যেসব জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস

দেশের ৮টি জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস রয়েছে। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমে গিয়ে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসে। এরপর পৌনে ৭টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল বজ্রপাত। হঠাৎ এ বৃষ্টিতে যেন আচমকাই থমকে যায় রাজধানীবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

এই অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুই/এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

ঢাকায় দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ফের বাড়বে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সৈয়দপুরে, ৪১ মিলিমিটার।

খুলনায় মাদক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের পাবলা এলাকায় অনুপ দাশ (২৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে পাবলা এলাকার কেশব লাল রোডে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, অনুপ দাশ সোমবার বিকেলে পাবলার তিন দোকানের মোড়ের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ভোর ৫টার দিকে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা ফেলে রেখে চলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

খুলনায় উপ-ভারতীয় দূতাবাস স্থাপনের কাজ চলছে

ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, খুলনা-মংলা রেললাইন চালু হলে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি সোমবার দুপুরে খুলনা-মংলা রেল প্রকল্পের রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ভারতীয় হাই কমিশনার বাংলাদেশ রেলওয়েকে ২০১৯ সালের মধ্যেই খুলনা-মংলা রেল লাইনের কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, খুলনাতে উপ-ভারতীয় দূতাবাস স্থাপনের কাজ চলছে।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের অর্থনীতিতে যেমন প্রভাব ফেলবে তেমনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

রূপসা রেল সেতুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত জানা বলেন, ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ৩৮০১.৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেল সেতুর নিমার্ণ কাজ করছে।

তিনি জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেল সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও আর্থিক উপদেষ্টা ড. সুমিত জেরথ, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (অবকাঠামো) ড. পঙ্কজ সিং, ঢাকাস্থ ভারতের উচ্চ কমিশনের প্রথম সচিব রাজেশ ইউক (টরশব), ভারতের উচ্চ কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (বাণিজ্যিক) শ্রী শিশির কোথারি, ভারতবর্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) ভিপুল কুমার মেসারিয়া, ভারতের হাই কমিশনের এপিডব্লিউও শ্রী মনোজ কুমার যাদব, ভারতের উচ্চ কমিশনের এসএ শ্রীমতি প্রেম বাহাদুর, বাংলাদেশ রেলওয়ের জিএম ও পিডি মো. মজিবর রহমান, পিএমও’র ডিজি শ্রী সুব্রত রায়, খুলনা জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মনিরুজ্জামান।

আরব সভ্যতা টিকবে না : আদোনিস

আরব সভ্যতা টিকবে না কারণ বিশ্ব সভ্যতায় এর কোনো অবদান নেই এমন মন্তব্য করেছেন আরবের আধুনিক সাহিত্যধারার অন্যতম কবি আদোনিস। বৃহস্পতিবার ঢাকা লিট ফেস্টে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘আদোনিস উইথ কায়সার হক’ নামের এই সেশন সঞ্চালনা করেন সাহিত্যিক ও অনুবাদক কায়সার হক। এ সময় আদোনিস বক্তৃতা করেন ফরাসি ভাষায়। তাঁর বক্তব্য ফরাসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন অধ্যাপক আশরাফুল হক চৌধুরী।

আলাপচারিতায় আদোনিস বলেন, কেবল তেল আর ব্যবসা দিয়ে কোনো সভ্যতা টিকে থাকতে পারে না। যেহেতু মানব সভ্যতায় আরবের বিশেষ কোনো অবদান নেই তাই এ সভ্যতা টিকবে না। আরব বসন্ত নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করলেও বলেন, এটা আমেরিকারই তৈরি।

নিজে বামপন্থী এ কথা অকপটে স্বীকার করে আদোনিস বলেন, আমি সবসময় মানুষের পক্ষে। আমি বিশ্বাস করি মানুষ কখনও থেমে থাকবে না।

