৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ

 

ঢাকাঃ দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছে কিন্তু নবায়ন করেনি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে অপারেশন করার সময় অ্যানেস্থেসিয়া প্রদান ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সব প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তাদের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না,’ বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে অনুমোদিত ও আবেদন করা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরর পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) বেলাল হোসেন জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বুধবার (২৫ মে) অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

যারা সিদ্ধান্ত মানবে না, তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন জানতে চাইলে বেলাল হোসেন বলেন, যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি, সেগুলো অবৈধ। আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের পর যদি নিবন্ধনহীন কেউ কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মনিটরিং ও সুপারভিশন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিমানবন্দর পরিচালনায় আমিরাতের সঙ্গে তালিবানের চুক্তি

আফগানিস্তানের বিমানবন্দরগুলো পরিচালনায় তালিবান সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কট্টরপন্থি গোষ্ঠীটির ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধানমন্ত্রী।
তুরস্ক, আরব আমিরাত ও কাতারের সঙ্গে কয়েক মাসের আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২৪ মে) টুইটারে জানিয়েছেন মোল্লা আবদুল গণি বারাদার।

পরে কাবুলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার প্রশাসন আরব আমিরাতের সঙ্গে নতুন করে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং চুক্তি করতে যাচ্ছে।
এতে বিদ্যমান চুক্তির বাইরে কিছু থাকছে কি না কিংবা বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও যুক্ত হচ্ছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে দুই দশক যুদ্ধ চালানো তালিবানের কাছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ইস্যুটি খুবই সংবেদনশীল; আফগানিস্তানে বিদেশি বাহিনীর প্রত্যাবর্তন চায় না বলেও বারবারই জানিয়েছে তারা।

সিরাজগঞ্জে ট্রাক-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫

সিরাজগঞ্জঃ ট্রাক-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের গোজা ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার ছোটপাকা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মকুল হোসেন (৩৫), আবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (৩৪), একই থানার বাশবাড়িয়া গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে মকবুল হোসেন (৩৫), ইজাল হকের ছেলে আব্দুল হালিম ও গুরুদাসপুর থানার জুমাইগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে হায়দার আলী (৪০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে এক লেগুনা যাত্রী নিয়ে নাটোরের দিকে দিকে যাচ্ছিলো। লেগুনাটি হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক দিয়ে গোজা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবোঝাই এক ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হন। আহত হন আরও ছয় জন। আহতদের সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী হাসপাতালে নিয়ে পাঠানো হয়েছে। পরে আহতদের মধ্যে আরও একজন মারা যান।

দুর্ঘটনা কবলিত লেগুনা ও ট্রাক থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে : ইইউ ডিজিজ এজেন্সি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিজ এজেন্সি প্রকাশিত আপডেড প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহামারি আকারে ছড়ানো দেশগুলোর বাইরে বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যা ২১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) বুধবার রাতে মহামারি সংক্রান্ত এক রিপোর্টে বলেছে, এক ডজনেরও বেশী দেশে যেখানে মাঙ্কিপক্স অস্বাভাবিক, বেশীর ভাগ ইউরোপে, কোন দেশে অন্তত একজনের সংক্রমণ শনাক্ত নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘এই প্রথমবারের মতো ইউরোপে সংক্রমণের চেইনগুলো পশ্চিম বা মধ্য আফ্রিকার সাথে পরিচিত মহামারি সংক্রান্ত সংযোগ ছাড়াই শনাক্ত করা হয়েছে, সেখানে এই রোগটি স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।’

আক্রান্তদের বেশীর ভাগই যুবক, পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্কেযুক্ত হিসাবে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্স অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে মে মাসের প্রথম দিকে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করা হয়, সেখানে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ জন। আক্রান্তের দিক থেকে এর পরেই রয়েছে স্পেনে ৫১ জন এবং পর্তুগালে ৩৭ জন। ইউরোপের বাইরে কানাডায় ১৫ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৯ জন।

২০ মে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের রিপোর্ট সংরক্ষণ থেকে বুধবার পর্যন্ত সংক্রমণ ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, ইইউ এজেন্সি বলেছে, ২০ মে ইউরোপে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮ জন।

ইসিডিসি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিল সংক্রমণের ঝুঁকি ‘অত্যন্ত কম’ তবে সতর্ক করে দিয়েছিলো যে যাদের একাধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে, যৌন অভিমুখিতা নির্বিশেষে তারা বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে।  ক্লিনিকাল উপস্থাপনায় এটিকে হালকা বলে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, এতে এখনো কারো মৃত্যু হয়নি।

ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই : জাফর ইকবাল

ঢাকাঃ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে অনেক রাজনৈতিক দলগুলোর কারচুপির শঙ্কা করলেও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেছেন, ইভিএম সহজ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।

বুধবার (২৫ মে) দুপুর নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জাফর ইকবাল বলেন, টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভার্চুয়ালি ম্যানুপুলেট করা অসম্ভব।

তিনি বলেন, ইভিএম অপারেট শুরুর আগে দেখে নেওয়া সম্ভব ভেতরে কী আছে। কেউ বিশ্বাস করেনি কি না সেটা তার ওপর। আমি রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, আমরা যদি আপনাদের মতো করে নির্বাচন করতে পারেন, নতুন নির্বাচন কমিশন তৈরি  করে তাহলেও আপনারা এই মেশিনটা ব্যবহার করেন। তাতে আপনাদেরই লাভ হবে।

নজরুলের চেতনা আমাদেরকে ধারণ করতে হবে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সৃষ্টিশীল দুঃসাহসী বলে মন্তব্য করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেন, নজরুল নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন পরার্থে। স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে জনগণ ও সমাজের জন্য কাজ করেছেন। তার স্বপ্নের যায়গায় সাধারণ মানুষ। কিন্তু বর্তমান সমাজে সবার মাঝে দেখা যায় আত্মসাৎ প্রবণতা। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এখান থেকে বের করে আনতে হবে। আর কাজী নজরুলের চেতনা আমাদেরকে বুঝতে হবে এবং ধারণ করতে হবে।

বুধবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে কবির সমাধিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি’র শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব হায়াত মাহমুদ, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সহসভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, জাতীয় নারী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার প্রমুখ।

লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, আমাদের সংগ্রামে সাহসে কাজী নজরুল ইসলাম অনন্ত অনুপ্রেরণার উৎস।বাঙালী মুক্তির সংগ্রামে নজরুল সৃষ্টি আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে। আমৃত্যু নজরুল নিপীড়িত শোষিত মানুষের পে কথা বলেছেন। অসাম্প্রদায়িকতার জয়গান গেয়েছেন প্রতিটি রচনায়। তাই নতুন প্রজন্মকে নজরুলের চিন্তা আদর্শকে ধারন করে এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া বলেন, কবি নজরুলকে ধারন করতে, লালন করতে হলে তাকে নিয়ে চর্চা করতে হবে। কবির ভাবনাকে ধারন করে তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। আর তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানব মনে সুন্দরের বোধন ঘটাতে হবে।

জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান বলেন, নজরুল সবসময় প্রকৃতি নিয়ে ভেবেছেন। তার লেখায় আমরা প্রকৃতির ছন্দ খুঁজে পেয়েছি। প্রেম ও দ্রোহের কবি নজরুল। বাঙালির মনে প্রাণে নজরুলকে পৌঁছে দেয়ার মূল প্রয়াসে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। । এই বঙ্গ একদিন স্বাধীন হয়ে বাঙ্গালীর হবে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অসংখ্য কবিতা ও গানে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বুনেছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, নজরুলকে জানতে হবে, নজরুলের দেশপ্রেম বুকে ধারণ করতে হবে। নজরুলের সৃষ্টিশীল কর্মকান্ড, নজরুলের জীবন দর্শন, জীবন আদর্শ কতোটুকু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। নজরুল রাজনৈতিক-সচেতন ছিলেন, কিন্তু ধর্মের রাজনীতিকরণ এবং ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের মধ্যযুগীয় উম্মাদনায় সামিল হননি। তাঁর রাজনৈতিক চেতনার পুরোটাই ছিল মৌলবাদের বিরোধিতা; অসাম্প্রদায়িক সেক্যুলার ও সাম্যবাদী রাষ্ট্রের প্রতি ছিল তাঁর আজীবন পক্ষপাত।

পোশাক ও পরিবারকে গালি দেওয়ার কারণেই টেক্সাসের স্কুলে হত্যাকাণ্ড?

নোমান ইবনে সাবিত-বিপি, নিউ ইয়র্ক: টেক্সাসের স্কুলে হামলার আগে সাবেক এক সহপাঠীকে বন্দুক ও গোলাবারুদের ছবি পাঠিয়েছিল সন্দেহভাজন খুনি সালভাদর রামোস। ওই সহপাঠী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি জানিয়েছেন, নিজের পোশাক এবং পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য রামোসকে অন্যদের কটুক্তির শিকার হতে হয়েছিল। এক পর্যায়ে ক্লাসে তার উপস্থিতি কমে যায়। পরে স্কুল থেকেই ছিটকে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সহপাঠী জানান, তিনি রামোসের কিছুটা ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন। রামোস মাঝেমধ্যেই তাকে একসঙ্গে ভিডিও গেম দেখার কথা বলতো।

মঙ্গলবারের টেক্সাসের উভালদে শহরের রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলার কয়েকদিন আগে সাবেক সহপাঠীকে নিজের কাছে থাকা একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ ভর্তি একটি ব্যাগের ছবি পাঠিয়েছিল সে।

ওই সহপাঠী বলেন, সে আমাকে এখানে সেখানে মেসেজ দিতো। চার দিন আগে তার নিজের ব্যবহৃত এআর-এর একটি ছবি পাঠায়। সঙ্গে ৫.৫৬ রাউন্ড ভর্তি একটি ব্যাকপ্যাক। আমার কাছে মনে হলো, তার কাছে এসব কেন? আর তার মনোভাব ছিল এমন যে, এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

নিজের স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর রামোসের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলেন তার এই সাবেক সহপাঠী। কিন্তু রামোস মাঝেমধ্যেই তাকে ভিডিও গেম খেলার জন্য টেক্সট করতো।
সিএনএন জানিয়েছে, রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলার মাত্র তিন দিন আগে ইনস্টাগ্রামে দুইটি এআর১৫ রাইফেলের ছবি পোস্ট করেছিল সে। একটি স্টোরি হিসেবে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল। তার একাধিক সাবেক সহপাঠী নিশ্চিত করেছে যে, অ্যাকাউন্টটি সন্দেহভাজন বন্দুকধারী সালভাদর রামোসেরই ছিল।

হাতিয়াতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৪বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো.মিরাজের। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে।

এ ঘটনায় মিরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. ইউছুফ ও মাহবুবুর রহমান জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বুধবার (২৫ মে) অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ।

জানা যায়, মিরাজ দ্রুত বিচার আইনে হওয়া একটি মামলার চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। ২০০৩ সালের ১১ আগস্ট নোয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার ওই মামলার রায় দেন। রায়ে মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আগামী ১৫ জুন ওই ইউপিকে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।

লিখিত অভিযোগে দুই প্রার্থী বর্ণনা করেছেন, ২০০৩ সালের ৫ জুন হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়াচরের মাঈনুদ্দিন বাজারে সশস্ত্র হামলা, বোমাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজা দেওয়ার পর থেকে মিরাজ প্রকাশ্যে থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। তিনি সাজার তথ্য গোপন করে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হরণী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. মিরাজ বলেন, তিনি মামলা ও সাজার বিষয়ে কিছুই জানতেননা। শুনছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ২টি আপিল পেয়েছি। আজ বিকেলের মধ্যে উপজেলা অফিসে আমি লিখিত আদেশ দিয়ে দেব। অভিযোগ সত্যা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বিচারের বিষয় এটা এভাবে বলা যাবেনা।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী মিরাজের বিরুদ্ধে এর আগে দুটি মামলার তথ্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। তবে কোনো মামলায় তাঁর সাজা হওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই।

বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২” এর সফল আয়োজন

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে, বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন এর উদ্যোগে পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে ৩ দিন ব্যাপী “বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২” অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৪ মে ২০২২) তারিখে স্থানীয় জামুর স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স-এ টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনার তারিক আহসান।

তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে “ইয়াং টাইগার্স” টিমকে হারিয়ে “লিসবন সিক্সার্স” “বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২”- এর শিরোপা অর্জন করে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রীড়ামোদী দর্শক ছাড়াও, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীবৃন্দ, ছাত্র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ দূতাবাসের এই আয়োজন উপভোগ করেন।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত জনার তারিক আহসান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং জাতির পিতার কর্ম ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে দূতাবাস এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-এর আয়োজন করেছে। তিনি আরো বলেন, দেশ হতে সহস্র মাইল দূরে বিদেশের মাটিতে এইরকম এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রবাসীদের মাঝে আনন্দের উপলক্ষ্য বয়ে এনেছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১৭ মে দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ হতে টুর্নামেন্টের ঘোষণা দেয়া হয় এবং দল আহ্বান করা হয় যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিপুল সাড়া ফেলে। ২০ টি দলের অংশগ্রহণে নক-আউট ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্যায় এবং কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সান্তা আপোলোনিয়া মাঠে। এবং সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ গুলো অনুষ্ঠিত হয় জামুর স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে। শুধুমাত্র লিসবন-ই নয়, পর্তুগালের নানা প্রান্ত হতে ক্রীড়াপ্রেমী বাংলাদেশীগণ এর টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ করেন।

আমি বেঁচে আছি :হানিফ সংকেত

সকাল থেকেই গুজবে বাসছে সোশ্যাল মিডিয়া, জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেতের মৃত্যু হয়েছে। এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তোলপাড়। তার অনুরাগী ও শুভাঙ্ক্ষীরা দুশ্চন্তিায় পড়ে যান এই ব্যক্তিত্বকে নিয়ে।

তবে বিষয়টি যে গুজব, তার সত্যতা জানিয়েছেন হানিফ সংকেত নিজেই। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘আমি যদি মরেই যেতাম তাহলে আপনার সঙ্গে কথা বলছি কিভাবে ? আমি মরিনি। চেঁচে আসি।’

কথোপকথনের সময় হানিফ সংকেত নিজের সুস্থতার কথাও নিশ্চিত করেন। সেই সঙ্গে সবাইকে এ ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সূত্র: ঢাকা মেইল