ব্যবসার আইনগত দিকগুলির গুরুত্ব

ওয়ার্ডপ্রেসের গতিশীল বিশ্বে, আমরা উদ্ভাবন এবং শ্রেষ্ঠত্বের আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হই। আমাদের জনপ্রিয় পণ্য, যেমন CoverNews, ChromeNews, Newsphere, এবং Shopical, পাশাপাশি শক্তিশালী প্লাগইন যেমন WP Post Author, Blockspare, এবং Elespare, আপনার ডিজিটাল যাত্রার বিল্ডিং ব্লক হিসাবে কাজ করে।

আমরা মানসম্পন্ন কোড এবং মার্জিত ডিজাইন সম্পর্কে উত্সাহী, আপনার ওয়েবসাইট তৈরিকে পরিশীলিততা এবং সরলতার একটি অনায়াসে মিশ্রণ নিশ্চিত করে৷ আমাদের ডেডিকেটেড টিমের অটল সমর্থন সহ, আপনি কখনই একা নন।

টেমপ্লেটস্পেয়ার: সহজ স্টার্টার সাইটগুলির সাথে আপনার স্বপ্নের ওয়েবসাইট তৈরি করুন!

মাত্র এক ক্লিকে রেডি টু ইম্পোর্ট স্টার্টার সাইটগুলির একটি সুন্দর সংগ্রহ। মিনিটের মধ্যে আধুনিক ও সৃজনশীল ওয়েবসাইট পান!

সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ব্লগ এবং ইকমার্স প্রস্তুত

স্ক্র্যাচ থেকে শুরু করার কথা ভুলে যান

365+ রেডি-টু-ব্যবহারের ওয়েবসাইট টেমপ্লেটগুলির সাথে সৃজনশীলতার একটি বিশ্ব অন্বেষণ করুন! চটকদার ব্লগ থেকে ডায়নামিক নিউজ প্ল্যাটফর্ম, আকর্ষক ম্যাগাজিন এবং পেশাদার এজেন্সি ওয়েবসাইট – আপনার নিখুঁত অনলাইন স্থান খুঁজুন!

এক ক্লিকে আমদানি: কোন কোডিং ঝামেলা নেই! তিনটি সহজ ধাপ

  1. একটি সাইট চয়ন করুন
  2. 350 টিরও বেশি পূর্ব-নির্মিত ওয়েবসাইটগুলির একটি সমৃদ্ধ নির্বাচন অন্বেষণ করুন৷ একটি একক ক্লিকের মাধ্যমে, আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে অনুরণিত সাইটটি আমদানি করুন৷
  3. কাস্টমাইজ এবং ব্যক্তিগতকৃত
  4. আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ করুন! সম্পূর্ণ ডিজাইন স্বাধীনতা সহ আপনার নির্বাচিত সাইট কাস্টমাইজ করুন। আপনি যেভাবে এটি কল্পনা করেন ঠিক সেভাবে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি এবং ব্যক্তিগতকৃত করতে প্রতিটি উপাদানকে সাজান।
  5. প্রকাশ করুন এবং লাইভ যান!
  6. সম্পাদনা এবং কাস্টমাইজেশন সম্পূর্ণ হলে, এটি লাইভ হওয়ার সময়! মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে, আপনার ওয়েবসাইটটি বিশ্বের সাথে শেয়ার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

AF থিম পরিবারে যোগ দিন, যেখানে শ্রেষ্ঠত্ব সহজে পূরণ করে। অন্তহীন সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করুন এবং আজ আমাদের সাথে আপনার ওয়েব যাত্রা শুরু করুন!

