নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলবে

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে দুদকের পাল্টা মামলা বাতিল চেয়ে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এই মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে বাসস’কে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি বলেন, আদালত বলেছেন আদালতের কোন রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ সমীচীন নয়। উচ্চ আদালতের মর্যাদা ক্ষুণœ হয় এমন কোন পদক্ষেপ কাম্য নয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে, সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে দুদকের পাল্টা মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন নাজমুল হুদা।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান বিচারপতি সিনহা। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য আসে দুদকে। দীর্ঘ দেড় বছর তদন্ত করে বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকে। আর মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

অভিযোগে বলা হয়, আসামি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত না হয়ে বা মিথ্যা জেনেও আদালত ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য এবং তার নিজের বিরুদ্ধে থাকা ২০০৮ সালের মামলাটি প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন মানসে মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করে শাহবাগ থানায় ওই মামলা করেছেন মর্মে দুদকের তদন্তে ওঠে আসে বলে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন।

গত ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

অনাস্থা ভোটে জিতে গেলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের অনাস্থা ভোটে জিতে গেছেন। ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তিনিই থাকছেন।
বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি না, সে বিষয়ে সোমবার ভোট দেন তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা। এতে বরিস জনসনের (৫৭) পক্ষে ২১১ ভোট এবং বিপক্ষে ১৪৮ ভোট পড়ে। যদিও জেতার জন্য জনসনের ১৮০ ভোটের প্রয়োজন ছিল। জয়ী না হলে দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে হতো তাকে।
আস্থা ভোটে জিতে যাওয়ার পর জনসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার হিসেবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি এবং যে বিষয়গুলো সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ সে সবের ওপর আলোকপাত করতে পারি।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিধিনিষিধ উপেক্ষা করে সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টির আয়োজন করেছিলেন বরিস জনসন। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমাও চাইতে হয় তাকে।
কারন করোনার বিধিনিষেধের সময় এমন আয়োজন নিষিদ্ধ ছিল। ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিতি পাওয়া সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তা নিয়ে কয়েক দফা তদন্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রে দুই সপ্তাহ আগে ওই ঘটনার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে থেকেই বরিসের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন অনেকে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে সেই দাবি জোরালো হয়।
কনজারভেটিভ পার্টির ‘১৯২২ কমিটি’ দলটির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে থাকে। এই কমিটিতে দলটির ১৫ শতাংশ আইনপ্রণেতা যদি চিঠি দিয়ে দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তবে তা অনাস্থা ভোটে গড়ায়। ওই কমিটি সোমবার বরিস জনসনের নেতৃত্বের ওপর এ অনাস্থা ভোটের আয়োজন করে।

৬০ ঘণ্টায়ও নেভেনি বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন

চট্টগ্রামঃ সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন এখনও জ্বলছে। ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। এর আগে শনিবার রাতে প্রথমে আগুন এরপর একের পর এক বিস্ফোরণ শুরু হয় ডিপোটিতে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার মঙ্গলবার সকালে বলেন, আমরা আগেই বলেছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু নির্বাপিত হয়নি। এখনও নয়টি ইউনিট কাজ করছে আমাদের। এর সাতটি সরাসরি অপারেশনে আছে। এখানে প্রচুর পরিমাণ কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ থাকায় কোনোভাবেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থেকেই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত সংখ্যা ৪১ জন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। নিহতদের মধ্যে নয়জন ফায়ার সার্ভিস সদস্যও রয়েছেন। রোববার রাত পর্যন্ত নিহত সংখ্যা ৪৫ বলা হলেও সোমবার নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা ৪১ বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।

নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এসব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ১৬৩ জন। এর মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৬৯ জন হাসপাতাল ছেড়েছেন।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ

আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬-দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।

এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গি, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআর-এর গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপোসহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি।

প্রতিবছরের মত এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কমূসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এদিন বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে বক্তব্য রাখবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬-দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬-দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ৬-দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে অনুমোদন করিয়ে নেন।

৬-দফার মূল বক্তব্য ছিল, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ৬-দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় উত্তর দেয়া হবে।

এদিকে, ৬-দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ৬-দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলে শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ৬ দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।

ছয় দফা দাবি আদায় প্রসঙ্গে ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কর্মীরা যথেষ্ট নির্যাতন ভোগ করেছে। ছয় দফা দাবি যখন তারা দেশের কাছে পেশ করেছে তখনই প্রস্তুত হয়ে গিয়াছে যে তাদের দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হবে। এটা ক্ষমতা দখলের সংগ্রাম নয়, জনগণকে শোষণের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য সংগ্রাম।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার বিশ^াস আছে আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের নিঃস্বার্থ কর্মীরা, তাদের সাথে আছে। কিছু সংখ্যক শ্রমিক নেতা-যারা সত্যই শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করে-তারাও নিশ্চয়ই সক্রিয় সমর্থন দেবে। এত গ্রেপ্তার করেও এদের দমাইয়া দিতে পারে নাই।’
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক ৬-দফাভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়।এ দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে।

অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দলকে জনগণ বিজয়ী করলেও  স্বৈরাচারী পাকিস্তানের শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে আবারো বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং সেই সময়ের ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ একটি নিবন্ধে লিখেছেন, ‘ছয় দফা’কে প্রতিহত করার জন্য পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী বহু ষড়যন্ত্র করেছে। বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়েছে। তারপরও যখন‘ছয় দফা’ আন্দোলন রোধ করা যাচ্ছিল না, তখন বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে চিরতরে তাঁর কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ তথা আগরতলা মামলা দেন। সেদিন‘ছয় দফা’ দাবি আদায় এবং বঙ্গবন্ধুকে কারামুক্ত করতে আমরা ছাত্ররা ’৬৯-এর জানুয়ারির ৪ তারিখে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে ৪টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ছয়-দফাকে এগারো দফায় অন্তর্ভূক্ত করে গ্রামে-গঞ্জে-শহরে-বন্দরে-কলে-কারখানায় ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা‘র (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ. আ. ম. স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, ৬ দফাই এনে দিয়েছে আমাদের তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূর দৃষ্টি, অন্তঃদৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এতই প্রখর ছিল যে, তিনি ৬ দফাকে এক দফার দাবিতে পরিণত করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনের ডাক দেন।

কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নবনির্বাচিত এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

হামলার শিকার মো.হানিফ সবুজ (৫০) উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী। অপরদিকে,হামলাকারী আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজ মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী।

সোমবার (৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী বিল্লা বাড়ির সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় গুরুত্বর আহত ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপর আহত ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ খোকনকে (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামলার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ অভিযোগ করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোনকসহ আমি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে বের হই। বের হলে আমি দেখি মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ফখরুল ইসলাম সবুজ ও তাঁর ভাতিজারাসহ ইউপি সদস্য সবুজ এবং তাঁর ভাই রনিসহ ২০-৩০জন ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তায় ওঁৎ পেতে আছে। বিষয়টি আমি আচ করতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তা দিয়ে না গিয়ে বিকল্প পথে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ত্যাগ করতে চেষ্টা করি। ওই সময় তারা উল্টো পথে গিয়ে বিল্লা বাড়ির সামনে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমার ওপর হকিস্টিক,লোহার রড,হাতুড়ি দিয়ে অতর্কিত আক্রমন চালিয়ে আমার একটি পা, বুকের পাজর ভেঙ্গে দেয় এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা আমার কানে,মাথায় গুরুত্বর আঘাত করে ফাটিয়ে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের মির্জা অনুসারী আওয়ামীলীগ নেতা মো.ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ইউপি সদস্য মো.ওমর ফারুক সবুজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দাবি করেন তারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে দুপুর ২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসভি করেননি।

আব্দুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ছৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন,আহত ইউপি চেয়ারম্যানকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ২৪ঘন্টা পর তাঁর শারীরিক অবস্থা জানা যাবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ফিরে এলে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।

সীতাকুণ্ডে আগুন বিস্ফোরণের ঘটনায় এনডিপি’র শোক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি ঘটনার জন্য দায়িদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে।

সোমবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা এ দাবী জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। একইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।

তারা বলেন, বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দুর্ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রাসায়নিক থাকা ৪ কনটেইনার চিহ্নিত, অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী…
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর ভেতর ৪টি কনটেইনারে এখনো দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এখন চিহ্নিত ৪টি কনটেইনার বিশেষ পদ্ধতিতে অপসারণের চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ডিপোতে থাকা ৪টি কনটেইনারে রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখন এই কনটেইনারগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপসারণের চেষ্টা চলছে।’ ‘এ কারণে ডিপোতে এখনো আগুন জ্বলছে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি’, যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডিপো কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে, এই ডিপোতে আড়াই হাজারেরও বেশি কনটেইনার ছিল। এরমধ্যে ১ হাজার ৩০০টি খালি, ৮০০টি রপ্তানিযোগ্য এবং ৫০০টির মতো কনটেইনারে আমদানি পণ্য ছিল। এ ছাড়া, ২৪টির মতো কনটেইনারে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ছিল।
 নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ তরুণী আটক

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ইয়াবাসহ এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।   আটককৃত মোসাম্মৎ শাহিদা আক্তার মনি (২০) সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভানুয়াই গ্রামের আবুল কালাম জিলানীর বাড়ির মো.রুবেলের স্ত্রী।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে আটককৃত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  এর আগে গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই তরুণী আটক করে পুলিশ।  পরে তাকে তল্লাশী করে ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ।

ওসি আরো জানায়,এ ঘটনায় আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

স্পেনে ৩৫দেশের অভিবাসীদের নিয়ে উৎসব ‘প্রবাসে আনন্দের একদিন’
কবির আল মাহমুদ, স্পেন স্পেনের জাতীয় জাদুঘর ‘রেইনা সুফিয়া’ পরিচলানা কমিটির আমন্ত্রণে ‘প্রবাসে আনন্দের একদিন’ শিরোনামে এক উৎসবে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

রবিবার (৫জুন )দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে অবস্থিত জাদুঘরটির পার্কে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘ভালিয়েন্তে বাংলা’সহ অন্যান্য দেশের একাধিক সংগঠন প্রতি বছরের মতো এ বছরও আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আয়োজন করে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের। আয়োজনটি উপস্থিত সবাইকে কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও আপ্লুত করে। বাংলাদেশিদের অনেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন লুঙ্গি, ফতুয়াসহ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে।উৎসবে ছিল নারীদের পিঠা প্রতিযোগিতা, প্রবাসী শিল্পীদের নাচ-গান সঙ্গে ছিল উৎসবে অন্যান্য দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। সেনেগালের পারসিউশনিস্টলা রুয়েদা, কলম্বিয়া সংগীত ডেসি মেসিয়াস গার্সিয়া, কলম্বিয়ান নাচ এবং বিদেশিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশিদের বালিশ খেলা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রেইনা সুফিয়া জাদুঘরের প্রধান পরিচালক ম্যানুয়েল বোরজ-ভিল্লে, প্রবাসীদের প্রশংসা করে জাদুঘরের কার্যক্রমের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনার পাশাপাশি স্পেনের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করেন।
স্থানীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে দেশের সম্মান বজায় রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
‘ভালিয়েন্তে বাংলা’র সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে এলাহী বলেন, ‘প্রবাসে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়িয়ে তোলা ও নিজ দেশের সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার এটা একটা বড় প্লাটফরম। আমরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ-উপভোগের সঙ্গে সব দেশের অভিবাসীদের কাছে নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরেছি।’