তরুণদের পাঠাভ্যাস নিয়েও বেশ আশাবাদী তিনি। তার মতে মানুষ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি বিষয় পড়ে। তারা পড়ছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। আদোনিস জানান, তাঁর দুই মা। এক মা প্রকৃতি অন্য মা কবিতা। পুরো পৃথিবীকে তিনি একটি ফুলের সঙ্গে তুলনা করেন আর কবিতাকে অভিহিত করেন এর সুগন্ধ হিসেবে।

যদিও প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, মানুষ এখন সুগন্ধ না ফুলের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রকে পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুুল বলে আখ্যা দেন তিনি। এটা ক্ষমতা ও অর্থ দু’দিক থেকেই বিবেচনা করা যায় বলে জানান আদোনিস। তিনি বলেন, দরজা এখন খোলা, যেন এক রমণী দু-হাত বাড়িয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে দর্শকরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তাদের আবদার মেটাতে আদোনিস একটি ছোট্ট আরবি কবিতাও আবৃত্তি করে শোনান।

উল্লেখ্য, আদোনিস আসলে কবির ছদ্মনাম। তার মূল নাম আলী আহমেদ সাঈদ। তিনি যখন কবিতা লেখা শুরু করেন তখন সিরিয়ার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সে সব ছাপানোর জন্য পাঠাতেন। কিন্তু সেগুলো ছাপা হতো না। গ্রিক দেবতা আদোনিস যেমন জন্তুদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তেমনি তিনিও পত্রিকার সম্পাদকদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছিলেন! এজন্যই এ ছদ্মনাম ব্যবহার করেন তিনি।

এরপর তার কবিতাগুলো ছাপা হয়। যদিও পত্রিকার লোকজন তাকে সরাসরি দেখার পর আদোনিস বলে মানতে চাননি! তাই তাকে প্রমাণ করতে হয়েছে তিনিই আদোনিস।

অবহেলিত রেলওয়ে

প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অনুমোদিত ৩ হাজার ১৭১ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ২৮টি উপকারখানায় (শপ) কর্মরত আছেন ১ হাজার ২০৪ জন শ্রমিক-কর্মচারী। অর্থাৎ জনবল ঘাটতি ১ হাজার ৯৬৭ জন। অনেকে কমিশন পাওয়ার আশায় দেশে যন্ত্রপাতি না বানিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করতে বেশি উৎসাহী।

কোনো কারখানা কি দুই-তৃতীয়াংশ পদ খালি রেখে চলতে পারে? কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে বলে কথা। আড়াই দশক আগে রেলওয়েতে সোনালি করমর্দনের মাধ্যমে রেলওয়ের লোকবল কমানো হয়েছিল। সেটি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত—মাথাব্যথা সারানোর নামে মাথা কেটে ফেলা।

রেলওয়ের প্রতি আগের সরকারগুলোর অবহেলা এতটাই প্রকট ছিল যে তারা মন্ত্রণালয়টি তুলে দিয়ে একটি বিভাগে রূপ দিয়েছিল। এখন আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় হলেও আগের বদভ্যাস কাটাতে পারেননি রেলওয়ের পদাধিকারীরা। যেখানে একটি কারখানায় অনুমোদিত জনবলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পদ খালি, সেখানে রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার আগ্রহী দাবি করা হাস্যকর। প্রতিবেশী ভারতে যখন রেলপথের সেবা বাড়ানো হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে রেলওয়ে সংকুচিত করা আত্মঘাতী ছাড়া কিছু নয়।

রেলওয়ের আয় বাড়াতে হলে এর যাত্রীসেবার মানের পাশাপাশি রেলপথের দৈর্ঘ্যও বাড়াতে হবে। বর্তমানে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সীমিত লোকবল দিয়ে মাসে যদি গড়ে ২৬টি কোচ ও ২৫টি মালবাহী ওয়াগন মেরামত এবং প্রায় ১ হাজার ২০০ রকমের যন্ত্রাংশও তৈরি সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় লোকবল থাকলে অনেক বেশি কোচ-ওয়াগন মেরামত ও যন্ত্রাংশ তৈরি করা সম্ভব হতো। দেশে এসব রেলওয়ে সরঞ্জাম তৈরি হলে রেলওয়ে যেমন স্বাবলম্বী হবে, তেমনি মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।

