নেত্রকোণায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১১

জেলার সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের চল্লিশা বাজার সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের সামনের সড়কে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় যাত্রীবাহী বাস ও ধান বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের চালক ও সহকারী মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হচ্ছে, বাসের চালক ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকার সবুজ মিয়া এবং সহকারী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সোহেল মিয়া।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শাহ্ পরান নামক একটি যাত্রীবাহী বাস সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা দিকে যাওয়ার পথে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় নেত্রকোণার চল্লিশা বাজারের সন্নিকটে গ্রামীন ব্যাংকের সামনে পৌছলে বারহাট্টা থেকে ধান বোঝাই একটি ট্রাক ঢাকায় যাওয়ার পথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই বাস চালক সবুজ মিয়ার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত সহকারী সোহেল মিয়াকে ময়মনসিংহ নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহত ১১ জনকে নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সড়কের দু পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ময়মনসিংহ থেকে পুলিশের একটি ক্রেন এসে দুঘটনায় কবলিত বাস ও ট্রাককে রাস্তার মাঝ খান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নেত্রকোণা মডেল থানার এস.আই জাহিদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

প্রথম টেস্টের একাদশ থেকে দু’টি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া স্পিনার নাঈম হাসান ও পেসার শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও এবাদত হোসেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক।

একাদশে দু’টি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলংকাও। লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ও বিশ্ব ফার্নান্দোর পরিবর্তে ঢাকা টেস্টের একাদশে প্রাভীন জয়াবিক্রমা ও কাসুন রাজিথা।
এখন পর্যন্ত শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৩টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জয় ১টি। ১৭টি হার ও ৫টিতে ড্র করেছে টাইগাররা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছিলো।
বাংলাদেশ একাদশ : মোমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ।

শ্রীলংকা একাদশ : দিমুথ করুনারতেœ (অধিনায়ক), ওশাদা ফার্নান্দো, কুশাল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দিনেশ চন্ডিমাল, নিরোশান ডিকবেলা, রমেশ মেন্ডিস, আসিথা ফার্নান্দো, প্রাভীন জয়াবিক্রমা ও কাসুন রাজিথা।

‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে দেশের সব বন্দরে সতর্কতা

মাঙ্কিপক্স’  প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি বন্দরে (স্থল, নৌ এবং বিমান) বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বের ১২ টি দেশে ভাইরাসজনিত বিরল রোগ মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশ এই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও স্থল বন্দর সমূহে আক্রন্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং হেলথ স্কিনিং জোরদার করতে হবে।’

চিঠিতে আর বলা হয়, যে সব রোগীদের মধ্যে ফুসকুড়ি দেখা যায় এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে এমন দেশগুলিতে ভ্রমন করেছেন অথবা এমন কোন ব্যক্তি বা লোকের সাথে যোগাযোগ করেছেন যাদের একই রকম ফুসকুড়ি দেখা গেছে বা নিশ্চিত বা সন্দেহ জনক মাঙ্গিপক্স রোগী হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন এমন রোগীদেরকে মাঙ্কিপক্সের জন্য সন্দেহ জনক রোগীর তালিকায় আন্তভুক্ত করতে হবে। সন্দেহজনক ও লক্ষণ যুক্ত রোগীকে নিকস্টস্থ সরকারি হাসপাতালে  বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআর এ তথ্য প্রেরণ করতে হবে।

 মাঙ্কিপক্স ‘নতুন কোনো রোগ নয়’ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এ ধরনের রোগী পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে আগেও ধরা পড়েছে। সেখানে এই রোগকে এনডেমিক (সাধারণ রোগ) হিসেবে ধরা হয়। তবে সম্প্রতি এসব দেশে ভ্রমণের ইতিহাস নেই, ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।

জাপান যাচ্ছেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার জাপান সফরে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। দক্ষিণ কোরিয়া থেকেই তিনি জাপানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
চীনের উত্থান এবং বিপদজনক পরমাণু শক্তিসম্পন্ন উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলায় এশিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাইডেন এ দু’দেশ সফর করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে বাইডেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েলের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন। এ সময়ে উভয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সামরিক  আাস্ফালন মোকাবেলায় সামরিক মহড়া জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
্এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, বাইডেনের সফরকালে কিম পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াতে পারেন।
বাইডেন বলেন, গণতান্ত্রিক মিত্রদের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্যই আরো গভীর করতে হবে।
ইয়ুনের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বিশ্বে গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের মধ্যে প্রতিযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এশিয়া প্যাসিপিক অঞ্চল মূল যুদ্ধক্ষেত্র।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার আগে বাইডেন হুন্দাই কোম্পানীর চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেন। মার্কিন অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে হুন্দাইয়ের সিদ্ধান্তকে উদযাপনই এ বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল।
এছাড়া বাইডেন ইয়ুনসহ মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় সৈন্যদের সাথে সাক্ষাত করেন।
বাইডেন মঙ্গলবারের কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আগে সোমবার জাপানে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং স¤্রাট নারুহিতোর সাথে সাক্ষাত করবেন।
অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ এ সম্মেলনে মিলিত হবেন।

নরসিংদীতে ঘরে মিললো মা ও দুই সন্তানের মরদেহ

নরসিংদীঃ বেলাবো উপজেলায় বসতঘর থেকে মা ও ছেলে-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ মে) সকালে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- বাবলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন শেখের স্ত্রী রাহিমা বেগম (৩৬), তার ছেলে রাব্বি শেখ (১২) এবং মেয়ে রাকিবা আক্তার (৭)। রাহিমা বেগম পেশায় একজন দর্জি ছিলেন।

পুলিশ বলছে, নিহত রহিমার স্বামী পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি। কাজের সুবাদে শনিবার গাজীপুরে যান তিনি। সকালে বাড়ি এসে দেখেন স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ পড়ে আছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। মরদেহ উদ্ধারের প্রস্তুতি চলছে।

জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইন ও বিচার বিভাগের আয়োজনে মামলাজট নিরসনে জিপি (গভর্নমেন্ট প্লিডার) ও পিপিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর) সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শনিবার এসব কথা বলেন তিনি।

আইন ও বিচার বিভাগের  সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের আট বিভাগের আটজন জিপি ও আটজন পিপি মামলাজট নিরসনের বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় জিপি-পিপিগণ মামলাজট নিরসনে আদালতে সময়মত সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা, আরও বিচারক নিয়োগ, আদালত সংখ্যা বাড়ানো, সময়মত সমন জারি ও তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, দেওয়ানী কার্যবিধির কিছু ধারা সংশোধন, মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ডাক্তারের আদালতে সময়মত উপস্থিতি,  বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সহ বিভিন্ন সুপারিশ করেন।

আইনমন্ত্রী তার বক্তৃতায় মামলার জট কমিয়ে আনতে বার বার সময় চেয়ে আবেদন না করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েন। তিনি বলেন, বলা হতো- সিভিল কেস বেগুন খেতের মতো। এটা প্রচলিত ছিল। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে মামলাজট এক বিরাট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশও এই সমস্যার বাইরে নয়। মামলাজট থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেওয়ানী কার্যবিধির (সিপিসি)  কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, সিপিসি যখন তৈরি করা হয়েছিল তখন প্রযুক্তির এত উন্নয়ন হয়নি। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এখন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় খবর পাঠাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। পৃথিবী যখন এত এগিয়ে গেছে, আমার মনে হয় সিপিসির যেখানে বলা আছে অমুকটার জন্য ৪৫ দিন সময় দিতে হবে, অমুকটার জন্য ৬০ দিন সময় দিতে হবে। এত সময়ের আর প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আদালত ও বিচারক সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এই আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিল করা হচ্ছে।  এনআই অ্যাক্ট, ১৮৮১ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) ওপর জোর দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী  বলেন, দেওয়ানী আদালতগুলোতে অনেক আপোষযোগ্য মামলা দীর্ঘদিন যাবত পড়ে রয়েছে। এই মামলাগুলো এডিআর পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা গেলে মামলাজট অনেক কমে আসবে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে আনিসুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা সংযোজন করে দিয়ে গেছেন, যেটা অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে নেই। বঙ্গবন্ধু এটা সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংযোজন করে দিয়ে গেছেন। তার কন্যার সরকার এমন কোনো আইন করবে না, যাতে বাক-স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়। আমরা সেটা করিনি।

তিনি বলেন,  প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। সেসব সমস্যা হলো সাইবার ক্রাইম। আমাদের এই সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করতে হবে। অনেক অপরাধ আছে যেগুলো আর ফিজিক্যালি করা হয় না, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়। সেটার বিচার করা হবে কীভাবে? সে জন্য তো একটা আইন করতে হবে। আমরা সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার পরে কিছু মিসইউজ এবং অ্যাবিউজ যে হয়নি তা তো নয়। তিনি বলেন, আগে দেখা যেত, থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলেই একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হতো। আমি সেখানেও বলেছি যাতে এই মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে যেন কাউকে গ্রেফতার না করা হয়। আদালত যদি মনে করেন এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ তাহলে, সে রকম ব্যবস্থা নেবে। আর যদি মনে করেন, সমন দিলেই যথেষ্ট, সমন দেবেন। তাই বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে ফেলতে হবে, আমি এটা সমর্থন করি না। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আগে দেখবেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো একটি ঘটনায় আদৌ মামলা হয়েছে কি না। তারপর সেটা বিবেচনা করবেন।

মাংকিপক্স প্রাদুর্ভাব নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বৈঠক

মাংকিপক্সের সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় সাধারণত রোগটির প্রকোপ থাকলেও বর্তমানে তা ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোয়ও ছড়াচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকে ভাইরাসের সংক্রমণ ও তার টিকা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউরোপে শতাধিক সন্দেহভাজন মাংকিপক্স রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে রয়টার্স। ইউরোপে আর কখনো এত বেশি সংক্রমণ দেখা যায়নি। এ পর্যন্ত বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, দ্য নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুুইডেন ও যুক্তরাজ্যে রোগটি ছড়িয়েছে।

আর আমেরিকা অঞ্চলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায়ও প্রথমবারের মতো মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। শুক্রবার ২৭ রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে স্পেন, যাদের প্রায় সবাই রাজধানী মাদ্রিদের।

ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বছর ত্রিশের এক যুবক। তার শরীরে যে উপসর্গ দেখা গেছে, তা মাংকিপক্সের সঙ্গে মিলে যায়। সম্প্রতি তিনি পশ্চিম ইউরোপে ভ্রমণ করেন।

করোনা মহামারির মতো ব্যাপক হারে মাংকিপক্স ছড়াবে না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। গুটিবসন্তের মতোই মাংকিপক্স। রোগটি চিকেনপক্স মনে করেও বিভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। মাংকিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠব্যথা, নাসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও অবসাদ। আবার ঝাঁকুনি দিয়ে ফুসকুড়ি ওঠার ঘটনাও ঘটে।

যদিও মাংকিপক্সের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে অধিকাংশ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এখন পর্যন্ত রোগটির দুটি প্রধান ধরন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে কঙ্গো ধরন অনেক বেশি মারাত্মক। এতে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার ১০ শতাংশ। আর পশ্চিমা আফ্রিকা ধরনে মৃত্যুহার এক শতাংশের কাছাকাছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, এমনকি মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এই ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। রোডেন্টজাতীয় প্রাণী ভাইরাসটির বড় আশ্রয়দাতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব অযৌক্তিক ও অগ্রহনযোগ্য : বাংলাদেশ ন্যাপ

 

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবকে অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক এবং অগ্রগণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চরমভাবে যখন ব্যর্থ তখনই দেশবাসী অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের শুনানিতে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অনিবার্যভাবে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি তৈরি করবে এবং তা বহুগুনিতক হারে সব পণ্যের দাম বাড়াবে।

শনিবার (২১ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব গণবিরোধী যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার চাইলে আরো কম দামে সাশ্রয় মূল্যে শতভাগ বিদ্যুত জনগণকে দিতে পারে সে উদ্যোগ কিভাবে নেবে সেটি সরকারের বিবেচনা করা উচিত।

নেতৃদ্বয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির তৎপরতায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তখন দেখা যাচ্ছে সরকারি বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তা পরিহার করে ভুল সিদ্ধান্ত গস্খহন করে দুর্নীতিগ্রস্থ এবং অলাভজনক প্রকল্প নিয়ে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে ব্যস্ত।

তারা আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ খাতকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। নিজেদের পোষ্য লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। এই অব্যাহত লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই উপর্যুপরি বিদূতের মুল্যবৃদ্ধি করছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার তুলনায় ভীষণ ব্যয়বহুল বিদ্যুত উৎপাদন সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সরকারের যে লক্ষ শতভাগ বিদ্যুৎ আয়ন তা থেকে বিমুখ হবে সাধারণ জনগণ। সেই সাথে শিল্প উৎপাদন এবং সাধারণ নাগরিকদের পরিবহন অটো রিক্সা এবং বিদ্যুতের রিক্সা এবং আগামীতে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন এর ব্যয় কোথায় গিয়ে দাঁডাবেব তা অনুমান করা সম্ভব না। মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির সাথে সাথে বিদ্যুতের অবাস্তব প্রস্তাব মেনে নেয়া মানে বাংলাদেশকে বিপথগামী করে সাধারণ মানুষদের মধ্যে যে ভয় ঢুকে গেছে যে শ্রীলংকার মত হতে বাংলাদেশ তা আরেক ধাপ বাস্তবায়ন করে দেয়ার জন্য বিদ্যুত-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মরন ফাঁদ হিসেবে কাজ করবে।

নেতারা বিদ্যুতে মুল্যবৃদ্ধির গুবিরোধী তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তেরর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

ঘরে রাখা পানির ডামে ডুবে শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় মাছ রাখার পানির ডামে ডুবে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

নিহত শিশুর নাম তাজলিম ইসলাম মেহেরীন সে উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের রাজন মেম্বারের বাড়ির নজরুল ইসলাম মেয়ে।

শুক্রবার (২০ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের রাজন মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে মেহেরীন ঘরে মাছ রাখার একটি পানির ডাম নিয়ে খেলতে গিয়ে ডামে পড়ে ডুবে যায়। পরে ওই ডামের পানিতে ডুবে সে অচেতন হয়ে পড়ে। শেষে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির। তিনি বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরে এলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।

চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশসহ তিনজন নিহত

চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার মিরসরাই এবং পটিয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় পুলিশসহ তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশ এসব দুর্র্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার টিএসপি কমপ্লেক্সের সামনেসড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী বেণুরাম নাথ (৪০) নামে আর্মড পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন। নগরীর ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলামবলেন, নিহত এএসআই বেণুরাম নাথ আর্মড পুলিশের হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারি গার্ডে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলায়। যে সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। যে গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন বেণুরাম নাথ। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টিএসপি কমপ্লেক্সের সামনে বেণুরাম নাথের মোটরসাইকেলে একটি অজ্ঞাত গাড়ি ধাক্কা দেয়। পরে সেই গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করছি। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার (২০ মে) সকালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় দ্রুতগতির একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জয়নাল আবেদীন (২৩) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। জয়নাল আবেদীন চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়ানঘর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, হাটহাজারী থেকে আটটি বাইক নিয়ে কক্সবাজারে যাচ্ছিল একটি দল। ওই দলে একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন জয়নাল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শান্তির হাটের বোর্ড অফিস এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসচাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাইকে থাকা জয়নাল। ঘটনার পরপরই বাসের চালক পালিয়ে গেছে।

মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিজামপুর কলেজ এলাকায় আইল্যন্ডে ধাক্কায় পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে নিহত হয়েছেন ট্রাক চালক মুসলিম উদ্দিন (৫৫)। সে নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মধ্যরাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, গাড়ি চলতে চলতে সড়কের পাশে আইল্যান্ডে ধাক্কা খায়। তাৎক্ষণিক ট্রাক উল্টে চালক নিহত হন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ট্রাক ও চালকের মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।