রুটিন চূড়ান্ত হলে ১৩ দিনে শেষ হবে এসএসসি

শিক্ষা ডেস্ক : চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচী প্রস্তুত করেছেন আন্তঃ-শিক্ষা বোর্ড। এই সময়সূচী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

আন্তঃ-শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, সময়সূচীতে ১৩ দিনের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা শেষ করার প্রস্তাব করা হয়। পরীক্ষাগুলো সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে গ্যাপ কমিয়ে স্বল্প সময়ে পরীক্ষা শেষ করতে সূচি তৈরি করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই চূড়ান্ত হবে।

সাধারণ ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এসএসসি এবং এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতো। তবে এ বছর করোনার কারণে প্রথম দফা এবং বন্যার কারণে দ্বিতীয় দফা এই দুই পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। গত ১৯ জুন থেকে এসএসসি শুরু হওয়ার কথা ছিল ।

পরিস্থিতির ওপর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে।
নতুন রুটিনে কবে শুরু হবে পরীক্ষা, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বন্যার প্রভাবে পেছাতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাও।

তবে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঈদের ছুটি শেষে নতুন রুটিনে ১০-১৫ দিন পিছিয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে।
মাধ্যমিক স্তরের এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী দুই মাসের মধ্যেই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার জন্য নতুন রুটিন দেওয়া হবে।
আগের রুটিনের আলোকে নতুন পরীক্ষার রুটিন তৈরি করা হবে, এক্ষেত্রে শুধু পরীক্ষা শুরুর সময়টা পরিবর্তন হবে।
পরীক্ষার্থীদের নতুনভাবে প্রস্তুতির জন্য ৭ থেকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হতে পারে।

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জন্মদিন আজ

প্রেম ও দ্রোহের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর আজ ৬১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৬ সালের আজকের এই দিনে (১৬ অক্টোবর) বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির জন্মদিন উদযাপনে রুদ্র স্মৃতি সংসদ আজ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সত্তরের দশকের অন্যতম প্রতিনিধি রুদ্র কবিতা পাঠকের কাছে পরিচিত তারুণ্য ও দ্রোহের প্রতীক হিসেবে। সাহস ও স্বপ্নে, শিল্প ও সংগ্রামে আপাদমস্তক সমর্পিত এ কবি তার স্বল্পায়ু জীবনকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে, হয়ে উঠেছিলেন তাদেরই কণ্ঠস্বর। অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’ এ। মাত্র ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা। ১৯৭৫ সালের পরের সবকটি সরকারবিরোধী ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা, ও অসাম্প্রদায়িকতা তার কবিতায় বলিষ্ঠভাবে উঠে আসে।

কবি শামসুর রাহমানের ৮৯তম জন্মদিন আজ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শামসুর রাহমানের ৮৯তম জন্মদিন আজ। ১৯২৯ সালের এই দিনে ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির জন্মদিন স্মরণে বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি, নিবেদিত কবিতা পাঠ।

কবি শামসুর রাহমান একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক, কলামিস্ট, অনুবাদক ও গীতিকার। পঞ্চাশ দশক থেকে শুরু করে একাধারে কবি প্রায় ছয় দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিরতিহীনভাবে সাহিত্য-সাংবাদিকতা ও সংস্কৃতিক্ষেত্রে কাজ করেন। তাকে বাংলা সাহিত্যে ‘স্বাধীনতার কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

কবিতায় তিনি স্বাধীনতার মানসে ব্যাপক কাজ করেন। মৌলবাদ, ধর্মান্ধতারিরোধী বিষয়েও অবদান রাখেন তিনি।

ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে আঠার বছর বয়সে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তার প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় ‘সাপ্তাহিক সোনার বাংলা’ পত্রিকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করার পর কবি ১৯৫৭ সালে ডেইলি মর্নিং সান পত্রিকায় সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্ম ও পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে পাকিস্তান রেডিওতে দেড় বছর চাকুরি করেন। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক বাংলা পত্রিকায় যোগ দেন। এক পর্যায়ে এই পত্রিকার প্রধান সম্পাদকসহ সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে মূলধারা,অধূনা নামে দুটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশ পায় ১৯৬০ সালে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ রুদ্ধ করোটিতে (১৯৬৩ ) এবং পরবর্তীতে বিধ্বস্ত নীলিমা (১৯৬৭), নিরালোকে দিব্যরত (১৯৬৮), নিজ বাসভূমে ( ১৯৭০), বন্দি শিবির থেকে (১৯৭২)সহ কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রস্থ ৪৮টি, কাব্য সমগ্র ১০, উপন্যাস ৪, গল্প সমগ্র ২, কলাম ২, অনুবাদ কবিতা ৫, অনুবাদ নাটক ২টি, জীবনী ১, শিশুতোষ ১০সহ মোট ৯৮টি পুস্তক প্রকাশ পায়। আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাদীনতা দিবস পদক ও ভারতের আনন্দ পুরস্কারসহ বেশকিছু পুরস্কার লাভ করেন কবি।

বিল নিয়ে খেদ হাসপাতালে ভর্তি তসলিমার

জ্বর আর পায়ে ফোঁড়া নিয়ে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। চিকিৎসা শেষে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হতে পারছেন না। কারণ চিকিৎসাবাবদ হাসপাতালের যে বিল উঠেছে তা তিনি পরিশোধ করলেই তাকে বের হতে দেয়া হবে। বিলের পরিমাণ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এত ছোট রোগে এত বিল উঠবে তা তার ধারণার বাইরে ছিল।

এ বিষয়ে বুধবার তসলিমা নাসরিন তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে ফুটে উঠেছে কলকাতায় চিকিৎসা ব্যয়ের চিত্র। তবে তিনি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করেননি তার স্ট্যাটাসে।

তার স্ট্যাটাসটি নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো- ‘পাঁচদিন পর হাসপাতাল থেকে বেরোতে চাইছি কিন্তু বেরোতে দেয়া হচ্ছে না। টাকা পুরো শোধ করলেই তবে বেরোতে পারব। টাকা কত? ১ লাখ ৬৫ হাজার। কী অসুখ হয়েছিল আমার? গায়ে জ্বর আর পায়ে ফোঁড়া। জ্বর কমাতে আর ফোঁড়া গালাতে খরচ যে এত, জানলে এ মুখো হতাম না। খুব যে দামি ক্লিনিকে এসেছি তা কিন্তু নয়।’

 

‘ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সারাদিন দেখছি-ভাবছি, শেষে না করে দিল তারা পে করবে না। অসহায় মানুষটি চারদিকে হাতড়াচ্ছি। যত থলে রেখেছি এদিকে সেদিকে, ঝেড়ে ঝেড়ে দেখছি মুক্তি পেতে পারি কি না…। না এভাবে চলবে না। এরপর জ্বর হলে নিজেই জলপট্টি দেব, ফোঁড়া হলে নিজেই ফুটো করে পুঁজ-রক্ত বের করে নেব।’

তার এই স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্টে পূরবী রায় নামের এক নারী লিখেছেন- অদ্ভুত! জ্বর আর ফোঁড়ার জন্য এত টাকা বিল। মাথাই নষ্ট।

ফারুক ভূঁইয়া রবিন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, মুখরোচক ভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘চিকিৎসা সেবা’। কিন্তু বাস্তবে সেবার নামে যা হয়ে থাকে, তাকে গলাকাটা ব্যবসা বললেও কম বলা হবে।

দেবাষিশ ঘোষ নামের আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশিকা অনুসারে কাউকে বিল পে না করতে পারার জন্য আটকে রাখা যায় না। হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায়। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আপনার পোস্ট না পেয়ে চিন্তায় ছিলাম। আর যদি এই অধমের কাছে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় তো বলবেন। কৃতজ্ঞ থাকব।

১৬ নভেম্বর ঢাকা লিট ফেস্ট শুরু

সপ্তমবারের মতো বাংলা একাডেমিতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’। আগামী ১৬ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী এ উৎসব। উৎসবে দেশি-বিদেশি সাহিত্যিক ও সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।

এবারও অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের দুই শতাধিক সাহিত্যিক, অভিনেতা, রাজনীতিক, গবেষক এবং সাংবাদিক। এবছর অংশগ্রহণকারীদের তালিকা ইতোমধ্যেই লিট ফেস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিদেশি অতিথির মধ্যে সিরিয়ার কবি আদোনিস, নাইজেরিয়ার সাহিত্যিক বেন ওক্রি, অভিনেত্রী টিল্ডা সুইন্টন, মার্কিন সাহিত্যিক লিওনেল শ্রিভার, প্রদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় কথাসাহিত্যিক নবনীতা দেব সেন, কথাসাহিত্যিক উইলিয়াম ড্যালরিম্পেল, লেখক এসথার ফ্রয়েড উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ থেকে থাকছেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মইনুল আহসান সাবের, আলী যাকের, সেলিনা হোসেন, শামসুজ্জামান খান, আনোয়ারা সৈয়দ হক, আসাদ চৌধুরী, আনিসুল হক, সলিমুল্লাহ খান, কায়জার হক, খাদেমুল ইসলাম প্রমুখ।

বিশ্বের ২৩টি দেশের দুই শতাধিকের বেশি বক্তা, পারফর্মার এবং চিন্তাবিদ তিন দিনের আয়োজনে অংশ নেবেন। উৎসবে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ সাহিত্য জার্নাল গ্রান্টা’র মোড়ক উন্মোচন হবে। আগামী ১০ নভেম্বর সম্ভাব্য সেশনের আনুষ্ঠানিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সাহিত্যের সম্মানজনক ডিএসসি পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া হবে লিট ফেস্ট প্রাঙ্গণে। এছাড়া ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার’ দ্বিতীয়বারের মতো লিট ফেস্টের শেষ দিনে ঘোষিত হবে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজনটি পরিচালনা করবেন কথাসাহিত্যিক কাজী আনিস আহমেদ, কবি সাদাফ সায্ সিদ্দিকী এবং কবি আহসান আকবর। এর টাইটেল স্পন্সর বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউন, কি স্পন্সর ব্র্যাক।

উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন চলছে www.dhakalitfest.com ঠিকানায়।

প্রলয়

উড়ছে নীল মেঘ। পার্কের দূর্বা ঘাসগুলো বাতাসে দুলছে। স্নিগ্ধ বাতাসে ছুঁয়ে যাচ্ছে মন। বিরক্তির চোখে ‘অর্পিতা’ বারবার দেখছে ঘড়ি। বেলা ৬টা বাজে, কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে। আমাকে বাসায় যাবার জন্য দৌঁড়াতে হবে। নইলে আন্টি আমাকে বাসায় ঢুকতেই দিবেনা। ওহ, কেন যে প্রলয় এখনো আসছেনা। এতো দেরি করলে আমায় বাসায় ফিরবো কখন।

পার্কের লেকের পাড়ে বসে আছে অর্পিতা। হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন তার ঘন কালো চুলে বুলাতে লাগল মমতার স্পর্শ।
অর্পিতা- খবরদার তুমি আমার চুল স্পর্শ করবে না। এতো দেরি করে কেন আসলা? তুমি জানোনা, আন্টি আমার সাথে খুব খারাপ আচরণ করে।

অর্পিতাকে বিয়ে দিতে চায় তার আন্টি (সৎ মা)। সৎমায়ের সাথে অর্পিতার বাবাও রাজি হন। এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর সাথে ঠিক হয় বিয়ে। প্রলয় দায়িত্ব নিতে চায় না

দুই হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলো প্রলয়। প্রলয়ের জোড়া হাতের কাছে হার মানল অর্পিতার অভিমান।
অর্পিতা- তুমি এতো দেরি করলে কেন?
প্রলয়- বিসিএস পরীক্ষার জন্য টাকা জমা দিতে গেছিলাম।
– কত টাকা লাগবে?
– ত্রিশ হাজার।
– সরকারী পরীক্ষা দিতে কি ত্রিশ হাজার টাকা লাগে।
– তুমিতো জানোনা, এখন সব কিছুর খরচ বেড়ে গেছে। একেকবার একেক সরকার আসে। আর নূতন নূতন খরচ বাড়ায়। তুমি কি চাওনা যে, আমি বিসিএস ক্যাডার হই?
– অবশ্যই চাই। আমি জাানি তোমার টাকার সমস্যা। তাই আমার হীরার এই নাম ফুলটা এনেছি। মারা যাবার আগে আম্মা আমাকে এটা দিয়েছিল।
– তুমি আমাকে এত দুর্লভ স্মৃতির জিনিসটা দিয়ে দিলা। তোমার কষ্ট হবে না।
– তুমি ভালো একটা চাকরি পেলে তো, আমারই সুবিধা। তাড়াতাড়ি আমরা জীবন শুরু করবো। মায়ের শেষ স্মৃতির থেকে আমার কাছে তোমার প্রতিষ্ঠা অনেক বেশি জরুরি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।
প্রলয়ের নিজেকে খুব ছোট মনে হতে লাগলো। অর্পিতা মায়ের শেষ স্মৃতিটা পর্যন্ত তাকে দিয়ে দিচ্ছে। অথচ সে নানা ভাবে মিথ্যা বলে অর্পিতার কাছে টাকা নেয়। কিন্তু কি করবে প্রলয়? তার যে উপায় নাই।
প্রলয়- অর্পিতা তুমি যদি জানতে পারো যে, এই আমিটা আমি না, অন্যজন, তবে তোমার কেমন লাগবে?
– তোমার এই তুমি আর আমির প্রশ্ন শুনলে আমার কাছে অবাক লাগে! আমিটা আমি না এটা কোন ধরনের কথা? কি সব সাহিত্যের কঠিন কথা!
হঠাৎ সামনে হাজির ছোট্ট একটি মেয়ে। ধূলাতে জট বেঁধেছে তার চুলে। নোংরা কুঁচকে যাওয়া জামা আর দেহ ভরা ধূলা-বালি। করুণ কণ্ঠে চাইতে থাকে ‘৫টা টাকা’। প্রলয় মানি ব্যাগে হাত দিয়েই চিৎকার করে হায় হায়! আমার সব টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে!
-ছোট্ট মেয়েটি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যায়। কান্নাভেজা কণ্ঠে বলে, স্যার আমি আপনার টাকা চুরি করিনি, বিশ্বাস করেন।
প্রলয়- নারে তোকে চোর ভাবছিনা। মনে হয়, পকেট থেকে পড়ে গেছে।

অর্পিতার খুব মায়া হলো। মেয়েটার হাতে গুঁজে দিলো ১০০ টাকা। চোখ ছলছল করে উঠল মেয়েটির। মাথা নিচু করে, দৌড়ে চলে গেল।

দুই.
পরের দিন দুপুর বেলা পাগল প্রায় হয়ে ছুটে এসেছে প্রলয়। দুচোখ ফোলা, সিঁদুর লালচে। মেডিকেলের কলেজের ওয়েটিং রুমে বসে আছে প্রলয়। কলেজের অফিস রুম থেকে ডেকে পাঠানো হলো তাকে।

অর্পিতা- একি প্রলয়, তোমাকে এমন বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে কেন?
-আমার হোস্টেলের রুম থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে। এই মাসের খরচ চালানোর ২০ হাজার টাকাও নাই হয়ে গেছে।
– কি বলছো তুমি!
– অর্পিতা, আমাকে এক লক্ষ টাকা ধার দিতে পারো?
– এতো টাকা! তুমি চিন্তা করো না, মার গহনা বিক্রি করে তোমাকে টাকা দিবো। আমি চাই তুমি ভালো থাকো।
– থ্যাংকস ডিয়ার, তুমি না থাকলে আমি পথে বসে যেতাম।
– প্রলয়, আমি তোমাকে ভালবাসি। আমি তোমাকে আলোর পথে নিয়ে যাবো।

৬ মাস পরের ঘটনা। মেডিকেলের ২য় বর্ষের ছাত্রী সে। অর্পিতাকে বিয়ে দিতে চায় তার আন্টি (সৎ মা)। সৎমায়ের সাথে অর্পিতার বাবাও রাজি হন। এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর সাথে ঠিক হয় বিয়ে। প্রলয় দায়িত্ব নিতে চায় না। বলতে থাকে তার অসহায়ত্বের কথা, বেকারত্বের কথা।

প্রলয় বলে- দেখো, আমরা দুজনেই এখনো ছাত্র, তোমার দায়িত্ব নেবার মতো যোগ্যতা এখনো আমার নায়। আমি প্রতি মাসে তোমার কাছে থেকে হাজার হাজার টাকা নিই। আমি কিভাবে তোমার দায়িত্ব নিবো?
অর্পিতা- আমরা দুইজনে টিউশনি করে সংসার চালাবো। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা হবেই।
ঘর বাঁধার স্বপ্ন আর প্রলয়কে হারানোর ভয়ে, অর্পিতা বাবার বাড়ি ছাড়ল। বিয়ের দুইদিন পূর্বে পালিয়ে গেল প্রলয়ের সাথে।

তিন.
সুসজ্জিত মনোরম একটি ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাট ভর্তি কয়েকজন যুবতী মেয়েরা আধুনিক পোশাক আর উগ্র সাজে সজ্জিত সবাই। প্রতিটি কক্ষে নারী আর পুরুষ।

নম্বর দেয়া ৬টি কক্ষ। পছন্দমত তরুণীকে নিয়ে, টাকা জমা দিয়ে একেকজন পুরুষ ঢুকছে একেকটি কক্ষে। অর্পিতার মাথা ঘুরাতে থাকে।

তরুণীদের লিডার ভ্রূ উঁচু করে প্রশ্ন করে, গাধা তুমি, মেডিকেলের ছাত্রী হয়েও ভয়াবহ মাদকাসক্তকে চিনতে পারোনি! নেশার লোভে তোমাকে বোকা বানাত, আর তুমি টাকা দিতা। তোমার প্রলয়, তোমাকে এখানে বিক্রি করে দিয়েছে।

এই কথা শুনে মূর্ছা যায় অর্পিতা। জ্ঞান ফিরে নিজেকে দেখে হাসপাতালের বিছানায়। জোরে পড়ে যাওয়ার জন্য মাথা ফেটে যায়। জ্ঞান ফিরেই চিৎকার করে ওঠে সে। হাসপাতালের ডাইরেক্টর অর্পিতার বাবার বন্ধু। তিনি অর্পিতাকে ফিরিয়ে আনেন, এই নোংরা জগৎ থেকে। কিন্তু অর্পিতাকে গ্রহণে অস্বীকার করে তার বাবা মা।
অর্পিতার অভিভাবক হয়ে যায় ডাইরেক্টর স্যার। ঢাকা মেডিকেল কলেজের পোস্ট মর্টেম ক্লাসে যায় অর্পিতা। জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেও, লেখাপড়ার যুদ্ধে প্রথম হয় সে।

ছোট্ট বেলা থেকেই বড় ডাক্তার হবার স্বপ্ন অর্পিতার। কাটাছেড়া, সেলাই, ড্রেসিং-এ ভীষণ দক্ষ সে। স্যার এর পাশে দাঁড়ায় সে। বেওয়ারিশ একটি লাশ উল্টো হয়ে পড়ে আছে চাটাইয়ের উপর। ডোম লাশটিকে সোজা করতেই, মুহূর্তেই নাই হয়ে যায় তার পৃথিবী। পায়ের তলা থেকে সরতে থাকে মাটি। চোখের পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে গাল বেয়ে।

চোখের সামনে টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় প্রলয়কে। হাতুড়ি দিয়ে ফাটানো হয় মাথা। পোস্ট মর্টেমের জন্য মগজ বের হতে থাকে ছিটকে। সহ্য করতে পারে না অর্পিতা। আবারো অজ্ঞান হয়ে যায়।

৭ মার্চের ভাষণের ওপর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর খ্যাতিমান লেখকদের বিশ্লেষণধর্মী বই ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : রাজনীতির মহাকাব্য’ এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে বইটির ইলেকট্রনিক ভার্সন (ই-বুক) এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের উদ্বোধন করেন তিনি।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বইটির এ তিন সংস্করণের উদ্বোধন করেন।

সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিষয়টিকে অবিস্মরণীয় করার জন্য এ ভাষণের ২৬টি বাক্যের ওপর দেশের খ্যাতিমান লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রকাশনা বের করছে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ। এরসঙ্গে ডিজিটাল বুক ও মোবাইল অ্যাপও তারা তৈরি করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরবরাহ করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বইটির পরিকল্পনাকারী ও প্রধান উপদেষ্টা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক অধ্যাপক হাশেম খান।

বিশ্লেষণধর্মী এ গ্রন্থের মুখবন্ধ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আর বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে বাছাইকৃত ২৬টি বাক্যের বিশ্লেষণ করেছেন মুস্তফা নূরউল ইসলাম, আবদুল গাফফার চৌধুরী, এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, হাসান আজিজুল হক, অজয় রায়, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, এসএ মালেক, সেলিনা হোসেনসহ কয়েকজন কয়েকজন খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও লেখক।

মুখবন্ধে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, জাতির পিতার এ কালজয়ী ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি। এ ভাষণে বাঙালির প্রতি পাকিস্থানী শোষকগোষ্ঠীর হত্যা-নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র মূর্ত হয়ে ওঠে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের আবশ্যকতা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল এ ভাষণের মূল লক্ষ্য। শত্রুর মোকাবেলায় তিনি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন-তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক।

স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে ৭ মার্চের এ ভাষণ গোটা জাতিকে ঔপনিবেশিক পাকিস্থানী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে। জাতির পিতার এ সম্মোহনী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে- লিখেছেন শেখ হাসিনা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, ই-বুক ও মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধনের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন আমাদের দুটো প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু, জয় বাংলা, ৭ মার্চের ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মের আত্মবিশ্বাস সুদৃঢ় এবং তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের গৌরবগাঁথা পৌঁছে দেয়া একান্ত কর্তব্য ভেবেছি।

বইটির ই-বুক গুগল প্লে-স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে বিদ্যমান ‘sheiBoi’ শীর্ষক অ্যাপের মাধ্যমে পাঠ করা যাবে।

এছাড়া 7th March Speech Analysis নামে গুগল প্লে-স্টোর থেকে play.google.com/store এটি ডাউনলোড করা যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি অর্থাৎ মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

আরব সভ্যতা টিকবে না : আদোনিস

আরব সভ্যতা টিকবে না কারণ বিশ্ব সভ্যতায় এর কোনো অবদান নেই এমন মন্তব্য করেছেন আরবের আধুনিক সাহিত্যধারার অন্যতম কবি আদোনিস। বৃহস্পতিবার ঢাকা লিট ফেস্টে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘আদোনিস উইথ কায়সার হক’ নামের এই সেশন সঞ্চালনা করেন সাহিত্যিক ও অনুবাদক কায়সার হক। এ সময় আদোনিস বক্তৃতা করেন ফরাসি ভাষায়। তাঁর বক্তব্য ফরাসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন অধ্যাপক আশরাফুল হক চৌধুরী।

আলাপচারিতায় আদোনিস বলেন, কেবল তেল আর ব্যবসা দিয়ে কোনো সভ্যতা টিকে থাকতে পারে না। যেহেতু মানব সভ্যতায় আরবের বিশেষ কোনো অবদান নেই তাই এ সভ্যতা টিকবে না। আরব বসন্ত নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করলেও বলেন, এটা আমেরিকারই তৈরি।

নিজে বামপন্থী এ কথা অকপটে স্বীকার করে আদোনিস বলেন, আমি সবসময় মানুষের পক্ষে। আমি বিশ্বাস করি মানুষ কখনও থেমে থাকবে না।

তরুণদের পাঠাভ্যাস নিয়েও বেশ আশাবাদী তিনি। তার মতে মানুষ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি বিষয় পড়ে। তারা পড়ছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। আদোনিস জানান, তাঁর দুই মা। এক মা প্রকৃতি অন্য মা কবিতা। পুরো পৃথিবীকে তিনি একটি ফুলের সঙ্গে তুলনা করেন আর কবিতাকে অভিহিত করেন এর সুগন্ধ হিসেবে।

যদিও প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, মানুষ এখন সুগন্ধ না ফুলের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রকে পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুুল বলে আখ্যা দেন তিনি। এটা ক্ষমতা ও অর্থ দু’দিক থেকেই বিবেচনা করা যায় বলে জানান আদোনিস। তিনি বলেন, দরজা এখন খোলা, যেন এক রমণী দু-হাত বাড়িয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে দর্শকরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তাদের আবদার মেটাতে আদোনিস একটি ছোট্ট আরবি কবিতাও আবৃত্তি করে শোনান।

উল্লেখ্য, আদোনিস আসলে কবির ছদ্মনাম। তার মূল নাম আলী আহমেদ সাঈদ। তিনি যখন কবিতা লেখা শুরু করেন তখন সিরিয়ার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সে সব ছাপানোর জন্য পাঠাতেন। কিন্তু সেগুলো ছাপা হতো না। গ্রিক দেবতা আদোনিস যেমন জন্তুদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তেমনি তিনিও পত্রিকার সম্পাদকদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছিলেন! এজন্যই এ ছদ্মনাম ব্যবহার করেন তিনি।

এরপর তার কবিতাগুলো ছাপা হয়। যদিও পত্রিকার লোকজন তাকে সরাসরি দেখার পর আদোনিস বলে মানতে চাননি! তাই তাকে প্রমাণ করতে হয়েছে তিনিই আদোনিস।

কবিতার খোঁজে সম্মাননা পেলেন ১০ তরুণ কবি

তরুণ কবি ও কবিতা নিয়ে র’দিয়া আইএনসি এবং কথা কবিতা আবৃত্তির উদ্যোগে ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘কবিতার খোঁজে-২০১৭’। সারা দেশ থেকে পাঠানো তরুণ কবিদের ১০টি কবিতা নির্বাচিত করেন জুরি বোর্ড। আয়োজনের সমাপ্তি টানা হয় ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ৬টায় ঢাকার দীপনপুরে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী ও জলধি সম্পাদক কবি নাহিদা আশরাফী। বক্তব্য রাখেন র’দিয়া আইএনসি’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দ রবিউস সামস, কথা কবিতা আবৃত্তি’র সমন্বয়ক নাজমুল আহসান।

‘কবিতার খোঁজে’র নির্বাচিত কবিরা হলেন- প্রবাল কুমার দাস, বাপ্পি ভূষণ, মোহনা, জেমস আনজুস, মাহবুব রহমান, উজ্জ্বল বাইন, আশিক মিল্টন সরকার, আরিফ শামসুল, মাসুমা রুনা এবং অনিকেত রাজেশ। নির্বাচিত কবিদের হাতে ক্রেস্ট এবং সম্মাননা সনদসহ স্মারক গ্রন্থ তুলে দেওয়া হয়।

সবশেষে আবৃত্তি করেন ড. শাহাদাত হোসেন নীপু, একেএম সামছুদ্দোহা, ফয়জুল্লাহ সাইদ, নাজমুল আহসান, মাসুম আজিজুল বাসার, আবু নাসের মানিক, আহমেদ শিপলু, তামান্না সারোয়ার নীপা, সিদ্দিকুর রহমান পারভেজ, অম্লান দত্ত অভি, এনাম আজিজুল ইসলাম, কাজী বুশরা আহমেদ তিথি, মিসবাহিল মোকার রাবিন, মাহফুজা আকতার, পলি পারভীন, খালেদ হাসান মুন, খোশনূর তাবাসসুম, শেখ সাদী মারজান, আলমগীর ইসলাম শান্ত।