বাংলাদেশি নারী নেত্রী আফরোজা রহমান বলেন, ‘অনেক দিন পর একটি সুন্দর দিন কাটলো মাদ্রিদে বসবাসরত সব দেশের অভিবাসীদের। আমরাও সুযোগ পেলাম বাংলাদেশকে তুলে ধরার।’

এতে যোগ দেন বাংলাদেশ, আফ্রিকা, আলজেরিয়া, মরক্কো ও কলম্বিয়াসহ ৩৫টি দেশের প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘ভালিয়েন্তে বাংলা’সহ৩৫টি মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নতুন এই স্বাস্থ্য আইনে বৈধ এবং অবৈধ অভিবাসীরা ভিবিন্নভাবে শোষিত হচ্ছে। তারা নতুন এই স্বাস্থ্য আইন বাতিল করে সবার উন্মুক্ত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা পূনরায় চালুর দাবী জানান।

রেইনা সুফিয়া মিউজিয়ামের প্রধান পরিচালক ম্যানুয়েল বোরজ-ভিল্লে, ব্যস্থাপনা পরিচালক মাবেল তাপিয়া, রাফায়েল পিমেন্টেল, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি আল মামুন, ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে এলাহী, রেড ইন্টার লাভাপিসের পেঁপা তররেস, রেড সলিদাদের নিনেস, সেন্ট্রো দে ডোমেস্টিকর রাফায়েল, আনা লঙ্গোনি,আলিসিয়া,মাইতে, ট্রেরেতীরিয় ডমেস্টিক এর রাফা, ওলা ভেসিনোর লুসিয়া ও মারিয়া দে সোনিয়া ‘ভালিয়েন্তে বাংলার’ সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন, নারীনেত্রী আফরোজা রহমান,তানিয়া, সামাদ, গিয়াস, মনসুর, কামাল উপস্থিতি ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী সংগীত শিল্পী লোকমান হেকিম, বিপ্লব খান,জহিরুল ইসলাম।

মাদ্রিদে বসবাসরত অভিবাসীদের নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছর এ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনা সুফিয়া জাদুঘর পরিচলানা কমিটি। রেইনা সুফিয়া জাদুঘর কেন্দ্রিক ৩৫টি মানবাধিকার সংগঠন একত্রিত হয়ে অভিবাসীদের দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মেসির পাঁচ গোলে আর্জেন্টিনার বড় জয়

এস্তোনিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে একাই পাঁচ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। ওসাসুনার আল সাদার স্টেডিয়ামে তার এই গোলের বন্যায় খর্ব শক্তির এস্তোনিয়াকে ৫-০ ব্যবধানে  উড়িয়ে দিয়েছে জায়ান্ট আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে এর আগে এক ম্যাচে পাঁচ গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন সাবেক দুই তারকা হুয়ান আন্দ্রেস মারভেজি ও ম্যানুয়েল মোরেনো।

সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসি ৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোলে সূচনা করেন। এরপর একে একে ৪৫, ৪৭, ৭১ ও ৭৬ মিনিটে আরো চারটি গোল করেছেন। এনিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৬২ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৬।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এখন সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতার তালিকায় হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক পুসকাসকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে এলেন। এই তালিকায় পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ১১৭ গোল করে শীর্ষে রয়েছে। পরের দুই স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ইরানের আলি দেই (১০৯) ও মালয়েশিয়ার মোখতার দাহারি (৮৯)।

পিএসজির এই ফরোয়ার্ড প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক ম্যাচে পাঁচ গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন।

পেশাদার ক্যারিয়ারে মেসি এর আগে আর একবারই এক ম্যাচে ৫ গোল করেছিলেন। ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর সেই ম্যাচে বার্সেলোনার জার্সিতে লেভারকুজেনের বিপক্ষে ৫ গোল করেছিলেন মেসি। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে এই জয়ের মাধ্যমে লিওনেল স্কালোনির দল ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো। ২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তারা সর্বশেষ ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল।

কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের মোকাবেলা করবে আর্জেন্টিনা ।