ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮ টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণকল্পে আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যনার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহা দিবাগত রাত্রিতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারা দেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানগণ জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ণপূর্বক পবিত্র পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবে।  বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দেশের সকল হাসপাতালও কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবে। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ও চলচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য মুসলিম দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, রীতি ও রেওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারার অনুষ্ঠানমালা তৈরির অগ্রাধিকার দেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল শিশুপার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
কুরবানি পরবর্তী কুরবানিকৃত পশুর বর্জ্য পদার্থ অপসারণ বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়, কুরবানিকৃত পশুর রক্ত ও বর্জ্য পদার্থ দ্বারা যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহার পূর্ববর্তী জুমার খুৎবায় এ বিষয়ে মুসুল্লিদের সচেতন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে।

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল আউয়াল হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র  , পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় , স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা সশরীরে ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

বন্যাকবলিত এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সংযোগ স্থাপন

বন্যাকবলিত সিলেট সুনামগঞ্জ নেত্রকোণা ও উত্তরবঙ্গে জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন শুরু হয়েছে।

এ লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মাস্তাফা জব্বারের নির্দেশে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড ইন্টারনেটসহ নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ভিস্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শনিবার ১২টি ভিস্যাট যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করা হয়। আজও নেত্রকোণা ও উত্তরবঙ্গে ভিস্যাট হাব স্থাপিত হবে।

সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরকেও আরও ২৩ সেট ভিস্যাট যন্ত্রপাতি দেয়া হচ্ছে। এর ফলে আরও ২৩ টি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা হবে।

এছাড়াও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি বন্যা কবলিত এলাকায় নিয়োজিত সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ভিস্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে সক্ষম, যার মাধ্যমে বন্যাকবলিত আরো এলাকায় জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা যাবে। মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সচল করার কাজেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ ব্যবহার করতে পারবে।

ভিস্যাট এর মাধ্যমে দুর্যোগকালীন নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএসসিএল এরই মধ্যে একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে, যেটি মাঠ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করবে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় টেলিযোগাযোগ সেবা চালু রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোবাইল অপারেটরসমূহকে বানভাসি মানুষদের জন্য প্রত্যেকে তিনটি করে টোল ফ্রি নম্বর চালু করার নির্দেশে দিয়েছেন। নির্দেশনার আলোকে মোবাইল অপারেটরসমূহ টোল ফ্রি নাম্বার চালু করেছে। টোল ফ্রি নাম্বারগুলো হচ্ছে: গ্রামীণফোন: ০১৭৬৯১৭৭২৬৬, ০১৭৬৯১৭৭২৬৭, ০১৭৬৯১৭৭২৬৮ রবি: ০১৮৫২৭৮৮০০০, ০১৮৫২৭৯৮৮০০, ০১৮৫২৮০৪৪৭৭ বাংলালিংক: ০১৯৮৭৭৮১১৪৪, ০১৯৯৩৭৮১১৪৪, ০১৯৯৫৭৮১১৪৪ এবং টেলিটক: ০১৫১৩৯১৮০৯৬, ০১৫১৩৯১৮০৯৭, ০১৫১৩৯১৮০৯৮।

সিলেটকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা উচিত : বাংলাদেশ ন্যাপ

সিলেটকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার দাবির পাশাপাশি সমগ্র সিলেটসহ আশে পাশের জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রবিবার ( ১৯ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আাহ্বান জানান।

তারা বলেন, সিলেট নগরী ও জেলার সবকটি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে।অধিকাংশ গ্রাম ও অসংখ্য ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে মানুষ ও জনপদ। দেখা দিয়েছে খাবার ও আবাসন সংকট। তাই অসহায় পানিবন্দী বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে সিলেটের পানিবন্দী উপজেলা গুলোকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে বন্যর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে বলেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে। বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নেওয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছে। বন্যাকবলিত এই সব মানুষদের দ্রুততার সাথে উদ্ধার করে দ্বিতল বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র চালু করতে হবে।

