সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বিজিবি ও বিএসএফ ঐক্যমত

সীমান্তে উভয় দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা, আহত ও মারধরের ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের ব্যাপারে বিজিবি ও বিএসএফ ডিজি একমত পোষণ করেছে।
এ লক্ষ্যে অধিক সতর্কতামূলক ও কার্যকরী উদ্যোগ হিসেবে সীমান্তে যৌথটহল জোরদার, বিশেষ করে রাত্রিকালীন টহল পরিচালনার ব্যাপারে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।
আজ দুপুরে পিলখানায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদর দপ্তরে আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক এসব কথা জানান।
যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫ দিনব্যাপী (১৭-২১ জুলাই-২০২২) ৫২তম সীমান্ত সম্মেলন আজ শেষ হয়েছে।
সীমান্তে আক্রমন ও হামলার ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে সমন্বিত যৌথটহল পরিচালনাসহ অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার করা, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মাঝে আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের বিধি-বিধান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।
দুই দেশের সীমান্তবর্তী দুই এলাকাতেই ভালোমন্দ মানুষ রয়েছে উল্লেখ করে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, তাদের কারণেই সীমান্তে অপরাধ সংঘঠিত হয়। তাদের কারণেই চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা ঘটছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, গরু পাচার, শিশু ও নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে।
বিএসএফ মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা নন লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করি। যাতে প্রতিরোধ প্রাণঘাতী না হয়। ৮৯ জন বিএসএফ সদস্য সীমান্তে অপরাধীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।’
বিজিবি’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে সীমান্ত কেন্দ্রিক অপরাধ দমন, সীমান্ত হত্যা শূণ্যের কোঠায় আনতে কাজ করছি।’
গত জুন মাসে সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন পাঁচজন। প্রতিবার সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আলোচনা হয়। কিন্তু সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, ‘এ প্রশ্ন প্রতিবছরই শুনতে হয়। বিজিবি ও বিএসএফ খুবই পেশাদার বাহিনী। তবে আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়েও আলাদা। আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে থাকি, কীভাবে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা যায়।’
বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্ত হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান, মানবপাচার, অবৈধ সীমান্ত পারাপার এবং সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং এসব অপরাধ দমনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বিএসএফ মহাপরিচালক সীমান্তে বিভিন্ন অপরাধ, মাদক চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি কাটাতারের বেড়া নির্মাণসহ ভারতীয় পার্শ্বে অনিষ্পন্ন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি)-এর ওপর গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্যসামগ্রী পাচার যেমন- মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য (বিশেষ করে ইয়াবা) পাচার, আগ্নেয়াস্ত্র, জাল মূদ্রা, স্বর্ণ চোরাচালানসহ  বিভিন্ন ধরণের সীমান্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে সিবিএমপি বাস্তবায়ন এবং উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে এমন তথ্য আদান-প্রদানে দু’পক্ষ সম্মত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, মানব পাচার, সীমান্ত পিলার উপড়ে ফেলা ও অন্যান্য সীমান্ত অপরাধ থেকে সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে বিরত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছেন। উভয় পক্ষ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে একমত হন। সর্বোপরি উভয় পক্ষ সীমান্তের শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদী  গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে  নিজ নিজ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়টি তুলে ধরে উভয়পক্ষই এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, সুনির্দিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান ও নিজ নিজ সীমান্তে প্রয়োজনীয় আভিযানিক তৎপরতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছান।
সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবর্গসহ ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।

ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া যাবে না : হাইকোর্ট

ঢাকাঃ ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এরপর থেকে ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী পরিবহন করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ট্টেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।

এদিকে রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

নোয়াখালীতে জিনের বাদশাসহ ৬ প্রতারক গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে জ্বীনের বাদশাসহ ৬ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি সীম. সীমের খোসা ও প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ১টি ম্যাগনেন্ট ও ১০টি ধাতব মুদ্রা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য আব্দুল মমিন (৬১), ইমাম উদ্দিন রাসেল (৩৫), আজিজুল হক (৪১), মোঃ নুরনবী মানিক (৪৭) নজরুল ইসলাম (২৬) মো. নুর হোসেন (৫০)।

বুধবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,উক্ত আসামীগণ ২০১৮ সাল হইতে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণা করে ১নং আসামী জ্বীনের বাদশা সাজিয়া রাতের বেলায় ফোন দিয়া প্রলোভন ও প্রতারণা করিয়া বিকাশ ও নগদে এবং ম্যাগনেন্ট দেখাইয়া বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। তারা প্রতারণা করে ৩ জন থেকে মোট এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। ওসি আরো জানায়, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মূল ম্যাগনেন্টি পলাতক আসামি রিপনের কাছে রহিয়াছে। অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামিদের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বার্তা প্রেরক

গৃহহীনদের কাছে আজ ২৬২২৯টি ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে আরো ২৬ হাজার ২২৯টি জমি সহ ঘর হস্তান্তর করেছেন।

 ‘দেশে একজন মানুষও গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবেনা’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এর মাধ্যমে দেশের ৪৯২টি উপজেলার ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৫ জন মানুষ নিজের ঠিকানা পেল।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবেও ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের কাছে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। স্থানগুলো হচ্ছে- লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্প, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ন প্রকল্প, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলাধীন চর ভেড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্প, পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন মহানপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্প ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলাধীন জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ন প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেয়া হচ্ছে। এই ৬৭ হাজার ৮০০ ঘরের মধ্যে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকী ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি, ৬৩ হাজার ৯৯৯ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার তাদের মাথার উপর ছাদ পায়। আর গত বছরের ২০ জুন আশ্রায়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবার ঘর পায়।

আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে সরকার ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই ও জলবায়ু সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে ঘরগুলোর নক্সা পরিবর্তন করেন। এতে ঘরগুলোর নির্মাণ খরচ বেড়ে যায়। আর এজন্যই এখন গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষরা দুই শতাংশ জমির ওপর আরো উন্নতমানের টিন-শেডের আধা-পাকা ঘর লাভ করেছে।

ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণব্যায় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত হয়।

সরকার ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে নির্মাণ করতে মজবুদ কড়ি কাঠ, পাথরের সর্দল ও রিইনফোর্স কংক্রিট কলাম (আরসিসি) পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।

ড.কায়কাউস জানান, ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ঘরের নির্মাণের জন্য ৪০২৮ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় চর অঞ্চলের জন্য ১ হাজার ২৪২টির মতো বিশেষভাবে নক্সাকৃত ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যার মতো যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষভাবে স্থানান্তরযোগ্য করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে- যাতে করে বাড়িগুলো অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আবাসনের জন্য সরকার খাস জমি ছাড়াও ১৯১ দশমিক ৭৯ একর জমি ক্রয় করেছে। বিশ্বের এটা একমাত্র দৃষ্টান্ত যে-কোন দেশের সরকার এ ধরনের কাজে জমি ক্রয় করেছে।

জমি ক্রয়ের জন্য ১৩৪ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ক্রয়কৃত জমিতে যে ঘরগুলো নির্মিত হয়েছে- সেখানে মোট ৮ হাজার ৪৬২টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের আবাসনের ব্যবস্থা হবে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে সরকার এই প্রকল্পের জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫১২ দশমিক ০৪ একর জমি উদ্ধার করে।
সরকারের উদ্ধারকৃত এই খাস জমির বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ দশমিক ০৯ কোটি টাকা।

আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ থেকে মোট ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৭০টি পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসিত পরিবারগুলোকে তিন মাসের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। সরকারের নীতি অনুযায়ী, এই সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা ও অসমর্থ মানুষদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য কমিউনিটি সেন্টার, মসজিদ, গোরস্থান, পুকুর ও রাস্তাঘাটও তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফলদ, বনজ ও ঔষধী গাছ লাগানো হয়েছে। গৃহহীনদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্যও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত আশ্রায়ন প্রকল্পটির একটি অনন্য বৈশিষ্ট হচ্ছে- জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)’র আবাসনের সাথে এর একটি বিশেষ যোগাযোগ আছে। বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে পথে কেবলমাত্র এই গৃহ নির্মাণ প্রকল্পটিই হতে পারে প্রধান পদচিহ্ন। অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নারী ক্ষমতায়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে এই আবাসন প্রকল্প ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রেখেছে।

ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোনার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, জামালপুরে বকশীগঞ্জ, চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগঞ্জ, ফেনীর ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া, বোদা।

এছাড়া ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রাণীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট, বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া নাটোরের বাগাতিপাড়া, পাবনার ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহম্মদপুর, শালিখা, ঝালকাঠির কাঠালিয়া, পটুয়াখালীর দশমিনা।

কোম্পানীগঞ্জে নারী-শিশুসহ ১৯ রোহিঙ্গা আটক
নোয়াখালী প্রতিনিধি  : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১৯ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
গতকাল বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, এদিন রাত ৮টার দিকে উপজেলার ৮নং চর এলাহী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফুল মিয়া চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খাল পাড় থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
আটককৃতরা হলেন- ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৭নং ক্লাস্টারের মো. ইসহাক (৮০) ছকিনা খাতুন (৬৫) ৮নং ক্লাস্টারের আইয়ুব হাসেম (৩২) ৭৪নং ক্লাস্টারের ফয়েজ উল্লাহ (২২) রহিমা খাতুন (২২) নুর কলিম (৩) নূর কায়দা (১) ৫৯নং ক্লাস্টারের জুবায়ের (১৭) শামসু আলম (৩১) খালেদা বেগম (২৮) মো. জানায়েত (৮) আমেনা বেগম (০৬) খালিমা সাহরি (১৮মাস) ৫৮নং ক্লাস্টারের আব্দুল্লাহ মাহমুদ (১৪) মো.আমিন (২২) (৭ মাস পূর্বে আসছে) ৬৯নং ক্লাস্টারের কালিম (২০) রিফা মনি (৪ মাস) ৭৩নং ক্লাস্টারের আরফা বেগম (২১) আনে (২)।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ৮নং চরএলাহী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফুল মিয়া চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খাল পাড় এলাকায় কয়েকজন তরুণী কয়েকজন শিশুসহ ঘোরাফেরা করছিলেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়।
চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ  উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) রমজান আলী বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে দালালের মাধ্যমে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে চট্রগ্রাম এবং কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়া উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসেন আটককৃত রোহিঙ্গারা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দশেনা অনুযায়ী আটককৃত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু

ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০২২ বাংলাদেশে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করেছে গুগল। অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম ফিচারটি ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। এ অ্যান্ড্রয়েড ফিচারটি বিশ্বজুড়ে ভ‚মিকম্প শনাক্তে ও ভ‚মিকম্প নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সহায়তা করবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সেন্সর এ ফিচার ব্যবহার করে। এছাড়াও, সক্রিয় অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোর মাধ্যমে ভ‚কম্পন-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় শনাক্ত করতে এ সিস্টেমটি অ্যাক্সেলেরোমিটার ব্যবহার করে। এ ফিচারটি ব্যবহারকারীদের দুই ভাবে ভ‚মিকম্প সম্পর্কিত আগাম সতর্কবার্তা পেতে সহায়তা করে; যা হলো: সার্চের মাধ্যমে ও সরাসরি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ডিভাইস থেকে।

এ সিস্টেমটি ব্যবহারকারীদের গুগল সার্চের মাধ্যমে ভূমিকম্প সংক্রান্ত ‘নিয়ার ইন্সট্যান্ট ইনফরমেশন’ (নিকটবর্তী স্থানের ভ‚মিকম্প সম্পর্কিত তাৎক্ষণিক তথ্য) প্রদান করবে। এ ফিচারটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা গুগলে ‘আর্থকোয়াক’ অথবা আর্থকোয়াক ‘নিয়ার মি’ লিখে সার্চ করলে ভ‚মিকম্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তাদের সামনে চলে আসে। একইসাথে ভ‚মিকম্পের পর করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কেও এ ফিচার থেকে মানুষ বিভিন্ন তথ্য পাবেন। তবে, যে সব ব্যবহারকারী ভ‚মিকম্প সম্পর্কিত এ ধরনের তথ্য পেতে চান না তারা ডিভাইস সেটিংয়ে যেয়ে সতর্কবার্তার বিষয়টি বন্ধ করে রাখতে পারবেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস, ফিলিপিন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আর্থকোয়াক নোটিফিকেশন (ভ‚মিকম্পন সংক্রান্ত তথ্য) ফিচারটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। নোটিফিকেশন অ্যালার্ট এর পাশাপাশি, ভ‚মিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি একটি ভৌগলিক এলাকার ব্যবহারকারীরা গুগল সার্চে ভ‚মিকম্পের তথ্য অনুসন্ধান করে একটি অ্যালার্ট কার্ডও খুঁজে পাবেন এবং ক্রাউডসোর্সড ফিডব্যাকও প্রদান করতে পারবে।
মোবাইল ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম দু’টি ভিন্ন ধরনের সতর্কতা বার্তা প্রদর্শন করে; তবে, এটি ভ‚মিকম্পের ভয়াবহতা ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে।

বি অ্যাওয়ার – ৪.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভ‚মিকম্প বা মডিফাইড মার্সিলি ইনটেনসিটি (এমএমআই) স্কেলে ভ‚মিকম্পের মাত্রা ৩ কিংবা ৪ হলে ‘বি অ্যাওয়ার’ ফিচারটি মানুষকে সতর্ক করে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে, ভ‚মিকম্পের উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব সহ ব্যবহারকারীর কাছে নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। এ সতর্কবার্তা ফোনের কারেন্ট ভলিউম, ভাইব্রেশন ও ডু নট ডিস্টার্ব সেটিং ব্যবহার করে পাঠানো হয়।

টেক অ্যাকশন – ৪.৫ মাত্রারও বেশি ভয়াবহ ভ‚মিকম্প কিংবা মডিফাইড মার্সিলি ইনটেনসিটি (এমএমআই) স্কেলে ভ‚মিকম্পের মাত্রা পাঁচ এর বেশি হলে ‘টেক অ্যাকশন’ ফিচারটি ভ‚মিকম্পের ফুল-স্ক্রিন সতর্কবার্তা প্রদান করবে। সম্ভাব্য ভয়াবহ ঝাঁকুনিতে মানুষকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করতে ডিভাইসে ফুল-স্ক্রিন নির্দেশনা ভেসে উঠবে এবং ফোনটি উচমাত্রার সংকেত প্রদান করবে।

অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম ফিচারটি নিউজিল্যান্ড ও গ্রিসে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়। বর্তমানে, এটি কাজাখস্তান, কিরগিজ রিপাবলিক, ফিলিপাইন, তাজিকিস্তান, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উজবেকিস্তানে চালু রয়েছে।

২০২০ সালের আগস্ট মাসে এ ফিচারটি চালু হওয়ার পর, হাজারো মানুষ এ ফিচারটির সুবিধা উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে, ভ‚মিকম্প সংঘটিত হওয়ার আগে মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত স্থানে যেতে এ ফিচারটির আগাম সতর্কবার্তা বেশ সহায়ক ভ‚মিকা রাখে। অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেম ভ‚মিকম্প শনাক্ত করতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে সেন্সর দিয়ে থাকে এবং যেখানে ঘটনাটি ঘটে তার কোরস লোকেশন সহ শনাক্তকরণ সার্ভারে সংকেত পাঠায়। অনেক ফোন থেকে প্রাপ্ত তথ্য ভ‚মিকম্পের আসন্নতা এবং এর ভয়াবহতার মাত্রা নিশ্চিত করতে সার্ভারে প্রক্রিয়া করা হয়। মাল্টি-ডিভাইস বিশ্বে এবং অ্যান্ড্রয়েডে আরো নিবিড়ভাবে সংযুক্ত থাকার বিষয়টিকে সহজ করতে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়াক অ্যালার্ট সিস্টেমটি গুগলের প্রচেষ্টার অংশ।

ব্যবহারকারীর ডিভাইসে সতর্ক বার্তাটি চালু আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে হবে- সেটিং>লোকেশন>অ্যাডভান্স> আর্থকোয়েক অ্যালার্ট।

এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে ব্যবহারকারীদের এই ঠিকানায় কিংবা এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

চট্টগ্রামে করোনায় একনজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৮

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৪০টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৮৬২ হাজি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৯টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ৫টি।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সৌদি আরবের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৯৬৬টি। এর মধ্যে মক্কায় ৮১ শতাংশ এবং মদিনায় ১৯ শতাংশ। পুরুষ ৭৪ শতাংশ এবং মহিলা ২৬ শতাংশ।

এদিকে হজে গিয়ে এ বছর বাংলাদেশি ২৩ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী সাতজন।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজ পালন করেছেন। হজ ব্যবস্থাপনা ও হজ প্রতিনিধি দলসহ এবার ১৬৫টি ফ্লাইটে হজে যান তারা।

এরমধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬৩ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩ হাজার ৯১৯ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী সৌদি গিয়েছিলেন।

শ্রীলংকায় ভোটগ্রহণ শুরু

শ্রীলংকায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে বুধবার পার্লামেন্টে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। গোতাবায়া বিক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

পার্লামেন্টের সেক্রেটারি জেনারেল ধাম্মিকা দাসানায়েক কোরাম বেল বাজানোর পর গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পার্লামেন্টের ২২৫ জন আইনপ্রণেতা তিনজন প্রার্থীর মধ্য থেকে দেশটির ভবিষ্যত নেতা নির্বাচন করবেন।

উল্লেখ্য, শ্রীলংকায় বর্তমানে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট চলছে।

দেশে ফিরলেন ১৪৮৬২ হাজি

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৪০টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৮৬২ হাজি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৯টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ৫টি।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সৌদি আরবের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৯৬৬টি। এর মধ্যে মক্কায় ৮১ শতাংশ এবং মদিনায় ১৯ শতাংশ। পুরুষ ৭৪ শতাংশ এবং মহিলা ২৬ শতাংশ।

এদিকে হজে গিয়ে এ বছর বাংলাদেশি ২৩ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী সাতজন।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজ পালন করেছেন। হজ ব্যবস্থাপনা ও হজ প্রতিনিধি দলসহ এবার ১৬৫টি ফ্লাইটে হজে যান তারা।

এরমধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬৩ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩ হাজার ৯১৯ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী সৌদি গিয়েছিলেন।

১৯ দিন পর সুপ্রিমকোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু

১ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আযহার সরকার ঘোষিত ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও কোর্টের অবকাশ শেষে আজ ২০ জুলাই থেকে সুপ্রিমকোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো।

সকাল সোয়া ৯ টার দিকে আজ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য আজ ২০ জুলাই থেকে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে হাইকোর্টের ৫০টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বেঞ্চ গঠন করে প্রধান বিচারপতির দেয়া নির্দেশনার নোটিশ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।

এই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমি এতদ্বারা নির্দেশ করছি যে, আগামী ২০ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য বেঞ্চগুলো গঠন করা হলো।’

নোটিশে ৫০ একক ও দ্বৈত বেঞ্চের নাম বিচারিক এখতিয়ারসহ উল্লেখ করা হয়। এসব বেঞ্চের মধ্যে রয়েছে  ৩০টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ২০টি একক বেঞ্চ। আজ থেকে এসব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তবে ছুটি ও অবকাশকালীন আপিল বিভাগে চেম্বার কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগে বেশ কয়েকটি অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে।