বন্যাদুর্গতদের পাশে গ্রামীণফোন ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া লাখো মানুষের খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহায়তা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এ উদ্যোগের আওতায়, ইতোমধ্যে নেত্রকোনা, সিলেট ও সুনামগঞ্জে চারটি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পগুলোর মাধ্যমে এ জেলাগুলোর পাশ্ববর্তী উপজেলা সমূহে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ ও ওষুধ সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দশ দিন ব্যাপী এ উদ্যোগটি গত মাসের ২৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ০৮ জুলাই। এ সময়ে ছয় হাজারেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই টিমের প্রতিটি সদস্য এ অঞ্চলগুলোতে নিবেদিতভাবে কাজ করছেন। গ্রামীণফোন ও বিডিআরসিএস’র যৌথ এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইতিমধ্যে নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, কলমাকান্দা, দক্ষিণ সুরমা, কানাইঘাট, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২১৭৩জনকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “টানা বৃষ্টিতে হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতি দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মানষ বিপন্ন অবস্থায় পড়েছেন। এ অবস্থায় মোবাইল কানেক্টিভিটি বন্যাদুর্গতের যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। গ্রামীফোন টিম রেগুলেটর, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহীনি এবং নেটওয়ার্ক পার্টনারদের সাথে নিয়ে একসাথে জরুরী ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক পুনস্থাপনের কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি জরুরী স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য সরবারহের নিয়ে আমরা বন্যাপীড়িতের পাশে আছি। আমাদের সার্বিক সহায়তার কার্যক্রমে সহায়তার জন্য আমি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।”

মেডিকেল ক্যাম্প ছাড়াও, খুব শিগগিরই ১৫ হাজার মানুষের মাঝে ১৫ হাজার ফুড রিলিফ প্যাক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে, যা দিয়ে প্রতিটি পরিবারের এক সপ্তাহের খাবারের জোগান নিশ্চিত হবে। এর আগে, বন্যাদুর্গত এলাকায় মোবাইল সেবার মাধ্যমে জরুরি চাহিদা মেটাতে গ্রাহকদের ১০ মিনিট ফ্রি টক-টাইম দিয়েছে গ্রামীণফোন।

হুয়াওয়ে ও বিটিসিএল’র সহযোগিতায় নেত্রকোনায় বন্যাকবলিতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী

সাম্প্রতিক বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেত্রকোনা জেলা। জেলার ছয় উপজেলায় আটকা পড়েছিলেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ, আর বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন দুর্যোগ কবলিত মানুষরা।

এ অঞ্চলের অধিবাসীদের প্রতিকূল অবস্থার কথা বিবেচনা করে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় বন্যাকবলিতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও বিটিসিএল। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ৩ জুলাই বিটিসিএল কার্যালয়ে হুয়াওয়ে এক হাজার ব্যাগের বেশি ত্রাণ সামগ্রী পূর্ণ ব্যাগ বিটিসিএল -এর কাছে হস্তান্তর করে।

এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রতীকী অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগুয়ানগিয়াও বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিনের কাছে ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থতি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে আমাদের দেশ কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিকূল সময় আমাদের দায়িত্ব একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো। হুয়াওয়ে ও বিটিসিএল ভয়াবহ এ বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্যোগ কবলিত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাওগুয়ানগিয়াও বলেন, “মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি সবসময় বজায় রেখে চলেছে হুয়াওয়ে। এবার আবারও আমরা বিটিসিএল’র সাথে একসাথে দুঃস্থ মানুষের সহায়তায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা এ ত্রাণ সামগ্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করবে। ভবিষ্যতেও সম্ভাব্য সকল উপায়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মানুষের সহায়তায় পাশে এসে দাঁড়াবে।”

বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বলেন, “ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এখন চ্যালেঞ্জিং সময়, আর এ সময়ে একমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা যেনো এ কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন এজন্য আমরা আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।”

বিটিসিএল’র কাছে হস্তান্তর করা এক হাজারেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রীর ব্যাগগুলোতে রয়েছে মুড়ি, চিড়া, চিনি, মোম, ম্যাচবাক্স, টোস্ট বিস্কুটসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যসামগ্রী। অতি শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিটিসিএল।

গত সপ্তাহে হুয়াওয়ে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর দুই হাজারের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে। সে সময় উপস্থিত ছিলেন খালিয়াজুরীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রব্বানী জব্বার, ইউএনও এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম এবং মেজর জিসানুল হায়দার।

ফোন রেখে জীবন উপভোগ করতে বললেন মোবাইল আবিষ্কারক

ঢাকাঃ প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মার্টিন কুপার। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে ‘মটোরোলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ নামের মোবাইল ফোন দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেটি রূপ পরিবর্তন করতে করতে আজ পুরো পৃথিবীকেই বদলে দিয়েছে।

তবে আশ্চর্যের খবর হলো— যে মোবাইলের বদৌলতে আজ এত কিছু, সেই মোবাইল ফোনের অন্যতম আবিষ্কারক মার্টিন কুপারই দিনের মাত্র ৫ শতাংশেরও কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তিনি বলেছেন, জীবনকে উপভোগ করতে গেলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যখন সঞ্চালক বলেন যে তিনি দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা করে মোবাইলের পেছনে সময় ব্যয় করছেন তার জবাবে মার্টিন কুপার এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী জেইন ম্যাককাবিন মার্টিন কুপারকে প্রশ্ন করেন, আমার মতো যারা দিনে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করেন, তাদের কী বলবেন?

এ সময় বিস্ময় প্রকাশ করে কুপার বলেন, সত্যিই? সত্যিই আপনি দিনে পাঁচ ঘণ্টা সময় দেন মোবাইলের পেছনে?। তারপর একগাল হেসে বলেন, জীবনটাকে একটু উপভোগ করুন।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর বাসিন্দা মার্টিন কুপার পরে বলেন যে, তিনি নিজেই দিনের মাত্র ৫ শতাংশেরও কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।

১৯৫৪ সালে মার্টিন কুপার মটোরোলার জন্য কাজ শুরু করার আগে টেলিটাইপ কর্পোরেশনে প্রথম চাকরি করেন। তিনি প্রথম একটি ফার্মের সঙ্গে পোর্টেবল পুলিশ রেডিও সিস্টেমগুলোর মধ্যে বিভিন্ন আইটেম উদ্ভাবনে অবদান রেখেছিলেন।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন বলছে, গাড়ির ফোন, যেগুলো অটোমোবাইলের ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল এবং রেডিও চ্যানেলের মাধ্যমে আউটগোয়িং কল করা হতো যা খুব কমই কাজ করতো। তবে সত্তরের দশকে এটির ব্যবহার বাড়তে থাকে। তা সত্ত্বেও, মার্টিনই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাজারে একটি পোর্টেবল ফোন সরবরাহ করেছিলেন।

উদ্ভাবক মার্টিন কুপার ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম মোবাইলের মাধ্যমে ফোনকল করতে সক্ষম হন। সেই দিনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ফোনটি আড়াই পাউন্ড ওজনের এবং ১০ ইঞ্চি লম্বা ছিল। একবার চার্জ দিয়ে ২৫ মিনিট কথা বলা যেতো। আর চার্জ হতে সময় লাগতো ১০ ঘণ্টা।

এই ছয় পানীয় আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে

অফিসের ডেস্কে দীর্ঘসময় বসে থেকে কাজ করার জন্য মুটিয়ে গেছেন? বার্গার, পিজার মত ফাস্টফুড প্রিয় হওয়ার কারণে শরীরে মেদ জমেছে! একটু হাটলেই হাপিয়ে ‍ওঠেন। ব্যায়াম করার সময়ও নেই। কিন্তু শরীরকে ফিট রাখার ইচ্ছার কমতি নেই। আপনার জন্যই কার্যকরী হতে পারে এই ছয় পানীয় –

পানি: ওজন কমানোর জন্য পানি বেশ উপকারি। দিনে যত বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন আপনার ওজন ততই কমবে। পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে অতি দ্রুত ওজন কমবে। যে কোন ব্যায়ামের শুরুতেও পানি পান করতে পারেন। এটি আপনার মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।

ভেজিটেবল স্যুপ: ভেজিটেবল জুসে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এটি বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। রাতে ঘুমানোর আগে স্যুপ খেলে শরীরে ক্যালোরি জমা হয়।

গ্রিন টি: ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপ গ্রিন টি পান করুন। ওজন কমানো ছাড়াও গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ভেজিটেবল জুস: নানা রংয়ের শাকসবজির জুস শরীরের জন্য দারুণ উপকারি। ওজন কমাতে ভারি খাবারের পরিবর্তে শাকসবজির জুস খেতে পারেন।

ব্ল্যাক কফি: ব্ল্যাক কফি খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়। ব্ল্যাক কফির ক্যাফেইন বিশ্রামে থাকলেও শরীরকে প্রশান্তি দেয়।

পাস্তুরিত দুধ: পাস্তুরিত দুধে চর্বিহীন প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি ক্যালোরি ছাড়া ভিটামিন পেতে এবং হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।

স্বামী হিসেবে কেমন হবেন আপনার প্রেমিক?

প্রেমে পড়তে কারণ লাগে না। প্রেম হতে পারে যখন তখন। হঠাৎ পরিচয়, ভালোলাগা, ভালোবাসা। তারপর দুটি মন স্বপ্ন দেখে হাতে হাত রেখে জীবন পাড়ি দেয়ার। প্রেমে পড়লে মন উড়ুউড়ু, জীবনের জটিল হিসাব-নিকাশ করার সময় তখন কোথায়! একজন ভালো প্রেমিক একজন ভালো স্বামী নাও হতে পারেন! কারণ বিয়ের পর জীবনে আসে নানা পরিবর্তন। মুখোমুখি হতে হয় অনেক চ্যালেঞ্জের। যদি সত্যিই চান মনের মানুষটি সঙ্গী হয়ে সারা জীবন পাশে থাকুক তবে কিছু বিষয়ের দিকে এখনই নজর দিন।

খরচপাতির হিসাব-নিকাশ

কোথাও খেতে গেলে দু’জনের মধ্যে কে বিল পরিশোধ করেন? খরচপাতির জন্য বাবার ওপর নির্ভর করেন নাকি নিজেই আয় করেন? অনেক বেশি খরচ করেন নাকি হাড়কিপটে? প্রেমিক টাকাপয়সা কিভাবে খরচ করেন তা দেখেও বুঝতে পারবেন তিনি ভবিষ্যতে ভালো স্বামী হবেন কি না।

কাছের মানুষেরা কী ভাবেন

প্রেমে পড়লে পুরো দুনিয়াই দেখতে রঙিন লাগে, তবুও প্রেমকে বলা হয় অন্ধ। আপনি যখন কারো প্রেমে পড়বেন, তখন তার কোনো দুর্বলতাই আপনার চোখে পড়বে না। আপনার কাছের মানুষেরা তার সম্পর্কে কেমন ধারণা রাখে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিরপেক্ষভাবে তারা আপনাকে কিছু বিষয় বুঝতে সাহায্য করবে। এমন নয়- তারা যা বলবেন সেটিই সত্যি। তবে তাদের কথায় কিছু বিষয় হয়তো বুঝতে পারবেন, যা এর আগে ভালোবাসার মোহে এড়িয়ে গিয়েছেন।

ঝগড়া হলে

ঝগড়া ছাড়া প্রেম যেন পানসে লাগে! সব জুটির ভেতরেই ঝগড়া হয়, মনোমালিন্য হয়। কিন্তু আপনার প্রেমিক এই ঝগড়াকে কিভাবে সামাল দেন সেটিই আসল বিষয়। যদি তিনি ঝগড়ার পরে দীর্ঘ সময় রাগ পুষে রাখেন বা কথা বন্ধ রাখেন তবে অদূর ভবিষ্যতে স্বামী হিসেবে তিনি তেমন একটা সুবিধার হবেন না!

আশাবাদী

জীবন অনিশ্চয়তায় ভরপুর। কখনো উথ্থান, কখনো পতন। কোনো মানুষই নিজের সমস্যার কথা কোন হতাশাবাদীর সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান না। আপনার প্রেমিক কি অল্পতেই ভেঙে পড়েন কিংবা কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাকে একা ছেড়ে দেন? তাহলে তার সঙ্গে গাটছড়া বাঁধার আগে অবশ্যই আরেকবার ভেবে দেখুন।

সম্মান

সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকা সবচেয়ে জরুরি। প্রেমিক আপনাকে কতটা সম্মান করেন তার ওপর নির্ভর করে কতদিন আপনাদের সম্পর্ক বেঁচে থাকবে।

মনযোগী শ্রোতা

যদি প্রেমিকের সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে চান তবে লক্ষ করুন তিনি আপনার কথা শুনতে কতটা আগ্রহী। সারাদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা তিনি আপনার কাছ থেকে কতটা মনযোগ দিয়ে শোনেন? যদি তিনি মনযোগী শ্রোতা হন, তবে নিশ্চিত থাকুন স্বামী হিসেবে ভালো হবেন।

সহযোগী

 

বিভিন্ন সমস্যায় তিনি কতটা সহযোগিতা করেন? ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা অফিসের নানা সমস্যায় তিনি কি পাশে থাকেন? যদি থাকেন, চোখ বন্ধ করে আজীবনের জন্য তার হাতটি ধরতে পারেন।

ত্বকের পরিচর্যায় কিছু টিপস

ত্বকের নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়। সুস্থ ও সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে দিনের কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখা জরুরি। যে সময়টাতে আপনি একটুখানি যত্ন নিতে পারবেন নিজের। রইলো তেমনই কিছু রূপচর্চার টিপস।

ব্ল্যাকহেডস নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। দারচিনি গুঁড়া হাফ চামচ+১ চামচ ময়দার একটা প্যাক বানিয়ে নাকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এমনি এমনি ব্ল্যাকহেডস বেরিয়ে আসবে।

যাদের স্বাভাবিক অথবা তৈলাক্ত ত্বক তারা মসুর ডাল বাটা+চন্দন+টকদই দিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

যাদের বয়স ২৫ এর উপরে তারা কমলা লেবুর খোসার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কমলা লেবু বয়সের ছাপ দূর করে। ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসও চলে যায়।

যাদের মুখে ব্রণ আছে তারা নিম পাতার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে অনেক ধরনের নিম পাতার প্যাক পাওয়া যায়। বেছে নিন পছন্দ মতন।

বাইরে থেকে ফিরে মুখের ও হাত পায়ের পোড়া দাগ দূর করার জন্য টক দই লাগিয়ে নিন।

একদিন পরপর বাসায় স্ক্রাবিং করতে পারেন। এতে ত্বকের গভীর হতে ময়লা বের হয়ে আসবে। চিনি, লেবু, চালের গুঁড়া সামান্য মধুর সাথে মেশালে খুব ভাল ন্যাচারাল স্ক্রাবার হিসাবে কাজ করে। সারা শরীরেই ব্যবহার করতে পারবেন।

টমেটো এবং গাজরের রস মুখের বয়সের ছাপ দূর করার জন্য অনেক উপকারী। আবার রোদে পোড়া ভাব কমাতেও কাজে আসে।

চিকেন টমেটো কারি তৈরি করবেন যেভাবে

শীত চলে এসেছে। এ সময় টমেটো বেশ সহজলভ্য। এ টমেটো দিয়ে রান্না করা যায় মজার সব খাবার। তেমনই একটি পদ হলো চিকেন টমেটো কারি। চাইলে তৈরি করতে পারেন আপনিও। রইলো রেসিপি।

উপকরণ : মুরগির মাংস ৫০০ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৩টি, পেঁয়াজকুচি ২টি, লবঙ্গ ১ চা চামচ, টমেটো কুচি ২টি, তেল ১/৩ কাপ, আদাবাটা ১ চা চামচ, জিরা ১ চা চামচ, রসুনবাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ স্লাইস ২ টি, হলুদবাটা ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি : চামড়া ছাড়িয়ে হাড় বাদ দিয়ে মুরগি ৪ টুকরা করুন। প্রত্যেক টুকরার হাড় বের করে ছোট চৌকো টুকরা করুন। একটি গামলায় মাংসের সাথে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো বাটা মসলা কাঁচামরিচ, লবণ মেশান। ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে জিরা ছাড়ুন। পেঁয়াজ দিয়ে ভাঁজুন। পেঁয়াজ হালকা ভাজা হলে মাংস দিন। কড়া জ্বালে উল্টেপাল্টে ভাজুন। পানি শুকালে ধনেপাতা দিয়ে নামান।

সিঙ্গাড়া তৈরির সহজ রেসিপি

সিঙ্গাড়া শব্দটি শুনলে জিভে জল আসে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। প্রতিদিন শহরের অলিগলিতে অসংখ্য দোকানে দেখা মেলে এই সিঙ্গারার। কিন্তু বাইরে থেকে কিনে আনা সিঙ্গাড়া যে অতোটা স্বাস্থ্যকর নয়, তা আমাদের সবারই জানা। তবু সিঙ্গারা বলে কথা! মন তো খেতে চাইতেই পারে। আর সেজন্য ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু সিঙ্গাড়া। রইলো রেসিপি-

উপকরণ:
ময়দা- ২ কাপ, মৌরি- ১/২ চা চামচ, জিরা- ১/২ চা চামচ, মেথি- ১/২ চা চামচ, পেঁয়াজ ২ টি, কাঁচামরিচ- ৪-৬ টি, আদা ছেঁচা- ২ চা চামচ, জিরা টালা এবং গুঁড়ো- ১ চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়ো- ১ চা চামচ, কালজিরা- ১ চা চামচ, আলু- ১/২ কেজি, লবণ- প্রয়োজনমতো।

প্রণালি:
আলু খোসা ছাড়িয়ে মটরের মতো ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে। কড়াইয়ে তিন টেবিল চামচ তেল গরম করে মৌরি, জিরা ও মেথি একসাথে মিশিয়ে তেলে ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা ও একটি তেজপাতা দিয়ে ভাজুন ও আলু দিন। একটু ভাজা হলে এক চা চামচ লবণ ও তিন টেবিল চামচ পানি দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করুন। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে নেড়ে নেড়ে ভাজতে হবে যেন আলু ভাজা ভাজা হয় এবং একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায়। জিরা ও দারুচিনির গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।

ময়দায় ৪ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ময়ান দিন। কালজিরা মেশান। আধা কাপ পানিতে ১ চা চামচ লবণ গুলে এই পানি আন্দাজমতো দিয়ে ময়দা মথে নিন। খামির শক্ত হবে। এক ঘণ্টা রেখে দিন। খামির ভালো করে মথে ১২ ভাগ করে নিন। একভাগ ডিম এর আকারে বেলে ছুরি দিয়ে কেটে দু’ভাগ করে নিন (লম্বায় না কেটে পাশে কাটলে ভালো)। একভাগ দু’হাতে ধরে কোণ বা পানের খিলির মত ভাঁজ করুন। ভিতরে ভর্তি করে ঠেসে আলুর পুর দিন। খোলামুখে পানি লাগিয়ে ভালোভাবে এঁটে দিন প্যকেটের মতো। নীচের সুচালো অংশ একটু মুড়ে দিন। চওড়া মোড়ানো দিক উপরে দিয়ে সিঙ্গাড়া একটি থালায় সাজিয়ে রাখুন। এভাবে সব সিঙ্গাড়া তৈরি করে নিন।

কড়াইয়ে দেড় কাপ তেল মৃদু আঁচে অনেকটা সময় গরম করে নিন। আচ বেশি হলে সিঙ্গাড়া চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে। অর্ধেক সিঙ্গাড়া একবারে তেলে ছাড়ুন। মৃদু আঁচে ১৫-২০ মিনিট ভাজুন। হালকা বাদামি ও মচমচে হলে নামিয়ে নিন। জিরা, তেঁতুলের চাটনি, মেয়েনেজ বা টমেটো সসের সাথে গরম সিঙ্গাড়া পরিবেশন করুন।

ছেলেরা প্রথম দেখায় মেয়েদের যে বিষয়গুলো খেয়াল করে

পথ চলতে দেখা হয় কতজনের সঙ্গেই। কিছু দেখা থাকে বিশেষ। একটি ছেলে যখন একটি মেয়ের সঙ্গে প্রথম দেখা করতে যায় তখন দুজনের মধ্যেই কাজ করে চাপা দুশ্চিন্তা। কিভাবে সাজলে ভালো লাগবে, কোন পোশাকে মানাবে সেসব বিষয় তো রয়েছেই। এর বাইরেও থেকে যায় আরো কিছু বিষয়। এমনই সাতটি বিষয়-

