কোন নতুন মুখ একটি বড় ছাপ করতে পারে?

ওয়ার্ডপ্রেসের গতিশীল বিশ্বে, আমরা উদ্ভাবন এবং শ্রেষ্ঠত্বের আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হই। আমাদের জনপ্রিয় পণ্য, যেমন CoverNews, ChromeNews, Newsphere, এবং Shopical, পাশাপাশি শক্তিশালী প্লাগইন যেমন WP Post Author, Blockspare, এবং Elespare, আপনার ডিজিটাল যাত্রার বিল্ডিং ব্লক হিসাবে কাজ করে।

আমরা মানসম্পন্ন কোড এবং মার্জিত ডিজাইন সম্পর্কে উত্সাহী, আপনার ওয়েবসাইট তৈরিকে পরিশীলিততা এবং সরলতার একটি অনায়াসে মিশ্রণ নিশ্চিত করে৷ আমাদের ডেডিকেটেড টিমের অটল সমর্থন সহ, আপনি কখনই একা নন।

টেমপ্লেটস্পেয়ার: সহজ স্টার্টার সাইটগুলির সাথে আপনার স্বপ্নের ওয়েবসাইট তৈরি করুন!

মাত্র এক ক্লিকে রেডি টু ইম্পোর্ট স্টার্টার সাইটগুলির একটি সুন্দর সংগ্রহ। মিনিটের মধ্যে আধুনিক ও সৃজনশীল ওয়েবসাইট পান!

সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ব্লগ এবং ইকমার্স প্রস্তুত

স্ক্র্যাচ থেকে শুরু করার কথা ভুলে যান

365+ রেডি-টু-ব্যবহারের ওয়েবসাইট টেমপ্লেটগুলির সাথে সৃজনশীলতার একটি বিশ্ব অন্বেষণ করুন! চটকদার ব্লগ থেকে ডায়নামিক নিউজ প্ল্যাটফর্ম, আকর্ষক ম্যাগাজিন এবং পেশাদার এজেন্সি ওয়েবসাইট – আপনার নিখুঁত অনলাইন স্থান খুঁজুন!

এক ক্লিকে আমদানি: কোন কোডিং ঝামেলা নেই! তিনটি সহজ ধাপ

  1. একটি সাইট চয়ন করুন
  2. 350 টিরও বেশি পূর্ব-নির্মিত ওয়েবসাইটগুলির একটি সমৃদ্ধ নির্বাচন অন্বেষণ করুন৷ একটি একক ক্লিকের মাধ্যমে, আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে অনুরণিত সাইটটি আমদানি করুন৷
  3. কাস্টমাইজ এবং ব্যক্তিগতকৃত
  4. আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ করুন! সম্পূর্ণ ডিজাইন স্বাধীনতা সহ আপনার নির্বাচিত সাইট কাস্টমাইজ করুন। আপনি যেভাবে এটি কল্পনা করেন ঠিক সেভাবে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি এবং ব্যক্তিগতকৃত করতে প্রতিটি উপাদানকে সাজান।
  5. প্রকাশ করুন এবং লাইভ যান!
  6. সম্পাদনা এবং কাস্টমাইজেশন সম্পূর্ণ হলে, এটি লাইভ হওয়ার সময়! মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে, আপনার ওয়েবসাইটটি বিশ্বের সাথে শেয়ার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

AF থিম পরিবারে যোগ দিন, যেখানে শ্রেষ্ঠত্ব সহজে পূরণ করে। অন্তহীন সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করুন এবং আজ আমাদের সাথে আপনার ওয়েব যাত্রা শুরু করুন!

একসাথে, আমরা ওয়েবের ভবিষ্যত গঠন করছি।

টানা দ্বিতীয়বার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের মিশনে ভারত

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে ভারত। এবার ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশের মিশনে টিম ইন্ডিয়া। শেষ ওয়ানডে জিতলেই টানা দ্বিতীয়বারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করবে ভারত। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সিরিজের শেষ ওয়ানডে জিততে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আগামীকাল পোর্ট অব স্পেনে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শুরু হবে।
এই একই মাঠে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৮ রান করেও জয়ের জন্য ঘাম ঝড়াতে হয়েছে ভারতকে। মাত্র ৩ রানের জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান।
প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে সফল ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। তাই এ ম্যাচেও তিন শতাধিক রান তুলে ক্যারিবীয়রা। অথচ গত সিরিজেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র  ১৪৯, ১০৮ ও ১৭৮ রান করতে সংগৃহীত হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩১১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজের শততম ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পান ওপেনার শাই হোপ। ১১৫ রান করেন হোপ। ৩১২ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে হিমশিম খায় ভারত। তারপরও শেষদিকে অক্ষর প্যাটেলের ঝড়ে মাত্র ২ উইকেটে হার মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৫ বলে অনবদ্য ৬৪ রানের উড়ন্ত ইনিংস খেলেন প্যাটেল। পোর্ট অব স্পেনের এই ভেন্যুতে ৩শ রান তাড়া করে কোন দলই ম্যাচ জিততে পারেনি। কিন্তু প্যাটেলের ব্যাটিংয়ে এই ভেন্যুতে রেকর্ড গড়ে ভারত।
সিরিজ জয়ে খুশি হলেও বোলারদের পারফরমেন্স মন ভরাতে পারেনি ভারত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের। শেষ ম্যাচে বোলাররা জ¦লে উঠবে বলে আশাবাদী তিনি। সেই সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যের কথা জানালেন ধাওয়ান, ‘প্রথম দুই ম্যাচে বোলাররা ভালো করতে পারেনি। আশা করি শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিবে তারা। ব্যাটারদের সাথে বোলাররা জ¦লে উঠলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরও একবার হোয়াইটওয়াশ করতে পারবো আমরা।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হবার পর হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ভারতের বিপক্ষে ভালো করতে মুখিয়ে ছিলো তারা। কিন্তু সিরিজ হারে আরও একবার হতাশায় পড়তে হলো ক্যারিবীয়দের। তবে শেষ ম্যাচে জয় পেতে চায় তারা। হোপ বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে হেরেছি, তা হতাশার। তবে আমরা হাল ছাড়ছি না। জয় দিয়ে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করতে চাই।’
গত ফেব্রুয়ারিতেই ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৬ সালে সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ জিতেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১২টি দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলে সবগুলোতে জিতেছে ভারত। বিশ^ ক্রিকেটে একটি দেশের বিপক্ষে টানা সিরিজ জয়ের বিশ^ রেকর্ডে চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে ভারত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১১টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলো পাকিস্তান।

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা তামিমের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিলেন। ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল হলেন সিরিজসেরা।

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের রাত জাগা যেন সার্থক হলো। তৃপ্তি নিয়ে ঘুমোতে যাবেন সমর্থকরা। এমন সময়ে হঠাৎ চমকে উঠার মতো খবর। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে তামিম এক ফেসবুক পোস্টে জানালেন, টি-টোয়েন্টিতে তিনি সাবেক হয়ে গেছেন!

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর ফরম্যাট থেকে অনেক দিন ধরেই দূরে আছেন তামিম। খেলেননি গেল বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপেও। এরপর জানিয়েছিলেন, অন্তত ছয় মাস দূরে থাকতে চান টি-টোয়েন্টি থেকে। এবার শেষমেশ অবসরের ঘোষণাই দিয়ে বসলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক।

দেশসেরা এই ওপেনার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটার দিকে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।’

গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালীন হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে বিরতির ঘোষণা দেন এই ওপেনার। সেই বিরতির মেয়াদ ছিল ছয় মাস। বিরতি শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৭ জুলাই।

এই ফরম্যাট থেকে ছুটিতে থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেননি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, উইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি না খেললে আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও সুযোগ পাবেন না তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়েই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেই অবসরের এই ঘোষণা দিলেন তামিম।

এর ফলে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটাই হয়ে গেল তামিমের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তামিমের।

এখন পর্যন্ত ৭৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১টি সেঞ্চুরি এবং ৭টি হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ১,৭৫৮ রান করেছেন তামিম। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ওমানের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১০৩* রান করেছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দল ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডজের

বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের জন্য পৃথক-পৃথক দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৩ সদস্যের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ফেরানো হয়েছে ব্যাটার শামারাহ ব্রুকস, উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ডেভন থমাস, অলরাউন্ডার কিমো পল, দুই পেসার আলজারি জোসেফ-ওবেড ম্যাককয়কে।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা সাত জনকে বাদ দিয়েছেন নির্বাচকরা। এদের মধ্যে অবসর নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। বিশ্রামে আছেন জেসন হোল্ডার। বাদ পড়া অন্য পাঁচজন হলেন- ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ড্যারেন ব্রাভো, রোস্টন চেজ, শেলডন কটরেল ও শাই হোপ।

আর ওয়ানডেতে বাদ পড়েছেন তিনজন। নতুন করে নেয়া হয়েছে একজনকে। এনক্রুমার বোনার, শারমন লুইস ও হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। টি-টোয়েন্টি দলে না থাকলেও ওয়ানডেতে জায়গা করে নিয়েছেন গুদাকেশ মোতি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে ছিলেন তিনি। শুধুমাত্র অ্যান্টিগা টেস্ট খেলেছিলেন মোতি।

আগামী ২ জুলাই মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩ ও ৭ জুলাই। টি-টোয়েন্টির পর ১০ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দু’দল। সিরিজের বাকী দুই ওয়ানডে হবে যথাক্রমে- ১৩ ও ১৬ জুলাই।

সদ্য শেষ হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি দল : নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রোভম্যান পাওয়েল, শামাহ ব্রুকস, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, কাইল মায়ার্স, ওবেদ ম্যাককয়, কিমো পল, রোমারিও শেফার্ড, ওডেন স্মিথ, ডেভন থমাস এবং হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে দল : নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), শাই হোপ, শামাহ ব্রুকস, কেচি কার্টি, আকেল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, কাইল মায়ার্স, গুডাকেস মোতি, কিমো পল, এন্ডারসন ফিলিপ, রোভম্যান পাওয়েল ও জেইডেন সিলস।

দ্বিতীয়স্থানে উঠে এলেন সাকিব

আইসিসি টেস্ট অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে তালিকার  দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার সংগ্রহে আছে ৩৪৬ রেটিং।
৩৮৫ রেটিং নিয়ে শীর্ষে আছেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা। জাদেজার চেয়ে ৩৯ রেটিং পিছিয়ে আছেন সাকিব।
চলমান দুই  টেস্ট সিরিজে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ হওয়া প্রথম  ম্যাচে  ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৫১ ও ৬৩ রানের দু’টি দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন সাকিব। দুই ইনিংসেই দলের চরম বিপর্যয়ের সময়ে দারুন  ব্যাট করেছেন তিনি।
বল হাতে পুরোপুরিভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাকিব। দুই ইনিংসে মাত্র ১ উইকেট পেলও  অ্যান্টিগা টেস্টের পারফরমেন্সে র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয়স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব।
আগামী ২৪ জুন থেকে সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ঐ টেস্টেও ভালো পারফরমেন্স করে র‌্যাংকিংয়ে নিজের অবস্থানকে সুসংহত করার সুযোগ থাকছে সাকিবের সামনে।
২০১১ সালে প্রথম অলরাউন্ডার তালিকার শীর্ষ স্থানটি দখল করেন সাকিব।
সাকিব দুই ধাপ এগিয়ে যাওয়ায়, এক ধাপ করে নিচে নেমে যেতে হয়েছে ভারতের রবীচন্দ্রন অশি^ন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডারকে। ৩৪১ রেটিং নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছেন অশি^ন। আর ৩২৯ রেটিং নিয়ে চতুর্থস্থানে হোল্ডার।

সাকিবের অধীনে টেস্টে নতুন যুগ শুরু করতে চায় বাংলাদেশ

সাম্প্রতিক ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে সাফল্যের ট্রাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। তবে একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কোথাও সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় এটি  বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমিদের হতাশার।

তবে সব কিছু মিলিয়ে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে নতুন যুগের সূচনা করতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে যাচ্ছেতাই পারফরমেন্সের কারণে মোমিনুল অব্যাহতি নিলে তার জায়গায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান সাকিব।
সাকিব নতুন করে অধিনায়ক হওয়াতে টেস্ট ফরম্যাটে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার  নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে বাংলাদেশের। কারন এই ফরম্যাটে ব্যর্থতার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে টাইগাররা। ২০০০ সালে ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে প্রবেশের পর এখন পর্যন্ত ১৩২টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশে। জয় আছে মাত্র ১৬টি, ম্যাচ হার ৯৮টি। এরমধ্যে ৪৫টি ইনিংস ব্যবধানে হার রয়েছে তাদের। তবে ১৮টি টেস্ট ড্র করেছে, যার বেশিরভাগই বৃষ্টির কারনে।

তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাকিব। আর সম্ভবত, এটিই শেষবারের মত হবে। সবারই প্রত্যাশা  তার অধীনে এই ফরম্যাটে পুনরুজ্জীবিত হবে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রের কলামে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘সাকিব যদি সত্যিই চান, তবে টেস্টে বাংলাদেশ দলের গতিশীলতা পরিবর্তন করতে পারেন তিনি।’

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় প্রথমবার অধিনায়ত্ব পেয়েছিলেন সাকিব। পরে সাকিবের নেতৃত্বে দুই ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছিলো বাংলাদেশ।
এরপর ২০১১ সালে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সাকিবকে। কিন্তু ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে আবারও অধিনায়কত্ব পান তিনি। ২০০৯ সালের সাকিবের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত ২-০ ব্যবধানে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ঐ সিরিজই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জয়।
এখন দেখার বিষয়, পরিচিত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আবারও অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের ফেরায় ভাগ্য বদল হয় কি-না বাংলাদেশের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৬টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জয় ৪টি, হার ১০টি ও ড্র ২টিতে।
একটি বিপর্যয়ের পর অবশ্যই ভাগ্যের পরশ দরকার পড়ে। ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাড়াহুড়া করে অধিনায়কত্ব পান মোমিনুল। জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তথ্য না জানানোয় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব।
মোমিনুলের অধীনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় আছে বাংলাদেশের। তবে বেশ কিছু ম্যাচ তারা হেরেছে, যেগুলোতে তাদের জয় পাওয়া উচিত ছিল। মোমিনুলের অধিনায়কত্বে বেশির ভাগ ম্যাচেই জয়ের  অবস্থাতে থেকেও হেরেছে বাংলাদেশ।
বাজে  ফর্মের কারণে মোমিনুল  দলকে অনুপ্রাণিত করতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। টানা সাত ইনিংসে এক ডিজিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে মোমিনুলের রান। আর সর্বশেষ ১৫ ইনিংসের মধ্যে ১২বারই দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের প্রথম কাজ হবে ব্যর্থতার কারনে বারবার আত্মবিশ^াসে চিড় ধরা টাইগার দলে আত্মবিশ্বাস তৈরি করা।
মাশরাফি লিখেছিলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে গণনা করার মতো শক্তিতে পরিণত করতে পারেন, একমাত্র সাকিবই। টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করতে হলে, সাকিবের মতো কাউকে অধিনায়ক করা উচিত কারণ পুরো বিশ্ব তার দক্ষতা জানে।’
যদিও প্রথম টেস্টের স্পটলাইটে  ছিলো সাকিবের অধিনায়কত্বই।  তবে ইনজুরির কারনে ইয়াসির আলি ছিটকে পড়ায় বড় চিন্তায় ভাঁজ বাংলাদেশের কপালে। মুশফিকুর রহিমের জায়গায় ইয়াসিরকেই ভেবে রেখেছিলো বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। তার অনুপস্থিতি মিডল-অর্ডারে শুন্যতা তৈরি করেছে।
পবিত্র হজ পালনের জন্য মুশফিকের অনুপুস্থিতি বাংলাদেশের জন্য বড় ক্ষতি। কারণ টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল-অর্ডারে লিটন দাসের সাথে জমজমাট জুটি গড়ে তুলেছিলেন মুশি। সম্প্রতি শেষ দুই টেস্টে ২৫ রানের মধ্যে চার/পাঁচ উইকেট হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের টেস্ট হারের প্রধান কারন বলে মনে করেন দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
সাকিব-ডোমিঙ্গো জুটির প্রথম কাজ হবে, দলকে তৈরি করা। কারণ একটি নতুন টেস্ট যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোমিনুল হক, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, মুস্তাফিজুর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল : ক্রেইগ ব্রাথওয়েট (অধিনায়ক), জারমেইন ব্ল্যাকউড, এনক্রুমার বোনার, জন ক্যাম্পবেল, জশুয়া দা সিলভা, আলজারি জোসেফ, কাইল মায়ার্র্স, গুদাকেশ মোটি, এন্ডারসন ফিলিপ, রেমন রেইফার, জেইডেন সিলেস ও ডেভন থমাস।

প্রস্তুতি ম্যাচ : তামিম-এবাদতের পর প্রস্তুতি সারলেন মুস্তাফিজ

ওপেনার তামিম ইকবাল ও পেসার এবাদত হোসেনের পর ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে তিনদিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে ভালোভাবেই প্রস্তুতি সারলেন আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রস্তুতির ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্র’ হয়েছে।
প্রথম ইনিংসের প্রথম দুই দিনে তামিমের অনবদ্য ১৬২ রানের পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন এবাদত। আর ম্যাচের তৃতীয় দিন বল হাতে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। তবে ব্যাটার মোমিনুল হককে নিয়ে চিন্তা খেকেই যাচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের। প্রথম ইনিংসে শুন্যর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানে আউট হন তিনি।

তামিমের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৯৭ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১০ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জবাবে ৮ উইকেটে ৩৫৯ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষনা করে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশ। ফলে প্রথম ইনিংস খেলে ৪৯ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।

এই ইনিংসে বল হাতে বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ৩৪ রানে ও এবাদত ৬৭ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।
নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ। ১ উইকেটে ৪৭ রান করে তারা। মেহেদি হাসান মিরাজ ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদুল হাসান জয় ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪ রান করে আউট হন মোমিনুল।
আগামী ১৬ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। সিরিজটি বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।

বিশ্বকাপের ট্রফি এলো ঢাকায়

ঢাকাঃ অবশেষে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি। আজ (বুধবার) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে পাকিস্তান থেকে ফিফার চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ঢাকায় এসেছে বিশ্ব ফুটবলের মহামূল্যবান ট্রফিটি।

বাণিজ্যিক ফ্লাইটের বদলে কোকাকোলার চার্টার্ড বিমানে নিয়ে আসা হয়েছে সোনায় মোড়ানো ট্রফিটি। এবারের বাংলাদেশ সফরে ৩৬ ঘণ্টা থাকবে বিশ্বকাপ ট্রফি।

বিমানে ট্রফির সঙ্গে এসেছেন ফিফার সাত কর্মকর্তা। তাদের একজন ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান কারেম্বু। আরও আছেন ফিফার অফিসিয়াল পার্টনার কোকাকোলার কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কোকাকোলার কর্মকর্তারা ট্রফিটি গ্রহণ করেন।

আজ বিকেলে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ও সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নেওয়ার কথা রয়েছে এই ট্রফি।

এই ট্রফি ঘিরে বুধবার রাতে আয়োজন করা হয়েছে একটি বিশেষ নৈশভোজের। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। পরদিন সকালে হোটেল র‌্যাডিসনে একটি বিশেষ সেশন থাকবে ফুটবল অঙ্গনের জন্য। সেই সেশনের পর বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টে উন্মুক্ত করা হবে ট্রফি।

গতকাল পাকিস্তান ছিল ট্রফি। মূলত ৫১টি দেশে যাবে এ ট্রফি।  ঢাকা থেকে ট্রফিটির পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুর।

বাংলাদেশ কখনো বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলবে এটা অনেকটা স্বপ্ন। আর বিশ্বকাপ ট্রফি জয় তো আর বড় স্বপ্ন। তাই বিশ্বকাপের ট্রফির এমন সফরই বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি ও সান্ত্বনা। এর আগে ২০১৩ সালে ট্রফি এসেছিল ঢাকায়।

মেসির পাঁচ গোলে আর্জেন্টিনার বড় জয়

এস্তোনিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে একাই পাঁচ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। ওসাসুনার আল সাদার স্টেডিয়ামে তার এই গোলের বন্যায় খর্ব শক্তির এস্তোনিয়াকে ৫-০ ব্যবধানে  উড়িয়ে দিয়েছে জায়ান্ট আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে এর আগে এক ম্যাচে পাঁচ গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন সাবেক দুই তারকা হুয়ান আন্দ্রেস মারভেজি ও ম্যানুয়েল মোরেনো।

সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসি ৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোলে সূচনা করেন। এরপর একে একে ৪৫, ৪৭, ৭১ ও ৭৬ মিনিটে আরো চারটি গোল করেছেন। এনিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৬২ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৬।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এখন সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতার তালিকায় হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক পুসকাসকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে এলেন। এই তালিকায় পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ১১৭ গোল করে শীর্ষে রয়েছে। পরের দুই স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ইরানের আলি দেই (১০৯) ও মালয়েশিয়ার মোখতার দাহারি (৮৯)।

পিএসজির এই ফরোয়ার্ড প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক ম্যাচে পাঁচ গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন।

পেশাদার ক্যারিয়ারে মেসি এর আগে আর একবারই এক ম্যাচে ৫ গোল করেছিলেন। ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর সেই ম্যাচে বার্সেলোনার জার্সিতে লেভারকুজেনের বিপক্ষে ৫ গোল করেছিলেন মেসি। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে এই জয়ের মাধ্যমে লিওনেল স্কালোনির দল ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো। ২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তারা সর্বশেষ ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল।

কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের মোকাবেলা করবে আর্জেন্টিনা ।

ইতালিকে উড়িয়ে ‘ফাইনালিসিমা’ জিতলো আর্জেন্টিনা

কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার সামনে পাত্তাই পেলো না ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি। দুই মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে ৩-০ গোলের সহজ জয় পেলো আর্জেন্টিনা। লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া ও পাওলো দিবালার গোলে ফাইনালিসিমা জিতে নিলো আলবিসেলেস্তেরা।

বছরখানেক আগে যে মাঠে ইউরো জয়ের উৎসব করেছিল ইতালি, সেখানে ফেরাটা রাঙাতে পারল না তারা। আক্রমণাত্মক ফুটবলে পুরোটা সময়ই আধিপত্য করল আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ ধরে রাখল কোপা আমেরিকা জয়ীরা। ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের হারানোর মধ্য দিয়ে লিওনেল স্কালোনির দলের মুকুটে যোগ হলো নতুন পালক।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ফাইনালিসিমা নামের আলোচিত ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা। দুটি গোল হয় প্রথমার্ধে। লাউতারো মার্তিনেস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আনহেল দি মারিয়া। শেষ দিকে তৃতীয় গোলটি করেন পাওলো দিবালা।

গত বছরের জুলাইয়ে ব্রাজিলকে তাদের মাঠে হারিয়েই কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। তাদের ওই জয়োল্লাসের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্বের আরেক প্রান্তে মাঠে গড়ায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেই লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরো জয় করে ইতালি।
সেদিনের সেই উৎসবের পর রবের্তো মানচিনির দল যেন হাঁটা ধরেছে পেছন পানে। আচমকা পথ হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হয় ইতালি। সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ম্যাচের আগের দিন নতুন শুরুর ঘোষণা দেন ইতালি অধিনায়ক লিওনার্দো বোনুচ্চি। আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই শক্ত ভিত গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন; কিন্তু মাঠে তার প্রমাণ রাখতে পারলেন না মানচিনির শিষ্যরা।

জর্জো কিয়েল্লিনির শেষটা হলো তাই হতাশায়। এই ম্যাচ দিয়েই ইতালির হয়ে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ১১৮ ম্যাচ খেলা এই ডিফেন্ডার।