যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে বন্দুক হামলায় নিহত ৬, আহত ২৪

মিনারা হেলেন ইতি/বিপি, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ৪ জুলাই স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলিবর্ষণে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে। সোমবার হাইল্যান্ড পার্কে এই হামলা হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৬ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা কর্মকর্তা সাড়া দিচ্ছেন। হাইল্যান্ড পার্কের আশেপাশের এলাকা নিরাপত্তা বলয়ে আনা হয়েছে।

২৪ মে টেক্সাসের উবালদেতে একটি প্রাথমিক স্কুলে এক হামলায় ১৯ শিশু ও ২ শিক্ষক নিহতের ঘটনা মার্কিনীদের মনে তাজা থাকা অবস্থায় শিকাগোতে এই হামলা হলো। এর আগে ১৪ মে  নিউ ইয়র্কের বুফেলোতে একটি মুদির দোকানে গুলিবর্ষণে ১০জন নিহত হয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আমারানি গার্সিয়া নিজের ছোট মেয়েকে নিয়ে প্যারেডে অংশ নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, কাছেই গুলির শব্দ শুনেন। এরপর কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। গুলি রিলোড করা হচ্ছিল বলে তার ধারণা। পরে আরও গুলির শব্দ শুনতে পান তিনি।
গার্সিয়া বলেন, মানুষ চিৎকার করছিল ও দৌড়াচ্ছিল। আমি খুব ভয়ে ছিলাম। একটি ছোট দোকানে মেয়েকে নিয়ে লুকিয়ে পড়ি। আমার মনে হচ্ছিল আমরা আর নিরাপদ নই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের ধারণা গুলিবর্ষণকারী একটি দোকানের ছাদে অবস্থান নিয়েছিল এবং প্যারেডের জমায়েত লক্ষ্য করে গুলি করে সে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, প্যারেডের ব্যান্ড ও অংশগ্রহণকারীদের শৃঙ্খলা হঠাৎ করে ভেঙে যায়। বড় ধরনের কয়েকটি শব্দ শোনার পর লোকজন দৌড়াতে শুরু করেন।

২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

মিনারা হেলেন ইতি-বিপি, নিউ ইয়র্ক: আগামী ২০২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যর্থতার পরেও তিনি এ ইঙ্গিত দিয়েছেন, তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে পারেননি। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন যে ২০২০ সালের নির্বাচন তার কাছ থেকে ‘চুরি’ হয়েছিল, কোনও প্রমাণ উপস্থাপন না করা সত্ত্বেও। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রাক্তন পটাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে তিনি চলতি মাসেই আগামী নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দিতে পারেন। সূত্রগুলি একটি নির্দিষ্ট তারিখের নাম দেয়নি যে কবে ট্রাম্প তা ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন।

মার্কিন মিডিয়ার মতে সম্প্রতি ৬ জানুয়ারী ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় তার ভূমিকা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান তদন্তের মধ্যে তার আগামী নির্বাচনে পরিকল্পনাগুলিকে ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত করছেন।

একইভাবে, অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রস্তুতির বিষয়টি সামনে আসায় ট্রাম্পও বিষয়টি নিয়ে ঘোষণা দিতে চাচ্ছেন। সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে রয়েছে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিস, যাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রায়শই ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার শীর্ষ প্রতিযোগী হিসেবে নাম দেন।

মধ্যপ্রাচ্যের গরমে পুড়ছে মায়ের আদরের সন্তান 
আব্দুল্লাহ আল শাহীন, আমিরাত থেকেঃ মরুর দেশের গরম সম্পর্কে ইসলামের সোনালি যুগের ইতিহাস পড়ে ধারণা পেয়েছেন৷ বিশেষ করে নবী রাসুলদের জীবনী পড়লে কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন। আরবের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীরা নিজেদের জীবনকে রঙিন করতে বা অর্থনৈতিক স্থিরতা ফেরাতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশির বসবাস। এখানে সিংহভাগ প্রবাসী শ্রমিকের ভিসায় রয়েছেন। তারমধ্যে খোলা আকাশের নিচে কাজ করার সংখ্যা কিন্তু কম নয়৷
নির্মাণ শ্রমিক, ক্লিনার কোম্পানি, বাইক রাইডার, বিভিন্ন দোকান ও পানি কোম্পানির হোম ডেলিভারি সার্ভিসসহ এসব কাজে বাংলাদেশিদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি৷ উল্লেখিত কাজ গুলোতে যারা কর্মরত তাদের কাছে জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত খুবই কষ্টের। এছাড়া সবার বেলায় রান্না ও গোসলের বিরক্তিকর অধ্যায় তো রয়েছেই৷
গেল দুই বছর থেকে প্রায় ২-৩ লাখ যুবক আমিরাতে ভিজিট ভিসায় এসেছেন। তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক ইউরোপ যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে আমিরাতে আসেন৷  বাদবাকি সকলেই ভিজিট ভিসাকে কাজের ভিসায় পরিবর্তন করেছেন৷ নিশ্চয় ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের সকলেই আমিরাত প্রবাসীদের মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে অবগত আছেন৷ কাজের সঙ্কট, কাজ না পেয়ে রাস্তাঘাট ও পার্কে ঘুমানোর সংবাদ সবারই জানা৷ এই বিষয়ে অন্য একদিন আলোচনা করবো৷ মরুভূমির উত্তপ্ত গরম নিয়ে আজ থাকতে চাচ্ছি৷
সংখ্যায় খুব কম হলেও অনেক প্রবাসী মরুভূমিতে উট চড়াতে দেখা যায়৷ কিছু সংখ্যক প্রবাসী কৃষি কাজে রয়েছেন। তাদের শরীর সম্পূর্ণ কাপড়ে ঢাকা থাকা সত্ত্বেও অল্প দিনে শরীরের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়৷ উত্তপ্ত মরুভূমির গরমের ব্যাপারে একটু উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, আপনারা নিশ্চয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই দেখেছেন গরমে গাছের ডালে ডালে স্পর্শ লেগে আগুন ধরে যায়, গাড়ি পার্কিং-এ থাকা অবস্থায় গরমে পুড়ে যায়, রাস্তায় পানি ছিটিয়ে দিলে সেকেন্ডে শুকিয়ে যায়৷
 এমন পরিস্থিতিতে চিন্তা করেন ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় প্রবাসীরা কিভাবে কাজ করেন৷ তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি হলেও অনুভব হয় ৬০ এর বেশি৷ যদিও আমিরাত সরকার মানবিকতার চর্চায় প্রতি ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ তিন মাস দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন বিরতি আইন রয়েছে। প্রতিবছর যখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করে, তখন কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় কোনো প্রতিষ্ঠান এই আইন অমান্য করে, তবে সেই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা ও লাইসেন্স বাতিলের মতো শাস্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি শ্রমিকের বেলায় পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানার আইন রাখা হয়েছে।
কি পরিমাণ গরম হলে পরে একটি রাষ্ট্র এমন আইন করতে পারে? তা ভাবুন! এক মিনিটের জন্য বাসা কিংবা অফিস থেকে বের হয়ে বাহিরে দাঁড়ালে পুরো শরীর ভিজে যাওয়ার উপক্রম হয়৷ যারা হোম ডেলিভারির কাজ করেন, নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে আছেন তাদের পরিস্থিতি নিজ চোখে না দেখলে ভাবতেই পারবেন না৷ এতো কষ্টের মাঝেও একজন শ্রমিককে জিজ্ঞেস করে দেখবেন এই গরমে কিভাবে কাজ করেন? সে হাসিমুখে জবাব দিয়ে বলবে, ‘একবার পুরো ভিজে গেলে আর তেমন গরম লাগে না।’ কর্মরত অবস্থায় গায়ের কাপড় বারবার শুকায় আর বারবার ভিজে। নির্মাণ শ্রমিক বা হোম ডেলিভারির কাজ যারা করেন তারা শুধু নয় যেকোনো কাজের লোকেরা এই গরমের তীব্রতায় দিশেহারা হতে বাধ্য হোন৷ বিশেষ করে রান্না করতে গিয়ে একপ্রকার বৃষ্টির পানিতে নামলে পরে যেমন ভিজে যেতে হয় তেমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ যাদের রান্নাঘরে এসি আছে তাদের বেলায় একটু কমই অনুভূতি হয়৷ ওয়াশরুমের পানির গরম যেন চুলার ফুটন্ত পানি!
মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা শ্রম বেশি দেন, কষ্ট বেশি করেন, দেশ থেকে দূরে বেশি সময় থাকেন, গরমের তাপে শরীর পুড়ান। এতো কিছুর পরেও আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে খুবই কম৷ এভাবেই দূর প্রবাসে পুড়ছে বাংলার মানবসম্পদ ৷
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি শহরের কাছে একটি বাস খাদে পড়ে ১৯ জনের মৃত্যু এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। এক কর্মকর্তা রোববার এ কথা জানান।

রাওয়ালপিন্ডি থেকে কোয়েটা যাওয়ার পথে খাইবার পাখতুনখোয়া দানিসারের কাছে একটি পিচ্ছিল সড়কে বাসটি ছিটকে পড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কর্মকর্তা ইজাজ জাফর এএফপিকে এ কথা বলেন।

ইউক্রেনকে আরো ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার দিল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন রাজস্ব বিভাগ বুধবার ইউক্রেনকে ১৩০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এ সহায়তা গত মে মাসে বাইডেন প্রশাসনের কিয়েভকে দেয়া সাড়ে ৭শ’ কোটি ডলারের প্রাথমিক প্রতিশ্রুতির অংশ। খবর এএফপি’র।
এক বিবৃতিতে রাজস্ব মন্ত্রী জানেট ইলেন বলেন, ‘এই আর্থিক সহায়তা সরবরাহ করে আমরা ইউক্রেনের জনগণকে দেয়া আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনঃনিশ্চিত করছি। আর এ অর্থ দিয়ে তারা পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং তাদের অর্থনীতির গতিশীলতা বহাল রাখতে কাজ করবে।’

বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে এ অর্থ ছাড় করা হবে। এ অর্থ গত মে’তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত সাড়ে ৭শ’ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য প্যাকেজের একটি অংশ।

যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে বর্তমানে বাজেট ঘাটতি চলছে। আর প্রতি মাসে এ ঘাটতি ৫শ’ কোটি ডলার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে বা দেশের বাইরের বাজারে অর্থায়নের সুযোগ কমে আসছে।
ওয়াশিংটন ইউক্রেনের জরুরি ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করতে গত এপ্রিল ও মে মাসে বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কিস্তিতে ৫শ’ কোটি ডলার ইতোমধ্যে ছাড় করেছে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬শ’ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছে।

ইউক্রেনের জনাকীর্ণ শপিং মলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৬ জন নিহত

ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় ক্রিমানচাক নগরীর একটি জনাকীর্ণ শপিং মলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে রাশিয়ার ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। মঙ্গলবার জরুরি সার্ভিসের প্রধান একথা জানায়। খবর এএফপি’র।

টেলিগ্রামে পোস্ট করা সান্ধ্যকালীন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলানস্কি বলেন, ‘ক্রিমানচাকের কেন্দ্রস্থলে ওই শপিং মলে রাশিয়ার আজকের হামলা ইউরোপীয় ইতিহাসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকা-গুলোর অন্যতম।’

জরুরি সার্ভিসের প্রধান সার্গি ক্রাক বলেন, ওই শপিং মলে সোমবারের ক্রেপণাস্ত্র হামলার পর সেখানে প্রধান কর্ম ছিল উদ্ধার কাজ, ধ্বংসস্তুপ সরানো ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা।’
টেলিগ্রামে ক্রাক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এ ভয়াবহ হামলার ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ৫৯ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তথ্য হাল নাগাদ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকল গ্রুপ গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। সেখানে সার্বক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজ চলছে।’

এর আগে জেলানস্কি এ নগরীতে ক্ষ্পেণাস্ত্র হামলার সময় ওই শপিং মলে এক হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক থাকার কথা বলেছিলেন। এদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ওই নগরীতে জনসংখ্যা ছিল দুই লাখ ২০ হাজার।

ফেসবুকে দেওয়া বার্তায় জেলানস্কি লিখেছেন, ‘শপিং মলটিতে আগুন জ্বলছে। উদ্ধারকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে এখন যে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে হতাহতের সংখ্যা কল্পনা করা অসম্ভব।’

অবশেষে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিলে স্বাক্ষর করলেন বাইডেন
নোমান ইবনে সাবিত/বিপি, নিউ ইয়র্ক: অবশেষে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিলে স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবারই মার্কিন সিনেটে পাশ হয়েছে বিলটি। এরপর শুক্রবার পাওয়া যায় চূড়ান্ত সম্মতি। এবার ওই বিলে স্বাক্ষর করলেন বাইডেন। যার ফলে বিলটি পরিণত হলো আইনে। তৈরি হলো ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
গত কয়েক সপ্তাহে বারবার বন্দুকধারীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এলোপাথাড়ি গুলির শিকার হয়েছে নিরীহ মানুষ। এমনকি স্কুলের শিশুরাও রেহাই পায়নি বন্দুকধারীদের হাত থেকে। বারবার এই ধরনের হামলায় অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক আঙুল তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক-আইনের দিকে। এই পরিস্থিতিতে বহু প্রতীক্ষিত আগ্নেয়াস্ত্র বিলটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন বাইডেন। কিন্তু হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বিল স্বাক্ষরের কাজটি সম্পন্ন করলেন তিনি। মার্কিন প্রেনিডেন্ট জানান, ‘যদিও এই বিল আমি যা চেয়েছিলাম তার সবকিছু করতে পারবে না। কিন্তু এতে সেই পদক্ষেপগুলো রয়েছে যার কথা আমি দীর্ঘ দিন যাবত বলে এসেছি।’
বাইডেন বলেন, ‘আমি জানি এখনো অনেক কাজ বাকি। কিন্তু আমি আশা ছাড়িনি। আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন।’ আগামী ১১ জুলাই এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের কথাও ঘোষণা করেন বাইডেন। ওই অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত পরিবারের সদস্যরা যোগ দেবেন। থাকবেন আইনজীবীরাও।
লিসবনে “সপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন” এর আনন্দমুখর উদযাপন

উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপিত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদযাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি আনন্দমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু নির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা এবং অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। একইসাথে বক্তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে পানি প্রবাহের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী পাদ্মার ওপর সেতু নির্মাণের দু:সাধ্যতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রথম মেয়াদের শেষপ্রান্তে ২০০১ সনে পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার পর তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১২ সনে তিনি বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের প্রথিতযশা পুর-কৌশলীগণ সহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের কারিগরি তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সনে টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাইলিং স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর প্রথম বাস্তব নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাত বছর পর এই সেতুর কাজ সফল সমাপ্তিতে তাই দেশবাসী আনন্দে উচ্ছ্বসিত। দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে যুক্ত হবার কথা উল্লেখ ক’রে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রাই শুধু যোগ করার পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এক ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে। তিনি মন্তব্য করেন যে, বিদেশী অর্থায়ন ছাড়া এই কঠিন প্রকল্পটির সফল সমাপ্তি  বাংলাদেশের জনগণকে রপকল্প ২০৪১ অনুসারে ২০৪১ সনের মধ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। দেশের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম জানাচ্ছে তাঁর সাহসিকতা আর  সংকল্পের দৃঢ়তার জন্য – যার ফলেই বাংলাদেশ তার ৫১ বছরের ইতিহাসের এই অন্যতম প্রধান সাফল্য অর্জন করল আর জনগণ তার দীর্ঘ-লালিত স্বপ্ন পূরণ করল।

আলোচনা সভা শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রতিপাদ্য সংগীত এবং বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর পর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া/প্রার্থনা করা হয়

বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ: জো বাইডেন

বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শুক্রবার (২৪ জুন) হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এ সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত।

বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন তিনি।

বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র এ বছর একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে।

ফল পাল্টাতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের মৃত্যুর হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমর্থকরা

নোমান ইবনে সাবিত/ বিপি, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের শুনানিতে বলা হয়েছে যে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল বাতিল করে দিতে রাজি হননি বলে নির্বাচন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। অ্যারিজোনা স্টেট হাউজের স্পিকার রুস্টি বাওয়ার শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেছেন তাদের হয়রানি করা এখনো অব্যাহত আছে।
জর্জিয়ার একজন ভোট গণনাকারী বলেছেন, তিনি ঘর থেকে বের হতেই ভয় পেতেন কারণ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে টার্গেট করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সিলেক্ট কমিটি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে এখন শুনানি করছে। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে যখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া চলছিল, তখন কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা কংগ্রেস ভবনে ঢুকে আগ্রাসন চালিয়েছিল প্রায় এক বছর ধরেই তার তদন্ত করছে ওই কমিটি।

মঙ্গলবার ছিল শুনানির চতুর্থ পর্ব। এই দিনে অ্যারিজোনা ও জর্জিয়ার নির্বাচন কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনা হয়। উভয় রাজ্য আগে রিপাবলিকান প্রার্থীকে ভোট দিলেও এই নির্বাচনে ট্রাম্প উভয় রাজ্যে হেরে গিয়েছিলেন। আমরা অতিরিক্ত প্রায় বিশ হাজার ই-মেইল পেয়েছিলাম। আর লাখ লাখ ভয়েস মেইল ও টেক্সট। আমরা কাজ করতে পারছিলাম না, বাওয়ার বলেছেন কমিটিকে।

২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করা বাওয়ার বলছিলেন যে হুমকি আর উপহাসের শিকার হয়েছেন তারা নিয়মিত। এমনকি তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাকে যৌন নিপীড়নকারী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।

তিনি স্মরণ করেন যে ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গিলিয়ানি একপর্যায়ে তাকে বলেছিলেন যে তারা অনেক তত্ত্ব পেয়েছেন, কিন্তু প্রমাণ পাননি।

এবারের শুনানিতে জর্জিয়ার নির্বাচন কর্মকর্তা শায়ে মোসে ও তার মা রুবি ফ্রিম্যান সাক্ষ্য দিয়েছেন। জর্জিয়ায় জো বাইডেন প্রায় বার হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তবে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন।
রেকর্ড করা এক বার্তায় শোনা যায় যে ট্রাম্প মোসেকে ‘পেশাদার ভোট প্রতারক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমি আমার নাম হারালাম। সম্মান হারালাম। এমনকি নিরাপত্তা বোধটুকুও হারিয়েছি, রুবি ফ্রিম্যান বলছিলেন।

তিনি প্রশ্ন করেন, আপনি কি জানেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আপনাকে টার্গেট করলে আপনার কেমন বোধ হবে? এরপর আমি কাউকে আমার বিজনেস কার্ড দেই না। আমি চাই না কেউ আমার নাম জানুক। তিনি কমিটিতে বলেন যে ট্রাম্প সমর্থকরা তাকে খুঁজতে তার দাদির বাড়িতেও গিয়েছিল। রিপাবলিকান দলীয় একজন ভোট সংগঠকের বক্তব্যও শুনেছে সিলেক্ট কমিটি।
এই শুনানিতে অংশ নিয়ে জর্জিয়ার প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ করেছিল তার সত্যতা পাওয়া ছিল সাগর থেকে বেলচা দিয়ে পানি সরানোর মতো কঠিন।

জর্জিয়ার স্টেট সেক্রেটারি ব্রাড র‍্যাফেন্সপার্জার বলেছেন তারা যত অভিযোগ পেয়েছিলেন তার প্রতিটিই তারা তদন্ত করে দেখেছিলেন।