করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৩১

ঢাকাঃ করোনায় আরও একটি মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় কেউ মারা যায়নি আর শনাক্ত হয়েছেন ৩১ জন।  এখন পর্যন্ত মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১ জন এবং শনাক্ত ১৯ লাখ ৫৩ হাজার  ৬২৩ জন।

শনিবার  (৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এদিন সুস্থ হয়েছেন ১৭১ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ ১৯ লাখ ৩ হাজার ৭৫১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৩টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ১২৪টি। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়,  গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়।

জীবন যুদ্ধে হার না মানা কানিজ ফাতেমাকে মেজর পদে পদোন্নতি
জীবন যুদ্ধে হার না মানা ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমাকে মেজর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে শনিবার (৪ জুন) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সকল ফরমেশন কমান্ডারদের উপস্থিতিতে তাকে মেজর পদবীতে উন্নীত করেন।
কানিজ ফাতেমা দেশ সেবার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ২০১১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ মেজর কানিজের প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে তার পক্ষে সেনাবাহিনীর কঠোর ও সুশৃঙ্খল স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভবপর ছিল না।
কিন্তু এই অকুতোভয় নারী, ভাগ্যের কাছে হার না মেনে দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন। সেনাবাহিনী কানিজ ফাতেমার এই অদম্য উদ্দীপনাকে সম্মান জানিয়ে সব বাধা উপেক্ষা করে ৬৯ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সঙ্গে ২০১৩ সালে বিশেষ বিবেচনায় কমিশন প্রদান করে। পরবর্তীতে কানিজ ফাতেমা হুইল চেয়ারের সাহায্যে চলাফেরা করলেও নিজের অদম্য মানসিক শক্তি এবং সহকর্মীদের সহায়তায় দৈনন্দিন কার্যক্রম স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে পালন করে আসছেন।
তার ইচ্ছাশক্তির কাছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা হার মেনেছে পদে পদে। দেশ ও জনগণের আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনী কর্তৃক একজন অকুতোভয় নারীর প্রতি এ বিরল সম্মাননা দেশের প্রতিটি নারীর অগ্রযাত্রায় সর্বদা অনুকরণীয় এবং ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে নিয়মিত বাহিনীতে সর্বপ্রথম নারী অফিসার নিয়োগ প্রদান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সাল থেকে নারী সৈনিকের সংযোজন, নারী অফিসারদের ইউনিট কমান্ড প্রদান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী অফিসারদের নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশে নারী উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে। সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে এই বিশেষ আয়োজন জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
 Ⓒ Bangladesh Military Affairs
ফোবানা ঘিরে কূচক্রিমহলের অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হবার আহবান
নোমান ইবনে সাবিত-বিপি, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণের মিলন মেলা ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা)-কে কেন্দ্র করে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ফোবানা বিরোধী একটি কূচক্রিমহল। মহলটি বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিকে জড়িয়ে ফোবানার নতুন আহবায়ক দেখিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কমিটির সুনাম ক্ষুন্নসহ বিভাজন সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
ফোবানা চেয়ারম্যান রেহান রেজা ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরী স্বাক্ষরিত উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলে হয়, গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ফোবানা এবং ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটি বিরোধী কিছু ব্যক্তি দ্বারা ফোবানার নতুন এড হক কমিটি সংক্রান্ত এক ভুয়া সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যা কোনোক্রমেই সত্য নয় এবং অসাংবিধানিকভাবে ফোবানার নিয়মনীতির প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে এই অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে ফোবানার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এবং ফোবানায় বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য।
গত ২৯ শে মে রবিবার ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় যেসব ব্যক্তিদের তাদের অগ্রহণযোগ্য আচরণের জন্য সভা থেকে বহিস্কৃত করা হয়েছে, তা ফোবানার নিয়মনীতি মেনেই করা হয়েছে তাদের অসদাচরণের জন্য। তাই প্রতিশোধ গ্রহণ করার ঘৃণ্য স্পৃহায় সেইসব ব্যক্তিবর্গ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ফোবানার সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা অসাংবিধানিভাবে ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করার মতো বিষয় উপস্থাপন করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে তারাও এক সময় ফোবানার মূল নেতৃত্বে ছিলেন। ভাবতে অবাক লাগে, তাদের আহুত চক্রান্তমূলক সভায় অংশগ্রহণকারী যে সব সংগঠনের কথা বা যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া এবং অসত্য। আমরা দ্বিধাহীনভাবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাতে চাচ্ছি-ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটি এখনো ফোবানার সংবিধান অনুযায়ী বহাল রয়েছে এবং ফোবানার সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য ফোবানার বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি অটল ভূমিকা পালন করে যাবে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ২-৪ তারিখে ৩৬তম ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে। স্বাগতিক সংগঠন হিসেবে কাজ করছেন ‘বাংলাদেশঅ্যাসোশিয়েশন্স অব শিকাগোল্যান্ড’। সাম্পতি গণমাধ্যমে ফোবানা বিরোধী উক্ত কূচক্রিমহলের ভুয়া তথ্য ও সংবাদে বিভ্রান্ত না হবার জন্য আহবান জানান ফোবানা কর্তৃপক্ষ।
আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দুর্বিষহ করবে জনজীবন : বাংলাদেশ ন্যাপ  

দেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এবং বিপিডিবি কমিশন নির্ধারিত ছকে গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারে রবিবার অথবা সোমবার সংবাদের গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছেন যে, গত দশ বছরে কয়েক দফায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ছে। আবাসিক গ্যাসের মূল্য আবারো বৃদ্ধির বিষয়টি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এর ফলে মানুষের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

শনিবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জনজীবন যখন দুর্বিসহ তখন আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি একেবারেই যৌক্তিক নয়। দেশের ভেতরে যে গ্যাস রয়েছে সেটা সরকার উত্তোলণ করে না। বরং বিদেশ থেকে আমদানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যা একটা আসাধু চক্রকে ব্যবসা পাইয়ে দিতে, বিশেষ সুবিধা দিতেই এটা করা হচ্ছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়ন হলে জনজীবন, সমাজ ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, সিস্টেম লস ও দুর্নীতি দূর করার কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া জনবিরোধী এবং সরকারকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসা উচিত। ‘ক্যাবের’ মতে এক শতাংশ মূল্যবৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং গ্যাসের মুল্য কমানোর সুযোগ রয়েছে।

তারা বলেন, অনিয়ম, অপচয় ও ব্যস্থাপনা ত্রুটি দূর করে গ্যাসের মুল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা উচিত। এটাই এ মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হলে শহরের বাইরের মানুষ জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারে দিকে আবার ঝুঁকে পড়বে। এতে কাঠের ব্যবহার বাড়বে। বৃক্ষ ও বনভূমি উজাড় হবে। বিনষ্ট হবে দেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের কৃষি, অর্থনীতি, অবকাঠামো এবং মানুষের জীবন-জীবিকা।

সিরিয়ার নতুন সংবিধান বিষয়ে আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি

সিরিয়ার নতুন সংবিধান প্রনয়ণ বিষয়ে অষ্টম দফার আলোচনা শুক্রবার শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দী বিরোধী দলগুলোর সাথে আলোচনায় একেবারে যতসামান্য অগ্রগতি হয়েছে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতাকারী একথা জানান। খবর এএফপি’র।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সিরিয়ার সাংবিধানিক কমিটি গঠন এবং এর এক মাস পর প্রথম বৈঠক আয়োজন করা হয়।

এ ব্যাপারে সম্ভাব্য আলোচনার লক্ষ্য যুদ্ধপ্রবণ এদেশের সংবিধান পুনর্লিখন । এক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে এই আলোচনা বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
জাতিসংঘ দূত গির পেডারসানের মধ্যস্থতায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার, বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের ১৫ প্রতিনিধির মধ্যে এই আলোচনা হয়।

তবে নরওয়ের ওই কূটনীতিক বলেন, সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিনিধি দলের নেতাদের সভাপতিত্বে চলতি সপ্তাহের অষ্টম দফার আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ ও শক্তিশালী করা, সংবিধানের শক্তি প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক চুক্তি কার্যকর করা ও অন্তবর্তীকালীন শাসন ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক মূলনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এক দিন প্রতিনিধি দলের উপস্থাপন করা প্রত্যেকের মূলনীতি নিয়ে সাংবিধানিক খসড়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সপ্তাহের আলোচনার পর পঞ্চম দিন শুক্রবার প্রতিনিধিরা খসড়া সংবিধানের সংশোধনী জমা দেন।

সভাপতিরা আগামী ২৫ থেকে ২৯ জুলাই জেনেভায় নবম দফার আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।

সিরিয়ার শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবি জানানো বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমনপীড়নের পর ২০১১ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

যানজটে আটকে মোটরসাইকেলে সমাবেশে এলেন তথ্যমন্ত্রী

যানজটে পড়ে নিজের গাড়ি ছেড়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ  আজ মোটরসাইকেলযোগে চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। বন্দর থানার ওসি’র (তদন্ত) মোটরসাইকেলের পিছনে বসে ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করে এ সমাবেশে যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
মন্ত্রী বিমানযোগে বিকেল সোয়া ৫ টায় চট্টগ্রাম পৌঁছান। এরপর মন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত গাড়িতে চড়ে জামালখানস্থ প্রেস ক্লাবের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে ইপিজেড এলাকায় পৌঁছে বন্দরকেন্দ্রিক যানজটে আটকা পড়ে মন্ত্রীকে বহনকারী ও পুলিশ প্রটোকলের গাড়ি। মাগরিবের সময় ঘনিয়ে আসায় সমাবেশে যোগ দেয়ার তাগিদে মন্ত্রী নিজের গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এ সময় তিনি বন্দর থানার ওসি’র (তদন্ত) মোটরসাইকেলে চড়ে সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি সমাবেশস্থলে পৌঁছালে সমাবেশে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক নারী ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। এ সময় তাঁকে ঘিরে নেতৃবৃন্দের মুহূর্মুহূ স্লোগানে সমাবেশে নতুন করে উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। দীর্ঘ পথ মোটসাইকেলে পাড়ি দিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও উপস্থিত সুধীজন মন্ত্রীর আন্তরিকতায় মুগ্ধ হন।