‘ধাক্কা লাগায়’গরম তেলে শিশুর হাত ঝলসে দিলেন বাবুর্চি

ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে এক শিশুর হাত গরম তেল দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হোটেলের এক বাবুর্চির বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে যশোরের ভৈরব হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা ওই শিশুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহত শিশুর নাম আইমান রাহাত। তার বয়স ১০ বছর। সে অভয়নগর চেঙ্গুটিয়া বাজারের জামাল মোল্লার ছেলে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত হোটেলের বাবুর্চি ইব্রাহিম বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ। ইব্রাহিম বিশ্বাস যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির মা ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে এসে রাতে খাবার খেতে ভৈরব হোটেলে যান। খাওয়া শেষে হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় হোটেলের সামনে বাবুর্চি ইব্রাহিমের সাথে শিশুটির অসাবধানতা-বসত ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশু রাহাতের শরীরে গরম তেল ছুড়ে দেন বাবুর্চি ইব্রাহিম বিশ্বাস। গরম তেলে ঝলসে যায় শিশুটির বাম হাত। তাকে দ্রুত ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, রাতে আইমান নামে এক শিশুকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাম হাত গরম তেলে ঝলসে গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, শিশুর হাতে গরম তেল ঢেলে নির্যাতনের ঘটনায় হোটেলের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

সরকারের চাল মজুদদারদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান শুরু

ভোক্তাদের জন্য সুষ্ঠু খাদ্য সরবরাহ চেইন বজায় রাখার লক্ষ্যে এবং কতিপয় অসাধু বিক্রেতার কারসাজি রোধ করতে সরকার অবৈধ ধান-চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করেছে।

অবৈধ ধান মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং চলমান ধান কাটার পূর্ণ মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করতে মন্ত্রিসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর এই অভিযান শুরু হয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযানের বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. মজিবুর রহমান বাসসকে বলেন, এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক এবং খাদ্য অধিদপ্তরের বৈধ লাইসেন্সধারী চাল ব্যবসায়ী, রাইস মিলারদের কেউই চলমান ফসল কাটার মৌসুমে তাদেও জন্য নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ সীমার অতিরিক্ত চাল বা ধান মজুদ করতে পারবেন না।

ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে এই কর্মকর্তা বলেন, কিছু ব্যবসায়ী ধান কাটার মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে ধান মজুদ করে যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং সম্পূর্ণ বেআইনি। যারা ফসল কাটার  মৌসুমে অবৈধভাবে চাল বা ধান মজুদ করার চেষ্টা করবে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

এই সিদ্ধান্তের আওতায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনটি এবং খাদ্য অধিদপ্তরের অন্য পাঁচটি নিয়ে মোট আটটি টিম আজ থেকে অবৈধ খাদ্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।একজন খাদ্য কর্মকর্তা জানান, সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর বাবুবাজার পাইকারি চালের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের টিম। এসময় বেশির ভাগ ব্যবসায়ী তাদের দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

চাল ব্যবসায়ীদের খাদ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও তাদের গোডাউনের খাদ্য মজুদ যাচাই করেছে দলটি। দলটি দেখেছে যে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারি করা বেশিরভাগ ট্রেডিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই অভিযান সারা বছরই চলবে উল্লেখ করে রহমান বলেন, ভোক্তাদের জন্য চাল ও ধানের সরবরাহ নির্বিঘœ রাখার লক্ষ্যে সরকার মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জাতীয় নিরাপত্তা  গোয়েন্দা (এনএসআই) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও সারাদেশে অভিযানে অংশ নেবেন।

এ ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩, ০১৭৯০৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩০০৩৫০৬ নম্বরে ডায়াল করে অবৈধ মজুদদারদের সম্পর্কে কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী শিগগিরইই কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বিত বৈঠকের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানম, অতিরিক্ত সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

যুদ্ধাপরাধ: নওগাঁর জামায়াত নেতা মন্টুসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নওগাঁ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনকে ফাঁসির সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ১৪০ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

রেজাউল করিম মন্টু ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মো. শহিদ মণ্ডল ও মো. নুরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩১ মে) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি একেএম হাফিজুল আলম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে গত ২৯ মে নওগাঁর এ মামলায় রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনের রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত তিনটি অভিযোগ

অভিযোগ-১: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক চারটা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০-১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ-২: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এসময় তারা ১৫-২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ-৩: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক পাঁচটা থেকে পরদিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এই সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০-৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

রাশিয়া থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর সিদ্ধান্ত ইউরোপের
   নতুন এই সিদ্ধান্তকে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ননা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ বন্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একমত হয়েছেন। এর ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল আমদানি বন্ধ হবে। ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে যে তেল আমদানি করে তার দুই-তৃতীয়াংশ আসে সমুদ্রপথে। কিন্তু পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনা আপাতত বন্ধ হচ্ছে না।

রাশিয়ার উপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এক ধরণের সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে। কারণ, হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করেছে। রাশিয়ার থেকে পাইপলাইনে তেল আমদানির বন্ধের বিষয়ে তারা রাজী নয়। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিচেল বলেছেন, এই সমঝোতার ফলে রাশিয়া যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় করছে সেটির বড় উৎস বন্ধ হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার উপর এনিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সবগুলো অংশ নিয়েছে।

মি. মিচেল বলেন, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবার ব্যাপারে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছে।

                                       হাঙ্গেরির পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করছে গ্রিনপিস।

 

রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা কয়েক ঘন্টা ধরে বৈঠক করেছেন। কারণ, হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করছিল। হাঙ্গেরি তার চাহিদার ৬৫ শতাংশ তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে ইউরোপীয় কমিশন প্রথমে প্রস্তাব করেছিল। এজন্য একমাস আগে কমিশন তাদের সদস্য দেশগুলোর জন্য একটি আইনও তৈরি করেছিল। কিন্তু হাঙ্গেরির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা আসে। এছাড়া স্লোভাকিয়া এবং চেক রিপাবলিকের মতো যেসব দেশের সমুদ্রবন্দর নেই তারাও রাশিয়ার তেলের উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আসতে সময় চেয়েছিল। অন্যদিকে বুলগেরিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তারাও কিছু সময় চেয়েছিল।

Source : BBC BANGLA

দূষিত শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে ঢাকা

বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানী ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬২ রেকর্ড করা হয়েছে।

ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে একিউআই ১৫৬ ও ১৫৫ স্কোর নিয়ে পরের দুটি স্থানে রয়েছে।

বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে হাতাহাতি, লন্ডনে আটক ৭ যাত্রী

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটে হাতাহাতির ঘটনায় ৭ যাত্রীকে আটক করেছে হিথ্রো বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৫ মে সিলেট থেকে সরাসরি লন্ডনগামী বিমানের ফ্লাইটে ওই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি। ওই ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক যাত্রী গালিগালাজ করছেন এবং ২ নারী যাত্রীর সঙ্গে হাতাহাতি করছেন।

তিনি বলেন, আমরা যতদূর জেনেছি, সামনের সারির এক যাত্রীর পায়ে পা লেগে যাওয়ার পর ঘটনার সূত্রপাত। এরপর ওই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে বিমানের কয়েকজন যাত্রী এ ধরনের অশোভন ঘটনা ঘটিয়েছেন।

আবু সালেহ আরও বলেন, ফ্লাইটের কেবিন ক্রুরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর অনুযায়ী ফ্লাইটটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় এবং ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করেন। পরে হাতাহাতির ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৭ যাত্রীকে হিথ্রো বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আটক করে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানের এমডি। তবে ওই ৭ যাত্রীর পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

সেলিম খানকে বালু উত্তোলনের অনুমতির রায় বাতিল

মেঘনা নদীর ডুবোচর থেকে চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানকে বালু উত্তোলনের হাইকোর্টের অনুমোতি বাতিল করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতি সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।
এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বালু উত্তোলনে যে সব নিয়ম মানতে হয়, এখানে তার কোন কিছুই অনুসরণ করা হয়নি। বালুমহল ঘোষণা, বালু উত্তোলনে দরপত্র আহ্বানসহ এর কোন কিছুই করা হয়নি। তাই হাইকোর্টের রায়টি আপিল বিভাগ বাতিল করে দিয়েছেন। ফলে সেখান থেকে আর বালু উত্তোলন করা যাবে না।

এটর্নি জেনারেল বলেন, রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। আজ রায়টি আপিল বিভাগ বাতিল করলো।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। আর সেলিম খানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, হাইকোর্টের রায় বাতিল করার ফলে মেঘনা নদী থেকে সেলিম খানের বালি তোলার আর কোনো সুযোগ নেই।

চাঁদপুরে মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন গত ৪ এপ্রিল আদেশ দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। চেম্বার কোর্ট  বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১০ জন নিহত

জেলার উজিরপুর উপজেলায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে গাছের সঙ্গে একটি  বাসের ধাক্কা লেগে নারী ও শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার সানুহার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ বাসস’কে জানান, যমুনা লাইনের একটি বাস ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সকালে বাসটি উজিরপুর উপজেলার বামরাইল পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে নারী ও শিশুসহ ১০ যাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। গুরুতর আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গৌরনদী ও উজিরপুরের দু’টি ইউনিট উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গাড়িটি দুমড়েমুচরে গেছে। গাড়ির কিছু অংশ কেটে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আবাসিক চিকিৎসক ডা. প্রণব রায় জানান, এ দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৬ জনের চিকিৎসা চলছে। বাকিদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে নিত্য যাত্রী ভোগান্তি

ভোগান্তির অপর নাম হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিশ্বের যে প্রান্ত থেকেই আসেন ঢাকার এই বিমানবন্দরে নামতেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারী ও পর্যকটকের কাছে দেশে ‘আয়না’ হিসেবে পরিচিত এই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অনিয়মই হয়ে গেছে নিয়ম। ভিভিআইপি এবং হোমরা চোমরা ছাড়া প্রায় সব শ্রেণির যাত্রীকে পোহাতে হয় ভোগান্তি।
বিশেষ করে বিদেশে যারা শ্রম দিতে যান সেই প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। সাধারণ যাত্রীদের পদে পদে পড়তে হয় দুর্ভোগে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেন দেশি বিদেশী যাত্রী হয়রানির ‘হাব’ এ পরিণত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অধিক সংখ্যক ফ্লাইট একই সময়ে হলে দুর্ভোগ হয় অনেক সময়।
যাত্রীদের লাগেজ পেতে সময় লাগতে পারে। এটা ছাড়া আমাদের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার। সবকিছুই মনিটর করা হচ্ছে।

বিমানবন্দরে বিদেশ যাওয়া এবং বিদেশ থেকে এলেই যাত্রীদের গাড়ি চালকদের টানাটানি, ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়, স্বল্পসময়ে অধিক ফ্লাইট ওঠানামা, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ, যাত্রীদের স্ক্যান করার পরও কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে আলাদাভাবে তল্লাশি, লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা, পার্কিং বিড়ম্বনা, ট্রলি সঙ্কট, দালালের উৎপাত বেড়ে গেছে। এমনকি বিমানবন্দরে পৌঁছে ঠিকঠাক মত তথ্য না পাওয়া, বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দরেই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অতিবাহিত করতে হয় যাত্রীদের। শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরের টয়লেটগুলো ও ভেতরের মেঝে প্রায় সময় নোংরা অবস্থায় দেখা যায়। এতে মশার উৎপাত দিন দিন বেড়েই চলছে। যাত্রীদের এসব ভোগান্তির শেষ কবে হবে তা জানা নেই সংশ্লিষ্টদের। তবে ভোগান্তি শেষ করতে না পারলেও শিগগরই ট্রলি সঙ্কট কেটে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নতুন পরিচালক। আর যাত্রী ভোগান্তি কমাতে শুরু হয়েছে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং।

বরিশালে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

বরিশালঃ জেলার উজিরপুরে বেপরোয়া গতির বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। রোববার (২৯ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- রমজান আলী (৪০), ঝালকা‌ঠি সদর উপজেলার নেয়ড়ী এলাকার ম‌নির হো‌সেন হাওলাদা‌রের ছে‌লে আরাফাত হো‌সেন হাওলাদার (৯), পি‌রোজপু‌রের মঠবা‌ড়িয়া উপ‌জেলার উত্তর ভেচ‌কি এলাকার কুদ্দুস আক‌নের ছে‌লে নজরুল ইসলাম আকন (৩৫), একই উপ‌জেলার ভেচ‌কি এলাকার রা‌কিব আক‌নের স্ত্রী আ‌নোয়ারা বেগম (২০), বরগুনার বেতাগী উপ‌জেলার কা‌জিরবাদ এলাকার মোবারক আলী বেপারীর ছে‌লে হা‌লিম মিয়া (৩১), ফ‌রিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার সুতারকান্দা এলাকার মৃত আওলাদ আলীর ছে‌লে সেন্টু মোল্লা (৫০) ও ব‌রিশা‌লের উ‌জিরপুর উপ‌জেলার মুন্ডুপাশা গ্রা‌মের মনোরঞ্জন শী‌লের ছে‌লে মাধব শীল (৪৫)।

উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে শনিবার রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যমুনা লাইন পরিবহনের একটি বাস। উজিরপুরের সানুহার এলাকা অতিক্রমকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে বাসের ভেতর থেকে আট যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। আহত ১৮-২০ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওসি আলী আর্শাদ আরও বলেন, সকাল সোয়া ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের পাশের ডোবা থেকে আরও এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আরেক বাসযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।