নোয়াখালীতে সাংবাদিক লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন সাংবাদিকরা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নির্যাতিত, অধিকারবঞ্চিত নিয়ে অসংখ্য রিপোর্ট করলেও আজ নিজেদের সহকর্মির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন নোয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় না আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একাত্তর টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে হামলার শিকার হওয়ার ৪দিন হয়ে গেলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়ালেন সাংবাদিকরা।

রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সামনে ব্যানার হাতে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারও বিচার দাবি করে তারা দুই ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সুমন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, আলমগীর ইউছুফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আনোয়ার, জামাল হোসেন বিষাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু, নাসির উদ্দিন বাদল,লিয়াকত আলী খান, আকাশ মো.জসিম,মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।

 

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত বুধবার দুপুরে জেলার বেগমগঞ্জের বাংলা বাজারে বিএনপির একটি কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মিজানের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও ভিডিওি ফেলে দেয়। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জাবেদ হোসেন রকি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তুহিনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে ঘটনার দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনকে আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেধে দিয়ে তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্ত তারপরেও আইশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীরা প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, তিনি বেগমগঞ্জের বাংলাবাজারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুর উপস্থিতিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে যান। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচিস্থলে এসে হামলা চালায়। এসময় ভিডিও ধারন করতে গেলে যুবলীগ কর্মী জাবেদ হোসেন রকি ও তুহিন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। দুই ঘন্টা পর সকল ভিডিও মুছে তাকে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়।

নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড – প্রতিকার নাই কেনো? : বাংলাদেশ ন্যাপ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

নেতৃদ্বয় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং দুর্ঘটনায় আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন।

রবিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানান।

নেতৃদ্বয় বলেন, এই দূর্ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনে শোক ও কঠিন মানবিক মনোবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ জানেনা এর ক্ষতি ও বিপর্যয় কতটুকু সূদুর প্রসারি। অন্যদিকে নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড – আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড চলছেই। এ ‘অবিশ্বাস্য উন্নয়নের রোল মডেল’ গরীবের জানমালের নিরাপত্তাকে আরো বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে। নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড… গরীবরা মরছেই। কোন প্রতিকার নাই কেনো? কোন বিহিত নাই কেনো?

তারা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, মানব দরদী সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতি আবেদন জানান ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য। একই সাথে সকল রাজনৈতিক কর্মী ও সহযোদ্ধাদের সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়ে যেন পীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ইতমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিএমএইচ – এর চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বিনিদ্র-নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক কর্মীরা সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আহতদের শুস্রুষা ও রক্ত দেয়ার জন্য অভূতপূর্ব ত্যাগের নজীর স্থাপন করেছেন। তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

নেতৃদ্বয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষের কাউকে খুঁজে না পাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ভয়াবহ দুঘর্টনার জন্য মালিকপক্ষ তাদের দায় এড়াতে পারে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এটি কোনো দুর্ঘটনা নয় এটি সম্পুর্ণ ডিপো মালিকের গাফেলতির পরিণতি। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিস কে জানানো হয়নি সেখানে রাসায়নিক দাহ্য বস্তু আছে। বলা হয়েছে শুধু রপ্তানিযোগ্য পোশাক আছে।

নেতৃদ্বয় স্যালুট জানান সেই সকল তরুণ-যুব দের। বরাবরের মতো তারাই রক্ত দিয়ে, শ্রম দিয়ে দূর্যোগ মোকাবেলায় সবার প্রথম দাঁড়িয়েছে। একই সাথে তারা অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও নিহত ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরন প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

১১ জুন পর্যন্ত জামিন পেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তার ছেলে ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ১১ জুন পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন। লাহোরের একটি বিশেষ আদালত ১৬ বিলিয়ন রুপি পাচার মামলায় শনিবার তাদের জামিন মঞ্জুর করে। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন অ্যাজেন্সি (এফআইএ) এ অর্থ পাচার মামলা দায়ের করেছিল।

অবশ্য, স্পেশাল কোর্টের (সেন্ট্রাল-১) বিচারপতি ইজাজ হাসান আওয়ান অবশ্য শাহবাজ শরিফের অপর ছেলে সোলেমান শাহবাজ এবং অন্য দুজনের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তারা শনিবার শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন না। এরপরপরই শুনানি ১১ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

শনিবার শুনানির শুরুতে এফআইএ আদালতকে বলেন যে তার সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও মুখ্যমন্ত্রী হামজাকে গ্রেফতার করতে চায়। এফআইএ আইনজীবী যুক্তি দেন যে এদুজন ‘মামলার অংশ নন।’ তবে হামজার আইনজীবী এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এফআইএ আইনজীবী আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন। কারণ, ‘এদুজন তদন্তের অংশ।’

শুনানিকালে শাহবাজ শরিফ, হামজা শরিফের আইনজীবী আমজাদ পারভেজ বলেন, মামলাটির তদন্ত দেড় বছর ধরে চলছে। কিন্তু এফআইএ তার মক্কেলদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

তার বক্তব্যের পর আদালত শাহবাজ শরিফ ও হামজা শাহবাজের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে আদালত পরবর্তী শুনানিকালে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দেয়। এছাড়া সোলেমান শাহবাজ, তাহির নকভি ও মালিক মাকসুদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সূত্র : জিও নিউজ

সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ স্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন..
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুন ১২ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ও র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি ডাকা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। আজ সকাল ১০টায় প্রায় ২০০ সদস্যের একটি সেনাবাহিনীর টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরই ডিপোতে থাকা আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনারে আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণে কম্পনের আওয়াজ এতটাই তীব্র ছিলো যে, আশেপাশের এলাকার অধিকাংশ বিল্ডিয়ের কাঁচের গ্লাস ভেঙে যায়। এই ঘটনায় ২১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিন শতাধিক। সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
সীতাকুণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণ গেলো ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীর

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে একটি কনটেইনার ডিপোতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীসহ। এছাড়া আহত ১৫ কর্মীকে সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আগুনের উৎস সম্পর্কে বলতে না পারলেও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সীতাকুন্ডস্থ বিএম কন্টেইনার ডিপোতে একটি দাহ্য পদার্থের কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন লাগার ১০ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সেটি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৬ টি ইউনিট। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ডিপো এলাকার পাঁচ কিলোমিটার প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, প্রায় ২৬ একর আয়তনের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এখনো আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৪ টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩০ কর্মী ও পুলিশের ১০ সদস্য আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন চার শতাধিকের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা গুরুতর।

সীতাকুন্ডে বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই আহতদের আর্তনাদে এলাকায় বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রথমে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট অগ্নিনির্বাপনে যোগ দেয়। অবস্থা বেসামাল দেখে কুমিল্লা থেকেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সীতাকুন্ডে আসে। রাত একটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পানি সংকট সৃষ্টি হয়। পরে বিভিন্নভাবে পানি যোগাড় করে তারা আবার আগুন নিয়ন্ত্রণে নেমে পড়েন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে একের পর এক কন্টেইনার বিস্ফোরণ শুরু হলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিরাপদ স্থানে সরে যান। ভোর থেকে তারা আবার বিভিন্ন কন্টেইনার ও কন্টেইনারবাহী লরিতে লাগা আগুন নির্বাপনে কাজ শুরু করেছেন।

অন্যদিকে, আহতদের বিভিন্ন গাড়িতে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো শুরু হয়। ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত সকল স্তরের চিকিৎসকদের দগ্ধ ও আহতদের সেবায় কাজ করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার আহবান জানান।

সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

চট্টগ্রামঃ সময় যতো গড়াচ্ছে বিএম সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে লাশের সারি যেন দীর্ঘ হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোববার (৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন।

এখনও নিহত সবার পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার শতাধিক। দগ্ধদের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন।

সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানতে পেরেছি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ কর্মী রয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত করে কারণ বের হরা হবে।

এদিকে চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত বলেন, ‘১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ অবস্থায় চার শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।’

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে আগুনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। এরই মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমরা নিরাপদে অবস্থান করছি। পানির ব্যবস্থা করে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কিছু বুঝে ওঠার আগে বিস্ফোরণে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ কনটেইনার ডিপো। মূলত এখান থেকে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়। ডিপোটিতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার মজুত ছিল। এসব কনটেইনারে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে। এখানে কর্তরত বেশিরভাগ লোকই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা।