বিভীষিকার সাক্ষী মিরপুরের জল্লাদখানা

মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধরে এনে নির্যাতনের পর শিরশ্ছেদ করে পাম্প হাউজের কূপে ফেলে দেয়া হতো। স্থানীয় বিহারীদের সহযোগিতায় এখানে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ৭১’এর বিভীষিকাময় হত্যাযজ্ঞের সেই স্মৃতি বহন করছে মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি।

মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর পেরিয়ে বেনারসি পল্লী ধরে কিছুটা এগিয়ে যেতেই এ বধ্যভূমি। এর প্রবেশপথের ছোট্ট ফটকের গায়ে লেখা ‘কী বলতে চায় মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি, শুনতে কি পাও?’

 

ভেতরে প্রবেশ করতেই প্রথমে নজরে আসে প্রায় চৌকোনা মাটির স্মারক। সবুজ বিস্তীর্ণ এ ঘাসের নিচে শায়িত রয়েছেন এক মা ও তার দুই সন্তান এমন ভাবনা থেকেই এটি তৈরি। ‘শূন্য হৃদয়’ নামে এ স্মারকটির স্থপতি কবি রবিউল হুসাইন। প্রতিবছর ১৪ ডিসেস্বর থেকে টানা তিনদিন এই স্থানটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জল্লাদখানা বধ্যভূমি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। বধ্যভূমির সামনে সামিয়ানা (প্যান্ডেল) করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে তিনদিনের কর্মসূচি।

বধ্যভূমির ভিতরে ঘুরে দেখা গেল নানা তথ্য। রয়েছে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৪৭৭টি বধ্যভূমির তালিকা। বিভাগওয়ারি করা এ তালিকার মাঝে কাচের ভেতরে মাটির পাত্রে রাখা আছে দেশের অন্যতম ছয়টি বধ্যভূমির মাটি। এসব বধ্যভূমি হলো কিশোরগঞ্জের বড়ইতলা, রাজশাহীর বাবলাবন, জয়পুরহাটের পাগলা দেওয়ান, চট্টগ্রামের ফয়’স লেক, খুলনার চুকনগর এবং সিলেটের আদিত্যপুর।

প্রতিটি বিভাগের মাটির পৃথক রঙ মনে করিয়ে দেয় ষড়ঋতুর এ দেশের বৈচিত্র্যময়তা। এর মাঝ বরাবর দেয়ালে রয়েছে একটি ফলকচিত্র। শিল্পী রফিকুন নবী ও মনিরুজ্জামানের যৌথ এ চিত্রের শিরোনাম ‘জীবন অবিনশ্বর’। যাতে তুলে ধরা হয়েছে, একাত্তরে মিরপুরের এই জায়গাটির গণহত্যার প্রতীকী দৃশ্য। এরপর নজরে আসে ছোট্ট একটি ঘর। এটিই সংগ্রহশালা। যার প্রবেশমুখে ঝুলছে একটি ঘণ্টা। এর নাম ‘সেন্টিমেন্ট বেল’। দর্শনার্থীকে এ ঘণ্টা বাজিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। এ শব্দ শহীদদের কাছে নিজের আগমনের বার্তা জানান দেয়।

জুতা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেয়ালে দেখা মেলে মিরপুরে শহীদদের নামের একটি তালিকা। ইতোমধ্যেই সেখানে সন্নিবেশিত হয়েছে ৭০টি নাম। আরও নতুন নতুন নাম যুক্ত। এরপর দেখা মেলে সেই কুয়ার। হত্যার পর যেখানে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল শহীদদের। এর সামনে একটি কাচের সেলফের ভেতরে রয়েছে এখানকার বধ্যভূমির মাটি। আর তিনটি বক্সে রাখা হয়েছে শহীদ হওয়া মানুষগুলোর ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র। এ ছাড়াও এখানে তৈরি করা হয়েছে ‘স্মৃতি টাওয়ার’। মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পূর্তির এ স্মারকটি একজন তরুণের হাতে জাতীয় পতাকা দেখানো হয়েছে। এটির নির্মাতাও স্থপতি রবিউল হুসাইন।

 

জল্লাদখানার বধ্যভূমির তত্ত্বাবধায়ক কে এম নাসিরউদ্দীন জানান, মিরপুরবাসীর তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ১৯৯৯ সালে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ওয়াসার পরিত্যক্ত পাম্প হাউজে খননকাজ চালায়। এখান থেকে পাওয়া যায় ৭০টি মাথার খুলি, পাঁচ হাজার ৩৯২টি অস্থিখণ্ড ও শহীদদের ব্যবহার্য নানা সামগ্রী। ২০০৭ সালের ২১ জুন মিরপুরের শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে এই স্থাপনাটির দ্বার উন্মোচন করা হয়।

তিনি জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ জল্লাদখানা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। এখানে প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট লাগে না। একটি বাক্স আছে, যার যা ইচ্ছা, সে সেখানে দিয়ে যায়। প্রতিদিনই গড়ে ১৫০-২০০ দর্শনার্থী আসেন। উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত এ সংগ্রহশালা পরিদর্শন করেছেন প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ। এ ছাড়াও প্রতি শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এখানে নতুন প্রজন্মের কাছে মিরপুরের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান শহীদ পরিবারের সন্তানরা।

ওরা লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা

এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হাঁটছেন। নানা পেশার, নানা বয়সী মানুষের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন লাল-সবুজের পতাকা। তাদের পথচলায় বর্ণিল হয়ে ওঠেছে পথ-ঘাট। মাইলের পর মাইল হেঁটে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন জাতীয় পতাকা। এ যেন আত্মার টান। বিজয়ের নিশানের ফেরিওয়ালা ওরা। চারদিকে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাদের পথচলায় উড়ছে বিজয়ের নিশান।

বিজয়ের উল্লাস চারদিকে। মহান বিজয় দিবস উদযাপনে দেশজুড়ে অপেক্ষা। লাল-সবুজের পতাকা উড়বে দেশের আনাচে-কানাচে। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িতেও দেখা যাবে বিজয় নিশান -বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। বিজয়ের মাস এলেই শহর-নগরের পথে ঘাটে ফেরিওয়ালারা পতাকা বিক্রি করেন। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি মৌসুমী পেশা হিসেবে বেছে নেন তারা।

রাজধানীর ধানিমন্ডি এলাকায় বাঁশের লাঠির সঙ্গে বিভিন্ন মাপের লাল-সবুজের পতাকা বেঁধে ট্রাফিক সিগন্যালে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছিলেন মনিরুল ইসলাম। বয়সে তরুণ। গাজীপুরে একটি কাপড়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন তিনি। কিন্তু বিজয়ের মাসে রাজধানীতে এসে উঠেছেন একটি মেসে। ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অলি গলি ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে কাপড়ের দোকানে কাজ করি কিন্তু প্রতি বছরই ছুটি নিয়ে বিজয়ের মাসে ঢাকায় পতাকা বিক্রি করি। এ মৌসুমী ব্যবসা আমার মত অনেকেই করে। গাজীপুর থেকে বিভিন্ন মাপের পতাকা বানিয়ে এনেছি। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পতাকাগুলো বিক্রি করব।

তিনি বলেন, এ মাসে প্রাইভেটকার, পথচারী, রিকশাওয়ালাসহ সবাই পতাকা কিনেন। বিজয়ের মাসকে সম্মান দেখাতে সবাই পতাকা কেনায় এ মৌসুমী ব্যবসা খুবই লাভজনক। তাই প্রতি বছরই এ মাসে ঢাকায় আসি। এবারও আমরা গাজীপুর থেকে ৫ জন এসেছি।

 

ধানমন্ডি ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ানো একটি প্রাইভেটকার থেকে পতাকা কিনছিলেন অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, আমার নাতির জন্য পতাকাটা কিনলাম। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরে অর্জিত স্বাধীনতার সূর্যের উত্তাপ নিতে পারেনি। বিশ্বের মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে নিজের স্থান দখল করে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের পতাকা। বিজয় ছিল আনন্দ, উল্লাস ও গৌরবের। সঙ্গে আপনজনকে হারানোর বেদনা, কান্না। নাতিকে বিজয়ের অনুভূতি সম্পর্কে জানতেই এ পতাকা কিনলাম।

রাজধানীর মিরপুরে শেওড়াপাড়া এলাকায় পতাকা বিক্রি করছিলেন হামিদুর রহমান। পেশায় রিকশাচালক হলেও ডিসেম্বরের শুরু থেকে পতাকা বিক্রি করছেন তিনি। হামিদুর রহমান বলেন, বছর জুড়ে রিকশা চালাই কিন্তু বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করি। এটা বেশ লাভজনক ব্যবসাও। এ ছাড়া খুব কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, তাই বিজয়ের পতাকা ফেরি করে বিক্রি করতে এক ধরনের গর্ববোধও হয়।

বড় পতাকার চেয়ে ছোট পতাকার চাহিদা বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, একেবারে ছোট পতাকা ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে মাপ অনুযায়ী ৩০, ৫০, ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক বহন করে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। সরকারি, বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়ির ছাদে, প্রাইভেটকার, পরিবহন, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে ডিসেম্বরের পুরো মাস জুড়ে উড়ে লাল-সবুজের পতাকা। সেই চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন সাইজের পতাকার পসরা সাজিয়ে তারাও ঘুরছেন পথে পথে। বিজয়ের মাস এলেই পতাকা হাতে দেখা মেলে ওদের। ওরা লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা।

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ৪ ডাকাত আটক

চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নগরীর কুমিল্লা হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি শাটারগান, ১১ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- মো. মোর্শেদ ওরফে রাশেদ (২৮), ফয়জুল কবির সুজন (৩৫), জাহিদুল ইসলাম রাজু (২৪) ও শহিদুল ইসলাম সৌরভ (২১)।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) আসিফ মহিউদ্দিন জানান, গ্রেফতার চারজন সীতাকুণ্ড থানাধীন জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় থাকেন। দৈনিক মজুরিতে নগরীতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার আড়ালে তারা ডাকাতি করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের নামে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

চট্টগ্রামে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-২২ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার পেছনে চিটাগাং ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন রেল লাইনে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

র‌্যাবের দাবি, নিহত মহিম উদ্দিন ওরফে মহিন (৩৬) চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-৭ এর কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আশেকুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় একদল সন্ত্রাসীর অবস্থানের খবর পেয়ে র‌্যাবের টহল দল ভোরের দিকে সেখানে যায়। সন্ত্রাসীরা র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছুড়লে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সেখানে একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়রা নিহতকে মহিন হিসেবে শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-২২ রাইফেল, একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ৫৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

খুলনায় মাদক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের পাবলা এলাকায় অনুপ দাশ (২৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে পাবলা এলাকার কেশব লাল রোডে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, অনুপ দাশ সোমবার বিকেলে পাবলার তিন দোকানের মোড়ের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ভোর ৫টার দিকে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা ফেলে রেখে চলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

খুলনায় উপ-ভারতীয় দূতাবাস স্থাপনের কাজ চলছে

ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, খুলনা-মংলা রেললাইন চালু হলে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি সোমবার দুপুরে খুলনা-মংলা রেল প্রকল্পের রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ভারতীয় হাই কমিশনার বাংলাদেশ রেলওয়েকে ২০১৯ সালের মধ্যেই খুলনা-মংলা রেল লাইনের কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, খুলনাতে উপ-ভারতীয় দূতাবাস স্থাপনের কাজ চলছে।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের অর্থনীতিতে যেমন প্রভাব ফেলবে তেমনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

রূপসা রেল সেতুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত জানা বলেন, ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ৩৮০১.৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেল সেতুর নিমার্ণ কাজ করছে।

তিনি জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেল সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও আর্থিক উপদেষ্টা ড. সুমিত জেরথ, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (অবকাঠামো) ড. পঙ্কজ সিং, ঢাকাস্থ ভারতের উচ্চ কমিশনের প্রথম সচিব রাজেশ ইউক (টরশব), ভারতের উচ্চ কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (বাণিজ্যিক) শ্রী শিশির কোথারি, ভারতবর্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) ভিপুল কুমার মেসারিয়া, ভারতের হাই কমিশনের এপিডব্লিউও শ্রী মনোজ কুমার যাদব, ভারতের উচ্চ কমিশনের এসএ শ্রীমতি প্রেম বাহাদুর, বাংলাদেশ রেলওয়ের জিএম ও পিডি মো. মজিবর রহমান, পিএমও’র ডিজি শ্রী সুব্রত রায়, খুলনা জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মনিরুজ্জামান।