‘ককপিট’ প্রচারণায় ঢাকা আসছেন দেব

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক দেব অভিনীত ‌‘ককপিট’ ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার)। তার তিনদিন আগেই ছবির প্রচারণা ও সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা আসছেন তিনি।

সাফটা চুক্তির আওয়াত ‘ককপিট’ বাংলাদেশে মুক্তি দিচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। বিনিময়ে কলকাতায় মুক্তি পাবে ‘ধ্যাততেরিকি’ চলচ্চিত্র। প্রতিষ্ঠানটি কর্ণধার আবদুল আজিজ দেবের ঢাকায় আসার খবর নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল আজিজ তার ফেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেবকেও দেখা গেছে। টলিউডের এই খোকাবাবু জানান, ৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বাংলাদেশে ‘ককপিট’ ছবির মুক্তি উপলক্ষে ৫ তারিখ (মঙ্গলবার) ঢাকা আসছেন তিনি। বলেন, সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় হবে।

এর আগে ‘বুনোহাঁস’ ছবির শুটিং ও রাজনৈতিক সফরে একাধিকবার ঢাকায় এসেছিলেন দেব। তবে তার ছবি মুক্তি উপলক্ষে প্রচারণায় এবারই প্রথম ঢাকায় আসছেন।

পূজা উপলক্ষে গত ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ‘ককপিট’। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন দেব নিজেই। দেব ছাড়াও ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কোলেল মল্লিক, রুক্সিণী, বাংলাদেশের রোশান, ফারিন প্রমুখ।

‘ককপিট’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন ওপারের জনপ্রিয় পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। দেব ও কমলেশ্বর জুটির এটি তৃতীয় চলচ্চিত্র। এ ছবিটিতে দেব বিমানচালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

হাজার পর্বের ধারাবাহিক নাটকে ঈশানা

লাক্সতারকা হয়ে পথচলা শুরু গ্লামারগার্ল ঈশানা খানের। সারাবছর তাকে নাটক-টেলিছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়। সেই সাফল্যের পথ পেরিয়েই সম্প্রতি একহাজার পর্বের নতুন একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি, যেখানে রাজকন্যা রূপে হাজির হচ্ছেন এই মিষ্টি হাসির তারকা।

দেওয়ান নাজমুলের রচনা ও পরিচালনায় নতুন একটি ধারাবাহিকে ঈশানা অভিনয় করছেন। নাম ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’। এখানে ঈশানাকে ‘রূপনগরের রাজকন্যা’র চরিত্রে দেখা যাবে। এই নাটকে কাজ করা প্রসঙ্গে ঈশানা বলেন, এই চরিত্রটি আমার কাছে স্বপ্নের মতো। এ ধরনের চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। তিনি বলেন, হাজার পর্বের এই নাটকটি দর্শকরা দেখে যেমন বিনোদন পাবেন, তেমনই চমকও থাকবে।

নির্মাতা দেওয়ান নাজমুল জানান, এই নাটকটি একহাজারের বেশি পর্বে নির্মিত হচ্ছে। সম্প্রতি গাজীপুর ও সিলেটের জাফলংয়ে শুটিং করলাম। যে কোনো বেসরকারি চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে আগামী বছর থেকে। ঈশানা ছাড়াও এই নাটকে আরও অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, চম্পা, আশিক চৌধুরী, অরিন প্রমুখ।

গলায় রক্তক্ষরণ, গাইতে পারছেন না শাকিরা

গেল দুই মাস ধরে শাকিরার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে তার গলায় একাধিকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে। অতিরিক্ত সংগীত চর্চার ফলে জনপ্রিয় এই পপতারকা পড়েছেন বিপাকে। চিকিৎসকের পরামর্শে শাকিরা এখন পুরোপুরি বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এমনকি গান গাওয়া থেকে বিরত থাকছেন তিনি। ঠিকমত কথা বলতে বারণ করা হয়েছে তাকে।

এদিকে শাকিরার ‘এল ডোরাডো ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ শুরু হওয়ার কথা ছিল ৮ নভেম্বর। গত ২৭ জুন এই সফরের ঘোষণা দেন শাকিরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শাকিরার এই সংগীত সফরে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন শহরে ৩৪টি কনসার্ট হবে।

পাঁচ মাস ধরে এই সংগীত সফরের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন শাকিরা। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। এ অবস্থায় কোনোভাবেই তার পক্ষে কনসার্টে অংশ নেওয়া সম্ভব না। তাই ইউরোপে যারা কনসার্টের টিকিট কিনেছিলেন, তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে শাকিরা তার ফ্যান পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শাকিরার পুরো নাম শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপোল। গোটা পৃথিবী তাকে শাকিরা নামেই চেনেন। এই কলম্বিয়ান তারকা দুইবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড, সাতবার ল্যাটিন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। একাধারে গায়িকা, গীতিকার, সুরকার, সংগীত প্রযোজক এবং নৃত্যশিল্পী তিনি। শুধু গুণেই নয়, রূপেও অনন্যা শাকিরা। পৃথিবীর অন্যতম আবেদনময় শিল্পী হিসাবে দারুণ জনপ্রিয় ৪০ বছর বয়সী এই তারকা।

সোনা জাদুরে নিয়ে হাজির শ্রাবণী পুষ্প

সময়ের অন্যতম মডেল-অভিনেত্রী শ্রাবণী পুষ্প। সম্প্রতি কাজ করেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সন্দীপনের গাওয়া ‘সোনা জাদুরে’ শিরোনামের একটি গানের মিউজিক ভিডিওতে। এই মিউজিক ভিডিওটি এরইমধ্যে ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে প্রযোজনা সংস্থা মাই সাউণ্ডের অফিসিয়াল চ্যানেলে।

দেলোওয়ার আরজুদা শরীফের লেখা, অভি আকাশের সুরে গানটি সংগীত পরিচালনা করেছেন মুশফিক লিটু। মিউজিক ভিডিওটি র নির্মাণ করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন।

গানটির মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হবার পর শ্রোতা-দর্শকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া গানটির মডেল হিসেবে শ্রাবণী পুস্পও বেশ সমাদৃত হয়েছেন দর্শকদের কাছে। এ প্রসঙ্গে শ্রাবণী পুষ্প বলেন, ‘গানটির কথা ও সুর খুবই সুন্দর। আর সন্দীপন দা’র গায়কী নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। ভিডিওটি সবার মন জয় করলেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে।’

মিউজিক ভিডিওটিতে শ্রাবণীর সহ-মডেল হিসেবে ছিলেন শুভ্র।

পাকিস্তানে নিষিদ্ধ মাহিরার ছবি

পাকিস্তানি তারকা মাহিরা খান। বলিউডে তার অভিষেক ঘটেছিলো বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের বিপরীতে। ‘রেইস’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন এ তিনি। এরপর থেকে বলিউডে এই নায়িকার চাহিদা বেড়েছে।

তবে সময়টা ভালো যাচ্ছেনা এ তারকার। সম্প্রতি বলিউড তারকা রনবীর কাপুরের সাথে ধুমপানের একটি ছবি নিয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এবার পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার একটি ছবি।

‌‘ভার্না’ শিরোনামের ছবিটিতে একজন ধর্ষিতার ভূমিকায় অভিনয় করেন মাহিরা খান। ছবিটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি নায়ক হারুন শহিদ। জানা গেছে, ছবিটিতে অযাচিতভাবে ধর্ষণকে তুলে ধরা হয়েছে দাবি করে ছবিটি নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান সেন্সরবোর্ড।

তবে ছবিটির পরিচালক শোয়াইব মনসুর জানিয়েছেন, গল্পের তাগিদেই দৃশ্যটির চিত্রায়ন করা হয়েছে। পাকিস্তান সেন্সর বোর্ডের এমন আচরণে বিস্মিত তিনি।

এদিকে ছবি আটকে দেয়ার সিদ্ধান্তে দেশটিতে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান সেন্সর বোর্ড। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেক পাকিস্তানি তারকারাও।

রোহিঙ্গাদের দেখতে বাংলাদেশে আসছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

মিয়ানমার সরকারের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে লাখে লাখ রোহিঙ্গারা। তাদের মানবেতর জীবন যাপনের দৃশ্য নাড়া দিয়ে যায় অনুভূতিতে। সহানুভূতি নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন বিশ্ব বরেণ্য নেতৃবৃন্দ। সেই মিছিলে রয়েছে অনেক নানা অঙ্গনের তারকারাও।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার শোনা যাচ্ছে শিগগিরই বাংলাদেশে আসবেন হলিউড উজ্জ্বল করা অভিনেত্রী-নির্মাতা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মানুষের ওপর নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে বরাবরই সরব জোলি। জাতিসংঘের হয়েও তিনি নানা রকম কর্মকাণ্ডে অংশ নেন।

বিশ্বখ্যাত এ তারকা এবার সোচ্ছার হয়েছেন মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে। নিজ চোখে এবং সশরীরে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। আর এ জন্য তিনি বাংলাদেশ সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন তথ্যই নিশ্চিত করেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের এক সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত জোলি। নিজের বক্তব্যে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নিন্দা জানিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে তিনি সফরের বিষয়ে নিজের ইচ্ছের কথা জানান। প্রশংসাও করেন বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশে আসার সফরসূচির দিনক্ষণ এখনো নিশ্চিত করেননি জোলি।

বাংলাদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়

বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরতে পরতে লুকিয়ে আছে নতুন রঙের ছটা। একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বার যে সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তা রয়েছে। ভিন্ন জীবনধারা, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আর অনন্য শিল্পশৈলীর অফুরান মিশ্রণে ঘেরা আদিবাসী সম্প্রদায়। প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষারীতি কালের স্রোতে বাহিত হয়ে চলেছে তাদের সমাজে। আসুন আজ জেনে নেই কিছু আদিবাসী সম্প্রদায় সম্পর্কে-

সাঁওতাল

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসকারী অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহৎ নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল। উত্তরের দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলাসমূহে তাদের বসতি। তেভাগা ও স্বদেশী আন্দোলন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পাশাপাশি নানা ঐতিহাসিক ঘটনায় সাঁওতালদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। তারা তাদের পরিচয় দেয় ‘হড়’—অর্থাৎ মানুষ হিসেবে।

মাটির তৈরি প্রায় জানালাবিহীন নিচু দরজাবিশিষ্ট ছোট ছোট ঘরে এরা বাস করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সাঁওতাল মহিলারা বালা, হাঁসুলি, মল ইত্যাদি পরতে এবং খোঁপায় ফুল গুজতে ভালোবাসে। সাঁওতালদের পোশাক ‘পাঁচি’, ‘পাঁচাতাত’ ও ‘মথা’। তবে পুরুষরা থান কাপড়ের ধুতি, লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা এবং নারীরা হাতেবোনা শাড়িও পড়ে।

সাঁওতালদের মধ্যে ছয় রকম বিবাহপ্রথা চালু আছে এবং শুধু বহিঃগোত্র বিবাহের চল আছে। অভিভাবকের পছন্দ অনুসারে বিয়েকে সাঁওতালি ভাষায় ‘ডাঙুয়াবাপলা’ বলে। সাঁওতালরা মূলত কৃষিকাজ করে। কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি নিজেরাই তৈরি করে। এগুলোতে শ্রদ্ধাবশত সিঁদুরের ফোঁটা দেয়।

তারা নবান্ন, হোলি, সোহরাই, দাসাই, বাহা প্রভৃতি উৎসব পালন করে। তাদের রয়েছে নিজস্ব গান, সংস্কৃতি এবং নৃত্যভঙ্গিমা। মাদল, দমা ও বাঁশি এদের প্রধান বাদ্যযন্ত্র। এদের প্রধান খাদ্য ভাত। এর পাশাপাশি মাছ, মুরগি, ইঁদুর, বেজি, খরগোশ, গুঁইসাপ, সবজি, শুকর, কাঁকরা প্রভৃতি খায়। সাঁওতালি ভাষায় দেবতাকে বলে ‘বোংগা’। এদের প্রধান দেবতা সূর্য। পাহাড়ের দেবতা হলো ‘মারাংমুরো’ এবং গৃহদেবতার নাম ‘বোঞ্চার’। শবদাহ করার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে অর্থাভাবে এরা মৃতদেহ কবর দেয়।

মারমা

মারমা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৃগোষ্ঠী। এরা জাতিগতভাবে বর্মী বা বার্মিজদের উত্তরসূরি। মারমা নামটির উৎপত্তি ‘ম্রাইমা’ থেকে। যা কি না মায়ানমারের জাতীয়তাবাদ থেকে আগত। মারমাদের ভাষা বার্মিজ থেকে আগত একটি উপভাষা। তাদের বর্ণমালাকে ‘মারমাজা’ বা ‘মারিমাচা’ বলে। মারমা পুরুষরা কোমর থেকে হাঁটু অবধি লম্বা ‘দেয়াহ’ পড়ে। কেউ কেউ ‘খিয়ক’ নামক কোমর থেকে গোড়ালি অবধি লম্বা কাপড় পরে। উপরিভাগে ‘বারিস্তা’ নামক পোশাক এবং মাথায় ‘খবং’ নামক পাগড়ি পরিধান করে। মহিলারা উপরিভাগে ‘বেদাই উঙ্গি’ এবং নিম্নভাগে ‘থবিং’ কিংবা ‘থামি’ পরে। এছাড়াও পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই লুঙ্গি পরার চল আছে।

এদের সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক এবং পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারে ছেলে ও মেয়ের অংশীদারিত্ব সমান। মারমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং এদের ধর্মগ্রন্থ হলো ‘খাদুত্তিয়াং’। এদের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- সাংগ্রিয়া, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, কঠিন চীবর দান, ওয়াহগ্যই, ওয়াছো পোয়ে, পইংজ্রা পোয়ে ইত্যাদি। মারমারা ভাত, সবজি, মাছ-মাংস, ফল-মূল, কন্দ খেয়ে থাকে। তোহজা, নাপি বা আওয়াংপি ইত্যাদি বিশেষ খাবার। তারা জুম চাষ, দিনমজুরি, ঝুড়ি বানানো, হাতে কাপড় বোনার কাজ করে। মারমারাও ধীরে ধীরে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠছে।

গারো

গারোরা ‘মান্দি’ যার অর্থ মানুষ বলে নিজেদের পরিচয় দেয়। ময়মনসিংহ ও সিলেটের আদিবাসী সম্প্রদায় তারা। এরা শক্তশালী মাঝারি দেহাবয়ব, চ্যাপ্টা নাক ও ছোট চোখ বিশিষ্ট হয়। তাদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক। গারোদের প্রধান দেবতার নাম তাতারা রাবুগা। গারোদের ভাষা হলো মান্দি ভাষা।

গারোরা মুরগি, হাঁস, গরু, ছাগল, শুকর প্রভৃতি খায়। এরা গরুর দুধ খায় না। বিড়াল গারোদের টোটেম হওয়ায় বিড়ালও খায় না। পুঁটি মাছের শুঁটকি দিয়ে তৈরি ‘নাখাম কারি’ এদের খুব প্রিয় খাবার। মদ তাদের অন্যতম প্রিয় পানীয়। গারোদের মধ্যে গোত্রবিবাহ নিষিদ্ধ। গারোরা মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিশ্বাসী। সমাজে ছেলেরা অবহেলিত এবং মায়ের মৃত্যুর পর বাবার প্রতি মেয়ের কোন দায়িত্ব থাকে না। এদের আদি পেশা জুমচাষ হলেও বর্তমানে এরা আধুনিক কৃষিকাজের পাশাপাশি নানান পেশায় জড়িত।

জৈন্তিয়া

সিনতেং (Synteng) গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এ গোষ্ঠীর দৈহিক গড়ন মঙ্গোলয়েড। তাদের কিছু অংশ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বসবাস করে। এদের নিজস্ব ভাষা থাকলেও বর্ণমালা নেই। জৈন্তিয়াদের স্বাক্ষরতার হার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ যা বৃহত্তর সিলেটের সব উপজাতির মধ্যে সর্বোচ্চ। জৈন্তিয়া নারীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এবং মাথায় খাসিয়াদের অনুরূপ কাপড় বাঁধে।

এরা মূলত কৃষিকাজ করে, পান, সুপারি প্রভৃতি উৎপাদন করে। শুকরের মাংস এদের অন্যতম প্রিয় খাবার। এছাড়াও ভাত, সবজি, মাছ, খাসির মাংস, মুরগি, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, চা প্রভৃতি খেতে পছন্দ করে। ‘হকতই’ এদের অন্যতম উৎসব যা দুই দিনব্যাপী পালিত হয়। ‘যত নৃত্য, তত ফলন’– এ প্রবাদে বিশ্বাসী হয়ে বিভিন্ন উৎসবে নিজস্ব ভঙ্গিমায় নৃত্য পরিবেশন করে।

ত্রিপুরা

ত্রিপুরারা চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাস করে। তারা ককবরক বা হিলাম ভাষায় কথা বলে। এদের কোন নিজস্ব বর্ণমালা নেই। পুরুষেরা খবং, ধুতি এবং মেয়েরা থামি, রিং-নাই, খাদি পড়ে। পুরুষ এবং নারীদের জাতীয় পোশাক যথাক্রমে রিমতাই, কুবাই এবং রিনাই, রিসা। নারীরা ভিন্নধর্মী গহনাও পরে। এদের নিজস্ব দেবতার পাশাপাশি অনেকে হিন্দু ধর্মের কিছু দেবতারও আরাধনা করে। এরা চাষের পাশাপাশি অন্য পেশায়ও নিয়োজিত।

মণিপুরী

বাংলাদেশের সিলেট ও ভারতের মণিপুরের অধিবাসী এরা। এদের ভাষা মেইতেই লন। এরা বিষ্ণুপ্রিয়া, মৈতৈ ও পাঙন নামক শ্রেণিতে বিভক্ত। এদের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী যার মধ্যে প্রধান হচ্ছে এদের গীত ও অপূর্ব নৃত্য। অপোকপা এবং চৈতন্য ধারার সনাতনী ধর্মমতে বিশ্বাস করে। দোল পূর্ণিমায় মুক্তমাঠে নৃত্য করে। এদের অন্যতম উৎসব রাসপূর্ণিমা। হাতেবোনা কাপড় ও হস্তশিল্পে মণিপুরীরা অত্যন্ত দক্ষ।

ম্রো বা মুরং

মুরং শব্দটির একবচন ‘ম্রো’ যার অর্থ মানুষ। ম্রো ভাষায় এরা নিজেদের মারুচা বলে থাকে। মেয়েরা ‘ওয়াংকাই’ এবং পুরুষরা ‘ডং’ পরে। ছেলেরা মাথায় চিরুনি এবং মেয়েরা ফুল গুজে রাখে। একই গোত্রে বিবাহ নিষিদ্ধ। শরীরে রঙের প্রলেপ ব্যবহার করে। প্রকৃতি পূজারী এবং শুধু ইহকালে বিশ্বাসী। এদের নিজস্ব নাচ এবং ক্লং নামক বাঁশির ব্যবহার রয়েছে।

পছন্দের রং বলে দেবে আপনার বৈশিষ্ট্য

আপনার পছন্দের রং কোনটি? কোনো উজ্জ্বল বা হালকা রং কি আপনাকে বেশি প্রভাবিত করে? তা-ই যদি হয়, তাহলে আপনার পছন্দের রং-ই বলে দেবে আপনার বৈশিষ্ট্য। মানুষের বিশেষ কিছু দিক খুব সহজেই বোঝা যায় তার পছন্দের রং দিয়ে।

বেগুনি
তিনি একজন পারফেকশনিস্ট। যেকোন কাজ নিখুঁতভাবে করাটাই তার ব্যক্তিত্বের মাপকাঠি। অত্যন্ত আবেগপ্রবণও।

নীল
তারা রক্ষণশীল। নিজস্ব চিন্তাধারা ও বিশ্বাস নিয়ে বাঁচেন। অন্যকে খুশি করার জন্য নিজের আদর্শ কখনোই বদলান না।

আকাশি
তিনি অত্যন্ত সৎ ও সহানুভূতিশীল। যে কারণে খুব সহজেই মানুষ তাকে বিশ্বাস করতে পারে।

 

সবুজ
তারা খুব অল্পতেই খুশি হন। নিজের কাজের সামান্যতম স্বীকৃতি পেলেই অনেক আনন্দ পান।

হলুদ
যুক্তিই তাকে বর্ণনা করে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি বিষয়েই তিনি যুক্তি খুঁজে বেড়ান।

 

কমলা
তারা অনেক সামাজিক হন। মানুষের সঙ্গে মিশতে পছন্দ করেন। সবাই তাদের খুব সহজেই গ্রহণ করে নেয়।

লাল
লাল রং যারা পছন্দ করেন; তারা অত্যন্ত বহির্মুখী হন। তাদের জীবন হয় ‘অ্যাকশন ওরিয়েন্টেড’। তারা খুবই কর্মতৎপর ও আত্মবিশ্বাসী।

সাদা
তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। খুবই খোলা মনের মানুষ হন। তাই সামান্যতম খুঁত দেখলেই বিরক্ত হন।

 

কালো
তারা এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, সহজে কেউ তাদের নাগাল পায় না। তারা অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

দাঁত ব্রাশ ছাড়াও টুথপেস্টের ১০টি কাজ

দাঁত পরিষ্কার করতে চুলার ছাই বা মেসওয়াকের যুগ চলে গেছে অনেক আগেই। এসেছে টুথব্রাশ এবং টুথপেস্টের ব্যবহার। ঝকঝকে দাঁতের জন্য টুথপেস্ট অপরিহার্য। তবে দাঁত ব্রাশ করা ছাড়াও টুথপেস্টের আরো ব্যবহার রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে মুখের বা দাঁতের কোনো সম্পর্ক নেই—

মোবাইল স্ক্রিন
মোবাইলে স্ক্রিনে বিভিন্ন রকমের আঁচড়ের দাগ পড়ে যায়। এ ধরনের মোবাইলের স্ক্রিনে অল্প একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে আঙুল দিয়ে ঘঁষে দিন। তারপর কাপড়ের টুকরো সামান্য পানিতে ভিজিয়ে স্ক্রিনটি মুছে নিন।

দেয়ালে আঁকাআঁকি
বাচ্চারা দেয়ালে রং পেন্সিল বা প্যাস্টেল দিয়ে আঁকাআঁকি করবেই। সেক্ষেত্রে একটু টুথপেস্ট দেয়ালের দাগের ওপর লাগিয়ে সামান্য ভেজা কাপড় দিয়ে ঘঁষে দিন। তারপর পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

 

কাপড়ের দাগ
কাপড়ে তেল, মশলা বা কালির দাগ লেগে যায়। চিন্তা নেই, অল্প একটু টুথপেস্ট দাগ-লাগা জায়গাটিতে ঘঁষে নিন। তারপর স্বাভাবিকভাবে সাবান পানিতে ধুয়ে নিন।

বোতলের দুর্গন্ধ
বাচ্চাদের ফিডিং বোতলে দুর্গন্ধ হয়। সেক্ষেত্রে বোতলটিতে অল্প পানি দিন, তারপর বোতলের ভেতর একটু টুথপেস্ট ফেলে বোতলের মুখ বন্ধ করে ঝাঁকিয়ে পানিটা ফেলে দিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন।

পোকামাকড়ের কামড়
মশা, পিঁপড়া বা মৌমাছি জাতীয় পোকা কামড়ালে অল্প একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে দেন, দেখবেন কামড়ের জ্বালা অনেক কমে গিয়েছে।

ফোসকার যন্ত্রণা
ফোসকা পড়ে গেলে অল্প একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে দিলে ফোসকার জ্বালা, যন্ত্রণা একেবারে কমে যাবে।

 

হাতের দুর্গন্ধ
হাত দিয়ে খাওয়ার পর সাবান দিয়ে ধোওয়ার পরেও তেল, মশলা বা পেঁয়াজের গন্ধ যায় না। সেক্ষেত্রে একটু টুথপেস্ট ঘঁষে নিন হাতে। তারপর স্বাভাবিকভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন হাত।

নখ পরিষ্কার
নখের ওপর একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে টুথব্রাশ দিয়ে অল্প ঘঁষে নিন। এতে শুধু যে নখ পরিষ্কার হবে তা নয়, পাশাপাশি নখ চকচকেও হবে।

হেয়ার জেল
হেয়ার জেল যে উপাদান দিয়ে তৈরি হয়; সেই একই উপাদান দিয়ে তৈরি হয় টুথপেস্ট। কাজেই গোসল করার সময় টুথপেস্ট দিয়ে চুল ধুলে কোনো ক্ষতি হয় না, বরং চুল ভালো থাকবে।

 

বেসিন পরিষ্কার
বাথরুম বা রান্নাঘরের বেসিনে সামান্য টুথপেস্ট লাগিয়ে স্ক্রাবার দিয়ে আলতো ঘঁষে নিন। তাহলে ঝকঝক করবে বেসিন।

ফেসবুক তারকা হতে চাইলে!

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ফেসবুক অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুক ব্যবহার করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেকেই রাতারাতি হয়ে উঠেছেন ফেসবুক তারকা। কিন্তু কীভাবে সম্ভব? সেজন্য ফেসবুক ব্যবহারের আগে জানতে হবে কিছু বিষয়। তবে আপনিও হয়ে উঠবেন একজন ফেসবুক সেলেব্রিটি।

 

• নিজে থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
• কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট প্রত্যাখান করলে তাকে বিরক্ত করা যাবে না।
• গুরুত্ব বুঝে লাইক দিন। সবকিছুতে লাইক দিলে আপনি গুরুত্ব হারাবেন।
• পোস্টের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক না হলে কাউকে ট্যাগ করবেন না। এতে অনেকে বিরক্ত হন।
• বন্যা-ভূমিকম্পের মতো বিপদ-আপদের খবর শেয়ার করুন।
• সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে নিজের যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট দিন।
• গান, সিনেমা, বই বিষয়ে রিভিউ দিন। তবে জ্ঞান কম থাকলে লিখবেন না।
• নিয়মিত প্রোফাইল পিকচার বদলান। তবে আলোকচিত্রীর নামোল্লেখ করতে ভুলবেন না।
• মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো রসবোধ।

 

• পছন্দের বিষয় নিয়ে একটি পেজ শুরু করুন।
• ফেসবুকের মাধ্যমে সামাজিক কর্তব্য পালন করুন।
• জন্মদিনে বন্ধুদের ‘উইশ’ করতে ভুলবেন না।
• অশ্লীল বা সাম্প্রদায়িক পেজে লাইক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• পোস্ট ও পেজের কনটেন্ট পাবলিক করে রাখুন।
• বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিন। সেখান থেকে বেছে বেছে পছন্দের মানুষকে অ্যাড করুন।
• নিজের উৎসাহে বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিয়ে মতামত বিনিময় করুন।
• পারলে কয়েকজন ফেসবুক সেলিব্রেটির সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন।
• ছুটির দিনে রাতে বা ছুটির আগের দিনে রাতে পোস্ট খুবই কার্যকরী।