মাংকিপক্স প্রাদুর্ভাব নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বৈঠক

মাংকিপক্সের সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় সাধারণত রোগটির প্রকোপ থাকলেও বর্তমানে তা ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোয়ও ছড়াচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকে ভাইরাসের সংক্রমণ ও তার টিকা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউরোপে শতাধিক সন্দেহভাজন মাংকিপক্স রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে রয়টার্স। ইউরোপে আর কখনো এত বেশি সংক্রমণ দেখা যায়নি। এ পর্যন্ত বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, দ্য নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুুইডেন ও যুক্তরাজ্যে রোগটি ছড়িয়েছে।

আর আমেরিকা অঞ্চলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায়ও প্রথমবারের মতো মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। শুক্রবার ২৭ রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে স্পেন, যাদের প্রায় সবাই রাজধানী মাদ্রিদের।

ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বছর ত্রিশের এক যুবক। তার শরীরে যে উপসর্গ দেখা গেছে, তা মাংকিপক্সের সঙ্গে মিলে যায়। সম্প্রতি তিনি পশ্চিম ইউরোপে ভ্রমণ করেন।

করোনা মহামারির মতো ব্যাপক হারে মাংকিপক্স ছড়াবে না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। গুটিবসন্তের মতোই মাংকিপক্স। রোগটি চিকেনপক্স মনে করেও বিভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। মাংকিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠব্যথা, নাসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও অবসাদ। আবার ঝাঁকুনি দিয়ে ফুসকুড়ি ওঠার ঘটনাও ঘটে।

যদিও মাংকিপক্সের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে অধিকাংশ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এখন পর্যন্ত রোগটির দুটি প্রধান ধরন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে কঙ্গো ধরন অনেক বেশি মারাত্মক। এতে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার ১০ শতাংশ। আর পশ্চিমা আফ্রিকা ধরনে মৃত্যুহার এক শতাংশের কাছাকাছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, এমনকি মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এই ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। রোডেন্টজাতীয় প্রাণী ভাইরাসটির বড় আশ্রয়দাতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *