পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ডর্ প…..

বাংলাদেশ রেলওয়ে বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) প্রথম পর্যায়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশের পুনর্বাসন কার্যক্রমে ঝুকিপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়নে ১৮টি ট্রেডে ৫৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

প্রশিক্ষণ নেই, দক্ষ হই, আয় বাড়াই শ্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) এর সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ডর্ প প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছে।

গত ৭জুন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিবিআরএলপি প্রকল্প পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ। ল্যান্ড একুইজিশন ইনর্চাজ, কর্ণেল মোহাম্মদ শফিউল আজম।

ডর্ প এর চেয়ারম্যান মোঃ আজহার আলী তালুকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পিবিআরএলপির প্রধান পুনর্বাসন কর্মকর্তা, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, রেলওয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মহব্বতজান চৌধুরী, ডর্ প এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান

গরু-ছাগল পালন, ওয়েল্ডিং মেশিন, ইলেট্রিক/ইলেক্ট্রনিক্স, মোবাইল সার্ভিসিং এন্ড রিপেয়ারিং, সোলার প্যানেল স্থাপন ও মেরামত, বেসিক কম্পিউটার, কৃষি যন্ত্রপাতি মেরামত, সেলাই (দর্জি বিজ্ঞান), নার্সারী ও গাছের কলম তৈরি, হাঁস-মুরগি পালন, শাক-সবজী চাষ, মাশরুম চাষ ও মার্কেটিং, বিউটি পার্লার, মোটরসাইকেল মেরামত, গাড়ি মেরামত, ড্রাইভিংসহ মোট ১৮ ট্রেডে ১৮ দিন করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এই ট্রেড গুলোর প্রশিক্ষকদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিবিআরএলপি ফেইজ-১ এর টিমলিডার কৃষিবিদ ডাঃ মিঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বিশ্বকাপের ট্রফি এলো ঢাকায়

ঢাকাঃ অবশেষে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি। আজ (বুধবার) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে পাকিস্তান থেকে ফিফার চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ঢাকায় এসেছে বিশ্ব ফুটবলের মহামূল্যবান ট্রফিটি।

বাণিজ্যিক ফ্লাইটের বদলে কোকাকোলার চার্টার্ড বিমানে নিয়ে আসা হয়েছে সোনায় মোড়ানো ট্রফিটি। এবারের বাংলাদেশ সফরে ৩৬ ঘণ্টা থাকবে বিশ্বকাপ ট্রফি।

বিমানে ট্রফির সঙ্গে এসেছেন ফিফার সাত কর্মকর্তা। তাদের একজন ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু। আরও আছেন ফিফার অফিসিয়াল পার্টনার কোকাকোলার কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কোকাকোলার কর্মকর্তারা ট্রফিটি গ্রহণ করেন।

আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ও সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নেওয়ার কথা রয়েছে এই ট্রফি।

এই ট্রফি ঘিরে বুধবার রাতে আয়োজন করা হয়েছে একটি বিশেষ নৈশভোজের। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। পরদিন সকালে হোটেল র‌্যাডিসনে একটি বিশেষ সেশন থাকবে ফুটবল অঙ্গনের জন্য। সেই সেশনের পর বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টে উন্মুক্ত করা হবে ট্রফি।

গতকাল পাকিস্তান ছিল ট্রফি। মূলত ৫১টি দেশে যাবে এ ট্রফি।  ঢাকা থেকে ট্রফিটির পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুর।

বাংলাদেশ কখনো বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলবে এটা অনেকটা স্বপ্ন। আর বিশ্বকাপ ট্রফি জয় তো আর বড় স্বপ্ন। তাই বিশ্বকাপের ট্রফির এমন সফরই বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি ও সান্ত্বনা। এর আগে ২০১৩ সালে ট্রফি এসেছিল ঢাকায়।

ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতি কি মুসলিম বিশ্বে ভারতের স্বার্থ ঝুঁকিতে ফেলছে?

 

ইসলামের নবীকে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন নেতা এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত এক মন্তব্য নিয়ে সেদেশের মুসলমান এবং বিরোধীরা গত কয়েকদিন ধরে হৈচৈ করলেও সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কান দেয়নি।

কিন্তু দু’দিন আগে কাতার সরকার দোহাতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্রের বক্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার নড়েচড়ে বসে।

এরপর কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব থেকে শুরু করে এক ডজনেরও বেশি মুসলিম দেশ একে একে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কারো কারো বিবৃতির ভাষা বেশ কড়া। আরব বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে কুয়েতে দোকানপাটে ভারতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।

সুন্নী ইসলামের অত্যন্ত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান মিশরের আল আজহার আল-শরীফ তাদের এক বিবৃতিতে নবীকে নিয়ে বিজেপি নেতার বক্তব্যকে “সন্ত্রাসী আচরণের” সঙ্গে তুলনা করে বলেছে যে এমন আচরণ “পুরো বিশ্বে ভয়াবহ সংকট তৈরির উস্কানি”।

আল আজহারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিছু কট্টর লোকজনের ভোটের জন্য ইসলামের এমন অবমাননা উগ্রবাদের সমার্থক। এর ফলে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণা এবং অবিশ্বাস জন্ম নেবে।”

ভারত নিয়ে এসব শক্ত বিবৃতি আরব বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও মূলধারার প্রায় সব মিডিয়াতে প্রকাশ পাচ্ছে।

সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ড রাষ্ট্রের অবহেলার বহিঃপ্রকাশ : মোস্তফা ভুইয়া  

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯জন ফায়ার ব্রিগেড সৈনিক ও ৪৫ জনের বেশি প্রাণহানি এবং দেড় শতাধিক শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, খিচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণ আনতে সরকারী কর্মকর্তারা কোটি টাকা ব্যায় করে বিদেশে যায়। ফায়ার ফাইটারদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়না কেন ? কোটি টাকার বালিশ কেনা হয়, কিন্তু পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট কেনা হয়না কেন ?

তিনি বলেন, সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডে ও হতাহতের ঘটনা রাষ্ট্রের অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রের অবহেলার কারণেই এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা প্রায়শই প্রত্যক্ষ করতে হয়, কিন্তু এর কোনো প্রতিকার হয় না। সাধারন নাগরিকের জীবন সুরক্ষায় বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। উন্নয়নের তকমায় নাগরিকের জীবনকেই কেবল বলি দেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির চরম দুর্ভাগ্য।

বুধবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত “সীতাকুন্ডের বিস্ফোরনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, নিহতদের পরিবার ও আহত-ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরনের দাবীতে” শোক ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবী জানান।

তিনি বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকছে। অপরদিকে স্বার্থান্বেষী মহল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কেমিক্যাল মজুদ রেখে শ্রমিক, কর্মচারী ও সাধারণ জনগণের জীবন-মৃত্যু নিয়ে খেলায় মেতেছে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী মালিকপক্ষ এবং কর্তব্যে অবহেলায় দায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসাথে এ জাতীয় দুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও যুগোপযোগী করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সীতাকুন্ডে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক কর্মচারীদের বিনামূল্যে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে।

তিনি বলেন, নিমতলী ট্রাজেডির একযুগ পেরিয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিস আধুনিক সরঞ্জামাদিতে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় তা কন্টেইনার ডিপোর অগ্নি দুর্ঘটনা আবারো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। দ্রæততম সময়ে অগ্নি নির্বাপণে অক্ষম জাতিকে সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখানো আর ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা একই কথা।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান, জাতীয় জনতা ফেরাম সভাপতি মুহম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জাতীয় নারী আন্দোলনের সহ-সভাপতি জীবন নাহার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা বেগম, প্রচার সম্পাদক মাহিনূর মাহি প্রমুখ।

বিএম ডিপো’র আরও একজনের মৃত্যু

সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বাসস’কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সীতাকু-ের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনে দগ্ধ মাসুদ রানা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।

মাসুদ রানা (৩৪) বিএম কনটেইনার ডিপোর অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জামালপুর জেলার খলিলুর রহমানের পুত্র।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনে যোগদানের অপেক্ষায় লাখ লাখ মানুষ

আগামী ২৫ জুন রেল ও সড়ক যোগাযোগসহ দ্বি-স্তর বিশিষ্ট বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের স্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক দিন উদযাপনের জন্য লাখ লাখ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাজিরার বাসিন্দা মো. সুলতান হোসেন আজ বাসস’কে বলেন, “মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর এলাকার নারী, পুরুষ, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে যাবেন।”
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে সব সময় কাজ করে যাওয়া সাহসী ও দূরদর্শী নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন দেশের দীর্ঘতম সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সুলতান আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন।

তরুণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মো. মনিরুজ্জামান বাসসে’র সাথে আলাপকালে বলেন, সেতুটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার প্রায় ছয় কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে, কারণ এটি এসব জেলাকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অবশিষ্ট অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজস্ব অর্থায়নে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বি-স্তর বিশিষ্ট পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এই সেতুর উপরের স্তরে যানবাহন চলাচল ও নিচের স্তরে ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে।”
মনিরুজ্জামান বলেন, স্বপ্নের এই সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে দেবে, পাশাপাশি এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশকে সংযুক্ত করবে এবং যোগাযোগ, বাণিজ্য, শিল্প, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, “আমরা যখন সড়কপথে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসি, তখন প্রমত্তা পদ্মা নদী ফেরিতে করে পার হতে এক অসহনীয় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহৎ কাজের কারণে আমরা অন্তত ১৯টি জেলার মানুষ কোনো রকম বিপদ ও ঝামেলা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারবো।”
মনিরুজ্জামান বলেন, লাখ লাখ মানুষ আগামী ২৫ জুনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কারণ এটি স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য উদ্বোধনের বহুল প্রত্যাশিত একটি দিন।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বাসসে’র সাথে আলাপকালে বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য সব কাজ ঠিকঠাক মতো চলছে।

সকল কাজ শতভাগ শেষ করতে নির্মাণ কর্মী ও বিশেষজ্ঞরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে আমরা বৈদ্যুতিক লাইন, বৈদ্যুতিক বাল্ব ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ পরীক্ষা করে দেখছি ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকার আশাবাদী যে, পদ্মা সেতু দেশের জিডিপি’তে ১.৫ থেকে ২ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে দেবে। পাশাপাশি এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশকে সংযুক্ত করবে এবং যোগাযোগ, বাণিজ্য, শিল্প, পর্যটন এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে অবদান রাখবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনা ঠিকাদার কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি নির্মাণ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বিমানবন্দরে ‘ই-গেট’ চালু করলো বাংলাদেশ, ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন পার…

ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) চালু হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তাতে একজন যাত্রী নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন ১৮ সেকেন্ডে।

জানা গেছে, বিমানবন্দরের ডিপার্চার (বহির্গমন) এলাকায় মোট ১২টি এবং অ্যারাইভাল (আগমনী) এলাকায় ৩টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। রোব ও সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে এ গেট ব্যবহার করা হয়েছিল। মূলত, ই-পাসপোর্টধারী যাত্রী ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট অতিক্রম করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৭ জুন) এ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত হোসাইন। তাদের সামনে ই-গেটের মাধ্যমে কয়েকজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

বিমানবন্দরে ই-গেট চালুর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। এর আগে ২০১৯ সালে শাহজালাল বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে তা চালু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ই-গেট চালুর তাগিদ দেন। এরপর তা চালু করতে কাজ শুরু করে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ।

Bangladesh Military Affairs 

আগুন নেভাতে দেশে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক LUF-60 রোবটের ব্যবহার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রোবট ব্যবহার করছে ফায়ার সার্ভিস।

ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল ‘হ্যাজমট’ সোমবার (৬ জুন) সকালে পরীক্ষমূলকভাবে যন্ত্রটির ব্যবহার করে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, প্রথমবারের মতো গত সোমবার সীতাকুণ্ডের আগুন নেভাতে একটি অটোমেটিক হাইটেক রোবট ব্যবহার করা হয়েছে । এছাড়া ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ড্রোনও রয়েছে। আমাদের কাছে থাকা অটোমেটিক মেশিন ৩০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পানি ছিটাতে সক্ষম।

২০১৭ সালে প্রথমবার এই রোবট ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছিল সংস্থাটি। ২০১৯ সালে ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। করোনা মহামরির কারণে ক্রয় প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। বর্তমানে দেশে দুটি এলইউএফ-৬০ (LUF 60) রোবট রয়েছে।

রোবটটি প্রায় ছয় মাস আগে ফায়ার সার্ভিসে যুক্ত করা হয়েছে। এলইউএফ-৬০ মডেলের রোবটটি ধোঁয়া, তাপ এবং বিষাক্ত গ্যাস পরিষ্কার করে আগুনের তীব্রতা কমাতে পারে। প্রায় ৩০০ মিটার দূরে পর্যন্ত স্প্রে করতে পারে। যন্ত্রটি প্রতি মিনিটে ২,৪০০ লিটার পানি নিক্ষেপ করতে সক্ষম।

অস্ট্রিয়ার তৈরি এধরনের ২টি রোবট বহরে যুক্ত করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এধরণের আরও অত্যাধুনিক রোবট যুক্ত করা খুবই জরুরি।