বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ১২০ টাকা খরচ করে চাকরি পেলন ৯৪ জন

১২০ টাকা খরচ করে বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেল পদে চাকরি পেলন ৯৪ জন নারী-পুরুষ । বুধবার রাত ১০ টায় বগুড়া পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে কনস্টেবল পদে ফলাফল ঘোষণা করেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। নাম ঘোষণার পর সমবেত নতুন নিয়োগ পাওয়া নারী-পুরুষের জয় বাংলা ধ্বনীতে পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়াম প্রকম্পিত করে তোলেন।

কনস্টেবল পদে এবছর শারীরিক ও মেধা অনুসারে উত্তীর্ণ হন ৯৪ জন। এর মধ্যে ৮০ জন পুরুষ এবং নারী প্রার্থী ১৪ জন। অবৈধ লেনদেন ছাড়াই নিজেদের মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকা খরচ করে কৃতকার্য হন। ১২০ টাকার মধ্যে আছে ১০০ টাকার ব্যংক ড্রাফটও ২০ টাকা মোবাইলে এসএমএস খরচ।

বুধবার রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রয়ায় বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, “মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে এ ৯৪ জন চাকরি নামের সোনার হরিণের দেখা পেল। যারা শুধু মাত্র শারীরিক এবং মেধার যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দালাল ও প্রতারক চক্রকে দমন করার চেষ্টা করেছি এবং সক্ষম হয়েছি। সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে নিয়োগ পরীক্ষা আমরা সম্পন্ন হয়েছে । ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজির আহমেদ যে মিশনটি নিয়েছিলেন তা শতভাগ সচ্ছতার মধ্য দিয়ে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জানান ,গত ২৯ মার্চ মাত্র একশ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে বগুড়া পুলিশ লাইনে ৩ হাজার ২৬০ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ধাপ শেষ করে ৯২৫ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২৫৬ পাস করেন। এরপর মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৮০ জন পুরুষকে চূড়ান্ত এবং ১৪ জন নারীকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে ফল প্রকাশ করা হয়।

মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়া পুরুষদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন শিবগঞ্জের কিচক এলাকার কৃষক হারুন অর রশিদের ছেলে রাব্বী হাসান। তিনিবলেন, “গত বছর এ সময়ে আমি এ পদে পরীক্ষা দিয়ে বাদ পড়েছিলাম। কিন্তু এবার আমার মধ্যে জেদ চাপে এবার আমি উত্তীর্ণ হবো। আমার বাবা একজন কৃষক। এ চাকরির মাধ্যমে আমার বাবা– মা এবং প্রতিবন্ধী বোন ও ছোট ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।“

নারীদের মধ্যে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সুমাইয়া আক্তার আবেগ ভরা কন্ঠে বলেন, “আমার বাবা একজন প্রতিবন্ধী। তিনি কাজ করতে পারেন না। আমাদের অভাবের সংসার। ছোট ভাই পড়াশুনা করলেও অভাবের কারণে সে পড়াশুনা ছেড়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে সংসার চালায়। আজকে এ অভাবের মধ্য দিয়ে কঠিন মনোবল নিয়ে পড়াশুনা করে আমি সফল হয়েছি। ১২০ টাকায় যে চাকরি হতে পারে তিনি তা বিশ^াস করতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুররশিদ, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, নওগাঁ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবতাবউদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজল ই খুদাসহ জেলার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা।

নৌবাহিনীতে সাব লেফটেন্যান্ট পদে চাকরি

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসার ২০১৮ এ ডিইও ব্যাচে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ‘অ্যাক্টিং ইনস্ট্রাক্টর সাব লেফটেন্যান্ট’ পদে জনবল নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
শাখার নাম: শিক্ষা শাখা-পুরুষ

পদের নাম: অ্যাক্টিং ইনস্ট্রাক্টর সাব লেফটেন্যান্ট
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ইইই/সিএসই/সিই বিষয়ে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)
বয়স: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর।

শারীরিক যোগ্যতা:
উচ্চতা- ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি
ওজন- ৫০ কেজি
বুকের মাপ- স্বাভাবিক ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত ৩২ ইঞ্চি

বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত/অবিবাহিত
বেতন: ৪২,২৫০ টাকা

মনোনয়ন পদ্ধতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ০১-০২ নভেম্বর ২০১৭
স্থান: বিএন কলেজ, মিরপুর-১৪, নাবিক কলোনী, ঢাকা।

লিখিত পরীক্ষা: ০৩ নভেম্বর ২০১৭
স্থান: বিএন কলেজ, মিরপুর-১৪, নাবিক কলোনী, ঢাকা।

চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
স্থান: বিএনএস হাজী মহসীন, ঢাকা সেনানিবাস।

আবেদনপত্র সংগ্রহ
অনলাইন: নৌবাহিনীর ওয়েবসাইট www.joinnavy.mil.bd এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
ফি জমাদান: বিকাশ, রকেট, শিওরক্যাশসহ বিভিন্ন মাধ্যম
আবেদন ফি: ৭০০ টাকা

আবেদন জমাদান: পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাথমিক সাক্ষাৎকারের সময় জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৬ অক্টোবর ২০১৭

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, ০৭ অক্টোবর ২০১৭

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে ১৭৭ জনের চাকরি

বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে ২টি পদে ১৭৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেলওয়ে, পশ্চিমাঞ্চল- রাজশাহী

পদের নাম: টিকিট কালেক্টর গ্রেড-২
পদসংখ্যা: ৮১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি/সমমান
বয়স: ১৮-৩০ বছর
বেতন: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: বুকিং সহকারী গ্রেড-২
পদসংখ্যা: ৯৬ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি/সমমান
বয়স: ১৮-৩০ বছর
বেতন: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা।

আবেদনপত্র সংগ্রহ: প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট www.railway.gov.bd থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

আবেদনের ঠিকানা: চীফ পার্সোনেল অফিসার- পশ্চিম, বাংলাদেশ রেলওয়ে, রাজশাহী।

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর ২০১৭

সূত্র: ইত্তেফাক, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

নতুনরা দ্রুত সফল হতে চান : আদনান ইমতিয়াজ হালিম

বাংলাদেশের ই-কমার্স বিজনেসের প্রথম সারিতে যাদের নাম আসবে, তাদের মধ্যে আদনান ইমতিয়াজ হালিম অন্যতম। তিনি বর্তমানে সেবা ডটএক্সওয়াইজেডের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানটি মূলত এমন একটি সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে বিভিন্ন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সেবা দিতে ও একজন ক্লায়েন্ট সরাসরি সেবা নিতে পারেন। এটি ২০১৫ সাল থেকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।

সেবার সাফল্যের নানা দিক এবং ই-কমার্স বিজনেসের অপার সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন সেবা’র সিইও আদনান ইমতিয়াজ হালিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কর্পোরেট আস্কের সিইও নিয়াজ আহমেদ

জাগো নিউজ : সেবা’র সফলতার কারণ কী?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : সেবা’র একঝাঁক দক্ষ নিবেদিত প্রাণ কর্মী মূল চালিকা শক্তি। সেবা মূলত একটি প্লাটফর্ম- যা বিভিন্ন সার্ভিসদাতা এবং কাস্টমারকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। সুতরাং দক্ষ টিম, সম্মিলিত প্লাটফর্ম এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষাই সেবার সফল হওয়ার মূল কারণ। সেবা কোন প্রোডাক্ট সেল করে না, শুধু সার্ভিসদাতাদের আর ক্লায়েন্টদের মাঝে বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

 

জাগো নিউজ : ই-কমার্স বিজনেসে অধিকাংশ তরুণের ব্যর্থতার কারণ কী বলে মনে করেন?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : যেকোন ব্যবসাই বহুবিধ দক্ষতার সমষ্টিগত ফলাফল। আমরা সবাই ব্যবসার মুনাফার দিক দেখি; ব্যবসা দাঁড় করাতে যে কষ্ট, যে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়- সেটা দেখি না। এজন্যই অনেকে ব্যর্থ হন। ই-কমার্স ব্যবসায় সফল হতে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। আমি অনেককেই চিনি, যারা শুরুতে ভালো করেননি; কিন্তু এখন তাদেরই ই-কমার্স ব্যবসার মডেল ধরা হয়। তাই আমি মনে করি, প্রতিশ্রুতি রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ইউনিক হতে হবে। কেননা প্রতিটি ব্যবসাই একপ্রকার সাহায্য।

 

জাগো নিউজ : ই-কমার্স বিজনেস কিভাবে শুরু করতে হয়?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : প্রথমত প্রোডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন না কি সার্ভিস- সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কিছু বিজনেস অনেকটা আইডিয়া নির্ভর। আইডিয়া নির্ভর বিজনেসে সার্ভিস দিতে কিছু লোক লাগে, সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়। তবে এদের কোন প্রোডাক্ট নেই; অপরের প্রোডাক্ট, এরা কাজ করছে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে। আবার অন্যদের কথা ভাবলে দেখবেন, তারা প্রোডাক্ট দিচ্ছে, সেইসঙ্গে সার্ভিসও সহজ করেছে। যদি প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে চান, মূলধন তাহলে সে অনুযায়ী লাগবে। আর শুধু সার্ভিসদাতা হলে কম পুঁজি নিয়ে শুরু করতে পারবেন। ই-কমার্স বিজনেস করতে টিআইএন, কোম্পানির অ্যাকাউন্ট, ভ্যাট সার্টিফিকেট ও সব ধরনের বৈধ কাগজপত্র রাখতে হবে।

জাগো নিউজ : কিভাবে অগ্রসর হলে এ পেশায় ভুল কম হবে?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : যেকোন একটি স্টার্টআপ কোম্পানিতে দুই বছর জব করে আসুন। দুই বছরের মধ্যে আইডিয়া নেওয়া, কী কী ভুল হতে পারে, ভুলগুলো কিভাবে এড়িয়ে চলা যায়, ভুল হলে কিভাবে শোধরানো যায়, চ্যালেঞ্জগুলো বোঝা এবং হাতেকলমে কাজগুলো জানা। কারণ নিজে ভুল করে শেখার চেয়ে অন্যের ভুল থেকে শেখাই ভালো। আর যেকোন কাজে সফল হতে কমপক্ষে ১০ হাজার ঘণ্টা কাজের পেছনে লেগে থাকতে হয়।

 

জাগো নিউজ : এ পেশায় কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : কমিটমেন্ট ঠিক রাখাটাই বিজনেসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য যথাযথ পরিকল্পনা, ইনভেন্টরি চেক করা এবং সব ক্ষেত্রে প্রফেশনালিজম বজায় রাখা জরুরি। আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস, স্টোর, জনবল সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন। সামর্থ ও দুর্বলতাগুলো জানুন। তাহলে নেগেটিভ ফিডব্যাক আসবে না, বরং রিপিট বিজনেস আসবে।

জাগো নিউজ : ই-কমার্স বিজনেস এগিয়ে নিতে শিক্ষাক্ষেত্রে কী পরিবর্তন আনা উচিত?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : একজন শিক্ষার্থী তিন থেকে পাঁচ বার ইন্টার্নশিপ করলে তাদের প্রাক্টিকাল জ্ঞান বাড়ে। তারা বিজনেসের গ্যাপ বুঝতে পারে। প্রতিষ্ঠানের কাঠামো বুঝতে পারে। চ্যালেঞ্জ বুঝতে পারে। এতে তাদের ভেতরে ডিসিশন টেকিং স্কিল, ক্রিটিকাল থিংকিং স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল আরো উন্নত হয়। আমাদের দেশের পুঁথিগত শিক্ষার সঙ্গে বাস্তব শিক্ষার অনেক ব্যবধান। তাই শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী শিক্ষা দিতে পারলে তাদের পক্ষে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা আরো সহজ হবে।

 

জাগো নিউজ : এ পেশায় নতুনদের কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : নতুনদের মাঝে অস্থিরতা দেখতে পাই, তারা খুব দ্রুত সফল হতে চান। স্টেপ বাই স্টেপ ক্যারিয়ার গ্রোথ নিয়ে কম লোকই ভাবেন। ক্যারিয়ার নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। যেকোন একটি চাকরি পাওয়াকে জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে ফেলেন। তবে যেটা ভালো লাগে; সেটাই করুন। ভালো লাগার জায়গায় নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন। কারণ জীবনটা আপনার।

 

জাগো নিউজ : এ পেশায় ক্যারিয়ার গ্রোথ কেমন?

আদনান ইমতিয়াজ হালিম : এটি নতুন সেক্টর। ক্যারিয়ারের শুরুতে একে বেছে নিলে সামনের দিনগুলোতে এই সেক্টর যখন এগিয়ে যাবে; তখন আপনিই অভিজ্ঞদের সম্মুখভাগে থাকবেন। তবে প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি এই সেক্টরে কাজ করতে প্যাশনেট কি না। আপনি যদি প্যাশনেট থাকেন, আপনার যদি ডিটারমিনেশন থাকে, তাহলে সাফল্য সুনিশ্চিত।

নৌবাহিনীর ৬ পদে বেসামরিক কর্মকর্তা নিয়োগ

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৬টি পদে কিছুসংখ্যক বেসামরিক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৫ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী

পদের বিবরণ
navy

আবেদনের ঠিকানা: পরিচালক, বেসামরিক কর্মচারী পরিদফতর, নৌবাহিনী সদর দফতর, বনানী, ঢাকা-১২১৩।

আবেদনপত্র সংগ্রহ
navy

আবেদনের শেষ সময়: ০৫ নভেম্বর ২০১৭

ইউল্যাবে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) অনুষ্ঠিত হলো চাকরি মেলা-২০১৭। শনিবার ধানমন্ডির ক্যাম্পাস ‘এ’ ভবনে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন বার্জার পেইন্টসের নির্বাহী পরিচালক রুপালী চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএইচআরএম ও এশিয়া প্যাসিফিক ফেডারেশন অব হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন।

রুপালী চৌধুরী তার বক্তব্যে ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য ভালো সিজিপিএ’র পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের অন্যান্য শাখা থেকেও জ্ঞান আহরণ করার তাগিদ দেন। বিশেষ করে পরিবর্তনশীল টেকনোলজি থেকে জ্ঞান আহরণ করার জন্য তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

 

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘চাকরির কোন ঠিকানা নাই, যা ক্যারিয়ারের আছে। ভালো চাকরি পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ, তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মার্কেট রেভেনিউ শিক্ষা দিতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে সহজেই অর্গানাইজেশনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।’

স্বাগত বক্তব্য দেন ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। সমাপনী বক্তব্য দেন ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের স্পেশ্যাল অ্যাডভাইজার প্রফেসর ইমরান রহমান।

 

প্রায় ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা মেলায় সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। গ্র্যাজুয়েটরা তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আবেদন ও সিভি ড্রপ করেন। স্পট ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ ছিলো মেলায়। এছাড়াও সেমিনার, ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ইউল্যাব রেজিস্ট্রার প্রফেসর আখতার আহমেদ, ক্যারিয়ার সার্ভিসেসের ডিরেক্টর আবু হেনা মোহাম্মদ রাসেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ক্যারিয়ার বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু

সাংবাদিকতা, সংবাদ উপস্থাপনা, রেডিও জকি, অভিনয় এবং অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। বর্তমানে এসব কাজকে পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী অনেক তরুণ-তরুণী। তাদের জন্যই রাজধানীর বাংলামটরে মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে।

 

সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম অপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি সমাচারের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজীজ করিম চৌধুরী।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গ্রামীণ পার্টির চেয়ারম্যান আফাজুল হক, ডিএসসিসি’র ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, ইত্তেফাকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার, তরুণ লেখক ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ।

বক্তব্য রাখেন টেক প্লানেট আইটি অ্যান্ড কমিউনিকেশন্সের সার্ভার সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জাহিদা সুমি। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মামুন পাঠান তীব্র ও ইন্নি খাইরুন দোসরা।

আয় করে প্রশিক্ষণ ফি পরিশোধ

‘শিখুন, আয় করুন, ফি পরিশোধ করুন’ নামে বিশেষ প্রকল্প শুরু করেছে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট। আগ্রহীরা এখানে অ্যাডভান্স গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, প্রফেশনাল ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন, সিসিএনএ (রাউটিং অ্যান্ড সুইসিং) বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানটি ১০ বছরের ইন্ডাস্ট্রিবেসড অভিজ্ঞতার আলোকে প্রশিক্ষণ দেবে। এর উদ্দেশ্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে এমন একটি প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, যেখানে নিজের প্রতিভা ও দক্ষতায় তারা আকর্ষণীয় উপার্জন করবেন।

ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘অনেকে কোর্স করেন, অনলাইনে শেখেন। কিন্তু কাজের সময় সমস্যা হলে সহযোগিতা বা গাইডলাইন পান না। তাদেরকে সার্বিক সহায়তা দিতে ক্রিয়েটিভ আইটির এ আয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীকে ন্যূনতম এইচএসসি পাস ও আবেদনকৃত বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। কোর্সে অংশ নিতে চাইলে ২০ নভেম্বরের মধ্যে lep.creativeit-inst.com ঠিকানায় নিবন্ধন করতে হবে।’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১০৩ জনের চাকরি

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদফতরের অধীনে বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১০৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
অধিদফতরের নাম : সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদফতর

পদের নাম : সহকারী শিক্ষক
বিষয়ের নাম : জীববিজ্ঞান
পদসংখ্যা : ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : জীববিজ্ঞানে স্নাতক/সমমান

পদের নাম : সহকারী শিক্ষক
বিষয়ের নাম : ব্যবসায় শিক্ষা
পদসংখ্যা : ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : বাণিজ্য/ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতক/সমমান

পদের নাম : সহকারী শিক্ষক
বিষয়ের নাম : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
পদসংখ্যা : ০৪ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক/সমমান

পদের নাম : সহকারী শিক্ষক
বিষয়ের নাম : কৃষি শিক্ষা
পদসংখ্যা : ০৩ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : বি এসসি/কৃষি ডিপ্লোমা

পদের নাম : সহকারী শিক্ষক
বিষয়ের নাম : গার্হস্থ্য অর্থনীতি
পদসংখ্যা : ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক/সমমান

পদের নাম : সহকারী শিক্ষক
বিষয়ের নাম : শরীর চর্চা
পদসংখ্যা : ০৩ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : বিপিএডসহ স্নাতক/সমমান

পদের নাম : জুনিয়র শিক্ষক
পদসংখ্যা : ৬৪ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক/সমমান

পদের নাম : জুনিয়র শিক্ষক
বিষয়ের নাম : ধর্ম
পদসংখ্যা : ০৬ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : ফাজিল/সমমান

পদের নাম : জুনিয়র শিক্ষক
বিষয়ের নাম : শরীর চর্চা
পদসংখ্যা : ০৩ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : বিপিএডসহ স্নাতক/সমমান

পদের নাম : জুনিয়র শিক্ষক
বিষয়ের নাম : চারু ও কারুকলা
পদসংখ্যা : ১৪ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক

বেতন : ১ থেকে ৬ নম্বর পদে বিএডসহ ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা ও বিএড ছাড়া ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য পদে ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

আবেদনপত্র সংগ্রহ : আগ্রহীরা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট www.dmlc.gov.bd তে প্রবেশ করে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।

আবেদনের ঠিকানা : মহাপরিচালক, সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদফতর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা-১২০৬।

আবেদনের শেষ সময় : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

ক্যারিয়ার বুটক্যাম্পে চাকরি পেলো ২০ তরুণ

সারা দেশ থেকে আগত ৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর মিলনমেলার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হলো কাজী আইটি ক্যারিয়ার বুটক্যাম্প। ১১ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে বুটক্যাম্পের আয়োজক ছিল কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড। সহযোগিতায় ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গর্ভন্যান্স প্রকল্প।

দিনব্যাপী ক্যারিয়ার বুটক্যাম্পে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সরাসরি ২০ তরুণকে কাজী আইটিতে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়। সারা দেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করে। বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ৬ হাজার প্রতিযোগীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

 

সমাপনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ২০ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি ক্যারিয়ার বুটক্যাম্পে তরুণদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করছি। এখানে একইসঙ্গে চাকরি দেওয়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের মধ্যে আমরা ‘মিশন ওয়ান বিলিয়ন ডলার’ লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। তরুণরাই এ লক্ষ্য পূরণের মূল সেনানী হবে।’

 

দিনব্যাপী ক্যারিয়ার বুটক্যাম্পে কাজী এম আহমেদ, জি. সামদানি ডন, আয়মান সাদিক, জিশু তরফদার, রুশদিনা খান, মঈনউদ্দীন চৌধুরী, মাইক কাজী, জন রিডেল রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াহিদ শরীফ ও মুনির হাসান প্রমুখ।

নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজী আইটির ঢাকার নিকুঞ্জের প্রধান অফিস, ধানমন্ডির শাখা অফিস ও রাজশাহী অফিসে ডে এবং নাইট শিফটে কাজের সুযোগ পাবেন।