পথ মওলানা ভাসানীর মানববন্ধন : সরকার বাজার নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ভিন্নমতের নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় না ইতিহাস তা বার বার প্রমান করেছে। সরকার পরিচালনায় ব্যার্থ সরকার আজ বিরোধী দলের উপর নির্যাতন চালাতে স্বক্ষম হলেও বাজার নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “বিরোধী দলের উপর সরকারী দলের নির্যাতন ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে” পথ মওলানা ভাসানী আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

সংগঠনের সমন্বয়কারী ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ডিএল সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ফরওয়ার্ড পার্টির সদস্য সচিব মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাার্টির সাধারন সম্পাদক এ এ এম ফায়েজ হোসেন, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এনডিএম সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, নারী নেত্রী এলিজা খাতুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ খাতকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। নিজেদের পোষ্য লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। এই অব্যাহত লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই উপর্যুপরি বিদূতের মুল্যবৃদ্ধি করছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার তুলনায় ভীষণ ব্যয়বহুল বিদ্যুত উৎপাদন সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলছে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ মজুতদার-মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের স্টক গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষকে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে।

তিনি বিদ্যুতে মুল্যবৃদ্ধির গুবিরোধী তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তেরর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এসব সিন্ডিকেট সরকারী দলের নেতারাই তৈরী করেছেন।

যুদ্ধাপরাধ: নওগাঁর জামায়াত নেতা মন্টুসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নওগাঁ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনকে ফাঁসির সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ১৪০ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

রেজাউল করিম মন্টু ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মো. শহিদ মণ্ডল ও মো. নুরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩১ মে) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি একেএম হাফিজুল আলম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে গত ২৯ মে নওগাঁর এ মামলায় রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনের রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত তিনটি অভিযোগ

অভিযোগ-১: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক চারটা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০-১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ-২: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এসময় তারা ১৫-২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ-৩: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক পাঁচটা থেকে পরদিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এই সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০-৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

রাশিয়া থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর সিদ্ধান্ত ইউরোপের
   নতুন এই সিদ্ধান্তকে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ননা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ বন্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একমত হয়েছেন। এর ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল আমদানি বন্ধ হবে। ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে যে তেল আমদানি করে তার দুই-তৃতীয়াংশ আসে সমুদ্রপথে। কিন্তু পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনা আপাতত বন্ধ হচ্ছে না।

রাশিয়ার উপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এক ধরণের সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে। কারণ, হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করেছে। রাশিয়ার থেকে পাইপলাইনে তেল আমদানির বন্ধের বিষয়ে তারা রাজী নয়। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিচেল বলেছেন, এই সমঝোতার ফলে রাশিয়া যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় করছে সেটির বড় উৎস বন্ধ হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার উপর এনিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সবগুলো অংশ নিয়েছে।

মি. মিচেল বলেন, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবার ব্যাপারে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছে।

                                       হাঙ্গেরির পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করছে গ্রিনপিস।

 

রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা কয়েক ঘন্টা ধরে বৈঠক করেছেন। কারণ, হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করছিল। হাঙ্গেরি তার চাহিদার ৬৫ শতাংশ তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে ইউরোপীয় কমিশন প্রথমে প্রস্তাব করেছিল। এজন্য একমাস আগে কমিশন তাদের সদস্য দেশগুলোর জন্য একটি আইনও তৈরি করেছিল। কিন্তু হাঙ্গেরির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা আসে। এছাড়া স্লোভাকিয়া এবং চেক রিপাবলিকের মতো যেসব দেশের সমুদ্রবন্দর নেই তারাও রাশিয়ার তেলের উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আসতে সময় চেয়েছিল। অন্যদিকে বুলগেরিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তারাও কিছু সময় চেয়েছিল।

Source : BBC BANGLA

এক বছর আগের চেয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহতের ঘটনায় সপ্তাহান্তে মেমোরিয়াল ডে পালন এবং গ্রীষ্মের অনানুষ্ঠানিক সূচনার মধ্যে দেশটিতে ৭ দিনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ গুণের বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্য হিল পত্রিকার রিপোর্টে এ কথা জানানো হয়।

জনস হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার শনিবার পর্যন্ত সাত দিনে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে। গত বছরের ২৮ মে এই সংক্রমণ সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৮৮৭টি।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, সংক্রমনের সংখ্যা আরো অনেক বেশী কারণ অনেকে বাড়িতেই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করায় তারা রিপোর্টে আসেনি।

মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোভিড-১৯ মহামারির আরেকটি তরঙ্গের ঝুঁকির মধ্যে যেতে চায় না। তারা আমেরিকান জনগণকে এ ব্যপারে সতর্ক করেছে।