পরিবর্তন ছাড়াই দ্বিতীয় টেস্টের বাংলাদেশ দল

বড় কোন পরিবর্তন ছাড়াই শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় টেস্টটি শুরু হবে ২৩ মে।

হাতে চিড় ধরায় দ্বিতীয় টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তবে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে থাকা অন্যান্যরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন। এর আগে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলার সময় হাতের আঙ্গুলের ইনুজরির কারনে প্রথম টেস্টের দলে অর্ন্তুভুক্ত হবার পরও বাদ পড়েন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, দ্বিতীয় টেস্টের দলে জায়গা করে নিতে পারেননি মিরাজ। তবে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে মিরাজের ফিট হয়ে ওঠার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে ।
আজ আবেদিন বলেন, ‘সে দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছে। আশা করা হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে তাকে বিবেচনা করা হবে।’

তিনি আরও জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ মিস করবেন শরিফুল। তবে সীমিত ওভারের সিরিজে তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবেদিন বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ফিট হবার সম্ভাবনা নেই শরিফুলের। তবে সীমিত ওভারের সিরিজে তার খেলার সুযোগ রয়েছে।’
আবেদিন জানান, ঢাকায় ফেরার পর মুস্তাফিজুর রহমান টেস্ট ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।

দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াড : মোমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নুরুল হাসান সোহেল, মোসাদ্দেক হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, এবাদত হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা।

আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই

ঢাকাঃ বর্ষীয়ান লেখক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জনপ্রিয় কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায়।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী স্বনামধন্য এ সাংবাদিক স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা।

যুদ্ধাপরাধ : মৌলভীবাজারের ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকাঃ একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৌলভীবাজারের বড়লেখার আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুলসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন মো. আব্দুল মতিন (পলাতক) ও আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও কে এম হাফিজুল আলম।

রায়ে ২৪০ পৃষ্ঠার মধ্যে সারসংক্ষেপ অংশ পাঠ করা হয়। সকাল ১০টা থেকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। এরপর রায় পড়েন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার এবং সর্বশেষ দণ্ডসহ মূল রায় ঘোষণা করে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি।

এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত, ঋষিকেশ সাহা, সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ হাসান, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি, রাজিয়া সুলতানা চমন, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, মোসফেকুর রহমান ও তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক।

আবারও সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার জয়ার হাতে

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের হাতে আবারো উঠলো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। দুই মাস আগে ‘বিনি সুতোয়’মিনেমার জিও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনয়শিল্পীর সম্মাননা পান তিনি।

একই সিনেমার জন্য এবার জনপ্রিয় সামরিকী আনন্দলোক পুরস্কার-২০২২-এ সেরা অভিনেত্রী সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে।

বুধবার (১৮ মে) কলকাতার একটি পাঁতারা হোটেলে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে কোয়েল মল্লিক, রুক্মিণী মৈত্র, গার্গী রায় চৌধুরী, মধুমিতা সরকারের মতো অভিনেত্রীদের পেছনে ফেলে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এবং আমাদের অতি-সতর্কতা !
সালাউদ্দিন সেলিম : ইলন মাস্ক এর নতুন চমক ‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণায় বিস্মিত হয়েছেন আমাদের মাননীয় ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী’। কারণ ‘স্টারলিঙ্ক’কোন অনুমোদন ছাড়াই বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবসার ঘোষণা দিয়েছেন! ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী ঘটনা ঘটার আগেই আপনি সতর্ক হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিদেশী অনেক অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন- গুগল, নেটফ্লিক্স, ফেসবুক, অ্যামাজন, জি৫ সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং সফলভাবে তাদেরকে বাংলাদেশে রেজিস্টার্ড বিজনেস প্রতিষ্ঠান গঠন করাতে এবং বাংলাদেশে ভ্যাট দেওয়াতে বাধ্য করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
তবে অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে- ‘গুগল, নেটফ্লিক্স, ফেসবুক, অ্যামাজন, জি৫, ইত্যাদি..’ এই ধরনের সোস্যাল মিডিয়া কিংবা ওটিটি প্ল্যাফর্মগুলোকে ইন্টারনেট গেটওয়ে এর মাধ্যমে খুব সহজেই ট্রেস করা যায়। কিন্তু ‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে দেশিয় ইন্টারনেট গেটওয়ে এর মাধ্যমে ট্রেস করা হয়তো সম্ভব হবে না। এবং এখানে ব্যবহৃত স্যাটেলাইট ট্রান্সসিভার অ্যান্টেনাটি এত ছোট আকৃতির যে, কোন ব্যবহারকারী যদি এটি গোপনে ব্যবহার করে তাকেও ট্রেস করা সম্ভব হবে না।
আরও উল্লেখ্য যে, ‘BGAN’প্রযুক্তি নামে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা আরও বহু বছর আগে থেকেই বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে। Inmarsat নামক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যপী এই সেবা দেওয়া হয়ে থাকে (যদিও তার ব্যান্ডউইডথ অনেক কম), এর মাধমে ইন্টারনেট সেবা, ভিডিও কনফারেন্স, লাইভ স্ট্রিমিং, স্যাটেলাইট ফোন ইত্যাদি সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। দৃষ্টির অগোচরে থাকা সেই প্রযুক্তির কথা হয়তো অনেকেরই অজানা। তাই ‘BGAN’প্রযুক্তির ব্যবহার যেহেতু নজরে আসেনি তাই ‘Starlink’ প্রযুক্তির ব্যপারটিও গোপনে দৃষ্টির আড়ালে ব্যবহৃত হতে পারে।
তাই সহজ উপায় হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব, স্টারলিঙ্ক এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সেবা নেওয়ার সময় যখন স্টারলিঙ্ক এর পেমেন্ট গেটওয়েতে কোন পেমেন্ট হবে তখনই যেন তার ভ্যাট এবং অন্যান্য চার্জ কেটে রাখা হয়, যেমনটি করা হয় গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন ইত্যাদির ক্ষেত্রে। কারণ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার থামিয়ে দেওয়া মানে প্রযুক্তির জগত থেকে নিজেদেরকে পিছিয়ে রাখা। নব্বইয়ের দশকে অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের দেশ গোটা ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। তাই কোন কারণে স্টারলিঙ্ক প্রযুক্তি যদি ব্যান করা হয় তাহলে সেটা এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে চরম বোকামী।
তবে উল্লেখ্য যে, বিদেশি প্রযুক্তি দোষ গুন বিচার না করে আমাদের নিজেদের বিকল্প প্রযুক্তি নিয়ে ভাবাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এখন আমাদের সেই সক্ষমতাও আছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমেই প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব কিন্তু গত ৩ বছরেও সেই ব্যবস্থা হয়নি। তাই যতদ্রুত সম্ভব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবস্থা শুরু করা উচিত।
আরও একটি বিষয় সহজেই আন্দাজ করা যায় তাহলো- স্টারলিংক আমাদের দেশে জনপ্রিয় হতে হয়তো আরও একটু সময় লাগবে কারণ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গেলে ব্যবহারকারীকেও হতে হবে কিছুটা প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। যে ব্যবহারকারী স্টারলিংক ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী হবে সে একইভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও (যদি ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু হয়) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। কারণ ব্যবহারকারীর প্রান্তে ‘স্টারলিঙ্ক ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’দুই পদ্ধতিই খুব কাছাকাছি হবে।
তবে এর চেয়েও সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ‘ফাইভ-জি’প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু করা, সেক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ‘ফাইভ-জি’ প্রযুক্তির কাছে মার খাবে নিশ্চিত। কারণ ‘ফাইভ-জি’ এর ডেটা আদান-প্রদান ক্ষমতা স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মতোই। তবে প্রত্যান্ত অঞ্চলে কিছুটা বেগ পেতে হবে ‘ফাইভ-জি’প্রযুক্তিতে, কিন্তু এই সহজ ব্যবহার প্রক্রিয়ার কারণে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
দেশের সকল জেলা ও মফস্বল অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চত করার কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার জন্য একাধিক ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়া হয় তারপরেও রক্ষা হয় না। তাই স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়তা লাভ করবে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা চান এমন ব্যবহারকারীদের কাছে। তাই বিদেশি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দেশে প্রবেশের আগেই দেশিয় স্যাটেলাইট প্রযুক্তি কিংবা ফাইভ-জি সেবা চালু করে আমাদেরকে আগে থেকেই অভ্যস্ত করে ফেললে হয়তো তখন বিদেশি সেবা আমাদেরকে সহজে আগ্রহী করানোর সুযোগ পাবে না।
Copyright © Salauddin Salim
চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রয়কারীদেরও গ্রেফতার করা হবে: ডিবি প্রধান

শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রয়কারীদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।

আজ বুধবার (১৮ মে ২০২২) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ১৫৮টি চোরাই ফোন উদ্ধার সংক্রান্তে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সাম্প্রতিককালে মোবাইল ফোন চুরি বা টান মেরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। পুলিশের নিকট যে ঘটনাগুলো আসে সেগুলো উদ্ধার করা হয় এবং আসামীদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তারা জামিনে এসে পুনরায় একই কাজে লিপ্ত হয়। কারণ চোরাই মোবাইল বিক্রি করতে পেরে তারা এ কাজে উৎসাহ পায়। যারা চোরাই মোবাইল বিক্রি করবে তাদেরকেও প্রচলিত আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হবে।

চোরাই মোবাইল বিক্রির প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুরি হওয়া মোবাইলগুলো ৩টি হাত বদল হয়। প্রথমত যে চুরি করে সে মোবাইলভেদে ৪-৮ হাজার টাকায় টেকনিশিয়ান বা কোন চোরাইফোন ক্রেতার নিকট বিক্রি করে দেয়। টেকনিশিয়ান বা চোরাই ফোন ক্রেতা ফোনের পার্সওয়ার্ড বা ফাইন্ড ইউর ফোন এ অপশনটি চালু থাকলে তার ডিসপ্লে ও কেসিং উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আর এসব অপশন চালু না থাকলে আইএমইআই পরিবর্তন করে আইফোনের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ও অন্য ফোনগুলো ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।

অল্প পয়সায় দামী ফোন ক্রয়-বিক্রয়ের কথা উল্লেখ করে গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুরাতন মোবাইল বিক্রির ক্ষেত্রে কোন আপত্তি নেই কিন্তু ব্যবসায়ীদের নিকট চোরাই মোবাইল থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। যারা বিক্রি করে তারাও অপরাধী। বিক্রেতাদের এসব কাজ থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধে জনসাধারণকে রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে চলাচল করতে অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া রিকশা বা পাবলিক পরিবহনে চলাচলের সময় কথা বলার প্রয়োজন হলে গাড়ির ভিতরের দিকে মোবাইল রেখে কথা বলার পরামর্শ দেন ডিবি এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল উত্তরা ১০ নং সেক্টরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুপুরে ওযু করার সময় এক ব্যক্তির প্রায় দুইলক্ষাধিক টাকার একটি আইফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় ১৬ মে তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়া তদন্ত করে রাজধানীর মোতালেব প্লাজা থেকে চুরি হওয়া মোবাইলটিসহ আরো ১৫৭ টি চোরাই মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ ও ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম এর নেতৃত্বে একাধিক টিম। এ ঘটনায় চোর ও বিক্রয়কারীসহ আটজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

জানা যায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে। ফেস দ্য পিপল নামের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়।

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী গত ১৪ মে রাত ৯টার দিকে ইউটিউবে ফেস দ্য পিপল নামের একটি টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, জঙ্গিবাদ কি খারাপ জিনিস! কে বলেছে, জঙ্গিবাদ খারাপ জিনিস! জঙ্গিবিমান! এটা কি সন্ত্রাসী বিমান! জঙ্গি শব্দটা এসেছে ‘জাং’ থেকে, ফার্সিতে জাং বলে যুদ্ধকে- ফাইট। অতএব, ফ্রিডম ফাইটাররাও এক অর্থে জঙ্গি।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

সম্রাটের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের করতে নির্দেশ

ঢাকা: দুর্নীতি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

নিউ ইয়র্কে বন্দুক হামলায় শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যকে দুষলেন বাইডেন

নোমান ইবনে সাবিত-বিপি, নিউ ইয়র্ক: ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসি’ বা শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যকে বিষবাষ্প বলে দোষারোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ১৪ মে নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে ১০ জন নিহতের ঘটনায় বাইডেন এই দায় আরোপ করেন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
বাইডেন বলেছেন, ‘যারা আমেরিকাকে বোঝে না অথচ ভালোবাসার ভান করে তারাই ঘৃণা এবং ভীতি ছড়ায়। বিশ্বের ইতিহাসে আমরাই সবচেয়ে বেশি বর্ণের মানুষ নিয়ে গঠিত সবচেয়ে গতিশীল জাতি। এখন সময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমেরিকান হিসেবে কথা বলার এবং হোয়াইট সুপ্রিমেসিকে প্রত্যাখ্যান করার।’

বাইডেনের এই মন্তব্য ১৮ বছর বয়সী সাদা চামড়ার এক তরুণ কর্তৃক গুলি করে ১০ জন কালো গাত্রবর্ণের মানুষকে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে এল। পেটন গেন্ডরন নামে ওই তরুণ তাঁর নিজ শহর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরের নিউইয়র্ক শহরে এসেছিলেন স্রেফ কাল গাত্রবর্ণের লোকদের হত্যা করতে।

এর আগে, গত ১০ মে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের একটি সুপার মার্কেটে পেটন গেন্ডরন নামের এক তরুণের গুলিতে ১০ জন নিহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ১৮ বছরের ওই তরুণকে আটক করে নিউইয়র্ক পুলিশ। শনিবার বিকেলের দিকে ওই তরুণ একটি ব্যস্ত সুপার মার্কেটে প্রবেশ করে অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই তরুণ হামলার দৃশ্য লাইভ সম্প্রচার করার জন্য একটি ক্যামেরাও ব্যবহার করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বলেছে, তারা এ ঘটনাকে ‘জাতিগত বিদ্বেষ থেকে উদ্বুদ্ধ অপরাধ’ হিসেবে তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে ওই তরুণের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এফবিআইয়ের বাফেলো অফিসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা স্টিফেন বেলঙ্গিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এ ঘটনাকে ঘৃণামূলক অপরাধ এবং জাতিগত বিদ্বেষ থেকে অনুপ্রাণিত সহিংস চরমপন্থার মামলা হিসেবে তদন্ত করছি।’

এদিকে, বাফেলোর পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই তরুণকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। তার অতর্কিত হামলায় অন্তত ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা বেশির ভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা ওই সুপারমার্কেটে কাজ করতেন।

পরীমনির মামলায় নাসিরসহ ৩ জনের বিচার শুরু

ঢাকাঃ চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার বিচার শুরু হলো।

বুধবার (১৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ তিন আসামি।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) মামলার বাদী চিত্রনায়িকা পরীমনি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ নম্বর আদালতে উপস্থিত হন। তার উপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে, নাসিরসহ তিন আসামি আদালতে হাজিরা দেন। এসময় তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। পরীমনির আইনজীবী অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয় আদেশের জন্য ১৮ মে দিন ধার্য করেন।

তারও আগে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন চার্জ গঠনের জন্য এ দিন ধার্য করেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ওই বছরের ১৪ জুন ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি ও বনিসহ দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোটক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করায়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলি এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।

এজাহারে আরও বলা হয়, তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন ও কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।

সে সময় এক নম্বর আসামি নাসির উদ্দিন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং তাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে জখম করেন।

এজাহারে পরীমনি আরও বলেন, আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি কেড়ে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় দুই নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চারজন এক নম্বর আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহযোগিতা করেন। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারব।