জীবনে প্রথম সামনাসামনি আবৃত্তি শোনা

৬০ সালের মাঝামাঝি থেকে ৮০ সালের প্রথম দিকে ঢাকার মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলের চোখে কেমন ছিল দেশটি? পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়ে একটা নতুন দেশের জন্ম হলো সেই ছেলের চোখের সামনে। তার দৃষ্টিভঙ্গিতে কী কী ধরা পড়েছিল? স্কুলে স্যারদের কানমলা, বন্ধুদের সঙ্গে ছোট্ট ছোট্ট দুষ্টুমি, নিউ মার্কেটে ঘুরে বেড়ানো, অবাক বিস্ময়ে চোখের সামনে মুক্তিযুদ্ধ দেখা এবং তার সবই একটি মধ্যবিত্ত, সাধারণ পরিবারের সন্তান হিসেবে। এসব নিয়েই আমেরিকা প্রবাসী আজাদুল হকের ধারাবাহিক লেখা– আমার শৈশব– আমার কৈশোর…

গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের গল্প, টিলো এক্সপ্রেস, সাতচারা খেলা, টেনিস বল দিয়ে বোম্বাসটিক খেলা, জীবনের প্রথম বান্ধবীর সঙ্গে পরিচয়, প্রথম সিনেমা দেখা, গ্রামের গল্প, পাটখড়ি দিয়ে সিগারেট খাওয়ার গল্প, জ্বিনের কোলে বসার গল্প, এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার গল্প আর মুক্তিযুদ্ধের গল্প– এ রকম নানা ধরনের ছোট ছোট পর্ব নিয়েই আজাদুল হকের ধারাবাহিক প্রকাশিত হচ্ছে প্রতি শনিবার। খুবই সাদামাটা গল্প অথচ প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা এবং সহজপাঠ্য। পড়তে পড়তেই শেষ। একটি পর্ব পড়লেই মনে হবে পরের পর্বে কী হবে? এভাবে তার সঙ্গে আপনারাও ফিরে যেতে পারবেন সেই শৈশবে।

আজাদুল হক টেক্সাসের হিউস্টন শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি একজন তড়িৎ প্রকৌশলী, আমেরিকার ৩য় বৃহত্তম এনার্জি কোম্পানির একটি আইটি ডিপার্টমেন্ট পরিচালনা করেন। তিনি আগে কাজ করেছেন নাসাতে। তবে এসব টেকনোলজি নিয়ে কাজ করলেও তার মন পড়ে থাকে সাহিত্যে, কবিতায়, লেখালেখিতে। এ ছাড়া শখ হিসেবে তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করেন, থ্রি-ডি অ্যানিমেশন করেন, ডকুমেন্টরি নির্মাণ করেন, ছবি তোলেন।

পর্ব- ৬.

আমরা একদিন ক্লাস করছি এমন সময় হেডস্যার (হাফিজুদ্দিন স্যার) সাথে আরেকটা ভাইয়াকে নিয়ে আমাদের ক্লাসে হাজির। আমরা একটু অবাক কারণ সাধারণত হেডস্যার ক্লাস বিঘ্নিত করতে আসেন না, আর আসলেও স্কুলের কাজে আসতেন সাথে দপ্তরি নিয়ে। হেডস্যার আসাতে আমরা একটু নড়েচড়ে বসলাম। ওই দিন আমি আবার একদম সামনের বেঞ্চে ছিলাম। এই জন্য সবকিছু জ্বলজ্বল করছে এখন মনের আয়নায়। আমাদের যে স্যার পড়াচ্ছিলেন- তিনি থামলেন, হেডস্যার তাঁর কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে কী যেন বললেন। দেখলাম স্যার খুব আগ্রহ ভরে মাথা নেড়ে সায় দিলেন। তারপর হেডস্যার আমাদের সামনে এসে বললেন, ‘আজ তোমাদের সামনে তোমাদেরই এক বড়ভাইকে উপস্থিত করেছি। ও এই স্কুল থেকেই পাস করেছে। আজ ও তোমাদের আবৃত্তি করে শোনাবে।’

আমাদের এবার ডাবল অবাক হবার পালা। বলে কী, ক্লাস বাদ দিয়ে আবৃত্তি? এই সংস্কৃতির ব্যাপার-স্যাপারগুলোতে আমি আবার ছিলাম (এখনও আছি) পুরোদস্তুর বেগুণ। মানে গুণের ধারে-কাছেও আমি নেই। গান, বাজনা, নাচ- এগুলো আমার কাছে ছিলো দেখার বিষয়, করার নয়। আর ওই দিনের আগ পর্যন্ত আবৃত্তি যে আলাদা কোনো বিষয় হতে পারে, তা আমার মাথায় ঢোকেনি। আমার কাছে আবৃত্তি মানে ছিলো ছড়া বলা। রেডিওতে শুনতাম, টেলিভিশনে দেখতাম- একদল বাচ্চা ফেরদৌসি রহমানের সামনে বসতো, আর বলতো- ‘আপা, আপা, আমি একটি ছড়া বলবো’। সেই পর্যন্তই ছিল আমার ধারণা আবৃত্তি সম্পর্কে। তাই যখন স্যার বললেন, এই ভাইয়া আমাদের সামনে ক্লাস বন্ধ করে আবৃত্তি শোনাবেন, তাতে আমার অবাক না হয়ে আর উপায় আছে?

সেদিন সেই ক্লাসটি ছিল দুপুরের পরের একটা পিরিয়ডে। বাইরে তুখোড় রোদ। আমাদের ক্লাসটা ছিল একতলায় এবং মাঠের পাশেই। ঘাড় ঘোরালেই দেখা যেত মাঠ। আমার স্বভাবই ছিল প্রায়ই এই মাঠের সবুজ ঘাসের দিকে তাকিয়ে দিবাস্বপ্নে মশগুল হয়ে থাকা। প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থেকে নিজেকে বাস্তব থেকে আলাদা করে ফেলে নিজের ভেতর আনাগোনা করার এই অভ্যাস আমার ছেলেবেলা থেকেই। আজ এই এতো বছর পরও দেখছি সেই অভ্যাস চলে তো যায়নি বরং এখন তা আরো বেশি উপভোগ করি। কথাগুলো বলার কারণ আছে।

আমাদের সেই ভাই আমাদের সামনে এসে স্বাভাবিক গলায় বললেন, ‘আমি যে কবিতাটা আবৃত্তি করবো তার নাম ডাহুকের ডাক’। আমি জীবনে এই নাম শুনিনি। এরপর বহুদিন খুঁজেছি কবিতাটি, পাইনি। যা হোক, কথাটা বলার পর তিনি যখন শুরু করলেন– ডাহুকের ডাক বলে, আমার মনে হলো আমার শরীরে কে যেন একটা ইলেক্ট্রিক শক দিয়েছে! কী সেই দরাজ গলা, কী বাচনভঙ্গী, কী বিশাল মূর্ছনা, কী অপূর্ব সুন্দর গলার ওঠানামা! আমি সম্পূর্ণভাবে মগ্ন হয়ে, বিমোহিত হয়ে, নিষ্পলকে শুনলাম, জানলাম, উপভোগ করলাম- আবৃত্তি কাকে বলে।

অনেকক্ষণ ধরে কোনো কাগজ না পড়ে তিনি আবৃত্তি করেই যাচ্ছেন। আমি বাইরে তাকালাম মাঠের দিকে। অমনি চট করে আমি যেন স্টার ট্রেকের সেই ম্যাটার ট্রান্সমিট করার মেশিনের মধ্যে দিয়ে চলে গেলাম অন্য জগতে। প্রতিদিন আমি এই মাঠের দিকে তাকাই, কিন্তু আজ তা আমার কাছে অন্য রূপে। আমি শুনছি ডাহুকের ডাক আর ভেসে বেড়াচ্ছি যেন বিলের পার ঘেঁষে, কাদাপানিতে পা ডুবিয়ে, নলখাগড়ার ঝোপের ভেতর। কোনো আবৃত্তি যে এতো সুন্দর হতে পারে, তা আমার ধারণায় ছিল না।

আমরা অনেক সময় এই গান, কবিতা, আবৃত্তিগুলোকে সস্তা বিনোদন হিসেবে দেখি, শুনি। কিন্তু এই গান, কবিতা আবৃত্তিই যে আমাদের চারপাশ ঘিরে রেখেছে। এদের সাথেই যে আমাদের স্মৃতি, সুখ, দুঃখ ওতপ্রোতভাবে জড়ানো- তা আমরা বুঝতে চাই না। এই শিল্পকে যেসব শিল্পী আমাদের সামনে উপস্থিত করেন তাদের আমরা অনেক সময় হেয় করি, ছোট করে দেখি। তাদের মূল্যায়ন তো দূরের কথা, মনে করি টাকা দিলেই তাদের মূল্যায়ন হয়ে যাবে। তারা সামান্য ভুল করলে তাদের ছাল-পাখনা তুলে লবণ-মরিচ লাগিয়ে দেই। অথচ নিজের জীবনের পেছনের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, এই শিল্পীরাই রংতুলি দিয়ে এঁকে দিয়েছেন আমাদের স্মৃতির মণিকোঠায় জমানো সেই স্মৃতিগুলো। সেদিনের সেই নাম না জানা ভাইয়া, আমাকে যে ভীষণভাবে মুগ্ধ। আলোড়িত করেছেন তার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ যে, তিনি আমাকে তার সামান্য এক কবিতা দিয়েই শিখিয়েছেন- কিভাবে আবৃত্তি আত্মস্থ করতে হয়। একজন বাচিকশিল্পীর সেটাই সবচেয়ে পরম পাওয়া।

সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে এক অভিজাত পরিবারে তার জন্ম। তার বয়স যখন সাত বছর তখন তার বাবা নিরুদ্দেশে যাত্রা করেন। ফলে তার মা সাবেরা খাতুন অনেকটা বাধ্য হয়েই বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। এ কারণে তার শৈশব কেটেছে নানার বাড়িতে।

যে পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে পরিবারে নারী শিক্ষাকে প্রয়োজনীয় মনে করা হতো না। তার নানার বাড়িতে কথ্য ভাষা ছিল উর্দু। সেখানে বাংলা শেখারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বাংলা শেখেন মূলত তার মায়ের কাছ থেকে।

১৯২৩ সালে তিনি রচনা করেন প্রথম গল্প ‘সৈনিক বধূ’ যা বরিশালের তরুণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯২৬ সালে সওগাত পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা বাসন্তী প্রকাশিত হয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ছিল।

সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠন হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচি।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, এই মহীয়সী নারীর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি ও মমতাময়ী মা। বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার দৃপ্ত পদচারণা।

তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে-সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী, দিওয়ান, মোর জাদুদের সমাধি পরে প্রভৃতি। গল্পগ্রন্থ ‘কেয়ার কাঁটা’। ভ্রমণ কাহিনী ‘সোভিয়েত দিনগুলি’। স্মৃতিকথা ‘একাত্তুরের ডায়েরি’।

সুফিয়া কামাল ৫০টিরও অধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক উল্লেখযোগ্য।

আসছে তৌসিফ-মাহার ‘ভালো থাকার গল্প’

মুক্তির অপেক্ষায় আছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালো থাকার গল্প’। এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও মাহা। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন সঞ্জয় সমদ্দার। জানা গেছে অডিও ও ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ছবিটি শিগগিরই মুক্তি পাবে এটি।

নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, ‘এটি এক নব দম্পতির সংসারে অভাব-অনটনের গল্প। যেখানে তৌসিফকে দেখা যাবে চাকরি হারানো বেকার যুবকের চরিত্রে। আর তার স্ত্রী মাহা সেই অভাব কাটাতে নিজেকে জড়ান মডেলিংয়ে।’

 

মুক্তির অপেক্ষায় আছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালো থাকার গল্প’। এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও মাহা। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন সঞ্জয় সমদ্দার। জানা গেছে অডিও ও ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ছবিটি শিগগিরই মুক্তি পাবে এটি।

নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, ‘এটি এক নব দম্পতির সংসারে অভাব-অনটনের গল্প। যেখানে তৌসিফকে দেখা যাবে চাকরি হারানো বেকার যুবকের চরিত্রে। আর তার স্ত্রী মাহা সেই অভাব কাটাতে নিজেকে জড়ান মডেলিংয়ে।’

জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন জয়া আহসান

মডেল হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেখানে বাজিমাত করে নাম লিখিয়েছিলেন নাটক-টেলিছবির অভিনয়ে। এরপর আসেন সিনেমায়। পরের গল্পটা কেবলই সাফল্যের। একের এক পর তিনি চমক দেখিয়েছেন বৈচিত্রময় চরিত্রে। ঢাকার পাশাপাশি তার অভিনয়ের মায়ায় বাঁধা পড়েছে কলকাতার সিনেমার দর্শকও।

আজ সেই প্রিয়মুখের জন্মদিন। জীবনের সুন্দর এই দিনটিতে বন্ধু-সহকর্মীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন জয়া আহসান। জয়াকে নিয়ে নির্মাতা অনিমেষ আইচ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা নিও। পরসমাচার এই যে, দীর্ঘদিন যাবত তোমার সহিত কোনরুপ সাক্ষাত হইতেছে না, যদিও ফোনে বেশ কয়েকবার কথা হইয়াছে। যাহা হউক শুভ জন্মদিন। আজ রাতে বাংলাদেশে ফিরছি, আশা করি দুয়েকদিনের মধ্যে দেখা হবে। তোমার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।’

 

মডেল হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেখানে বাজিমাত করে নাম লিখিয়েছিলেন নাটক-টেলিছবির অভিনয়ে। এরপর আসেন সিনেমায়। পরের গল্পটা কেবলই সাফল্যের। একের এক পর তিনি চমক দেখিয়েছেন বৈচিত্রময় চরিত্রে। ঢাকার পাশাপাশি তার অভিনয়ের মায়ায় বাঁধা পড়েছে কলকাতার সিনেমার দর্শকও।

আজ সেই প্রিয়মুখের জন্মদিন। জীবনের সুন্দর এই দিনটিতে বন্ধু-সহকর্মীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন জয়া আহসান। জয়াকে নিয়ে নির্মাতা অনিমেষ আইচ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা নিও। পরসমাচার এই যে, দীর্ঘদিন যাবত তোমার সহিত কোনরুপ সাক্ষাত হইতেছে না, যদিও ফোনে বেশ কয়েকবার কথা হইয়াছে। যাহা হউক শুভ জন্মদিন। আজ রাতে বাংলাদেশে ফিরছি, আশা করি দুয়েকদিনের মধ্যে দেখা হবে। তোমার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।’

ধ্রুব’র গানে কলকাতার প্রিয়াঙ্কা

স্টার জলসার মেগা সিরিয়াল ‘মা’ দুই বাংলাতেই বেশ জনপ্রিয়। এই সিরিয়ালের বুবলী নামটির সঙ্গে সবাই বেশ পরিচিত। যিনি এই সিরিয়ালে ঝিলিকের ননদ (নেগেটিভ) চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি হচ্ছেন কলকাতার প্রিয়াংকা ভট্টাচার্য বুবলী।

প্রথমবারের মত কোনো মিউজিক ভিডিওতে কাজ করলেন তিনি। আর সেটাও বাংলাদেশের গানে। গেলো মে মাসে নর্থ কলকাতায় শুটিং সম্পন্ন হয় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ধ্রুব গুহ’র ‘তোমার ইচ্ছে হলে’ শিরোনামের গানটির।

 

স্টার জলসার মেগা সিরিয়াল ‘মা’ দুই বাংলাতেই বেশ জনপ্রিয়। এই সিরিয়ালের বুবলী নামটির সঙ্গে সবাই বেশ পরিচিত। যিনি এই সিরিয়ালে ঝিলিকের ননদ (নেগেটিভ) চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি হচ্ছেন কলকাতার প্রিয়াংকা ভট্টাচার্য বুবলী।

প্রথমবারের মত কোনো মিউজিক ভিডিওতে কাজ করলেন তিনি। আর সেটাও বাংলাদেশের গানে। গেলো মে মাসে নর্থ কলকাতায় শুটিং সম্পন্ন হয় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ধ্রুব গুহ’র ‘তোমার ইচ্ছে হলে’ শিরোনামের গানটির।

ডিসেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে জনসনের ‘জুমানজি’

ডোয়েইন ডগলাস জনসন দি রক নামেই অধিক পরিচিত। একজন মার্কিন-কানাডীয় অভিনেতা, প্রযোজক ও পেশাদার কুস্তিগির তিনি। এরই মধ্যে উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত ‘জুমানজি’ নামের একটি সিনেমা। নতুন খবর হল চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ ঠিক হয়েছে। জনসন ছবিটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করে ইনস্ট্রাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি এই সিনেমার একটি টিজার শেয়ার করেছেন।

টিজারটিতে ‘জুমানজি’র লোগো ও এটি মুক্তির তারিখ দিয়ে লেখা, ‘দি গেম ইজ নট ওভার’। রকের ঘোষণা অনুযায়ী ছবিটি ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ মুক্তি পাবে।

 

ডোয়েইন ডগলাস জনসন দি রক নামেই অধিক পরিচিত। একজন মার্কিন-কানাডীয় অভিনেতা, প্রযোজক ও পেশাদার কুস্তিগির তিনি। এরই মধ্যে উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত ‘জুমানজি’ নামের একটি সিনেমা। নতুন খবর হল চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ ঠিক হয়েছে। জনসন ছবিটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করে ইনস্ট্রাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি এই সিনেমার একটি টিজার শেয়ার করেছেন।

টিজারটিতে ‘জুমানজি’র লোগো ও এটি মুক্তির তারিখ দিয়ে লেখা, ‘দি গেম ইজ নট ওভার’। রকের ঘোষণা অনুযায়ী ছবিটি ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ মুক্তি পাবে।

‘শুটিংয়ের সময় চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছিল ম্যানেজার’

দুনিয়াজুড়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন আলোচ্য বিষয় কাস্টিং কাউচ। অনেক অভিনেত্রীরাই কাজ করতে গিয়ে যৌন হয়রানি নিয়ে মুখ খুলছেন। বলিউডের প্রতিবাদী অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করও একাধিকবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে চলা যৌন নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন। এবার তিনি সরাসরি যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন এক পরিচালকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেল, একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্বরা বলেন, একটি ফিল্মের আউটডোর শুটিং করছিলেন তিনি। সেখানেই নাকি এক প্রথম সারির পরিচালকের ম্যানেজার তাকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, স্বরার বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইছিলেন। বিপদ বুঝে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে মিটিং শেষ করার চেষ্টা করছিলেন অভিনেত্রী। তখনই স্বরাকে জড়িয়ে ধরে কানে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ম্যানেজার। এবং স্বরাকে বলেন ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’। কোনো রকমে তার হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী।

ভাঙছে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর সংসার

একের পরে এক তারকাদের সংসার ভাঙার খবর আসছে। এবার সংসার ভাঙতে যাচ্ছে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর। তার সংসার ভাঙনের গুঞ্জন ডালপালা মেলেছিল অনেক আগেই। গেল বছরের শেষদিকে যখন শ্রাবন্তী হঠাৎ দেশে ফিরে আসেন সন্তানদের নিয়ে তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল স্বামীর সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে তার।

অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো। শ্রাবন্তী নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানালেন, তাকে তালাকের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। একটি সংবাদমাধ্যমে সেই খবর তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

 

একের পরে এক তারকাদের সংসার ভাঙার খবর আসছে। এবার সংসার ভাঙতে যাচ্ছে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর। তার সংসার ভাঙনের গুঞ্জন ডালপালা মেলেছিল অনেক আগেই। গেল বছরের শেষদিকে যখন শ্রাবন্তী হঠাৎ দেশে ফিরে আসেন সন্তানদের নিয়ে তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল স্বামীর সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে তার।

অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো। শ্রাবন্তী নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানালেন, তাকে তালাকের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। একটি সংবাদমাধ্যমে সেই খবর তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

নির্মাতার সঙ্গে মেহজাবিনের বিয়ের গুঞ্জন

প্রেম-বিয়ে ও ভাঙন নিয়ে তারকাদের লুকোচুরি খেলার জুড়ি নেই। তবে দেয়ালেরও কান আছে বলে যে প্রবাদ সেটিকে সত্য করতেই ছড়ায় নানা গুজব ও গুঞ্জন। সম্প্রতি শোবিজের বাতাসে উড়ছে অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীর বিয়ের খবর।

নাটকের শুটিং স্পট, আড্ডায় উঠে আসছে এই লাক্সতারকার বিয়ের ব্যাপারটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কেউ কেউ লিখছেন। তবে সবটাই অনুমাননির্ভর।

 

প্রেম-বিয়ে ও ভাঙন নিয়ে তারকাদের লুকোচুরি খেলার জুড়ি নেই। তবে দেয়ালেরও কান আছে বলে যে প্রবাদ সেটিকে সত্য করতেই ছড়ায় নানা গুজব ও গুঞ্জন। সম্প্রতি শোবিজের বাতাসে উড়ছে অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীর বিয়ের খবর।

নাটকের শুটিং স্পট, আড্ডায় উঠে আসছে এই লাক্সতারকার বিয়ের ব্যাপারটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কেউ কেউ লিখছেন। তবে সবটাই অনুমাননির্ভর।

শিক্ষকতা উপভোগ করছেন হৃত্বিক

দীর্ঘদিন পরে বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনের খবর পাওয়া গেল। তিনি নাকি এখন বাচ্চাদের অঙ্কের শিক্ষক। তাহলে অভিনয় থেকে কি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছেন এই অভিনেতা? ভক্তরা কি আর দৃষ্টিনন্দন নাচ উপভোগ করতে পারবে না তা! না, তেমন কিছুই না, ভাবনার কোনো কারণ নেই। হৃত্বিক অভিনয় ছাড়েননি। এবার শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।

নতুন ছবি ‘সুপার থার্টি’-তে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের অতি মেধাবী ত্রিশজন সন্তানের শিক্ষক হিসেবে দেখা যাবে হৃত্বিক রোশনকে। ছবিতে তার নাম আনন্দ কুমার। যিনি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ত্রিশজন ছাত্রকে অত্যন্ত দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তার শিক্ষার্থীরা সকলে আইআইটি পরীক্ষায় প্রত্যাশিত নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এই মাস্টারির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন হৃত্বিক। বেশ উপভোগ করছেন তিনি।

 

দীর্ঘদিন পরে বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনের খবর পাওয়া গেল। তিনি নাকি এখন বাচ্চাদের অঙ্কের শিক্ষক। তাহলে অভিনয় থেকে কি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছেন এই অভিনেতা? ভক্তরা কি আর দৃষ্টিনন্দন নাচ উপভোগ করতে পারবে না তা! না, তেমন কিছুই না, ভাবনার কোনো কারণ নেই। হৃত্বিক অভিনয় ছাড়েননি। এবার শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।

নতুন ছবি ‘সুপার থার্টি’-তে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের অতি মেধাবী ত্রিশজন সন্তানের শিক্ষক হিসেবে দেখা যাবে হৃত্বিক রোশনকে। ছবিতে তার নাম আনন্দ কুমার। যিনি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ত্রিশজন ছাত্রকে অত্যন্ত দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তার শিক্ষার্থীরা সকলে আইআইটি পরীক্ষায় প্রত্যাশিত নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এই মাস্টারির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন হৃত্বিক। বেশ উপভোগ করছেন তিনি।