1. admin@dhakareport.com : Dhakareport.Online :
  2. farzana25.dlm@gmail.com : Farzana Ahamed : Farzana Ahamed
  3. rajibdlm@gmail.com : Rasel Ahammed Razib : Rasel Ahammed Razib
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন

আল-কায়দার নতুন টার্গেট বাংলাদেশ এবং ভারত!

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩
  • ৪৯৯ Time View

আলকায়দার নতুন টার্গেট বাংলাদেশ। সাথে রয়েছে ভারত। এই দুই দেশে পুনরায় সংগঠিত হবার চেষ্টায় মরিয়া আল কায়দা গোষ্ঠীটি। এমন তথ্য বেড়িয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক মহলে। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।

সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য অ্যানালিটিকাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ) এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে ওই সতর্কবার্তা এসেছে।

মূলত ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে সক্রিয় হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আল কায়েদা তাদের আঞ্চলিক মিত্রদলগুলোকে আবারও ‘সংগঠিত’ করছে বলে সতর্কবার্তা এসেছে জাতিসংঘের সেই প্রতিবেদনে।

জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন একিউআইএসকে (আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট) সংগঠিত করছে, তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।

আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা দুই হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

সেখানে বলা হয়েছে, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যাদের নেতা ওসামা মেহমুদ।

এছাড়া আফগানিস্তানে সক্রিয় আরেক জঙ্গি দল আইএসআইএল-কে কে এখন ওই অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে। পরিবারের সদস্যদের মিলিয়ে আইএসআইএল-কে এর ৪ থেকে ৬ হাজার সদস্য আফগানিস্তানে রয়েছে।

সানাউল্লাহ গাফারিকে আইএসআইএল-কে এর সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা ধরা হয়। যদিও একটি সদস্য রাষ্ট্র বলেছে, সানাউল্লাহ গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন। তবে ওই তথ্যের সত্যতা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আর জানা গেছে, “আইএসআইএল-কে আফগানিস্তানে তালেবান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয়ের উপরই হামলা করছে এবং দিন দিন তাদের হামলার সক্ষমতা এবং সফলতা বাড়ছে। তারা ‘হাই প্রোফাইল টার্গেটে’ হামলার কৌশল নিয়েছে, যাতে দেখানো যায় দেশটির বর্তমান তালেবান প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে কতটা ব্যর্থ।”

বলাই বাহুল্য আফগানিস্তান এখনো সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি দলগুলোর চারণভূমি হয়ে আছে। দেশটিতে প্রায় ২০টি জঙ্গি দল সক্রিয়। তারা ওই অঞ্চলের পুরোটা জুড়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে এবং ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে।

আফগানিস্তানের কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে নতুন নতুন প্রশিক্ষণ সেন্টার বানিয়ে আল-কায়েদা নিজেদের ‘পুনর্গঠন’ করছে বলেও ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন আর পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার ঘটনায় পর ধীরে ধীরে পুরা বিশ্বে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটায় আল-কায়েদা।

এ দলের নেতা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হওয়ার পর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। আরেক সন্ত্রাসী দল আইএস এর উত্থানও আল-কায়েদার প্রভাব কমাতে ভূমিকা রাখে।

লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি । ২০২২ সালের অগাস্টে আফগানিস্তানে সিআইএ-এর ড্রোন হামলায় তিনিও নিহত হন।

এরপরই বাংলাদেশে ২০১৩ সালের পর থেকে একের পর এক জঙ্গি হামলা ও হত্যার মধ্যে বেশ কিছু ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়েছিল আল-কায়েদার তরফ থেকে। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্য দাবি করে আসছে, ওইসব ঘটনা ঘটিয়েছে দেশীয় উগ্রবাদীরাই।

২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় বাংলাদেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদের’ ডাক দিয়েছিলেন জাওয়াহিরি। ওই বছরই আরেক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন তিনি।

শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক আরেক সন্ত্রাসী দল আইএসও গুলশান হামলাসহ বেশ কিছু জঙ্গি হামলার ‘কৃতিত্ব’ দাবি করেছিল। তারাও বাংলাদেশে আলাদা ‘খিলাফত’ ঘোষণা করে তাদের নেতার নাম ঘোষণা করেছিল। তবে গুলশান হামলার পর কয়েক বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যে দেশে জঙ্গি দলগুলোর তৎপরতা স্তিমিত হয়ে আসে।

বিশ্লেষকদের মতে আল কায়দার পুঃসঙ্গঠিত হওয়ার খবরে শংকিত আন্তর্জাতিক মহল। কারন দলটি বর্তমান বাংলাদেশ এবং ভারতে নজর দিয়ে রাখলেও, শংকায় আচ্ছান্ন কিন্তু অন্যান্য দেশ। কারন অতীতের ঘটনা থেকে বলাই যায়, অত্যন্ত লুকিয়ে লুকিয়ে নিজেদের গোষ্ঠী সংঘঠন করে থাকে দলটি। এরপরই নিজের মিশন কার্যকর করে থাকে। তাই এই দুই দেশের পর তাদের পরবর্তী টার্গেট কোন দেশে আটকায় তা ভাবতেই সন্দীহান অন্যান্য দেশ।

Author

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *