পরিবর্তন ছাড়াই দ্বিতীয় টেস্টের বাংলাদেশ দল

বড় কোন পরিবর্তন ছাড়াই শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় টেস্টটি শুরু হবে ২৩ মে।

হাতে চিড় ধরায় দ্বিতীয় টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তবে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে থাকা অন্যান্যরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন। এর আগে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলার সময় হাতের আঙ্গুলের ইনুজরির কারনে প্রথম টেস্টের দলে অর্ন্তুভুক্ত হবার পরও বাদ পড়েন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, দ্বিতীয় টেস্টের দলে জায়গা করে নিতে পারেননি মিরাজ। তবে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে মিরাজের ফিট হয়ে ওঠার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে ।
আজ আবেদিন বলেন, ‘সে দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছে। আশা করা হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে তাকে বিবেচনা করা হবে।’

তিনি আরও জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ মিস করবেন শরিফুল। তবে সীমিত ওভারের সিরিজে তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবেদিন বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ফিট হবার সম্ভাবনা নেই শরিফুলের। তবে সীমিত ওভারের সিরিজে তার খেলার সুযোগ রয়েছে।’
আবেদিন জানান, ঢাকায় ফেরার পর মুস্তাফিজুর রহমান টেস্ট ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।

দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াড : মোমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নুরুল হাসান সোহেল, মোসাদ্দেক হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, এবাদত হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা।

আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই

ঢাকাঃ বর্ষীয়ান লেখক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জনপ্রিয় কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায়।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী স্বনামধন্য এ সাংবাদিক স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা।

যুদ্ধাপরাধ : মৌলভীবাজারের ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকাঃ একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৌলভীবাজারের বড়লেখার আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুলসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন মো. আব্দুল মতিন (পলাতক) ও আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও কে এম হাফিজুল আলম।

রায়ে ২৪০ পৃষ্ঠার মধ্যে সারসংক্ষেপ অংশ পাঠ করা হয়। সকাল ১০টা থেকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। এরপর রায় পড়েন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার এবং সর্বশেষ দণ্ডসহ মূল রায় ঘোষণা করে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি।

এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত, ঋষিকেশ সাহা, সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ হাসান, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি, রাজিয়া সুলতানা চমন, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, মোসফেকুর রহমান ও তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক।

আবারও সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার জয়ার হাতে

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের হাতে আবারো উঠলো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। দুই মাস আগে ‘বিনি সুতোয়’মিনেমার জিও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনয়শিল্পীর সম্মাননা পান তিনি।

একই সিনেমার জন্য এবার জনপ্রিয় সামরিকী আনন্দলোক পুরস্কার-২০২২-এ সেরা অভিনেত্রী সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে।

বুধবার (১৮ মে) কলকাতার একটি পাঁতারা হোটেলে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে কোয়েল মল্লিক, রুক্মিণী মৈত্র, গার্গী রায় চৌধুরী, মধুমিতা সরকারের মতো অভিনেত্রীদের পেছনে ফেলে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এবং আমাদের অতি-সতর্কতা !
সালাউদ্দিন সেলিম : ইলন মাস্ক এর নতুন চমক ‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণায় বিস্মিত হয়েছেন আমাদের মাননীয় ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী’। কারণ ‘স্টারলিঙ্ক’কোন অনুমোদন ছাড়াই বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবসার ঘোষণা দিয়েছেন! ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী ঘটনা ঘটার আগেই আপনি সতর্ক হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিদেশী অনেক অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন- গুগল, নেটফ্লিক্স, ফেসবুক, অ্যামাজন, জি৫ সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং সফলভাবে তাদেরকে বাংলাদেশে রেজিস্টার্ড বিজনেস প্রতিষ্ঠান গঠন করাতে এবং বাংলাদেশে ভ্যাট দেওয়াতে বাধ্য করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
তবে অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে- ‘গুগল, নেটফ্লিক্স, ফেসবুক, অ্যামাজন, জি৫, ইত্যাদি..’ এই ধরনের সোস্যাল মিডিয়া কিংবা ওটিটি প্ল্যাফর্মগুলোকে ইন্টারনেট গেটওয়ে এর মাধ্যমে খুব সহজেই ট্রেস করা যায়। কিন্তু ‘স্টারলিঙ্ক’স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে দেশিয় ইন্টারনেট গেটওয়ে এর মাধ্যমে ট্রেস করা হয়তো সম্ভব হবে না। এবং এখানে ব্যবহৃত স্যাটেলাইট ট্রান্সসিভার অ্যান্টেনাটি এত ছোট আকৃতির যে, কোন ব্যবহারকারী যদি এটি গোপনে ব্যবহার করে তাকেও ট্রেস করা সম্ভব হবে না।
আরও উল্লেখ্য যে, ‘BGAN’প্রযুক্তি নামে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা আরও বহু বছর আগে থেকেই বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে। Inmarsat নামক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যপী এই সেবা দেওয়া হয়ে থাকে (যদিও তার ব্যান্ডউইডথ অনেক কম), এর মাধমে ইন্টারনেট সেবা, ভিডিও কনফারেন্স, লাইভ স্ট্রিমিং, স্যাটেলাইট ফোন ইত্যাদি সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। দৃষ্টির অগোচরে থাকা সেই প্রযুক্তির কথা হয়তো অনেকেরই অজানা। তাই ‘BGAN’প্রযুক্তির ব্যবহার যেহেতু নজরে আসেনি তাই ‘Starlink’ প্রযুক্তির ব্যপারটিও গোপনে দৃষ্টির আড়ালে ব্যবহৃত হতে পারে।
তাই সহজ উপায় হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব, স্টারলিঙ্ক এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সেবা নেওয়ার সময় যখন স্টারলিঙ্ক এর পেমেন্ট গেটওয়েতে কোন পেমেন্ট হবে তখনই যেন তার ভ্যাট এবং অন্যান্য চার্জ কেটে রাখা হয়, যেমনটি করা হয় গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন ইত্যাদির ক্ষেত্রে। কারণ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার থামিয়ে দেওয়া মানে প্রযুক্তির জগত থেকে নিজেদেরকে পিছিয়ে রাখা। নব্বইয়ের দশকে অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের দেশ গোটা ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। তাই কোন কারণে স্টারলিঙ্ক প্রযুক্তি যদি ব্যান করা হয় তাহলে সেটা এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে চরম বোকামী।
তবে উল্লেখ্য যে, বিদেশি প্রযুক্তি দোষ গুন বিচার না করে আমাদের নিজেদের বিকল্প প্রযুক্তি নিয়ে ভাবাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এখন আমাদের সেই সক্ষমতাও আছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমেই প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব কিন্তু গত ৩ বছরেও সেই ব্যবস্থা হয়নি। তাই যতদ্রুত সম্ভব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবস্থা শুরু করা উচিত।
আরও একটি বিষয় সহজেই আন্দাজ করা যায় তাহলো- স্টারলিংক আমাদের দেশে জনপ্রিয় হতে হয়তো আরও একটু সময় লাগবে কারণ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গেলে ব্যবহারকারীকেও হতে হবে কিছুটা প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। যে ব্যবহারকারী স্টারলিংক ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী হবে সে একইভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও (যদি ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু হয়) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। কারণ ব্যবহারকারীর প্রান্তে ‘স্টারলিঙ্ক ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’দুই পদ্ধতিই খুব কাছাকাছি হবে।
তবে এর চেয়েও সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ‘ফাইভ-জি’প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু করা, সেক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ‘ফাইভ-জি’ প্রযুক্তির কাছে মার খাবে নিশ্চিত। কারণ ‘ফাইভ-জি’ এর ডেটা আদান-প্রদান ক্ষমতা স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মতোই। তবে প্রত্যান্ত অঞ্চলে কিছুটা বেগ পেতে হবে ‘ফাইভ-জি’প্রযুক্তিতে, কিন্তু এই সহজ ব্যবহার প্রক্রিয়ার কারণে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
দেশের সকল জেলা ও মফস্বল অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চত করার কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার জন্য একাধিক ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়া হয় তারপরেও রক্ষা হয় না। তাই স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়তা লাভ করবে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা চান এমন ব্যবহারকারীদের কাছে। তাই বিদেশি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দেশে প্রবেশের আগেই দেশিয় স্যাটেলাইট প্রযুক্তি কিংবা ফাইভ-জি সেবা চালু করে আমাদেরকে আগে থেকেই অভ্যস্ত করে ফেললে হয়তো তখন বিদেশি সেবা আমাদেরকে সহজে আগ্রহী করানোর সুযোগ পাবে না।
Copyright © Salauddin Salim