সুবর্ণচরে দুই শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গা আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় সুবর্ণচর উপজেলার থেকে স্থানীয়রা দুই শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

আটককৃত রোহিঙ্গারা হলো,ভাসানচর আশ্রয়ণের ১১নং ক্লাস্টারের মো.সালামের ছেলে নূর কাসেম (১৯),৭৩নং ক্লাস্টারের নজিবুল্লার ছেলে করিমুল্লাহ (২২), ৫০ ক্লাস্টারের আমির হোসেনের ছেলে হোসেন জদ্দার (২৭), ৭৪নং ক্লাস্টারের খলিল আহমদের ছেলে ইউনুস, ৮৬নং ক্লাস্টারের করিম উল্যার স্ত্রী সৈকত তারা,৮১নং ক্লাস্টারের নূর কাসেমের স্ত্রী রাজুর মা, ৬৮নং ক্লাস্টারের মৃত খাইরুল আলমের স্ত্রী পারভিন(২৫), খাইরুল আলমের মেয়ে ঝরনাতলা (৭), ছেলে নূরুল ইসলাম (৪)।

রোববার (২৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ। এর আগে,শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের থানারহাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার থানারহাট বাজারে ঘোরাঘুরি করছিল কয়েকজন রোহিঙ্গা। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে তাদের চরজব্বর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ওসি আরো জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা স্বীকার করেছেন দালালের মাধ্যমে তারা ভাসানচর থেকে কক্সবাজারের কুতু পালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওযা হবে।

বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ,থানায় মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন ,বসুরহাট পৌরসভা ৮নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান সাহাব উদ্দিনের ছেলে আবু দারদাহ ওরফে বাপ্পী (২৫) ও কবিরহাট পৌরসভা ৪নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো.সবুজের ছেলে হৃদয় (২৮)।এর মধ্যে বাপ্পীর সঙ্গে মেয়েটির পূর্বপরিচয় ছিল।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুন) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।  এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ১৬ জুন উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া এলাকার রোকেয়া এভিনিউ ভবনের নিচ তলায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

কিশোরীর মা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি বাপ্পী বসুরহাট বাজারের মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করে। তার দোকানে কেনা কাটা করার সুবাদে তার সাথে ওই কিশোরীর সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে কিশোরীর মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সে।  তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে,গত ১৬ জুন বাপ্পী তাকে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করার জন্য তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। কিশোরী ভাড়া বাসায় গেলে বাপ্পী ও তার বন্ধু হৃদয় একে অপরের সহায়তায় কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শেষে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করে তারা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন,গণধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা এজাহার দাখিল করেছে। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দরজা ভেঙ্গে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম আইরিন আক্তার রাফি (১৯) সে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের মহিবুর রহমানের স্ত্রী।

শনিবার (১৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, একই দিন সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ঘোষকামতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহতের ননদ সাথী আক্তার আজ সকাল ৬টার দিকে ভাবির কক্ষের সামনে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করে। ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে কক্ষে ঢুকে দেখে ভাবি আইরিন আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান সাজ্জাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিক আত্মহত্যার নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায় নি। বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 নোয়াখালীতে ঝোপে মিলল দেশীয় অস্ত্র  

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সেনবাগে ঝোপ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।   এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের  সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিকের বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বস্তাভর্তি চারটি চাপাতি, দুটি কিরিচ, দুটি স্টিলের পাইপ, চারটি লোহার রড ও চারটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরো জানায়,আগামীকাল বুধবার সেনবাগের কেশারপাড়সহ তিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এতে প্রভাব বিস্তার করার জন্য কেউ অস্ত্রগুলো আনতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ তরুণী আটক

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ইয়াবাসহ এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।   আটককৃত মোসাম্মৎ শাহিদা আক্তার মনি (২০) সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভানুয়াই গ্রামের আবুল কালাম জিলানীর বাড়ির মো.রুবেলের স্ত্রী।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে আটককৃত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  এর আগে গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই তরুণী আটক করে পুলিশ।  পরে তাকে তল্লাশী করে ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ।

ওসি আরো জানায়,এ ঘটনায় আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নোয়াখালীতে সাংবাদিক লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন সাংবাদিকরা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নির্যাতিত, অধিকারবঞ্চিত নিয়ে অসংখ্য রিপোর্ট করলেও আজ নিজেদের সহকর্মির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন নোয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় না আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একাত্তর টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে হামলার শিকার হওয়ার ৪দিন হয়ে গেলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়ালেন সাংবাদিকরা।

রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সামনে ব্যানার হাতে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারও বিচার দাবি করে তারা দুই ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সুমন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, আলমগীর ইউছুফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আনোয়ার, জামাল হোসেন বিষাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু, নাসির উদ্দিন বাদল,লিয়াকত আলী খান, আকাশ মো.জসিম,মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।

 

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত বুধবার দুপুরে জেলার বেগমগঞ্জের বাংলা বাজারে বিএনপির একটি কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মিজানের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও ভিডিওি ফেলে দেয়। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জাবেদ হোসেন রকি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তুহিনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে ঘটনার দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনকে আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেধে দিয়ে তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্ত তারপরেও আইশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীরা প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, তিনি বেগমগঞ্জের বাংলাবাজারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুর উপস্থিতিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে যান। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচিস্থলে এসে হামলা চালায়। এসময় ভিডিও ধারন করতে গেলে যুবলীগ কর্মী জাবেদ হোসেন রকি ও তুহিন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। দুই ঘন্টা পর সকল ভিডিও মুছে তাকে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়।

নোয়াখালীতে ডোবায় মিলল শিশুর লাশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী বাজার এলাকার একটি ডোবা থেকে ১১ বছর বয়সী মো. মারুফ নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মানাধীন ভবনের সামনের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মারুফ সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের মৃত ছানা উল্যার ছেলে। সে নোয়াখালী পৌর এলাকার বোর্ড স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পরিবারসহ বাস করতো। মারুফ ভাঙারি মালামাল খুঁজতো এবং তা দোকানে বিক্রি করতো।

নিহত শিশুর মা মায়া বেগম জানায়, গতকাল বুধবার সকালে তার কাছ থেকে ১০টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় মারুফ। এর পর এলাকায় ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কিছু সময় খেলাধুলা করে। তারপর থেকে সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। প্রতিদিন সন্ধ্যার মধ্যে ফিরতো। কিন্তু বুধবার সে আর ফিরেনি। তার সহপাঠীরা জানায় গতকাল বিকেলে কোন এক যুবক তাকে হোন্ডায় করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও তার হদিস পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সুধারাম থানায় জিডি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ডোবায় পড়ে থাকা অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও এটি হত্যা নাকি পানিতে পড়ে মারা গেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে

হাতিয়াতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৪বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো.মিরাজের। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে।

এ ঘটনায় মিরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. ইউছুফ ও মাহবুবুর রহমান জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বুধবার (২৫ মে) অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ।

জানা যায়, মিরাজ দ্রুত বিচার আইনে হওয়া একটি মামলার চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। ২০০৩ সালের ১১ আগস্ট নোয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার ওই মামলার রায় দেন। রায়ে মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আগামী ১৫ জুন ওই ইউপিকে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।

লিখিত অভিযোগে দুই প্রার্থী বর্ণনা করেছেন, ২০০৩ সালের ৫ জুন হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়াচরের মাঈনুদ্দিন বাজারে সশস্ত্র হামলা, বোমাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজা দেওয়ার পর থেকে মিরাজ প্রকাশ্যে থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। তিনি সাজার তথ্য গোপন করে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হরণী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. মিরাজ বলেন, তিনি মামলা ও সাজার বিষয়ে কিছুই জানতেননা। শুনছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ২টি আপিল পেয়েছি। আজ বিকেলের মধ্যে উপজেলা অফিসে আমি লিখিত আদেশ দিয়ে দেব। অভিযোগ সত্যা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বিচারের বিষয় এটা এভাবে বলা যাবেনা।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী মিরাজের বিরুদ্ধে এর আগে দুটি মামলার তথ্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। তবে কোনো মামলায় তাঁর সাজা হওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই।

ঘরে রাখা পানির ডামে ডুবে শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় মাছ রাখার পানির ডামে ডুবে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

নিহত শিশুর নাম তাজলিম ইসলাম মেহেরীন সে উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের রাজন মেম্বারের বাড়ির নজরুল ইসলাম মেয়ে।

শুক্রবার (২০ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের রাজন মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে মেহেরীন ঘরে মাছ রাখার একটি পানির ডাম নিয়ে খেলতে গিয়ে ডামে পড়ে ডুবে যায়। পরে ওই ডামের পানিতে ডুবে সে অচেতন হয়ে পড়ে। শেষে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির। তিনি বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরে এলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।

১০০ এর অধিক আবেদন করেও চাকরি হয়নি মাস্টার্স পাস রফিকের

বেকারের কান্না কারও চোখে পড়েনা। এক যন্ত্রনাদায়ক জীবনের নাম বেকার। অনেক স্বপ্ন ও বুকভরা আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় একজন বেকারকে। প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে এক একটি স্বপ্ন দেখা বেকার তরুণ তরুণীর জীবন। কে শুনে কার কথা, বেকার জীবনে থাকে অনেক ব্যাথা। প্রতিনিয়ত-স্বপ্ন ভাঙ্গে স্বপ্ন দেখা এই মানুষদের। অনেকের স্বপ্ন দাফনে সমাহিত হচ্ছে। বেকার একটা অভিসপ্ত জীবনের নাম। শত সংগ্রামেও অনেকের ভাগ্যের চাকা ঘুরেনা। শুধু মাত্র বেঁচে থাকার নাম বেকার। আজ আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণী। প্রতিনিয়ত তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে জীবন পার করতে হচ্ছে তাদের।

শিক্ষিত হয়ে বেকার থাকা যে কত কষ্ট তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই ভাল জানেন। তেমন একজন নোয়াখালী,কবিরহাট উপজেলা, সুন্দলপুরের মো: রফিক উল্যাহ, যিনি গত ১৭ বছর যাবৎ একাধারে একশরও বেশী সরকারী চাকুরীর আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় টিকলেও ভাইবাতে টেকেননা, শুধু মাত্র মামা-চাচা কেউ না থাকায়। তিনি প্রথম সপ্ন নিয়ে ২০০৬ সালে আবেদন করেন বাংলাদেশ সেনাবহিনীতে। এভাবে শুরু করেন সরকারি চাকুরির আবেদন। সরকারি প্রায় প্রতিটি সেক্টরে আবেদন করেন তিনি। এমনকি পরিচ্ছন্ন কর্মী পদেও অবেদন করেছেন এই উচ্চশিক্ষিত তরুণ।সর্বশেষ তিনি গত শুক্রবার (১৩ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পরিক্ষা দিতে এসে আবেগ আপ্লুত হয়ে এসব কথা বলেন। বতর্মানে তার সরকারি চাকুরির আবেদনের বয়স শেষ।

তিনি বলেন, আমার মত ছেলেরা কি সরকারি চাকুরির স্বপ্ন দেখা ভূল? এভাবে হাজারো বেকার যুবক আছে, যারা মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করে বেকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। বাংলাদেশ তখনই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে, যখন প্রতি ঘরে অন্তত একটি করে হলেও সরকারি চাকুরীজীবী থাকবে।