সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫২তম জন্মদিন আগামীকাল বুধবার।

সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

বাংলাদেশে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু

ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০২২ বাংলাদেশে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করেছে গুগল। অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম ফিচারটি ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। এ অ্যান্ড্রয়েড ফিচারটি বিশ্বজুড়ে ভ‚মিকম্প শনাক্তে ও ভ‚মিকম্প নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সহায়তা করবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সেন্সর এ ফিচার ব্যবহার করে। এছাড়াও, সক্রিয় অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোর মাধ্যমে ভ‚কম্পন-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় শনাক্ত করতে এ সিস্টেমটি অ্যাক্সেলেরোমিটার ব্যবহার করে। এ ফিচারটি ব্যবহারকারীদের দুই ভাবে ভ‚মিকম্প সম্পর্কিত আগাম সতর্কবার্তা পেতে সহায়তা করে; যা হলো: সার্চের মাধ্যমে ও সরাসরি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ডিভাইস থেকে।

এ সিস্টেমটি ব্যবহারকারীদের গুগল সার্চের মাধ্যমে ভূমিকম্প সংক্রান্ত ‘নিয়ার ইন্সট্যান্ট ইনফরমেশন’ (নিকটবর্তী স্থানের ভ‚মিকম্প সম্পর্কিত তাৎক্ষণিক তথ্য) প্রদান করবে। এ ফিচারটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা গুগলে ‘আর্থকোয়াক’ অথবা আর্থকোয়াক ‘নিয়ার মি’ লিখে সার্চ করলে ভ‚মিকম্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তাদের সামনে চলে আসে। একইসাথে ভ‚মিকম্পের পর করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কেও এ ফিচার থেকে মানুষ বিভিন্ন তথ্য পাবেন। তবে, যে সব ব্যবহারকারী ভ‚মিকম্প সম্পর্কিত এ ধরনের তথ্য পেতে চান না তারা ডিভাইস সেটিংয়ে যেয়ে সতর্কবার্তার বিষয়টি বন্ধ করে রাখতে পারবেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস, ফিলিপিন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আর্থকোয়াক নোটিফিকেশন (ভ‚মিকম্পন সংক্রান্ত তথ্য) ফিচারটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। নোটিফিকেশন অ্যালার্ট এর পাশাপাশি, ভ‚মিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি একটি ভৌগলিক এলাকার ব্যবহারকারীরা গুগল সার্চে ভ‚মিকম্পের তথ্য অনুসন্ধান করে একটি অ্যালার্ট কার্ডও খুঁজে পাবেন এবং ক্রাউডসোর্সড ফিডব্যাকও প্রদান করতে পারবে।
মোবাইল ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম দু’টি ভিন্ন ধরনের সতর্কতা বার্তা প্রদর্শন করে; তবে, এটি ভ‚মিকম্পের ভয়াবহতা ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে।

বি অ্যাওয়ার – ৪.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভ‚মিকম্প বা মডিফাইড মার্সিলি ইনটেনসিটি (এমএমআই) স্কেলে ভ‚মিকম্পের মাত্রা ৩ কিংবা ৪ হলে ‘বি অ্যাওয়ার’ ফিচারটি মানুষকে সতর্ক করে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে, ভ‚মিকম্পের উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব সহ ব্যবহারকারীর কাছে নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। এ সতর্কবার্তা ফোনের কারেন্ট ভলিউম, ভাইব্রেশন ও ডু নট ডিস্টার্ব সেটিং ব্যবহার করে পাঠানো হয়।

টেক অ্যাকশন – ৪.৫ মাত্রারও বেশি ভয়াবহ ভ‚মিকম্প কিংবা মডিফাইড মার্সিলি ইনটেনসিটি (এমএমআই) স্কেলে ভ‚মিকম্পের মাত্রা পাঁচ এর বেশি হলে ‘টেক অ্যাকশন’ ফিচারটি ভ‚মিকম্পের ফুল-স্ক্রিন সতর্কবার্তা প্রদান করবে। সম্ভাব্য ভয়াবহ ঝাঁকুনিতে মানুষকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করতে ডিভাইসে ফুল-স্ক্রিন নির্দেশনা ভেসে উঠবে এবং ফোনটি উচমাত্রার সংকেত প্রদান করবে।

অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম ফিচারটি নিউজিল্যান্ড ও গ্রিসে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়। বর্তমানে, এটি কাজাখস্তান, কিরগিজ রিপাবলিক, ফিলিপাইন, তাজিকিস্তান, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উজবেকিস্তানে চালু রয়েছে।

২০২০ সালের আগস্ট মাসে এ ফিচারটি চালু হওয়ার পর, হাজারো মানুষ এ ফিচারটির সুবিধা উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে, ভ‚মিকম্প সংঘটিত হওয়ার আগে মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত স্থানে যেতে এ ফিচারটির আগাম সতর্কবার্তা বেশ সহায়ক ভ‚মিকা রাখে। অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম ভ‚মিকম্প শনাক্ত করতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে সেন্সর দিয়ে থাকে এবং যেখানে ঘটনাটি ঘটে তার কোরস লোকেশন সহ শনাক্তকরণ সার্ভারে সংকেত পাঠায়। অনেক ফোন থেকে প্রাপ্ত তথ্য ভ‚মিকম্পের আসন্নতা এবং এর ভয়াবহতার মাত্রা নিশ্চিত করতে সার্ভারে প্রক্রিয়া করা হয়। মাল্টি-ডিভাইস বিশ্বে এবং অ্যান্ড্রয়েডে আরো নিবিড়ভাবে সংযুক্ত থাকার বিষয়টিকে সহজ করতে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেমটি গুগলের প্রচেষ্টার অংশ।

ব্যবহারকারীর ডিভাইসে সতর্ক বার্তাটি চালু আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে হবে- সেটিং>লোকেশন>অ্যাডভান্স> আর্থকোয়েক অ্যালার্ট।

এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে ব্যবহারকারীদের এই ঠিকানায় কিংবা এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

ডিজিটাল পাওয়ার ও ক্লাউড সার্ভিসে নতুনদের সুযোগ দিচ্ছে হুয়াওয়ে

ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২২ বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করেছে এমন ৬০ জনকে নিয়োগ দিবে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ব্যক্তি, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনসহ সকলের কাছে ডিজিটাল পাওয়ার এবং ক্লাউড সল্যুশনস পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই নিয়োগ দেয়া হবে।

হুয়াওয়ে ডিজিটালাইজেশন ও গ্রিন ডেভেলপমেন্টকে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। পাশাপাশি, তরুণরা যাতে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আইসিটি ইকোসিস্টেমকে বিকশিত করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন, সে সুযোগ তৈরিতেও কাজ করছে হুয়াওয়ে। আর এই লক্ষ্য থেকেই ৩য় পক্ষভিত্তিক চুক্তির আওতায় এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। পদগুলো হলো: বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ, সল্যুশনস আর্কিটেক্ট ও সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার।

এ নিয়ে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস ( বাংলাদেশ) লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক হুয়াং বাওশিওং বলেন, “গ্রিন ডেভেলপমেন্টকে উৎসাহিত করতে ও দেশের তরুণদের নানাভাবে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রাম আয়োজনের পাশাপাশি হুয়াওয়ে সদ্য পাশ করা শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে, যাতে করে তারা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করতে পারেন। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণে অনুপ্রাণিত করতে চাই, যা তাদের ক্যারিয়ারের পথচলাকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন ও গ্রিন ডেভেলপমেন্টকে উৎসাহিত করতেও ভূমিকা রাখবে।”

সারা দেশের সিএসই, ইইই, ইসিই কিংবা ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসব পদে আবেদন করতে পারবে। সদ্য স্নাতক পাশ করেছে অথবা ৪র্থ বর্ষ বা শেষ সেমিস্টারে পড়ছে এমন শিক্ষার্থীরা এই পদের জন্য অগ্রাধিকার পাবে। মাসিক বেতনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট ৬ মাসের চাকরীর শেষে এই ৬০ জন কর্মীদের একটি করে চাকরীর সনদ প্রদান করা হবে। জুন ২০২২ এর মধ্যে আগ্রহীরা pacd.bangladesh@huawei.com এ ঠিকানায় ইমেল প্রেরণের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ও তরুণদের বিকাশে নতুন তিনটি প্রতিযোগিতা নিয়ে এলো হুয়াওয়ে

স্থানীয় স্টার্টআপ এবং তরুণদের আইসিটি দক্ষতার বিকাশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে আজ (১৫ জুন) তিনটি নতুন প্রতিযোগিতা চালু করেছে। প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে: আইসিটি ইনকিউবেটর, অ্যাপ ডেভেলপার এবং টেক উইমেন। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এই তিন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

এ তিনটি প্রোগ্রামই নতুন স্টার্টআপের সূচনা এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরির ধারনা বাস্তবায়নে ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে, আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতাটি স্টার্টআপের ওপর আলোকপাত করবে। এ প্রতিযোগিতাটি দু’টি ভাগে বিভক্ত – আইডিয়া পর্যায় এবং সূচনা পর্যায় (আর্লি স্টেজ)। হুয়াওয়ে আয়োজিত আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতায় স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে আইডিইএ এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।

আইসিটি ইনকিউবেশন প্রতিযোগিতার আইডিয়া স্টেজ এবং আর্লি স্টেজ, উভয় ক্ষেত্রে বিজয়ীরা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি পাবেন। স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহীরা বিদেশে সফল স্টার্টআপের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন এবং সর্বোচ্চ এক লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট পাবেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে সর্বোচ্চ তিন লাখ ও এক লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ স্টার্টআপগুলোর প্রধান নির্বাহীরাও বিদেশে সফল স্টার্টআপের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন; সাথে পাবেন ৮০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট।

অন্য দুটি প্রতিযোগিতার এককভাবে আয়োজন করছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেলপার এবং হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একটি দলে সর্বোচ্চ দুই সদস্য থাকতে পারবে। র প্রতিযোগিতায় ৩.০ এর ওপরে সিজিপিএ সহ যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রোগ্রামটিতে শুধু নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদিকে, হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেলপার প্রোগ্রামে নারী-পুরুষ উভয়ই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

অ্যাপ ডেভেলপার এবং হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রতিযোগিতার বিজয়ী পাবেন ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি; পাশাপশি, তারা বিশ্বব্যাপী সফল অ্যাপ ডেভেলপারদের সাথে দেখা করারও সুযোগ পাবেন এবং ৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত হুয়াওয়ে ক্লাউড রিসোর্স পাবেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও এক লাখ টাকা প্রাইজমানি এবং তিন হাজার ও দুই হাজার মার্কিন ডলারের ক্লাউড রিসোর্স।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং-এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর, মূল বক্তব্য পেশ করেন ইসিই’র (চুয়েট) ডিন ও আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার অধ্যাপক ড. এম. মশিউল হক। তারপরে অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয় এবং বক্তব্য রাখেন সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেড’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিওও ইলমুল হক সজীব, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আইডিইএ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল সমাজ, জ্ঞনাভিত্তিক অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের একটা স্টার্টআপ কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। সেই বিষয়টাকে এগিয়ে দিতে এই প্রতিযোগিতা গুলোর মাধ্যমে চমৎকার একটা পার্টনারশিপ মডেল হুয়াওয়ে গড়ে তুলেছে। মোবাইল এ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য, আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের জন্য যে বিশেষ এই আয়োজন হুয়াওয়ে তৈরি করেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপরা আছেন, মেন্ট্রররা আছেন, বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে নিজেই আছে, এবং সর্বপোরি আমি বাংলাদেশ সরকার থেকে প্রতিনিধিত্ব করছি।”

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং বলেন, “আইসিটি ইনকিউবেটর প্রাথমিক পর্যায়ের স্টার্টআপ এবং আইডিয়া-স্টেজে থাকা স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করে প্রত্যেকের জন্য একটি কার্যকরী এবং টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবে। এ উদ্যোগটি নতুন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ইইই, ইসিই ও সিএসই বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদ্যমান দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এ প্রোগ্রামটি দেশের নারীদের (যারা প্রযুক্তি-বিষয়ক খাতে কর্মরত আছেন কিংবা প্রযুক্তি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন) প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার ওপরও আলোকপাত করবে। এ প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে সবাই সুবিধা লাভ করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।”

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বিমানবন্দরে ‘ই-গেট’ চালু করলো বাংলাদেশ, ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন পার…

ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) চালু হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তাতে একজন যাত্রী নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন ১৮ সেকেন্ডে।

জানা গেছে, বিমানবন্দরের ডিপার্চার (বহির্গমন) এলাকায় মোট ১২টি এবং অ্যারাইভাল (আগমনী) এলাকায় ৩টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। রোব ও সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে এ গেট ব্যবহার করা হয়েছিল। মূলত, ই-পাসপোর্টধারী যাত্রী ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট অতিক্রম করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৭ জুন) এ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত হোসাইন। তাদের সামনে ই-গেটের মাধ্যমে কয়েকজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

বিমানবন্দরে ই-গেট চালুর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। এর আগে ২০১৯ সালে শাহজালাল বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে তা চালু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ই-গেট চালুর তাগিদ দেন। এরপর তা চালু করতে কাজ শুরু করে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ।

Bangladesh Military Affairs 

‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এবং আমাদের অতি-সতর্কতা !
সালাউদ্দিন সেলিম : ইলন মাস্ক এর নতুন চমক ‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণায় বিস্মিত হয়েছেন আমাদের মাননীয় ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী’। কারণ ‘স্টারলিঙ্ক’কোন অনুমোদন ছাড়াই বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবসার ঘোষণা দিয়েছেন! ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী ঘটনা ঘটার আগেই আপনি সতর্ক হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিদেশী অনেক অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন- গুগল, নেটফ্লিক্স, ফেসবুক, অ্যামাজন, জি৫ সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং সফলভাবে তাদেরকে বাংলাদেশে রেজিস্টার্ড বিজনেস প্রতিষ্ঠান গঠন করাতে এবং বাংলাদেশে ভ্যাট দেওয়াতে বাধ্য করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
তবে অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে- ‘গুগল, নেটফ্লিক্স, ফেসবুক, অ্যামাজন, জি৫, ইত্যাদি..’ এই ধরনের সোস্যাল মিডিয়া কিংবা ওটিটি প্ল্যাফর্মগুলোকে ইন্টারনেট গেটওয়ে এর মাধ্যমে খুব সহজেই ট্রেস করা যায়। কিন্তু ‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে দেশিয় ইন্টারনেট গেটওয়ে এর মাধ্যমে ট্রেস করা হয়তো সম্ভব হবে না। এবং এখানে ব্যবহৃত স্যাটেলাইট ট্রান্সসিভার অ্যান্টেনাটি এত ছোট আকৃতির যে, কোন ব্যবহারকারী যদি এটি গোপনে ব্যবহার করে তাকেও ট্রেস করা সম্ভব হবে না।
আরও উল্লেখ্য যে, ‘BGAN’প্রযুক্তি নামে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা আরও বহু বছর আগে থেকেই বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে। Inmarsat নামক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যপী এই সেবা দেওয়া হয়ে থাকে (যদিও তার ব্যান্ডউইডথ অনেক কম), এর মাধমে ইন্টারনেট সেবা, ভিডিও কনফারেন্স, লাইভ স্ট্রিমিং, স্যাটেলাইট ফোন ইত্যাদি সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। দৃষ্টির অগোচরে থাকা সেই প্রযুক্তির কথা হয়তো অনেকেরই অজানা। তাই ‘BGAN’প্রযুক্তির ব্যবহার যেহেতু নজরে আসেনি তাই ‘Starlink’ প্রযুক্তির ব্যপারটিও গোপনে দৃষ্টির আড়ালে ব্যবহৃত হতে পারে।
তাই সহজ উপায় হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব, স্টারলিঙ্ক এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সেবা নেওয়ার সময় যখন স্টারলিঙ্ক এর পেমেন্ট গেটওয়েতে কোন পেমেন্ট হবে তখনই যেন তার ভ্যাট এবং অন্যান্য চার্জ কেটে রাখা হয়, যেমনটি করা হয় গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন ইত্যাদির ক্ষেত্রে। কারণ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার থামিয়ে দেওয়া মানে প্রযুক্তির জগত থেকে নিজেদেরকে পিছিয়ে রাখা। নব্বইয়ের দশকে অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের দেশ গোটা ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। তাই কোন কারণে স্টারলিঙ্ক প্রযুক্তি যদি ব্যান করা হয় তাহলে সেটা এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে চরম বোকামী।
তবে উল্লেখ্য যে, বিদেশি প্রযুক্তি দোষ গুন বিচার না করে আমাদের নিজেদের বিকল্প প্রযুক্তি নিয়ে ভাবাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এখন আমাদের সেই সক্ষমতাও আছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমেই প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব কিন্তু গত ৩ বছরেও সেই ব্যবস্থা হয়নি। তাই যতদ্রুত সম্ভব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবস্থা শুরু করা উচিত।
আরও একটি বিষয় সহজেই আন্দাজ করা যায় তাহলো- স্টারলিংক আমাদের দেশে জনপ্রিয় হতে হয়তো আরও একটু সময় লাগবে কারণ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গেলে ব্যবহারকারীকেও হতে হবে কিছুটা প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। যে ব্যবহারকারী স্টারলিংক ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী হবে সে একইভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও (যদি ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু হয়) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। কারণ ব্যবহারকারীর প্রান্তে ‘স্টারলিঙ্ক ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’দুই পদ্ধতিই খুব কাছাকাছি হবে।
তবে এর চেয়েও সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ‘ফাইভ-জি’প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু করা, সেক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ‘ফাইভ-জি’ প্রযুক্তির কাছে মার খাবে নিশ্চিত। কারণ ‘ফাইভ-জি’ এর ডেটা আদান-প্রদান ক্ষমতা স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মতোই। তবে প্রত্যান্ত অঞ্চলে কিছুটা বেগ পেতে হবে ‘ফাইভ-জি’প্রযুক্তিতে, কিন্তু এই সহজ ব্যবহার প্রক্রিয়ার কারণে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
দেশের সকল জেলা ও মফস্বল অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চত করার কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার জন্য একাধিক ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়া হয় তারপরেও রক্ষা হয় না। তাই স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়তা লাভ করবে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা চান এমন ব্যবহারকারীদের কাছে। তাই বিদেশি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দেশে প্রবেশের আগেই দেশিয় স্যাটেলাইট প্রযুক্তি কিংবা ফাইভ-জি সেবা চালু করে আমাদেরকে আগে থেকেই অভ্যস্ত করে ফেললে হয়তো তখন বিদেশি সেবা আমাদেরকে সহজে আগ্রহী করানোর সুযোগ পাবে না।
Copyright © Salauddin Salim
ইলন মাস্কের টুইটার কেনার চুক্তি আপাতত স্থগিত

টেসলার বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পরিকল্পনা অস্থায়ীভাবে স্থগিত রেখেছেন, তিনি ৪৪ বিলিয়ন ডলারের এই মালিকানা গ্রহণ করতে এগিয়ে যাবেন কিনা তা নিয়ে নতুন করে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
মাস্ক শুক্রবার সকালে টুইট করেছেন যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে স্প্যাম এবং জাল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি টুইটারের সমস্যা “স্প্যাম বট” পরিষ্কার করার বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন, যাতে সত্যিকারের লোকেদের অনুকরণ করে জাল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। টুইটার এরকম জাল অ্যাকাউন্ট কম রিপোর্ট করছে কিনা তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন।

কিন্তু কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে প্রকাশ করেছে যে তাদের বট আনুমানিক হিসেব কমপক্ষে দুই বছর ধরে কম। তাই কিছু বিশ্লেষক মনে করেন যে মাস্ক ক্রয় থেকে ফিরে আসার কারণ হিসাবে সমস্যাটি উত্থাপন করতে পারেন।

স্প্যাম/জাল অ্যাকাউন্টগুলি প্রকৃতপক্ষে শতকরা ৫ ভাগেরও কম- টুইটারের এই উক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে মাস্ক শুক্রবার সকালে টুইট করেছেন যে তিনি সন্দেহ করছেন যে অনোনুমদিত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এত কম।
পরিশেষে মাস্ক শুক্রবার টুইট করেছেন যে তিনি “এখনও মালিকানা গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” টুইটার বা মাস্ক কেউই শুক্রবার মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। টুইটারে জাল অ্যাকাউন্টের সমস্যা কোনও গোপন বিষয় নয়।

ইউ.এস. সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে তাদের ত্রৈমাসিক ফাইলিংয়ে, টুইটার নিজেই তাদের বট অ্যাকাউন্টের গণনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে তা সঠিক ছিল, তারা স্বীকার করে যে অনুমান আরো কম হতে পারে। ” তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিচার করলে আমাদের অনুমান, মিথ্যা বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টগুলি্র প্রকৃত সংখ্যাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন নাও করতে পারে এবং মিথ্যা বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের প্রকৃত সংখ্যা আমাদের অনুমানের চেয়ে বেশি হতে পারে,”।

কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির ব্যবসায়িক সাংবাদিকতা ও আর্থিক যোগাযোগের অধ্যাপক সারা সিলভার বলেন, মনে হচ্ছে মাস্ক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার অজুহাত হিসেবে স্প্যাম অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ব্যবহার করছেন।
সিলভার বলেন, ” শুধুমাত্র এই কারণেই তিনি চুক্তিটি সম্পাদনে বিরতি দিচ্ছেন, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।এটা তার জন্য নতুন কোনো বিষয় নয়।”

টুইটার এবং টেসলা উভয়ের স্টক শুক্রবার বিকেলে প্রচন্ড ভাবে ওঠা-নামা করছে। টুইটারের স্টক প্রায় ৯ শতাংশ কমে গেছে এবং টেসলার শেয়ার, যা মাস্ক টুইটার চুক্তিতে অর্থ সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করার প্রস্তাব করেছিলেন, প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে।

তবে টেসলার শেয়ার, যা মাস্ক টুইটারের মালিকানার জন্য কিছুটা বিক্রি করছেন সেট্ওি পড়ে যায় যখন প্রকাশ হয় যে সামাজিক প্ল্যাটফর্মই হচ্ছে মাস্কের লক্ষ্য।

গুগল অ্যাডসেন্সে বাংলা ভাষার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ৪ ডিসেম্বর

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অ্যাড নেটওয়ার্ক ‘গুগল অ্যাডসেন্স’-এ যুক্ত হয়েছে ‘বাংলা ভাষা’। গত ২৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে গুগল তাদের নেটওয়ার্কে বাংলা ভাষা যুক্ত করেছে। এবার ঢাকায় বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে গুগল।

২০০৩ সালে চালু হওয়া ‘গুগল অ্যাডসেন্স’র শুরুর পরই বিজ্ঞাপন সুবিধা থেকে পিছিয়ে ছিল বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটগুলো। তবে বাংলা ভাষার সাইটগুলোতে অ্যাডসেন্স চালুর করায় লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর (সোমবার) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে গুগল। বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষার ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কিছু বিবেচনা গুগল এ অ্যাডসেন্স চালু করে।

বিশ্বের প্রায় দেড় কোটি ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় অ্যাডসেন্স চালু হওয়ার ফলে এ সংখ্যায় নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে-ভারতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স চালু করা হয়েছে।

দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৪ কোটি ছাড়িয়েছে

প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশের মানুষের হাতে ১৪ কোটি ৭ লাখ ১৩ হাজার মোবাইল সিম রয়েছে। যাদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ৭ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার (মোবাইল সিম) ও ৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার (ইন্টারনেট)।

গত বছর সেপ্টেম্বরে গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ ১৫ হাজার। যা বেড়ে এ বছর ৬ কোটি ৩৮ লাখ ৮২ হাজারে পৌঁছেছে।

 

অন্যদিকে রবির গ্রাহক ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার। চলতি বছর রবি ও এয়ারটেল একীভূত করার পর এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ১১ হাজার।

বাংলালিংকের গ্রাহক ছিল ২ কোটি ৯৪ লাখ ৭১ হাজার। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৯ হাজারে।

সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক ছিল ২৯ লাখ ৮৯ হাজার। যা বেড়ে ৩২ লাখ ৪১ হাজারে পৌঁছেছে।

 

তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ লাখ থাকলেও এবার তা কমে ৯০ হাজারে হয়েছে।

এছাড়া আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার। এবছর এই সংখ্যা বেড়ে ৫৩ লাখ ২১ হাজারে পৌঁছেছে।

 

এই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে যারা বিগত ৯০ দিনের মধ্যে একবার হলেও সিম চালু করে হলেও ভয়েসকল, ইন্টারনেট কিংবা এসএমএস করেছেন তাদের অন্তর্ভু্ক্ত করা হয়েছে।

প্রতি একমাস পর পর বিটিআরসি দেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের সংখ্যার তালিকা প্রকাশ করে আসছে।

বাংলাদেশে রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু

বাংলাদেশের প্রথম রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ রেস্টুরেন্টে কোনো মানুষ নয়, কেবল রোবটই কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করছে। রাজধানীর মিরপুর রোডে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এবং আসাদ গেটের কাছে প্রধান সড়কের ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় এ রেস্টুরেন্টটির অবস্থান।

বুধবার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অডিটরিয়ামে রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাত্রা শুরু উপলক্ষে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থা এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকরা বলেন, বাংলাদেশে এটিই এ ধরনের প্রথম রেস্টুরেন্ট যেখানে রোবটের মাধ্যমে কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক এবং নতুন দিগন্তের সূচনা করলো। বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এ রেস্টুরেন্টটি পরিচালনা করবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।

 

শিশুদের বিনোদন ও খাবারের বিষয়টি চিন্তা করেই এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। রেস্টুরেন্টটির পরিচালক রাহিন রাইয়ান নবী বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় যে ওয়েটাররা কয়েক ঘণ্টা কাজ করার পরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সেই ক্লান্ত অবস্থায়ই তারা কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করতে বাধ্য হন। কিন্তু রোবট কখনোই ক্লান্ত হবে না। তাই যখন রোবট খাবার সরবরাহ করবে তখন এটি কাস্টমারকে আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। সেটি সব বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত রোমাঞ্চকর পরিবেশও তৈরি করবে। বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাবারের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে যাতে সব শ্রেণির মানুষই এ সেবা নিতে পারেন। শিশুদের জন্য আমাদের বিশেষ কিছু খাবার থাকছে। এবং আমরা খাবারের মান ও পারিবারিক পরিবেশ অবশ্যই বজায় রাখা হবে। যাতে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যে কেউ এখানে খেতে আসতে পারেন।’

যারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাদের সবাইকেই রোবটের কার্যক্রম দেখেন। উপস্থিত সবার জন্যই এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা।

 

রেস্টুরেন্টটির পরিচালক আরো বলেন, একজন ওয়েটারের পক্ষে সব সময় খাবারের গুণগতমান নিশ্চিত করা ও জীবানুমুক্ত থাকা সম্ভব হয় না। তাই আমরা রোবট দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছি। রেস্টুরেন্টটিতে প্রাথমিকভাবে দুইটি রোবট কাজ শুরু করবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেস্টুরেন্টটির পরিচালক রাহিন রাইয়ান নবী, এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ, কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজার তানভিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে রোবট ডিজিটালাইজেশনের জন্য যে কোনো সহযোগিতা করার জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত।

 

যে কারণে এ উদ্যোগ

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুন নবী মজুমদারের দুই সন্তান তাসিন রওনাক নবী এবং রাহিন রাইয়ান নবী বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য অধ্যয়নরত অবস্থায় চীন সফরে যান। সেখানে গিয়ে তারা চীনের রোবট দ্বারা খাবার সরবরাহ পদ্ধতি দেখে আকৃষ্ট হন। তারা তখন সংশ্লিষ্ট রোবট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়ার্জ এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বাংলাদেশে রোবট রেস্টুরেন্টে চালুর বিষয়ে আলোচনা করেন। এর প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশে চালু করা হয়।

সর্বসাধারণের সুবিধার্থে প্রাথমিক অবস্থায় আগামী এক মাসের জন্য শিশুদের ‘কিডমিল’ এবং দেশীয় খাবারের সেট ফুড পরিবেশন করা হবে। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকার বেশি হবে না।