শিক্ষক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা ও নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে নির্যাতনের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ে শিক্ষা অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে অব্যাহতভাবে শিক্ষক হত্যা, নির্যাতনের নিন্দা জানান। একই সাথে সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। নড়াইলের ঘটনায় প্রশাসনের উপস্থিত কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত, সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি ও এসপি প্রত্যাহার এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও শিক্ষার ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যর্থ স্বরাস্ট্র মন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের আহবায়ক সাহাদাত হোসেন রিকাউনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক এ্যডভোকেট কাউসার নিয়াজী, সদস্য সচিব জামাল হোসেন বিষাদ, উন্নয়ন সংস্থা এসোগড়ির নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবিদুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মো. সেলিম প্রমূখ।

বৃদ্ধের পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন: যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পুর্ব শক্রতার জের ধরে পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে বৃদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীকে (৬৮) নির্যাতনের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল হোসেন সানাজ (৪৫) সে উপজেলার চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত আাজাহার আহমেদের ছেলে এবং চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
রোববার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার থানারহাট বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
 নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বৃদ্ধের ছেলে ইউপি সদস্য মো.রিপন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৮-১০জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে এ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। পুলিশ অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত শনিবার ২ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ভূঞার ইন্ধনে ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শানাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা উপজেলার থানারহাট সংলগ্ন আমানতগঞ্জ এলাকায় এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় থানারহাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তার শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারী। যাত্রা পথে থানারহাট টু সোনাপুর সড়কের মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন মাইকওয়ালার বাড়ির সামনের সড়কে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শানাজের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিনের পথ রোধ করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মুখ বেঁধে পাশের জঙ্গলে নিয়ে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার বাবার পায়ুপথে একটি টর্চলাইট ঢুকিয়ে দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে তার জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং রোববার ভোরে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
 ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গতকাল রোববার সকালে প্রায় দেড় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চালিয়ে টর্চলাইটটি বের করা হয়। বর্তমানে রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন
কবিরহাটে টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রি, আটক ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কালোবাজারে বিক্রি ও মজুদ রাখার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজার থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত  পৌনে   ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কবিরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথ নেতৃত্বে টিসিবির পণ্য বেআইনী ভাবে খুচরা বাজারে বিক্রির অভিযোগে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারের হোসেন এন্ড বাদ্রার্স মুদি দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় টিসিবির পণ্য অবৈধভাবে খুচরা বাজারে বিক্রির অভিযোগে মুদি দোকানদার বেলাল হোসেন (৪০) ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনকে (৩৬) আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা উপজেলার উপদ্দি লামছি গ্রামের আরব আলীর ছেলে।

এ সময় বেলালের দোকান থেকে টিসিবির ২ বস্তা চিনি এবং ৮ বস্তা মশুরের ডাল জব্দ করা হয়।

কবিরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথ জানান, খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য এসব ডাল ও চিনি আনা হয়। তা না করে টিসিবির পণ্য কালোবাজারে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টিসিবির পণ্যসহ অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 কোম্পানীগঞ্জে দুই ইউপি সদস্যের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই ইউপি সদস্যের ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

তারা হলেন,চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ ছোটন (৪২)। সে ওই ওয়ার্ডের আজগর সর্দার বাড়ির সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বেচু মিয়ার ছেলে। অপরজন হচ্ছে একই ওয়ার্ডের সাবেক আরেক ইউপি সদস্য আহছান উল্যাহ (৬৪)। তিনি ওই ওয়ার্ডের মাইলওয়ালা বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে।

গত সোমবার (২০ জুন) থেকে দুই জনপ্রতিনিধির ফেসবুকে ইয়াবা সেবনের ভিডিও প্রকাশের পর উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। উপজেলায় একাধিক সাবেক জনপ্রতিনিধির ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এরপর গত বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে সাবেক মেম্বার আহছান উল্যাকে পুলিশ ২০ পিস ইয়াবাসহ তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। একই মঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় জনগণ।

গত সোমবার রাতে সত্যের সন্ধ্যানে মুখোশ উন্মোচন ফেসবুক আইডিতে সাবেক ইউপি সদস্য ছোটনের ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি আপলোড করা হয়। পরে ভিডিও চিত্রটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে,একটি আঞ্চলিক নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেইজে আহছান উল্যাহ মেম্বারের ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি আপলোড হলে তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড মাদক কারবারিদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। ফেনী অঞ্চলের সাথে চোরাই পথে যোগাযোগের সুবিধা থাকায় এ অঞ্চলটি মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ। কিছু দিন আগে চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন ইয়াবা সেবী ও কারবারির মধ্যে ইয়াবা বেচাকেনা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের সূত্র ধরে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে সাবেক দুই ইউপি সদস্যদের ইয়াবা সেবনের ভিডিওচিত্র আপলোড করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,ইয়াবা সেবীদের একান্ত সহযোগিরাই এসব ভিডিওচিত্র তাদের মুঠোফোনে ধারণ করে রাখে। বিরোধ দেখা দিলে যা ফাঁস হয়।

আপনার ইয়াবা সেবনের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁর মুঠোফোনে কল দিয়ে এমন প্রশ্ন করা হলে চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ ছোটন বলেন, আমি গাড়িতে আছি। পরে ফোন দিবেন বলে লাইন কেটে দেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন,ইতিমধ্যে পুলিশ একজন সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুবর্ণচরে দুই শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গা আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় সুবর্ণচর উপজেলার থেকে স্থানীয়রা দুই শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

আটককৃত রোহিঙ্গারা হলো,ভাসানচর আশ্রয়ণের ১১নং ক্লাস্টারের মো.সালামের ছেলে নূর কাসেম (১৯),৭৩নং ক্লাস্টারের নজিবুল্লার ছেলে করিমুল্লাহ (২২), ৫০ ক্লাস্টারের আমির হোসেনের ছেলে হোসেন জদ্দার (২৭), ৭৪নং ক্লাস্টারের খলিল আহমদের ছেলে ইউনুস, ৮৬নং ক্লাস্টারের করিম উল্যার স্ত্রী সৈকত তারা,৮১নং ক্লাস্টারের নূর কাসেমের স্ত্রী রাজুর মা, ৬৮নং ক্লাস্টারের মৃত খাইরুল আলমের স্ত্রী পারভিন(২৫), খাইরুল আলমের মেয়ে ঝরনাতলা (৭), ছেলে নূরুল ইসলাম (৪)।

রোববার (২৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ। এর আগে,শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের থানারহাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার থানারহাট বাজারে ঘোরাঘুরি করছিল কয়েকজন রোহিঙ্গা। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে তাদের চরজব্বর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ওসি আরো জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা স্বীকার করেছেন দালালের মাধ্যমে তারা ভাসানচর থেকে কক্সবাজারের কুতু পালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওযা হবে।

বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ,থানায় মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন ,বসুরহাট পৌরসভা ৮নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান সাহাব উদ্দিনের ছেলে আবু দারদাহ ওরফে বাপ্পী (২৫) ও কবিরহাট পৌরসভা ৪নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো.সবুজের ছেলে হৃদয় (২৮)।এর মধ্যে বাপ্পীর সঙ্গে মেয়েটির পূর্বপরিচয় ছিল।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুন) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।  এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ১৬ জুন উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া এলাকার রোকেয়া এভিনিউ ভবনের নিচ তলায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।

কিশোরীর মা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি বাপ্পী বসুরহাট বাজারের মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করে। তার দোকানে কেনা কাটা করার সুবাদে তার সাথে ওই কিশোরীর সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে কিশোরীর মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সে।  তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে,গত ১৬ জুন বাপ্পী তাকে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করার জন্য তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। কিশোরী ভাড়া বাসায় গেলে বাপ্পী ও তার বন্ধু হৃদয় একে অপরের সহায়তায় কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শেষে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করে তারা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন,গণধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা এজাহার দাখিল করেছে। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দরজা ভেঙ্গে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম আইরিন আক্তার রাফি (১৯) সে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের মহিবুর রহমানের স্ত্রী।

শনিবার (১৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, একই দিন সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ঘোষকামতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহতের ননদ সাথী আক্তার আজ সকাল ৬টার দিকে ভাবির কক্ষের সামনে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করে। ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে কক্ষে ঢুকে দেখে ভাবি আইরিন আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান সাজ্জাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিক আত্মহত্যার নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায় নি। বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 নোয়াখালীতে ঝোপে মিলল দেশীয় অস্ত্র  

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সেনবাগে ঝোপ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।   এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের  সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিকের বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বস্তাভর্তি চারটি চাপাতি, দুটি কিরিচ, দুটি স্টিলের পাইপ, চারটি লোহার রড ও চারটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরো জানায়,আগামীকাল বুধবার সেনবাগের কেশারপাড়সহ তিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এতে প্রভাব বিস্তার করার জন্য কেউ অস্ত্রগুলো আনতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ তরুণী আটক

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ইয়াবাসহ এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।   আটককৃত মোসাম্মৎ শাহিদা আক্তার মনি (২০) সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভানুয়াই গ্রামের আবুল কালাম জিলানীর বাড়ির মো.রুবেলের স্ত্রী।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে আটককৃত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  এর আগে গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই তরুণী আটক করে পুলিশ।  পরে তাকে তল্লাশী করে ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ।

ওসি আরো জানায়,এ ঘটনায় আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নোয়াখালীতে সাংবাদিক লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন সাংবাদিকরা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নির্যাতিত, অধিকারবঞ্চিত নিয়ে অসংখ্য রিপোর্ট করলেও আজ নিজেদের সহকর্মির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন নোয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় না আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একাত্তর টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে হামলার শিকার হওয়ার ৪দিন হয়ে গেলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়ালেন সাংবাদিকরা।

রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সামনে ব্যানার হাতে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারও বিচার দাবি করে তারা দুই ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সুমন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, আলমগীর ইউছুফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আনোয়ার, জামাল হোসেন বিষাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু, নাসির উদ্দিন বাদল,লিয়াকত আলী খান, আকাশ মো.জসিম,মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।

 

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত বুধবার দুপুরে জেলার বেগমগঞ্জের বাংলা বাজারে বিএনপির একটি কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মিজানের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও ভিডিওি ফেলে দেয়। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জাবেদ হোসেন রকি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তুহিনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে ঘটনার দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনকে আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেধে দিয়ে তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্ত তারপরেও আইশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীরা প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, তিনি বেগমগঞ্জের বাংলাবাজারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুর উপস্থিতিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে যান। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচিস্থলে এসে হামলা চালায়। এসময় ভিডিও ধারন করতে গেলে যুবলীগ কর্মী জাবেদ হোসেন রকি ও তুহিন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। দুই ঘন্টা পর সকল ভিডিও মুছে তাকে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়।