হাসি
কখনো কখনো কথার চেয়েও হাসি বেশি কার্যকর। এক্ষেত্রে মেয়েটির ঠোঁটের কোণে এক টুকরো উষ্ণ হাসি দেখলে বুঝতে পারবেন সে কথা বলতে ইচ্ছুক। সে মুখ চেপে হাসছে তার মানে হলো সে আপনাদের মধ্যকার কথপোকথন উপভোগ করছে। তাই প্রথম দেখায় একজন ছেলে আপনার হাসির দিকেই নজরে দেবেন।

আত্মবিশ্বাস
একজন নারীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার আত্মবিশ্বাস। একজন নারী যদি আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী হন, তবে তার এই বৈশিষ্ট্য পুরুষের নজর কাড়বেই।

সেন্স অব স্টাইল
আপনি ছয় ইঞ্চি হিল পরুন, গাঢ় মেকআপ করুন কিংবা হালকা কাজল চোখে একদমই সাদামাটা থাকুন- আপনার নিজস্ব স্টাইল দেখেই কিন্তু একজন ছেলে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পায়। তারা হয়তো পরবর্তীতে মনেও রাখতে পারবেন না আপনি ঠিক কোন কোন ব্রান্ডের পোশাক-অনুষঙ্গ পরেছিলেন। কিন্তু প্রথম দেখায় আপনাকে দেখতে কেমন লাগছিল তারা এটি অবশ্যই মনে রাখবেন।

শারীরিক বৈশিষ্ট্য
ছেলেরা প্রকৃতিগত ভাবে এভাবেই তৈরি যে প্রথম দেখায় তারা একটি মেয়ের শারীরিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করবেনই। তাই একটি মেয়ে দেখতে কেমন সেটিও একটি বড় বিষয়!

বন্ধু
মেয়েটির বন্ধু কারা, কাদের সঙ্গে সে বেশি আন্তরিক সেদিকেও নজর রাখেন ছেলেরা। আপনার বন্ধুদের মুখে আপনার গল্প শুনতে তিনি পছন্দ করবেন। কারণ সেখান থেকে আপনার সম্পর্কে অনেককিছুই জানা যাবে।

চোখ
চোখকে বলা হয় মনের আয়না। ছেলেরা প্রথম দেখায় মেয়েদের চোখের দিকে অবশ্যই লক্ষ করেন। নিঃসন্দেহে মনের না বলা অনেক কথাই চোখে প্রকাশ পায়। মেয়েটির চোখের ভাষা পড়তে পারলে ছেলেটি তার লুকানো অনেককিছু বুঝতে পারবেন!

ঘ্রাণ
অন্যকিছু মনে থাকুক বা না থাকুক, প্রথম দেখায় মেয়েটির গায়ের গন্ধ ছেলেরা সবসময়ই মনে রাখে। মেয়েটি হয়তো পাশে থাকবে না, কিন্তু অনেকবছর পরও একইরকম ঘ্রাণ নাকে এলে ছেলেটি কিন্তু সবার আগে ওই মেয়েটিকে খুঁজবে।

ভিন্ন স্বাদে চালতার আচার

চালতা এখন শহরেও সহজলভ্য। রাস্তাঘাটে কিনতে পাওয়া যায় চালতার আচার। কিন্তু তা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী নয়। সুস্বাদু চালতার আচার তৈরি করতে পারেন ঘরেই। রইলো রেসিপি।

উপকরণ: বড় আকারের চালতা ২টি, চিনি ৫০০ গ্রাম, খেজুরের গুড় ৫০০ গ্রাম, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, মরিচ টালা গুঁড়া ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পাঁচফোড়ন গুঁড়া আধা চা-চামচ, মৌরি টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, সাদা ভিনেগার ১ কাপ ও বিট লবণ ১ চা-চামচ।

প্রণালি: চালতা টুকরা করে গরম পানিতে অল্প ভাব দিয়ে থেঁতলে নিতে হবে। তেল, গুড়, চিনি, লবণ, ভিনেগার একসঙ্গে চুলায় দিতে হবে। গুড় ও চিনি গলে গেলে চালতা দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। পর্যায়ক্রমে বাকি উপকরণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে। ঠান্ডা হলে বয়ামে ভরে রাখুন।