অবিলম্বে সৈয়দপুর কারখানায় অনুমোদিত পদে লোক নিয়োগ করে এর উৎপাদন বাড়ানো হোক। রেলওয়েকে স্বাবলম্বী করতে হলে এর বিকল্প নেই।

মুক্তামণির পুরো হাতে চামড়া লাগানো হয়েছে

হাতে রক্তনালির টিউমারে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণির পুরো হাতে চামড়া লাগানো হয়েছে। কয়েক দফায় মুক্তামণির হাতে অস্ত্রোপচার শেষে গত ১০ অক্টোবর শুরু হয় চামড়া লাগানোর প্রক্রিয়া। সোমবার সকালে মুক্তামণির পুরো হাতে চামড়া লাগানো সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে মুক্তামণিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। দেড় ঘণ্টার অপারেশনে পুরো হাতে চামড়া লাগানোর কাজ শেষ করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তামণি ভালো আছে। আজ অবস্থা অবজার্ভ করা হবে। শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে আজই মুক্তামণিকে কেবিনে শিফট করা হবে।

তিনি বলেন, এর আগে মুক্তামণির হাতে আমরা ৫০ শতাংশ চামড়া লাগিয়েছিলাম। শরীরের অন্য অংশের চামড়া কেটে ওর হাতে লাগানো হয়েছে। আজ পুরো হাতে চামড়া লাগানো সম্পন্ন হলো। তিন দিন পর ওর হাতের ড্রেসিং খোলা হবে।

মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম জাগো নিউজকে বলেন, আজ চিকিৎসকরা ওর হাতে আবারও অস্ত্রোপচার করেছে। নতুন চামড়া লাগিয়েছে। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই ও যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারিভাবে বিনামূল্যে মুক্তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।

পরে ঢামেকে ভর্তি করা হয় মুক্তাকে। মুক্তার চিকিৎসার জন্য একটি বোর্ড গঠনসহ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।

গত ৫ আগস্ট মুক্তার ডান হাতের বায়োপসি সম্পন্ন হয়। ৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, মুক্তার হাতের একাধিক অপারেশনের প্রয়োজন রয়েছে। এরপর ১২ আগস্ট প্রথম অপারেশন সম্পন্ন হয় মুক্তার। চিকিৎসকরা ওই অপারেশনকে ‘সফল’ বলে দাবি করেন। ৮ অক্টোবর ৪র্থ দফায় তার হাতে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর চামড়া লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় ১০ অক্টোবর, যা আজ শেষ হলো।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ছে না

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

সোমবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের জবাব দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।’

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩ থেকে ২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকেন। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য ছয় থেকে সাত বছর সময় পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাঁদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের বেশি, তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।’

জেএসসি গণিতের প্রশ্ন ফাঁস, ভুলের অভিযোগ

জেএসসি পরীক্ষায় গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের সামনে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে। ফেসবুকের মাধ্যমে এ প্রশ্ন পরীক্ষার্থীরা পায় বলে অভিযোগ। তাই প্রশ্ন না পাওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গণিতের প্রশ্নপত্রেও ভুল ধরা পড়েছে।

জানা গেছে, বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি ইত্যাদি চারটি অংশ আলাদাভাবে ‘ক’ ‘খ’ ‘গ’ এবং ‘ঘ’ অংশ থাকে প্রশ্নে। কিন্তু ‘ঘ’ অংশ ছিল না। এর পরিবর্তে দুটি অংশই ‘গ’ হিসেবে ছিল। এ কারণে অনেকেই প্রশ্নের উত্তর লিখতে বিভ্রান্ত হয়। এর ফলে কেউ প্রথম ‘গ’ থেকেই দুটি প্রশ্নের উত্তর লেখে। আবার কেউ উভয় ‘গ’ থেকে আলাদা দুটি উত্তর লিখেছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্রের ওপর আমাদের কোনো আর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পরীক্ষা নিতে তা আমরা শিক্ষকদের কাছে দেই। এরপর প্রশ্নফাঁস হলে আমাদের হতাশ ও ক্ষুব্ধই হওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমরা এ ধরনের অপকর্মে জড়িত সন্দেহে কিছু লিঙ্ক (ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান) পেয়েছি। গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিটিআরসিকে (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন) তথ্য দিয়েছি। আশা করি, আগের মতোই দুষ্কৃতকারীরা ধরা পড়বে।’

গণিত প্রশ্নপত্র ভুলের ব্যাপারে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, মুদ্রণজনিত কারণে ‘ঘ’ এর স্থলে ‘গ’ এসেছে। তবে এ জন্য শিক্ষার্থীরা কোনো ক্ষতির শিকার হবে না। যে যেখান থেকেই দুটি প্রশ্নের উত্তর দিক নম্বর পাবে। সেভাবে নির্দেশনা দেয়া হবে।

এবারের জেএসসি পরীক্ষায় দু-একটি বিষয় শেষ হওয়ার পরই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠতে থাকে। প্রশ্নফাঁসের ক্ষেত্রে এবার সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে মিরপুর এলাকা থেকে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এবং ডেমরা এলাকার দু-একটি ব্যবসায়িক স্কুলের ব্যাপারেও অভিযোগ কমবেশি আসছে।

রোববার জেএসসিতে ছিল গণিত বিষয়ের পরীক্ষা। জেডিসিতে ছিল কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা।

রাজধানীর মিরপুরের আদর্শ স্কুলে আসন পড়েছে মণিপুর স্কুলের শিক্ষার্থীদের। ওই কেন্দ্রের একজন পরীক্ষার্থীর বাবা গোলাম মোস্তফা টেলিফোনে বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে আমার মেয়ে কান্না শুরু করেছে। তার কান্না থামানো যাচ্ছে না। সকালে স্কুল গেটে গিয়ে সে দেখে, তার বান্ধবীরা মোবাইল ফোনে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখছে। কাছে গিয়ে একনজরে প্রশ্নপত্র দেখে নেয় সে। পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখে, প্রশ্নগুলো ক্রমিক নম্বরও পর্যন্ত মিলে গেছে। পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে এটা আমাকে জানায়। এরপর থেকে তার মন খারাপ।’

গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রশ্ন- তাহলে লেখাপড়া করে তার কী লাভ হলো? আমি এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারিনি। আপনার মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রশ্নটি রাখলাম।’

উল্লেখ্য, এ বছর এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আজকের পরীক্ষায় সারাদেশে একজন শিক্ষকসহ ৬৩ জন বহিষ্কার হয়েছে। আজ সারাদেশে ৪২ হাজার সাতজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

স্বামী হিসেবে কেমন হবেন আপনার প্রেমিক?

প্রেমে পড়তে কারণ লাগে না। প্রেম হতে পারে যখন তখন। হঠাৎ পরিচয়, ভালোলাগা, ভালোবাসা। তারপর দুটি মন স্বপ্ন দেখে হাতে হাত রেখে জীবন পাড়ি দেয়ার। প্রেমে পড়লে মন উড়ুউড়ু, জীবনের জটিল হিসাব-নিকাশ করার সময় তখন কোথায়! একজন ভালো প্রেমিক একজন ভালো স্বামী নাও হতে পারেন! কারণ বিয়ের পর জীবনে আসে নানা পরিবর্তন। মুখোমুখি হতে হয় অনেক চ্যালেঞ্জের। যদি সত্যিই চান মনের মানুষটি সঙ্গী হয়ে সারা জীবন পাশে থাকুক তবে কিছু বিষয়ের দিকে এখনই নজর দিন।

খরচপাতির হিসাব-নিকাশ

কোথাও খেতে গেলে দু’জনের মধ্যে কে বিল পরিশোধ করেন? খরচপাতির জন্য বাবার ওপর নির্ভর করেন নাকি নিজেই আয় করেন? অনেক বেশি খরচ করেন নাকি হাড়কিপটে? প্রেমিক টাকাপয়সা কিভাবে খরচ করেন তা দেখেও বুঝতে পারবেন তিনি ভবিষ্যতে ভালো স্বামী হবেন কি না।

কাছের মানুষেরা কী ভাবেন

প্রেমে পড়লে পুরো দুনিয়াই দেখতে রঙিন লাগে, তবুও প্রেমকে বলা হয় অন্ধ। আপনি যখন কারো প্রেমে পড়বেন, তখন তার কোনো দুর্বলতাই আপনার চোখে পড়বে না। আপনার কাছের মানুষেরা তার সম্পর্কে কেমন ধারণা রাখে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিরপেক্ষভাবে তারা আপনাকে কিছু বিষয় বুঝতে সাহায্য করবে। এমন নয়- তারা যা বলবেন সেটিই সত্যি। তবে তাদের কথায় কিছু বিষয় হয়তো বুঝতে পারবেন, যা এর আগে ভালোবাসার মোহে এড়িয়ে গিয়েছেন।

ঝগড়া হলে

ঝগড়া ছাড়া প্রেম যেন পানসে লাগে! সব জুটির ভেতরেই ঝগড়া হয়, মনোমালিন্য হয়। কিন্তু আপনার প্রেমিক এই ঝগড়াকে কিভাবে সামাল দেন সেটিই আসল বিষয়। যদি তিনি ঝগড়ার পরে দীর্ঘ সময় রাগ পুষে রাখেন বা কথা বন্ধ রাখেন তবে অদূর ভবিষ্যতে স্বামী হিসেবে তিনি তেমন একটা সুবিধার হবেন না!

আশাবাদী

জীবন অনিশ্চয়তায় ভরপুর। কখনো উথ্থান, কখনো পতন। কোনো মানুষই নিজের সমস্যার কথা কোন হতাশাবাদীর সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান না। আপনার প্রেমিক কি অল্পতেই ভেঙে পড়েন কিংবা কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাকে একা ছেড়ে দেন? তাহলে তার সঙ্গে গাটছড়া বাঁধার আগে অবশ্যই আরেকবার ভেবে দেখুন।

সম্মান

সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকা সবচেয়ে জরুরি। প্রেমিক আপনাকে কতটা সম্মান করেন তার ওপর নির্ভর করে কতদিন আপনাদের সম্পর্ক বেঁচে থাকবে।

মনযোগী শ্রোতা

যদি প্রেমিকের সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে চান তবে লক্ষ করুন তিনি আপনার কথা শুনতে কতটা আগ্রহী। সারাদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা তিনি আপনার কাছ থেকে কতটা মনযোগ দিয়ে শোনেন? যদি তিনি মনযোগী শ্রোতা হন, তবে নিশ্চিত থাকুন স্বামী হিসেবে ভালো হবেন।

সহযোগী

 

বিভিন্ন সমস্যায় তিনি কতটা সহযোগিতা করেন? ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা অফিসের নানা সমস্যায় তিনি কি পাশে থাকেন? যদি থাকেন, চোখ বন্ধ করে আজীবনের জন্য তার হাতটি ধরতে পারেন।

তারেকের জন্মদিনে কেক কাটবেন খালেদা

দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উদযাপন করবে বিএনপি। এ উপলক্ষ্যে সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেক কেটে একমাত্র ছেলের জন্মদিন উদযাপন করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা
শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য জন্মদিনের এই অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনও পৃথকভাবে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করবে বলে জানা গেছে।