোধীদলকে সংসদে স্বাগত জানাতে চাই। চাইবো বিরোধীদলের স্ট্যান্ড থাকুক।’ওবায়দুল কাদের আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না- জানতে চাইলে আওয়ামী লীড়ের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বলবো তাদেরকে নির্বাচনে আসতে। যদিও এটি বলা উচিৎ না। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার, এটা সুযোগের ব্যাপার না। বিএনপি অধিকার প্রয়োগ না করলে তাদের অস্তিত্ব সংকট হবে- আর সে ধরনের পরিস্থিতি তারা তৈরি করবে না, এটা আমার বিশ্বাস।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- সব দল নির্বাচনে আসুক। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়েই ভোট করতে চাই। নিশ্চয়তা দিচ্ছি নির্বাচন ফেয়ার হবে। ইভিএম-এ ভোট হবে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে। মির্জা ফখরুলের দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই।

‘অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা পুরোনো কথা, নতুন কিছু নয়। নির্বাচিত অনির্বাচিত বলে লাভ নেই। তাদের লোকও সংসদে আছেন। সংসদে বিএনপি সদস্যদের পাঠিয়েছে, তারাও কি অনির্বাচিত? স্পিকার তাদের কথা বলার সুযোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীও চান তারা আসুক। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ফখরুল সাহেব নিজেই গুরুত্বহীন হয়েছেন, তিনি সংসদে থাকলে জোরালোভাবে সংসদে কথা বলতে পারতেন।’

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে নিয়মিত। তিন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্মেলন করেছি। এবারও ডিসেম্বরে কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। বিজয়ের মাসেই আমরা সম্মেলন করতে চাই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন ও সম্মেলনের দিকে নজর রেখে দলের সভাপতি প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকীর আয়োজন করতে বলেছেন। ঘোষণাপত্র আপডেট করে নির্বাচনী ইশতেহারও প্রস্তুতের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলার সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে শেষ করতে হবে।

এবার টিটিেকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার

রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করেছে রেলওয়ে কৃর্তপক্ষ। রোববার (৮ মে) দুপুর ১২টায় ঈম্বরদী রেলওয়ে জংশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম।

এর আগে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বৃহস্পতিবার ট্রেনে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া তিন যাত্রীকে বিনাটিকিটে রেল ভ্রমণের দায়ে জরিমানা করেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। পরে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতেই যাত্রীর সঙ্গে অসদাচরণের’ অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেলওয়ে কৃর্তৃপক্ষে।

ফ্লাইট দেরি-বাতিল হলে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ

ফ্লাইট বাতিল বা দেরি হলে কিংবা বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার পরও যাত্রীদের বিমানে আরোহণ করতে না দিলে তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) দেশটির বিমান সংস্থাগুলোকে এমনই নির্দেশনা দিয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

গত সোমবার এক ইমেইল বার্তায় ডিজিসিএর পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

ইমেইল বার্তায় সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন বিমান সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাত্রীরা কনফার্ম টিকিট নিয়ে আসার পরও তাদের প্লেনে উঠতে দিচ্ছে না। এটি একেবারেই অনুচিত একটি চর্চা এবং এর জন্য বিমান শিল্পের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজের জন্য ভোগান্তির শিকার হওয়া যাত্রীদের ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ বা প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ।

অন্যদিকে, এই নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি। এজন্য আর্থিক জরিমানার কবলে পড়তে পারে বিমান সংস্থাগুলো।

টানা ১৭ দিন করোনায় মৃত্যু শূন্য দেশ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা ১৭ দিন দেশে  কোনো করোনা রোগী মারা যায়নি।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ জনে।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৩ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৯টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৩৯টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ হাজার ৬৫৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা করা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৭ হাজার ২৪৮টি।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

‘সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায়’ই তেলের মুল্যবৃদ্ধি : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঈদের আগে ভোজ্য তেলের সঙ্কট তৈরী করে যে সিন্ডিকেট জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সরকার তাদের শাস্তি প্রদান না করে তেলের মুল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে পুরস্কৃত করল বলে মন্তব্য করে বাংলাদেম ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেম ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জনগন নয় সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায়ই ভোজ্য তেলের মুল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার।

শনিবার (৭ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেছেন।

তারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দোকানে কোনও তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়। ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হতে থাকে। বাজারে এমন সঙ্কটের মাধেই সরকার দেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নিমে আসবে তার দায় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, বাণিজ্যমন্ত্রী-সচিবও এড়াতে পারবেন না।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও লুটেরা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার নিজেই প্রমান করলো দেশের বাজার আজ মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি।

তারা আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এসব সিন্ডিকেট সরকারী দলের নেতারাই তৈরী করেছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে যেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল, সেই সুবিধা তো জনগণ পেলই না, উল্টো আরও মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে হঠাৎ করে তেল উধাও করে দেওয়া হলো। যেখানে লুটেরাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা, তা না করে সরকার মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া অন্যকিছুই নয়।

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ সমাপ্ত

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি-
নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’। শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপপ্তি টানা হয়।
এর আগে ‘কেমন নোয়াখালী চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা তাদের ভাবনা তুলে ধরেন।
উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সমাপনী দিন পুরস্কার বিতরণ করেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান।
বৃহস্পতিবার উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত।
উৎসবে অভিবক্ত নোয়াখালী জেলার অংশ ফেনী এবং লক্ষীপুর জেলা থেকেও নানা শ্রেণি পেশার নানা বয়সী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উৎসস্থল নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলে নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত বই এবং নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পন্যসামগ্রী প্রদর্শণ করা হয়।
নোয়াখালীর আদি নাম ভুলুয়া। ১৭৭৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গোটা বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করে। এর মধ্যে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮২২ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।
বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত।

নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ সমাপ্ত
নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’। শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপপ্তি টানা হয়। এর আগে ‘কেমন নোয়াখালী চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা তাদের ভাবনা তুলে ধরেন।
উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সমাপনী দিন পুরস্কার বিতরণ করেন নোয়াখালী  পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান।
বৃহস্পতিবার উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত।
উৎসবে অভিবক্ত নোয়াখালী জেলার অংশ ফেনী এবং লক্ষীপুর জেলা থেকেও নানা শ্রেণি পেশার নানা বয়সী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উৎসস্থল নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলে নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত বই এবং নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পন্যসামগ্রী প্রদর্শণ করা হয়। নোয়াখালীর আদি নাম ভুলুয়া। ১৭৭৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গোটা বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করে। এর মধ্যে ভুলুয়া নামে  নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮২২ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।
বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর  নোয়াখালী নামে পরিচিত।
সময় ঘনিয়ে আসায় বিপাকে হজযাত্রীরা

এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৯ জুলাই। সেই মতে ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর ঘোষণা দেন বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ বিমান বাংলাদেশ ও বাকি ৫০ শতাংশ পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স। সবকিছুই দ্রুত সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতি এবং সৌদি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক। অথচ হজের সময় রয়েছে মাত্র দুই মাস।
এতে বিপাকে পরেছেন হজযাত্রী এবং হজ এজেন্সি গুলো।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) এর নেতারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ যাত্রার সব কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব নয়। এর আগের বছরগুলোতে হজ কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনার জন্য এজেন্সিগুলো গড়ে ৭-৮ মাস সময় হাতে পেতো।

তারা বলছেন, ১৫ জুনের আগে ফ্লাইট শুরু করা প্রায় অসম্ভব। কারণ এখনও হজ প্যাকেজই ঘোষণা হয়নি। লিড এজেন্সি নির্ধারণ, মোনাজ্জেম, বাড়ি ভাড়া, খাবার ও যানবাহনসহ অনেক কিছুই নির্ধারণ করা হয়নি।

এদিকে, হাব সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দ্রুত হজ প্যাকেজ ঘোষণা ও যথাসময়ে অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করার তাগিদ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে তিনি সময় কমের কারণে হজ ব্যবস্থাপনা যথাসময়ে শেষ করা যাবে না বলে মত দেন।

নাটোরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬

নাটোরঃ জেলার বড়াইগ্রামে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৭ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের পাটোয়ারী ফিলিং স্টেশনের পাশেই ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও জিএম ট্রাভেলসের দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন মারা যান। এছাড়া ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ৯ কিলোমিটার যানজন

ঢাকাঃ ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এর ফলে ৯ কিলোমিটার এলাকার সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মূলত শুক্রবার রাত থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে যানবাহনকে।

শনিবার (০৭ মে) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের সারি প্রায় ৯ কিলোমিটারের বেশি। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে বেশি।

অপরদিকে ঘাট এলাকায় যানজট এড়াতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও ৩ কিলোমিটার অংশজুড়ে পচনশীল পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকের সারি রয়েছে।

সময় বাড়বে ততই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় সিরিয়ালে আটকে থেকে খাবার, বাথরুমসহ নানা সমসায় পড়ছেন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা।

ঝিনাইদহ থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের বাসের যাত্রী ইমরান জানান, রোববার থেকে তার অফিস। তাই পরিবার নিয়ে গতকাল রাতেই চুয়াডাঙ্গা থেকে দিগন্ত পরিবহনের বাসে উঠেন। রাতে এসে তিনি ঘাটে আটকে গেছেন। সকাল হলেও তিনি ঘাট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।

গ্রিন লাইন পরিবহনের চালক রিপন বলেন, রাত দেড়টা থেকে ঘাটে এসে আটকা আছি।

ট্রাকচালক নান্নু বলেন, বরগুনা থে‌কে তরমুজ নি‌য়ে ঢাকায় যা‌চ্ছেন। রাত ১টা থে‌কে দৌলত‌দিয়া প্রা‌ন্তে সি‌রিয়া‌লে আটকা প‌ড়ে‌ছেন। তরমু‌জের অবস্থাতো খারাপ। তরমুজ দি‌য়ে পা‌নি পড়ছে।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো.শিহাব উদ্দিন জানান, আজ ছুটির শেষ দিন হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনে চাপ বেড়েছে। বর্তমানে এই রুটে ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আশা করছি বিকেলের মধ্যে এই জট কেটে যাবে।