নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু

জেলার সেনবাগ উপজেলায় মাটির চুলা থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে পুড়ে দুই শিশু ছাই হয়ে গেছে। তারা সম্পর্কে আপন ভাই বোন।

নিহতরা হলেন- নোমান(৭) ও মাহি(৩) উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের বীর নারায়ণপুর গ্রামের আহম্মদ আলী বেপারী বাড়ির ইকবাল হোসেনের ছেলে-মেয়ে।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের বীর নারায়ণপুর গ্রামের আহম্মদ আলী বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান- বীজবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন।

তিনি আরো জানান, বীর নারায়ণপুর গ্রামের ইকবাল একজন হোটেল মেসিয়ার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার স্ত্রী গোলাপী বেলা ১১টার দিকে রান্না ঘরের মাটির চুলায় দুপুরের খাবারের রান্না শুরু করে। রান্না ঘরের সাথে লাগোয়া হচ্ছে তাদের বসত ঘর। রান্না শুরু করে গোলাপী পুকুরে যান এবং পরিবারের অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। চুলার পাশে রাখা ছিল শুকনো গাছের পাতা। একপর্যায়ে চুলার আগুন ওই পাতায় ছড়িয়ে পড়লে রান্না ঘর ও বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই সময় বসত ঘরের চৌকিতে থাকা দুই শিশু বাচ্চাও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রান্না ঘরে গ্যাসের একটি সিলিন্ডার থাকায় তা বিস্ফোরণে আগুনের লেলিহান শিখা আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

যুবরা নিরাপদ পানি রক্ষায় কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ
দেশে সম্প্রতি নিরাপদ পানির অভাবে ডাইরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এর প্রধান কারণ পানিতে কলেরার জীবানু (ই-কোলাই)। এর জন্য দায়ী অনিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। নিরাপদ পানি সরবরাহ জন্য কতৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকলে সংকট কাটিয়ে ওটা সম্ভব নয়।
গত রবিবার ডরপ্ আয়োজিত পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা প্রাপ্তিতে শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণে যুবদের অংশগ্রহণে এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক এর সাউথ এসিয়ান কোর্ডিনেটর বিনায়ক দাস বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চত সম্ভব।
এছাড়া ডরপ্ এর গবেষনা পরিচালক যোবায়ের হাসান বলেন শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমেই নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন অধিকার নিশ্চিত হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহন এবং অন্তভূক্তিকরণ এই ৪ টা পিলারের মাধ্যমে টেকসই নিরাপদ পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
প্রায় ১০ জন যুব সমাজের প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে শুদ্ধাচারের মাধ্যমে নিরাপদ পানি এবং স্যানিটশন নিশ্চিত করার লক্ষে একটি কম পরিকল্পনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভাব্য সর্বোত্তম নীতি কাঠামোর আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এখন আমাদের ব্যবসা এবং বিনিয়োগের পরিবেশ সহজ করার জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য নীতি কাঠামো এবং জোরালো সম্ভাবনার বিষয়ে আপনাদের আশ্বস্ত করব।’ প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেলিগেশনের সঙ্গে বৈঠককালে এই আহবান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন মার্কিন কোম্পানিগুলো এ সুবিধা গ্রহণ করবে এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, আইসিটি, অবকাঠামো, হালকা প্রকৌশল পণ্য, মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক পণ্য, অটোমোবাইল, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ওষুধ, সিরামিকের মতো সম্ভাব্য খাতে আরও বিনিয়োগ করবে। .
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আপনারা অনুকূল পরিবেশ বুঝতে সক্ষম হবেন এবং আপনারা বাংলাদেশে সম্ভাব্য বিনিয়োগের আস্থা অনুভব করতে পারবেন।’
তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ এখন আরএমজি, চামড়া, প্লাস্টিক, পাট, আইসিটি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং আরও অনেক খাতে অত্যাধুনিক উৎপাদন কারখানার জন্য স্বীকৃত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের ‘সময়’ এবং অনুগ্রহ করে আমাদের অনুকূল পরিবেশে বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুযোগ নেয়ার ‘সময়’ তৈরি করুন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইউএস-বাংলাদেশ এনার্জি টাস্কফোর্স যেটি সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে চালু হয়েছিল তা উভয় দেশের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
একইভাবে, প্রস্তাবিত ইউএস-বাংলাদেশ ডিজিটাল ইকোনমি টাস্কফোর্স টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় দেশের কোম্পানির সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে অবদান রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ-মার্কিন বন্ধুত্ব অভিন্ন মূল্যবোধ ও অংশীদারিত্বমূলক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি আমাদের সম্প্রসারিত সার্বিক ব্যবসায়িক সম্পর্কের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে।’
‘মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য বাণিজ্য সুবিধার মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করা যেতে পারে,’ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ’বাংলাদেশ একটি উপযুক্ত সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।’

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশকে তার অন্যতম সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউএস চেম্বারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন এই সফর এবং প্রাসঙ্গিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময়ের ফলে প্রত্যাশিত ব্যবসা থেকে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব আরও অন্বেষণ হবে এবং নিশ্চিতভাবে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে এবং উভয় দেশের বেসরকারি খাত উপকৃত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে স্নাতক হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যেএকটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সে কারণে আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।’

বাংলাদেশকে এখন একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি দেশটি বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন উন্নত ও সহজ করেছে।

সরকার প্রধান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে এবং বিদেশী বিনিয়োগ সংসদের আইন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত।’ শেখ হাসিনা সম্প্রতি বাংলাদেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের সড়ক, রেলপথ ও নৌ যোগাযোগের উন্নয়ন করছি।’
বাংলাদেশ সারাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১শ’ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব দেন, ‘আপনারা যদি চান তবে আমরা শুধুমাত্র মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি জোন নির্ধারণ করে দিতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ, এবং দক্ষ জনশক্তির বিকাশে আমাদের ফোকাস নিশ্চিত করে এখানে বিনিয়োগকারীরা প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানব সম্পদ পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার আমাদের নাগরিকদের জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রবৃদ্ধির কৌশল অনুসরণ করছে যা বিশ্ব অর্থনীতিবিদ এবং সংস্থাগুলো দ্বারা টেকসই হিসাবে স্বীকৃত।

শ্রীলংকার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে নিলেন সৈন্যরা

শ্রীলংকার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে মঙ্গলবার সশস্ত্র সৈন্যরা কলম্বোতে তার সরকারি বাসভবন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ভবনটির সদর দরজা ভেঙ্গে ফেলার পর তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হলো। খবর এএফপি’র।

বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর ‘টেম্পল ট্রিস’ বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয়ে দুই তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। রাজাপক্ষে সেখানে তার একেবারে কাছের পরিবারের সদস্যদের সাথে অবস্থান করছিলেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ এক কর্মকর্তা এএফপি’কে বলেন, ‘ভোরের আগে সেখানে অভিযান চালানোর পরে সৈন্যরা সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে নিরপদে সরিয়ে নেন। এ সময় কমপক্ষে ১০ টি পেট্রোল বোমা বাসভবন চত্বরে ছুঁড়ে মারা হয়।’

সহিংস বিক্ষোভের এক দিন পর রাজাপাকসেকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। এ সহিংসতায় আইনপ্রণেতাসহ পাঁচজন নিহত ও প্রায় ২শ’ আহত হন।

ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, পুলিশ উপনিবেশ শাসনামলের এ ভবনের তিনটি প্রবেশ পথের সবক’টি থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদনে গ্যাস নিক্ষেপ করেন এবং আকাশের দিকে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়েন। এ ভবনকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক মনে করা হয়।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ : লুটেরা মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে

দেশে সয়াবিন তেলের কোনো সংকট ছিল না। কৃত্রিম সংকট তৈরীর মাধ্যমে লুটেরা মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তেলের মুল্য ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব ও জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলনের সমন্বয়কারী এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ আমলাদের সঙ্গে অসৎ ও লুটেরা ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ রয়েছে। যার ফলে ঈদের আগে ভোজ্য তেলের সঙ্কট তৈরী করে যে সিন্ডিকেট জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সরকার তাদের শাস্তি প্রদান না করে তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “ভোজ্য তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে” ‘জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন’ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দোকানে কোনও তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়। ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হতে থাকে। বাজারে এমন সঙ্কটের মাধেই সরকার দেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নিমে আসবে তার দায় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, বাণিজ্যমন্ত্রী-সচিবও এড়াতে পারবেন না।

তিনি বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও লুটেরা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার নিজেই প্রমান করলো দেশের বাজার আজ মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি।

হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, যেখানে লুটেরাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা, তা না করে সরকার মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া অন্যকিছুই নয়।

মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে যেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল, সেই সুবিধা তো জনগণ পেলই না, উল্টো আরও মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে হঠাৎ করে তেল উধাও করে দেওয়া হলো।

এবিএম খালিদ হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এসব সিন্ডিকেট সরকারী দলের নেতারাই তৈরী করেছেন।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব ও জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলনের সমন্বয়কারী এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন এনডিপি মহাসচিব ও জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হোসেন, জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, নাগরিক সমাজের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সোনার বাংলা পার্টির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট জাফর আহমেদ জয়, জাগ্রত জনতা ফোরামের সভাপতি মুহম্মদ ওয়ালিদ সিদ্দিকী তালুকদার,বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়কারী মো. মহসীন ভুইয়া, জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব এম ইলিয়াস আলী, বাংলাদেশ জাস্টিজ পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা মো. নুরুল ইসলাম, নারী নেত্রী সাদিয়া সূচি প্রমুখ।

জামালপুরে’গলুই’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে এবার ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব খান

ঈদে দেশব্যাপী মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘গলুই’। মুক্তির পর দর্শকমহলে ভাল সাড়া পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে এরইমধ্যে হঠাৎ করে জামালপুরের ইসলামপুর অডিটরিয়ামে চলা সিনেমাটির প্রদর্শনী সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ করায় ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব খান মঙ্গলবার দুপুর ১২:৫০ মিনিটের সময় নিজের অফিসিয়াল ভেরিফাইড পেজে এমনটা লেখেন। পুরো স্ট্যাটাসটি ঢাকা রিপোর্ট পাঠকদের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হলো-

[করোনায় গত দুই বছর দেশের চলচ্চিত্র অনেকটাই থমকে ছিল। এবারের ঈদে ভালো মানের চলচ্চিত্রের মুক্তিতে গতি আসা শুরু করছিল। সবাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নও দেখছিলেন। প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী কলাকুশলী থেকে শুরু করে সিনেমা হল মালিক – প্রত্যেকের তাই দৃষ্টিই ছিল ঈদের চলচ্চিত্রের দিকে। মুক্তির প্রথমদিন থেকেই আমার অভিনীত দুটি চলচ্চিত্র ‘গলুই’ ও ‘বিদ্রোহী’র হল রিপোর্টও দারুণ পাচ্ছিলাম। বিশেষ করে ‘গলুই’ এর দর্শকপ্রিয়তা ছিল শুরু থেকেই ছিল অন্যরকম ভালো লাগার।

সুস্থ ধারার এই চলচ্চিত্র দেখতে মানুষ পরিবার নিয়ে আবার সিনেমাহল মুখী হয়েছেন; সংশ্লিষ্ট সবাইও তেমনটাই বলছিলেন। সব শ্রেণীর দর্শকদের থেকে ইতিবাচক সব প্রতিক্রিয়া পাচ্ছিলাম। এমনকি দেশের প্রতিষ্ঠিত সব গণমাধ্যমেও সেই খবর উঠে আসছিল।

নতুন প্রজন্ম সরকারি অনুদানে তৈরি ‘গলুই’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নতুন করে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারছিল; যা আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করছিল। কারও হয়তো অজানা নয় যে, ‘গলুই’ এর বেশিরভাগ শুটিং জামালপুর জেলায় হয়েছে। ফলে অন্য যে কোনো জায়গার চেয়ে ‘গলুই’ নিয়ে সেখানকার মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। অথচ এই জেলা শহরে নেই কোনো সিনেমা হল! বাধ্য হয়ে ‘গলুই’ সংশ্লিষ্টরা জেলা শিল্পকলাসহ চারটি মিলনায়তনে ঈদের দিন থেকে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন। এসব মিলনায়তনে দর্শকেরও উপস্থিতি ছিল উপচে পড়া।

একের পর এক সিঙ্গেল স্ক্রিন বন্ধ হওয়ার এই সংকটকালে জামালপুরে বিকল্প ব্যবস্থায় ‘গলুই’ মুক্তির বিষয়টি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। যা হতে পারতো সিনেমাহল হীন অন্য জেলা কিংবা উপজেলা শহরগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত। বাস্তবে ঘটলো উল্টোটা! বাঁধ সাধলো জামালপুর জেলা প্রশাসন! সিনেমাপ্রমীদেরও মন ভেঙে গেল।

নানান মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, শত বছর আগের তৈরি ‘সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট’ এর দোহাই দিয়ে মিলনায়তনগুলোতে ‘গলুই’ এর প্রদর্শনী বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে! যা শুধু আমাকে ব্যথিত করেনি, বরং বিস্মিত ও হতবাক করেছে। ‘গলুই’ চলচ্চিত্রটি যখন সাধারণ মানুষেরা সানন্দে গ্রহণ করেছেন, পরিবার নিয়ে দেখছেন; তখন এর প্রদর্শনী বন্ধের খবরে চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটি মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরাও প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন।
অতীতে বিকল্প ব্যবস্থায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয়েছে! সেই সব চলচ্চিত্র প্রদর্শনে প্রশাসন সহায়তা করেছে। তাহলে ‘গলুই’ বিকল্প ব্যবস্থায় প্রদর্শন হতে সমস্যা কোথায়?

চলচ্চিত্রের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে সরকারের নানামুখি পরিকল্পনার কথা শুনে আসছি। সিনেমাহল মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া, সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রের সঠিক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা, সিনেমা নির্মাণে বড় অনুদানসহ সরকারের বেশকিছু পরিকল্পনা হয়তো এখন বাস্তবায়নের পথে। একইসাথে সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও চলচ্চিত্র উন্নয়নের আশ্বাস সবসময়ই দিয়ে থাকেন। আর সেই সময় যখন ব্রিটিশ আমলে তৈরি চলচ্চিত্র স্বার্থ বিরোধী আইন দিয়ে পথ রোধ করা হয়, তখন বিষয়টি হয়ে ওঠে সাংঘর্ষিক। এমন অবস্থা বিরাজমান থাকলে বাংলা চলচ্চিত্র দিয়ে বিশ্বজয় করা তো দূরে থাক, এগিয়ে যাওয়াই অসম্ভব!

আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতায় খুব শিগগির জামালপুরসহ যেসব জেলায় সিনেমাহল নেই, সেখানকার মিলনায়তনগুলোতে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘গলুই’ এর মতো সুস্থধারার চলচ্চিত্র দেশের মানুষকে উপভোগ করার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।]

সহিংস সংঘর্ষের পর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সোমবার পদত্যাগ করেছেন। তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের ৭৮ জন আহত হওয়ার পর তিনি এ পদত্যাগ করেন। খবর এএফপি’র।

মুখপাত্র  রোহান বিলিভিতা বলেছেন, ‘নতুন ঐক্য সরকারের’ পথ সুগম করতে ৭৬ বছর বয়সী মাহিন্দা রাজাপাকসে তার পদত্যাগপত্র ছোট ভাই প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের কাছে পাঠিয়েছেন।

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ডিএনসিসির ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২টি ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত।

গতকাল সিটি কর্পোরেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১ নম্বর ওয়ার্ডের সেক্টর-৭ এর আশপাশ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় নির্মানাধীন ভবন এবং বাসা বাড়ীতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায়য় ৪টি মামলায় ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

অঞ্চল-২ এর আওতাধীন ওয়ার্ড-২ এ পল্লবী থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় ৪টি মামলায় ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।