তারা বলেন, মানুষের স্বার্থে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে বলেই হঠাৎ এমন বার বার বন্যা। অপরিকল্পিত উন্নয়নও এই বন্যার অন্যতম কারন। আজ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক বন ধ্বংশ করে বাণিজ্যিক বন কেন? হাওরে হাইওয়ের মতো রাস্তা থাকবে কেন? নতুন করে চিন্তা করতে হবে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত ভৈরব ব্রীজ সুরমা-কুশিয়ার নাব্যতার সংকট তৈরীতে বেশ ভূমিকা রেখেছে। কিশোরগঞ্জের হাওরে নির্মিত রাস্তা আর ভৈরব ব্রীজ থাকবে, কিন্তু পানি যাতে আরো দ্রুত স্রোত নিয়ে যেতে পারে, সেই পরিকল্পনা করতে হবে।

তারা বলেন, দ্রুত সিলেট বিভাগকে বন্যা দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্যা কবলিতদের উদ্ধার, আশ্রয়দান ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। একই সাথে মানুষসৃষ্ট এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবাইকে সম্মিলিত ভাবে বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে বর্ণাট্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আজ ১৯ জুন (রবিবার) বিশ্ব বাবা দিবস। বিশ্বের ১১১ টির বেশি দেশে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। উক্ত দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের উদ্দেশ্যে মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন (এম.আর.এফ) এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে সকাল ১০:৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ল্যালীটি হাইকোর্টের মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়। উক্ত র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন অত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক- মোঃ মাজেদ ইবনে আজাদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অত্র সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এইচ এম সোলায়মান চৌধুরী সুজন- কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তানভীর হায়দার- আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ- এম এ সালাম প্রধান (দাদা ভাই), যুগ্ন আহ্বায়ক- লিটন গাজী, সদস্য সচিব- মোঃ ইয়াসিন, সদস্য- সাংবাদিক/আল বারু মুস্তাকিম নিবিড়, ইমদাদুল হক মিলন, ওবাইদুল্লাহ আল মাহবুব, আব্দুল বাছেদ, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মোঃ শহিদুল ইসলাম মিরাজ, সদস্য মেহেদী হাসান ঝিনুক. গাজীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউসার আহমেদ রুবেলসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য ঢাকা সহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে র‌্যালী ও আলোচনা সভার মাধ্যমে বাবা দিবস পালন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এইচ এম সোলায়মান চৌধুরী সুজন বলেন, বাবা বটবৃক্ষের ছায়া। বাবা মানে নির্ভরতা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে বাবা-মা দুজনই সন্তানকে লালনপালন করে বড় করে তোলেন। কারও দায়িত্ব কারও চেয়ে কম নয়। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরে নারী-পুরুষের আইনী বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই আইনী বৈষম্যের দ্রুত সংস্কার হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন তিনি আরও বলেন পিতাই ধর্ম, পিতাই স্বর্গ, পিতাই পরম তপস্যা। সন্তানের প্রতি পিতা বা বাবার ভালোবাসা চিরকালের। এম এ সালাম প্রধান (দাদা ভাই) বলেন, পবিত্র কোরআনে বাবা-মায়ের সম্মান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে তাদের সঙ্গে উহ! শব্দ পর্যন্ত করো না। কোন জাতি, ভাষা, ধর্ম ও বর্ণ নয় বাবাই সবার পথপ্রদর্শক। মা দিবস বা বাবা দিবস তাদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে পিতা-মাতার প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তাই বলা যায়, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে মা দিবস বা বাবা দিবসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

ইমদাদুল হক মিলন- বলেন সন্তানকে সুস্থ মানুষ গড়ে তুলতে বাবা মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। আমরা মেডিকেল সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে দেখি পরিবারের সুস্থতা চিন্তা করতে গিয়ে কখন সে নিজে অসুস্থ হয়ে গেছে বলতেই পারেন না। যখন অসুস্থতা জানতে পারেন তখন তার সীমানা অতিক্রম। তখন সে আর্থিক টানাপোড়ন এবং পরিবারের চাওয়া পাওয়া চিন্তা করে নিজের সু-চিকিৎসা না করে তা গোপন রেখে আবার কাজ শুরু করেন। শুধু আড়ালে চোখের পানি সম্পদ হয়ে রয়।

মোঃ শহিদুল ইসলাম মিরাজ, পিতৃ দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে বাবাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানানোর। তাছাড়া পিতৃ দিবস পালনের ফলে সমাজে এবং পরিবারে বাবাদের যে অবদান তা যে সমাজ এবং নিজের সন্তনরা মুল্যয়ন করছে, এ বিষয়টিও বাবাদের বেশ আনন্দ দেয়। তাছাড়া অনেক সন্তানই আছে, যারা পিতা-মাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। তাই রাষ্ট্রীয় ভাবে আইন হওয়া দরকার।

কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক- মোঃ মাজেদ ইবনে আজাদ এর সভাপতিত্ব বক্তব্য আলোচনায় উঠে আসে প্রতিবছর জুনের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বাবা দিবস উদ্যাপিত হয়। আধুনিকতাকালে একক পরিবারে বাবার বা পুরুষের গুরুত্ব অপরিসীমা। অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনই উপার্জন করেন। কিন্তু কখনো আমাদের দেশের অনেক পরিবারে বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি। বাবার উপার্জনেই সংসারের সব ব্যয়নির্বাহ হয়। সন্তানের শারীরিক, মানসিক দুই ধরনের বেড়ে ওঠার জন্য বাবা তার সবকিছু উজাড় করে দেন। অনেক পুরুষ নিজে আধ পেট খেয়েও মা, স্ত্রী, সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেন। বাবাদের জন্যে কোন আইন নেই। তাই রাস্ট্রীয় ভাবে আইনগত দিক থেকে বাবাদের অধিকার নিশ্চিত করা হোক। বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে পারিবারিক অশান্তি, কলহ, ডিভোর্স, সেপারেশন ইত্যাদি ব্যাপক হারে। যার প্রধান কিছু কারণগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে কর্ম ব্যাস্ততায় ঐ পরিবারে পুরুষটির সময়ের অভাব। পারিবারিক শান্তি ও বন্ধন অটুট রাখতে অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের সকল বেসরকাররি প্রতিষ্ঠান গুলোতে শুক্রবারের সাথে শনিবার বন্ধ ঘোষনা করার জোর দাবি জানান সরকারের কাছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন (এম.আর.এফ) বাবাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে এবং বাবাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য আইন-তৈরীর দাবি করা হয় বক্তারা বাবাদের ত্যাগ ও সমাজে উপেক্ষিত হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা আলোকপাত করেন। তারা বলেন বাবার কারণে প্রতিটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। আর বাবা হলেন সন্তানের শ্রেষ্ঠ হিরো। যিনি নিজের জীবনের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের কে গড়ে তোলেন নিবিড় ভালোবাসায়।

উল্লেখ্য বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাবা দিবস পালন করা শুরু হয়। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকায় পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় প্রথম বাবা দিবস পালিত হয়। এ বিষয়ে ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উথাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। এই দিবসটির তাৎপর্য উপলব্ধি করে ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ছয় বছর পর ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এটিকে আইনে পরিণত করে প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর দোকান-বাজার বন্ধ রাখতে সরকারের নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সারাদেশে প্রতিদিন রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট ও বিপণী বিতান বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

বিশ্বব্যাপী অব্যাহত বিদ্যুত ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংরক্ষণের লক্ষ্যে আজ জারি করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জননিরাপত্তা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সমস্ত বিভাগীয় কমিশনার, সমস্ত রেঞ্জের মতো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবগণ। পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক, সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১১৪ ধারা অনুযায়ী কঠোরভাবে আদেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।

হজে গিয়ে মারা গেছেন নোয়াখালীর বৃদ্ধ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজপালনে সৌদি আররে গিয়ে নোয়াখালীর এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তাঁর নাম মো. নুরুল আমিন (৬৪)। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জরে নরোত্তমপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল আমিন মঞ্জিলের ফজলে মিয়ার ছেলে। পাসপোর্ট নম্বর- ইএফ০৭৫৮০০৬।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্পডেস্কের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, মো. নুরুল আমিন নামের ৬৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। বৃহস্পতিবার মক্কায় তার মৃত্যু হয়। তিনি কিভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, নিহতের পরিবারের আপত্তি না থাকায় ১৬ জুন বৃহস্পতিবার আসর নামাজের পর মক্কায় জানাজা শেষে সরাইয়া নামক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত পবিত্র হজে সৌদি আরব গেছেন ১৫ হাজার ৭২৫ যাত্রী। যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছিল ৩ হাজার ৩৮৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ১২ হাজার ৩৩৯ জন।

হজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট ছেড়েছিল ৪২টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৪টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ৫টি ফ্লাইট।

শাহ আমানতে স্বর্ণ ও সিসাসহ যাত্রী আটক

চট্টগ্রাম : শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীকে ১কেজি ২৪৪ গ্রাম স্বর্ণ, ৯ কেজি সিসাসহ আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ১৬জুন) সকাল ৭টার দিকে গোপন সংবাদের জামালপুরের মাসুদ রানা নামের ওই যাত্রীকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একজন শুল্ক গোয়েন্দা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ১৪৮ ফ্লাইটে দুবাই থেকে আসা ওই যাত্রীকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ১ কেজি ২৪৫ গ্রাম স্বর্ণ ও ৯ কেকিজ সিসা পাওয়া যায়। এরপর তাকে আটক ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এ ঘটনায় ওই যাত্রীদের বিরুদ্ধে কাস্টম আইন ও প্রচলিত আইন মামলা এবং স্বর্ণ ও সিসা কাস্টমস কোষাগার জমা দেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।

জেলে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে বিয়ে করায় বন্ধুকে খুন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার খুনী

স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করায় বন্ধু রাকিব হোসেনকে খুন করার অভিযোগে রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি জানান- রাসেলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, খুন ও অস্ত্র আইনে ১৩টি মামলা রয়েছে। জেলে থাকা অবস্থায় রাসেলকে ডিভোর্স দিয়ে তার স্ত্রী বিয়ে করেন রাকিবকে। রাসেল ৩১ মে জামিনে মুক্তি পায়। জেলহাজত থেকে বের হবার পরই রাসেল রাকিবকে খোঁজ করতে থাকে। পরে, ১ তারিখ কৌশলে সান্তাহার রেলওয়ে থানাধীন রেলস্টেশনের তিন নাম্বার প্লাটফর্মে ডেকে রাকিবকে ছুরিকাঘাত করে ক্ষুদ্ধ রাসেল। রাকিবকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

পরে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে সিআইডির টিম। তাকে নাটোরে পাঠিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

সূত্র: যমুনা টিভি

জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ

গাজীপুর : গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকাগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহীদুল্লাহ হিরো।

তিনি জানান, শ্রীপুর স্টেশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। একপর্যায়ে ট্রেনটি রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন স্টেশনে কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে আছে। বগিটি উদ্ধারের কাজ চলছে।

করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির ফলে ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি

সম্প্রতি সময়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধির ফলে ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।

আজ বুধবার রাতে ৫৮তম সভা কমিটি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই পরামশর্ দেয়া হয়।

পরামর্শগুলোর মধ্যে আছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে পুনরায় উদ্বুদ্ধ করতে সকল প্রকার গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে।

সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম বর্জন করা। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থান (মসজিদ, মন্দির, গির্জায়) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
যাদের জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে তারাও অনেকে কোভিড টেস্ট করেছেন না এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এ কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। এ জন্য যাদের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসছেন তাদের টেস্ট করার জন্য অনুরোধ করতে হবে।

যেসব দেশে কোভিড-১৯ জীবাণুর ভ্যারিয়েন্ট ও সাব ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের হার বেশিসে সকল দেশ থেকে আমাদের দেশে আগত আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে প্রবেশ করছে বলে মনে করা হয়। এ জন্য বিমান, স্থল ও নৌবন্দরগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ, টিকা সনদ আবশ্যক করতে হবে। বিশেষত অধিক আক্রাš Íদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ যারা এখনও নিতে পারেননি তাদের এটা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করতে হবে। ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে নাইট্যাগ এর পরামর্শ অনুসরণ করা দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চতুর্থ ডোজ অনুমোদন করলে তা বিবেচনা করতে হবে। কোভিড-১৯ এর ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার জন্য সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা দরকার। ভ্যাকসিন পরবর্তী প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন বজায় থাকছে যে সম্বন্ধে গবেষণা করা প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে বিশেষ শয্যা, আইসিইউ ব্যবস্থা ও জনবল ছিল, তা বর্ধিত হারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা যেতে পারে।