একসাথে, আমরা ওয়েবের ভবিষ্যত গঠন করছি।

যুবরা নিরাপদ পানি রক্ষায় কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ
দেশে সম্প্রতি নিরাপদ পানির অভাবে ডাইরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এর প্রধান কারণ পানিতে কলেরার জীবানু (ই-কোলাই)। এর জন্য দায়ী অনিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। নিরাপদ পানি সরবরাহ জন্য কতৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকলে সংকট কাটিয়ে ওটা সম্ভব নয়।
গত রবিবার ডরপ্ আয়োজিত পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা প্রাপ্তিতে শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণে যুবদের অংশগ্রহণে এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক এর সাউথ এসিয়ান কোর্ডিনেটর বিনায়ক দাস বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চত সম্ভব।
এছাড়া ডরপ্ এর গবেষনা পরিচালক যোবায়ের হাসান বলেন শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমেই নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন অধিকার নিশ্চিত হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহন এবং অন্তভূক্তিকরণ এই ৪ টা পিলারের মাধ্যমে টেকসই নিরাপদ পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
প্রায় ১০ জন যুব সমাজের প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে শুদ্ধাচারের মাধ্যমে নিরাপদ পানি এবং স্যানিটশন নিশ্চিত করার লক্ষে একটি কম পরিকল্পনা করেন।
ডেন্টালে ভর্তি : ৪৮ ঘণ্টায় ১১ সহস্রাধিক আবেদন

চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে গত ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ে ১১ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছুর আবেদন জমা পড়েছে। ১৭ অক্টোবর (সোমবার) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে একটি ডেন্টাল কলেজ ও আটটি ইউনিটসহ মোট নয়টিতে ৫৩২টি ও বেসরকারি ২৬ ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটে মোট এক হাজার ৩৬০টি আসন রয়েছে। দুই বছর আগ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে হলেও গত বছর থেকে পৃথক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর মোট পাঁচটি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে রাজধানীতে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে তিনটি ও রাজশাহী ও চট্টগ্রামের দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

সোহরাওয়ার্দীতে দুই সপ্তাহ ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার বন্ধ

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। পুরোপুরি অজ্ঞান করে অস্ত্রোপচার করতে হয় এমন কোনো রোগীকে অস্ত্রোপচার করা থেকে বিরত রয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, সপ্তাহ দু’য়েক আগেও এ হাসপাতালে সার্জারি, নাক, কান, গলা ও ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগীদের গড়ে প্রতিদিন ৪-৫টি করে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করা হতো। এখন অস্ত্রোপচার বন্ধ থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষমাণ বিভিন্ন ওয়ার্ডের (সার্জারি, নাক, কান, গলা ও ক্যান্সার) রোগীরা প্রতিদিনই বিভাগীয় প্রধানের কাছে অস্ত্রোপচারের আবেদন করেও কোনো উত্তর পাচ্ছেন না।

হাসপাতালের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অস্ত্রোপচারকালে অপ্রত্যাশিতভাবে কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হওয়ার কারণে অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা হযেছে। তবে হাসপাতালে ছোটখাট অস্ত্রোপচার (পুরোপুরি অজ্ঞান না করে কোমরের নীচের অংশ পর্যন্ত) চলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অস্ত্রোপচারের সময় যে সব রোগীকে সম্পূর্ন অজ্ঞান করা হয় তাদের অস্ত্রোপচারকালে ও অস্ত্রোপচার শেষে জ্ঞান ফেরানো পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন সরবরাহের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হাসপাতালের কেন্দ্রীয় লাইনে বড় ধরনের জটিলতার কারণে রোগীর শরীর নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হওয়ায় রোগীদের মুত্যু হয়।

জানা গেছে, সম্প্রতি নাক, কান, গলা ও জেনারেল সার্জারি বিভাগে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে একাধিক রোগীর মৃত্যু হয়। এ সব অস্ত্রোপচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন একাধিক চিকিৎসক জানান, সাধারণত এ ধরনের অস্ত্রোপচারে রোগীর মৃত্যু হওয়ার কথা না। এমন রোগীদের মৃত্যুতে তারা নিজেরাও মানসিক অস্বস্তিতে রয়েছেন বলে জানান।

তবে হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার দাবি, বড় ও ছোট সব ধরনের অস্ত্রোপচার চলছে। অস্ত্রোপচারকালে বিভিন্ন কারণে রোগীর মৃত্যু হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি অস্ত্রোপচারকালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়েছে এমন তথ্যও সঠিক নয়।

তিনি বলেন, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতিগুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর ডিসইনফেকশন (সংক্রমণ যেন না হয়) করতে ও যন্ত্রপাতিগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা দেখতে কিউমোলেশন ও কেলিব্রেশনসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয়। রোগীদের বৃহত্তর স্বার্থেই কয়েক দিন ধরে যন্ত্রপাতি পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চলছে। এ সব কারণে যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার তা করা হচ্ছে না বলে স্বীকার করে জানান, আগামী দু’চারদিনের মধ্যে সব ধরনের অস্ত্রোপচার আগের মতো পুরোপুরি শুরু হবে।

ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা : বন্ধ রাখতে হবে ফটোকপির দোকান

ডেন্টাল কোর্সে (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখতে হবে। আগামী ১০ নভেম্বর ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের এই পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সভায় গৃহীত হওয়া এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া এদিন পরীক্ষার্থীরা ঘড়িসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব ফয়েজ আহম্মেদ ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

কোনো ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি সভা থেকে আহ্বান জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, কঠোর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রশ্নপত্র পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব মেডিকেল ভর্তি কোচিং বন্ধ করা হয়েছে।

এবারের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সরকারি ৫৩২ এবং বেসরকারি ১ হাজার ৩৮৫ আসনের বিপরীতে ২২ হাজার ৫৩৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ৯টি ভেনুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েসনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদসহ ভর্তি পরীক্ষার ওভারসাইট কমিটির সদস্য, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊধ্র্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তামণির পুরো হাতে চামড়া লাগানো হয়েছে

হাতে রক্তনালির টিউমারে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণির পুরো হাতে চামড়া লাগানো হয়েছে। কয়েক দফায় মুক্তামণির হাতে অস্ত্রোপচার শেষে গত ১০ অক্টোবর শুরু হয় চামড়া লাগানোর প্রক্রিয়া। সোমবার সকালে মুক্তামণির পুরো হাতে চামড়া লাগানো সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে মুক্তামণিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। দেড় ঘণ্টার অপারেশনে পুরো হাতে চামড়া লাগানোর কাজ শেষ করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তামণি ভালো আছে। আজ অবস্থা অবজার্ভ করা হবে। শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে আজই মুক্তামণিকে কেবিনে শিফট করা হবে।

তিনি বলেন, এর আগে মুক্তামণির হাতে আমরা ৫০ শতাংশ চামড়া লাগিয়েছিলাম। শরীরের অন্য অংশের চামড়া কেটে ওর হাতে লাগানো হয়েছে। আজ পুরো হাতে চামড়া লাগানো সম্পন্ন হলো। তিন দিন পর ওর হাতের ড্রেসিং খোলা হবে।

মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম জাগো নিউজকে বলেন, আজ চিকিৎসকরা ওর হাতে আবারও অস্ত্রোপচার করেছে। নতুন চামড়া লাগিয়েছে। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই ও যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারিভাবে বিনামূল্যে মুক্তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।

পরে ঢামেকে ভর্তি করা হয় মুক্তাকে। মুক্তার চিকিৎসার জন্য একটি বোর্ড গঠনসহ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।

গত ৫ আগস্ট মুক্তার ডান হাতের বায়োপসি সম্পন্ন হয়। ৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, মুক্তার হাতের একাধিক অপারেশনের প্রয়োজন রয়েছে। এরপর ১২ আগস্ট প্রথম অপারেশন সম্পন্ন হয় মুক্তার। চিকিৎসকরা ওই অপারেশনকে ‘সফল’ বলে দাবি করেন। ৮ অক্টোবর ৪র্থ দফায় তার হাতে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর চামড়া লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় ১০ অক্টোবর, যা আজ শেষ হলো।

ডায়াবেটিসে ভুগছেন ৩৫ লাখ নারী!

দেশের ৩৫ লাখ নারী ডায়াবেটিসে ভুগছেন। আন্তজার্তিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) এর অনুমিত পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমানে দেশে ৭১ লাখ নারী, পুরুষ ও শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আক্রান্তদের অর্ধেকই মহিলা।

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ১০০ জনের মধ্যে ২০ জন মহিলাই গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যাদের অর্ধেকের বেশি পরবর্তীকালে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন।

তারা বলেন, যেসব মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে তাদের শিশুদেরও পরবর্তী সময়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি অনেক বেশি। এসব বিবেচনায় রেখে এবার আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন মহিলা ডায়াবেটিক রোগীদের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

নারীদের ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পরিকল্পিত গর্ভধারণের ওপর এবার বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও দিবসটি যথাযথভাবে পালন করতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি (বাডাস) সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বারডেম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাডাস সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ।

‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’র এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকল গর্ভধারণ হোক পরিকল্পিত’।

ডা. আজাদ জানান, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ‘গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা’ দিতে বিশেষ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা দিতে সারাদেশে এরই মধ্যে ৫০টি ‘গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা কেন্দ্র’ খোলা হয়েছে, যেখানে চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিনামূল্যে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হবে।

১৪ নভেম্বর থেকে এসব কেন্দ্রে মাত্র ৬০০ টাকায় ‘গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা’ অব্যাহত থাকবে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে- গর্ভধারণ সম্পর্কিত স্বাস্থ্যঝুঁকি পরীক্ষার পাশাপাশি যথাযথ চিকিৎসা ও পুষ্টিবিষয়ক পরামর্শ, বিনামূল্যে মোবাইল হেল্পলাইনের মাধ্যমে পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য সেবাগ্রহণকারীর সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ।

ইতোমধ্যে প্রায় ৪০০ কাজি ও ৩০০ চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

ডা. আজাদ আরও বলেন, গর্ভবতী মায়েদের অপুষ্টি থাকলে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। সে-কারণে বিয়ের সময় মেয়েদের এ ব্যাপারে সচেতন করতে পারলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অনেক ভালো ফল পাওয়া যাবে। সরকারের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ‘গর্ভধারণ-পূর্ব সেবা’ নিশ্চিত করতে পারলে প্রসবকালীন নারী ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং নারীসহ আগামী প্রজন্মকেও ডায়াবেটিসের ভয়াবহ প্রকোপ থেকে অনেকটা রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এছাড়া মসজিদে খুতবার মাধ্যমে এবং অন্যান্য ধর্মশালায়ে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের বাণী ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। এ রোগ কখনো সম্পূর্ণভাবে সারে না। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চললে এবং প্রয়োজনে পরিমাণ মতো ওষুধ গ্রহণ করলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের অন্তত শতকরা ৫০ ভাগই জানেন না যে, তাদের ডায়াবেটিস আছে- সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে গর্ভধারণ হোক পরিকল্পিত’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও জনগণের মধ্যে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবার বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিসহ (বাডাস) বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ উপলক্ষে দেশব্যাপী ডায়াবেটিস সম্পর্কিত সচেতনতামূলক পোস্টার, লিফলেট বিতরণ ছাড়াও আজ সকাল সাড়ে ৮টায় শাহবাগ থেকে র‌্যালি বা পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় বারডেম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রোগীদের নিয়ে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।

দুপুর ১২টায় একই অডিটোরিয়ামে একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রোটারি জেলা ৩২৮১-এর গভর্নর রোটারিয়ান ফজলুল হক আরিফ। তারা ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে গর্ভধারণ হোক পরিকল্পিত’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সমিতি, বারডেম, এনএইচএন ও এইচসিডিপর উদ্যোগে শাহবাগ (জাতীয় জাদুঘরের সামনে), প্রেসক্লাব ও ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয়।

১৪ নভেম্বর সকাল ৮টায় বিআইএইচএস-এর উদ্যোগে মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে থেকে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর পর্যন্ত এবং এনএইএচ-এর উদ্যোগে ধানমন্ডি রোড ১০ থেকে রবীন্দ্র সরোবর থেকে আলাদা শোভাযাত্রা বের করা হবে। ১৫, ১৬ ও ১৭ নভেম্বরও এনএইচএন-এর উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আলাদা তিনটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

একই দিন সকাল ৯টায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে দিবসটি উপলক্ষে ফ্রি হার্ট ক্যাম্পের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে রোগীরা বিনামূল্যে নিবন্ধন, চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ ছাড়াও ১৫ শতাংশ কমিশনে হাসপাতালের অন্যান্য পরীক্ষা করাতে পারবেন।

১৭ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় শাহবাগস্থ চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে।

যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে রাশিয়া-ভারত-মালদ্বীপ

২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়া, ভারত ও মালদ্বীপ। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠকে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগত প্রকাশ নাড্ডা, মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম এবং রাশিয়ার স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী তাতিয়ানা ইয়াকোভলেভা এই আশ্বাস দেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের শহরগুলোতে বিশেষায়িত বিশ্বমানের হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষের জন্য মৌলিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে।

দেশের গ্রাম পর্যায়ে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে জনগণের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করেছে সরকার। শিশু মৃত্যু হার হ্রাস এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়।

‘২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তার অঙ্গীকার অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহণ করছে’ একথা জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম রাশিয়া, ভারত এবং মালদ্বীপের মন্ত্রীদের বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জন এবং গৃহীত কর্মসূচির বিস্তারিত অবহিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শহরাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ বস্তিগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জীবনাচরণের কারণে যক্ষার প্রকোপ বেশি ঘটছে। তাই শহরের বস্তিগুলোতে যক্ষা নির্মূলের জন্যে আমরা অতি সম্প্রতি ‘জিরো টিবি’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি সংস্থাও জোরদার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ পোলিও এবং ধনুষ্টংকারমুক্ত। কলেরা ও ম্যালেরিয়া এখন দেশ থেকে বিলুপ্তির পথে। এইডস সংক্রমণের হার অতি নগণ্য। সরকারের দৃঢ় সদিচ্ছার কারণে বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মাও ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল হবে। এসময় বাংলাদেশের কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি দেশগুলোর সরকারের কাছে সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে রাশিয়া, ভারত ও মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা বাংলাদেশের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মস্কোয় চলমান ‘এন্ডিং টিউবারকিউলসিস ইন দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইরা : এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। গত ১৪ নভেম্বর রাতে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে মন্ত্রী যোগদান করেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সেই দুই নার্সকে গ্রেফতার দেখাল ডিবি

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) নার্স নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সেই দুই সিনিয়র নার্স মো. আরিফুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখাল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (উত্তর) এর মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের বিশেষ দল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টায় এ দুজনকে ফাঁসকৃত ১১ সেট প্রশ্নসহ রাজধানীর শাহবাগের স্মৃতি চিরন্তনের পূর্ব পাশ থেকে গ্রেফতার করে। ডিবি পুলিশের ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (উত্তর) এর উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলমের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহজাহান (পিপিএম) এর তত্ত্বাবধানে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহ নূর আলম পাটওয়ারী এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম দ্বারা এ অভিযানটি পরিচালিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুজন প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং পাশাপাশি একাধিক নার্স নেতার নাম বলেছে। গোয়েন্দা পুলিশ তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা জানান, গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার আগে পরে বিভিন্ন নার্স নেতা ও পিএসসির কয়েকজন মাঝারি ও নিম্ন পদস্থ কর্মকর্তারও মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখছেন। কললিস্ট পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রশ্ন জালিয়াত চক্রের সব সদস্যদের গ্রেফতার করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

গ্রেফতারকৃত দুজনের মধ্যে সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শাখার নির্বাচিত ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও আরিফুল ইসলাম স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের (স্বানাপ আনিস গ্রুপ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এদের একজন ঢামেক জরুরি বিভাগে ও অপরজন মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর ১০টি কেন্দ্রে মোট চার হাজার ছয়শ সিনিয়র স্টাফ নার্স (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি তিন হাজার ছয়শ ও মিডওয়াইফ এক হাজার) নিয়োগ পরীক্ষার বিপরীতে ১৬ হাজার নয়শ’ জন নার্স অংশগ্রহণ করেন।

শিউলি, হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, কামিনী নামে চার সেটের প্রশ্নপত্র ছাপে পিএসসি। কিন্তু সব সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পরীক্ষার আগে পাওয়া যায়।

একাধিক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, পরীক্ষা শুরুর আগে ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাওয়া যায়। পরীক্ষার হলে গিয়ে তারা দেখেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে জানতে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পেয়ে অনিবার্য কারণে পরীক্ষা বাতিল করে পিএসসি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়।