সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

চট্টগ্রামঃ সময় যতো গড়াচ্ছে বিএম সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে লাশের সারি যেন দীর্ঘ হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোববার (৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন।

এখনও নিহত সবার পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার শতাধিক। দগ্ধদের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন।

সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানতে পেরেছি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ কর্মী রয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত করে কারণ বের হরা হবে।

এদিকে চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত বলেন, ‘১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ অবস্থায় চার শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।’

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে আগুনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। এরই মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমরা নিরাপদে অবস্থান করছি। পানির ব্যবস্থা করে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কিছু বুঝে ওঠার আগে বিস্ফোরণে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ কনটেইনার ডিপো। মূলত এখান থেকে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়। ডিপোটিতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার মজুত ছিল। এসব কনটেইনারে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে। এখানে কর্তরত বেশিরভাগ লোকই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা।

করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৩১

ঢাকাঃ করোনায় আরও একটি মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় কেউ মারা যায়নি আর শনাক্ত হয়েছেন ৩১ জন।  এখন পর্যন্ত মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১ জন এবং শনাক্ত ১৯ লাখ ৫৩ হাজার  ৬২৩ জন।

শনিবার  (৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এদিন সুস্থ হয়েছেন ১৭১ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ ১৯ লাখ ৩ হাজার ৭৫১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৩টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ১২৪টি। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়,  গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়।

জীবন যুদ্ধে হার না মানা কানিজ ফাতেমাকে মেজর পদে পদোন্নতি
জীবন যুদ্ধে হার না মানা ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমাকে মেজর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে শনিবার (৪ জুন) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সকল ফরমেশন কমান্ডারদের উপস্থিতিতে তাকে মেজর পদবীতে উন্নীত করেন।
কানিজ ফাতেমা দেশ সেবার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ২০১১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ মেজর কানিজের প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে তার পক্ষে সেনাবাহিনীর কঠোর ও সুশৃঙ্খল স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভবপর ছিল না।
কিন্তু এই অকুতোভয় নারী, ভাগ্যের কাছে হার না মেনে দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন। সেনাবাহিনী কানিজ ফাতেমার এই অদম্য উদ্দীপনাকে সম্মান জানিয়ে সব বাধা উপেক্ষা করে ৬৯ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সঙ্গে ২০১৩ সালে বিশেষ বিবেচনায় কমিশন প্রদান করে। পরবর্তীতে কানিজ ফাতেমা হুইল চেয়ারের সাহায্যে চলাফেরা করলেও নিজের অদম্য মানসিক শক্তি এবং সহকর্মীদের সহায়তায় দৈনন্দিন কার্যক্রম স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে পালন করে আসছেন।
তার ইচ্ছাশক্তির কাছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা হার মেনেছে পদে পদে। দেশ ও জনগণের আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনী কর্তৃক একজন অকুতোভয় নারীর প্রতি এ বিরল সম্মাননা দেশের প্রতিটি নারীর অগ্রযাত্রায় সর্বদা অনুকরণীয় এবং ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে নিয়মিত বাহিনীতে সর্বপ্রথম নারী অফিসার নিয়োগ প্রদান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সাল থেকে নারী সৈনিকের সংযোজন, নারী অফিসারদের ইউনিট কমান্ড প্রদান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী অফিসারদের নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশে নারী উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে। সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে এই বিশেষ আয়োজন জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
 Ⓒ Bangladesh Military Affairs
ফোবানা ঘিরে কূচক্রিমহলের অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হবার আহবান
নোমান ইবনে সাবিত-বিপি, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণের মিলন মেলা ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা)-কে কেন্দ্র করে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ফোবানা বিরোধী একটি কূচক্রিমহল। মহলটি বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিকে জড়িয়ে ফোবানার নতুন আহবায়ক দেখিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কমিটির সুনাম ক্ষুন্নসহ বিভাজন সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
ফোবানা চেয়ারম্যান রেহান রেজা ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরী স্বাক্ষরিত উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলে হয়, গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ফোবানা এবং ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটি বিরোধী কিছু ব্যক্তি দ্বারা ফোবানার নতুন এড হক কমিটি সংক্রান্ত এক ভুয়া সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যা কোনোক্রমেই সত্য নয় এবং অসাংবিধানিকভাবে ফোবানার নিয়মনীতির প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে এই অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে ফোবানার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এবং ফোবানায় বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য।
গত ২৯ শে মে রবিবার ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় যেসব ব্যক্তিদের তাদের অগ্রহণযোগ্য আচরণের জন্য সভা থেকে বহিস্কৃত করা হয়েছে, তা ফোবানার নিয়মনীতি মেনেই করা হয়েছে তাদের অসদাচরণের জন্য। তাই প্রতিশোধ গ্রহণ করার ঘৃণ্য স্পৃহায় সেইসব ব্যক্তিবর্গ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ফোবানার সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা অসাংবিধানিভাবে ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করার মতো বিষয় উপস্থাপন করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে তারাও এক সময় ফোবানার মূল নেতৃত্বে ছিলেন। ভাবতে অবাক লাগে, তাদের আহুত চক্রান্তমূলক সভায় অংশগ্রহণকারী যে সব সংগঠনের কথা বা যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া এবং অসত্য। আমরা দ্বিধাহীনভাবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাতে চাচ্ছি-ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটি এখনো ফোবানার সংবিধান অনুযায়ী বহাল রয়েছে এবং ফোবানার সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য ফোবানার বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি অটল ভূমিকা পালন করে যাবে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ২-৪ তারিখে ৩৬তম ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে। স্বাগতিক সংগঠন হিসেবে কাজ করছেন ‘বাংলাদেশঅ্যাসোশিয়েশন্স অব শিকাগোল্যান্ড’। সাম্পতি গণমাধ্যমে ফোবানা বিরোধী উক্ত কূচক্রিমহলের ভুয়া তথ্য ও সংবাদে বিভ্রান্ত না হবার জন্য আহবান জানান ফোবানা কর্তৃপক্ষ।
আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দুর্বিষহ করবে জনজীবন : বাংলাদেশ ন্যাপ  

দেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এবং বিপিডিবি কমিশন নির্ধারিত ছকে গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারে রবিবার অথবা সোমবার সংবাদের গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছেন যে, গত দশ বছরে কয়েক দফায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ছে। আবাসিক গ্যাসের মূল্য আবারো বৃদ্ধির বিষয়টি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এর ফলে মানুষের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

শনিবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জনজীবন যখন দুর্বিসহ তখন আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি একেবারেই যৌক্তিক নয়। দেশের ভেতরে যে গ্যাস রয়েছে সেটা সরকার উত্তোলণ করে না। বরং বিদেশ থেকে আমদানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যা একটা আসাধু চক্রকে ব্যবসা পাইয়ে দিতে, বিশেষ সুবিধা দিতেই এটা করা হচ্ছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়ন হলে জনজীবন, সমাজ ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, সিস্টেম লস ও দুর্নীতি দূর করার কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া জনবিরোধী এবং সরকারকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসা উচিত। ‘ক্যাবের’ মতে এক শতাংশ মূল্যবৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং গ্যাসের মুল্য কমানোর সুযোগ রয়েছে।

তারা বলেন, অনিয়ম, অপচয় ও ব্যস্থাপনা ত্রুটি দূর করে গ্যাসের মুল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা উচিত। এটাই এ মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হলে শহরের বাইরের মানুষ জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারে দিকে আবার ঝুঁকে পড়বে। এতে কাঠের ব্যবহার বাড়বে। বৃক্ষ ও বনভূমি উজাড় হবে। বিনষ্ট হবে দেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের কৃষি, অর্থনীতি, অবকাঠামো এবং মানুষের জীবন-জীবিকা।

সিরিয়ার নতুন সংবিধান বিষয়ে আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি

সিরিয়ার নতুন সংবিধান প্রনয়ণ বিষয়ে অষ্টম দফার আলোচনা শুক্রবার শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দী বিরোধী দলগুলোর সাথে আলোচনায় একেবারে যতসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতাকারী একথা জানান। খবর এএফপি’র।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সিরিয়ার সাংবিধানিক কমিটি গঠন এবং এর এক মাস পর প্রথম বৈঠক আয়োজন করা হয়।

এ ব্যাপারে সম্ভাব্য আলোচনার লক্ষ্য যুদ্ধপ্রবণ এদেশের সংবিধান পুনর্লিখন । এক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে এই আলোচনা বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
জাতিসংঘ দূত গির পেডারসানের মধ্যস্থতায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার, বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের ১৫ প্রতিনিধির মধ্যে এই আলোচনা হয়।

তবে নরওয়ের ওই কূটনীতিক বলেন, সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিনিধি দলের নেতাদের সভাপতিত্বে চলতি সপ্তাহের অষ্টম দফার আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ ও শক্তিশালী করা, সংবিধানের শক্তি প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক চুক্তি কার্যকর করা ও অন্তবর্তীকালীন শাসন ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক মূলনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এক দিন প্রতিনিধি দলের উপস্থাপন করা প্রত্যেকের মূলনীতি নিয়ে সাংবিধানিক খসড়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সপ্তাহের আলোচনার পর পঞ্চম দিন শুক্রবার প্রতিনিধিরা খসড়া সংবিধানের সংশোধনী জমা দেন।

সভাপতিরা আগামী ২৫ থেকে ২৯ জুলাই জেনেভায় নবম দফার আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।

সিরিয়ার শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবি জানানো বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমনপীড়নের পর ২০১১ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

যানজটে আটকে মোটরসাইকেলে সমাবেশে এলেন তথ্যমন্ত্রী

যানজটে পড়ে নিজের গাড়ি ছেড়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ  আজ মোটরসাইকেলযোগে চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। বন্দর থানার ওসি’র (তদন্ত) মোটরসাইকেলের পিছনে বসে ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করে এ সমাবেশে যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
মন্ত্রী বিমানযোগে বিকেল সোয়া ৫ টায় চট্টগ্রাম পৌঁছান। এরপর মন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত গাড়িতে চড়ে জামালখানস্থ প্রেস ক্লাবের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে ইপিজেড এলাকায় পৌঁছে বন্দরকেন্দ্রিক যানজটে আটকা পড়ে মন্ত্রীকে বহনকারী ও পুলিশ প্রটোকলের গাড়ি। মাগরিবের সময় ঘনিয়ে আসায় সমাবেশে যোগ দেয়ার তাগিদে মন্ত্রী নিজের গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এ সময় তিনি বন্দর থানার ওসি’র (তদন্ত) মোটরসাইকেলে চড়ে সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি সমাবেশস্থলে পৌঁছালে সমাবেশে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক নারী ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। এ সময় তাঁকে ঘিরে নেতৃবৃন্দের মুহূর্মুহূ স্লোগানে সমাবেশে নতুন করে উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। দীর্ঘ পথ মোটসাইকেলে পাড়ি দিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও উপস্থিত সুধীজন মন্ত্রীর আন্তরিকতায় মুগ্ধ হন।

আর্জেনটিনারের খেলা দেখা শেষে খাবারের খোঁজে দুই বন্ধুর মৃত্যু!

দিনাজপুর প্রতিনিধি: পছন্দের প্রিয় ফুটবল টিম আর্জেনটিনা। রাতে খেলা চলছিল। তাজিন, সবুজ ও পলাশ তিনবন্ধু খেলাটি উপভোগ করছিল বেশ আনন্দে। রাত ১ টা ৩০ বাজে। খেলা তখন প্রায় শেষ। রাত ভারি হচ্ছে তার ওপরে পেটে খিদেও বাড়ছে। তিনবন্ধু মোটরসাইকেলে চেপে বের হয় হাঁসের মাংসের খোঁজে। গভীর রাতে দোকানপাটও সব বন্ধ। এদিক ওদিক খোঁজ করতে করতে মৃত্যুর মুখে পড়ে যায় তারা। খাবার না খেয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় দুই বন্ধুকে। অপর একবন্ধুর ঠাঁই হয় হাসপাতালে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌঁনে দুইটায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা ব্রিজ সংলগ্ন মন্ত্রী মার্কেটের সামনে এমনি এক হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রাকের চাপায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী নাহিদ হাসান সবুজ (২৪) ও তাজিন আহম্মেদ (১৯) নামের দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এতে গুরুত্বর আহত হয়েছেন মো. পলাশ (২০) নামের অপর এক বন্ধু।

নিহতরা হলেন, নাহিদ হাসান সবুজ উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের ওয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি এবছর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। তাজিন আহম্মেদ একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বুলবুল আহম্মেদের ছেলে। তিনি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত মো. পলাশ উত্তর সুজাপুর গ্রামের ওহেদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আর্জেনটিনার চলছিল। নাহিদ হাসান সবুজের সুজাপুরস্থ বাড়িতে খেলা দেখতে আসেন তার বন্ধু তাজিন আহম্মেদ ও মো. পলাশ। খেলা শেষে তারা খাবার খেতে পালসার মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-ল ৪৪-৬৬-৭৯) নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। প্রথমে নিমতলামোড়সহ ঢাকামোড়ের কিছু দোকানে খাবারের সাথে হাঁসের মাংসের খোঁজ চালায় তারা। কোনো খাবারের দোকানেই হাঁসের মাংস না পেয়ে তারা ঢাকামোড় থেকে দিনাজপুরের লক্ষ্মীতলার উদ্দ্যেশে রওনা দেন। যাবার পথে ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা ব্রিজ সংলগ্ন মন্ত্রী মার্কেটের সামনে ঢাকাগামী জান্নাত-জোনায়েত নামের পণ্যবাহী ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৬-৫২৫৬) সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে নাহিদ হাসান সবুজ ও তাজিন আহম্মেদের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরুত্বর আহত পলাশকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় হলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকসহ ট্রাকের চালক জানে আলম (৫১) ও হেলপার সবুজকে (৩২) আটক করা হয়। তাদের বাড়ী ঢাকার সাভারে। চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই হবে মেট্রো ওয়াশিংটন আ. লীগের নতুন কমিটি

নিউ ইয়র্ক : কথিত কাউন্সিল বা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে নয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি সংবিধান মোতাবেক গঠন করা হবে। অসাংবিধানিকভাবে কেউ কাউন্সিলের নামে দলের ভাঙ্গনের চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করবেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। স্থানীয় সময় বুধবার (১ জুন) ভার্জিনিয়ার নিরালা রেস্তোঁরায় অনুষ্ঠিত মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এ ঘোষনা দেন আওয়ামীলীগ নেতারা। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের বর্তমান সভাপতি সাদেক এম খান এবং সভা পরিচালনা করেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন| সভায় বক্তরা বলেন, ঐক্যবদ্ধ মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগকে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে কাউন্সিলের অজুজাত দেখিয়ে দলকে যেভাবে বিভক্তের পথে নেবার চেষ্টা করছেন তা থেকে বিরত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে আহবান জানিয়েছেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের নেতারা।

বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগকে সরাসরি দেখাশোনা করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। একমাত্র তাঁর নির্দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি সংবিধান মোতাবেক গঠন করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শিব্বীর আহমেদ, সহ-সভাপতি জুয়েল বড়ুয়া, নুরুল আমিন নুরু, আনোয়ার হোসাইন, মজিবুর রহমান, আকতার হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির পাটোয়ারী, দপ্তর সম্পাদক নারায়ন দেবনাথ, ক্রীড়া সম্পাদক আবুল আযাদ, সদস্য শেরিনা চৌধুরী, দেব শর্মা, হাসনাত সানি, আবু সরকার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আবুল শিকদার ও সহ-সভাপতি সিরাজুল হক। এছাড়াও ফোনে সংযুক্ত ছিলেন সহ-সভাপতি জি আই রাসেল, জীবক বড়ুয়া ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল গফুর প্রমুখ।

মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, শুধু মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগ নয় আমরা বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যেই কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়টি ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেনওয়াশিংটন মেট্রো আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে বেশির ভাগ সময় বাংলাদেশেই থেকেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন কোনো জাতীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন না বা আয়োজন করেন না। সম্প্রতি আ.লীগের দুই শক্তিশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে অবস্থান করেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতারা হাজিরা দিলেও তিনি সেখানে আসেননি এবং ছিলেন না। ফেসবুকে কাউন্সিল বিরোধী এ ধরনের চিঠি পোস্ট করার এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগকে দোষারোপ করার অধিকার তার আছে। ওয়াশিংটন মেট্রো আওয়ামী লীগ অন্য কারো দ্বারা নয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং অনুমোদিত। এখানে বিতর্কের কিছু নেই। দলের জন্য উপযুক্ত যে কোন সময় একটি কাউন্সিল আহ্বান করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ রয়েছে।

বাজেটে কৃষিখাতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের

আসন্ন বাজেটে কৃষিখাতে বিশেষ বরাদ্দসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্ত আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ক মো. মহসীন ভুইয়া এ দাবি জানান।

তারা বলেন, সরকার প্রতিবছর বলে বাজেটে বেসরকারি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কৃষিখাত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি খাত। অথচ প্রতিবছর বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়। এ খাতের টাকা নিয়ে অন্য খাতে ব্যয় করা হয়। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের অর্ধেকের বেশি মধ্যস্বত্বভোগীর পকেটে চলে যাচ্ছে। কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে কৃষিখাতে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ, বিদ্যুৎসহ সব কৃষি উপকরণের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সার, বীজ, কীটনাশকে ভেজাল দিয়ে মুনাফা লুটছে। কৃষক লাভ তো দূরের কথা, ফসলের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছে না। ফলে জমি হারিয়ে ভূমিহীন ও মাঝারি কৃষক গরিব কৃষকে পরিণত হচ্ছে। খরা, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে কৃষককে রক্ষা করতে হবে।

বিবৃতিতে তারা (১) সার, বীজ, কীটনাশক, বিদ্যুৎ, সেচসহ কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে। (২) উৎপাদন খরচের সঙ্গে ৫০ শতাংশ যুক্ত করে কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করতে হবে। (৩) ধান, ভুট্টা, আলুসহ সকল কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, সরকারি উদ্যোগে ক্রয় কেন্দ্র খোলা, ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম, জেলায় হিমাগার নির্মাণ করতে হবে। (৪) সহজ শর্তে সুদমুক্ত কৃষিঋণ প্রদান ও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণে সুদ মওকুফ করতে হবে একই সাথে কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফ, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, বিনাসুদে সহজ শর্তে ঋণ দান, এনজিও মহাজনি ঋণের অমানবিক শোষণ জুলুম আইন করে নিষিদ্ধ, কিস্তির হয়রানি বন্ধ করতে হবে। (৫) ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, কর্মসৃজন প্রকল্পসহ সামাজিক নিরাপত্তার গ্রামীণ প্রকল্পে ঘুষ, দুর্নীতি, দলীয়করণ বন্ধ করে প্রকল্প বরাদ্দ ও উপকারভোগীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। (৬) বন্ধ পাটকল, চিনিকল চালু করা এবং কৃষিভিত্তিক নতুন শিল্প-কারখানা নির্মাণ করতে হবে। (৭) সব শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এই ৭ দফা দাবী উত্থাপন করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। পাশাপাশি খাদ্যশস্য, সবজি সংরক্ষণ উপযোগী হিমাগার ও খাদ্য গুদাম নির্মাণের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রেখে কৃষকের প্রত্যাশা সরকার পূরণ করবে, এটাই সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা।