গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপি’র বক্তব্য নতুন ষড়যন্ত্রের বহির্প্রকাশ : সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে বিএনপি নেতারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথ প্রতিবন্ধকতা মুক্ত হবে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিরাচরিত মিথ্যাচার ও দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করেন সেতুমন্ত্রী।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিরোধী নতুন ষড়যন্ত্রের বর্হিপ্রকাশ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাবো আপনারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পথ পরিহার করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থা রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন। আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথ প্রতিবন্ধকতা মুক্ত হবে। অন্যথায় আপনাদেরকে মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান বাংলাদেশের উন্নয়ন-অভিযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিকে জ্ঞান দিচ্ছেন। অথচ প্রতিদিন গণমাধ্যমে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের বিস্তারিত সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। এমনকী টেলিভিশনে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি সরাসরি  সম্প্রচার হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের মনগড়া ও নির্জলা মিথ্যাচার কোন রকম সম্পাদনা ছাড়াই গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, টকশো’সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচার প্রতিদিন সম্প্রারিত হচ্ছে। তারপরও তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন তুলছেন। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার আকাশ উন্মুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুধু সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নয়, বেসরকারি টেলিভিশনও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে বাণিজ্যিক সম্প্রচারের সুবিধা ভোগ করছে। বাংলাদেশে এক সময় শুধুমাত্র সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ছিল ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম। শেখ হাসিনাই প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজ দেশে প্রায় অর্ধশত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন টিভি, আইপি টিভিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে গণমাধ্যমের অবারিত দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সহ¯্রাধিক দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা এবং অসংখ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে। যেখানে সকল রাজনৈতিক দলের সংবাদ কর্মসূচী বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অধিকার সুপ্রতিষ্ঠার জন্য ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন’ প্রণয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অথচ বিএনপি শাসনামলে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার বিবেচনা করা হয়েছিল শ্রম আইন-এর আওতায়। তাদের সময় সাংবাদিকদের নূন্যতম সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করা হয়নি। তাদের সময় সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস’র ৩৪ জন সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে হাওয়া ভবনের নির্দেশে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া কিছু নয়। বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের দুর্নীতি ও এতিমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় বিএনপি এখন দেউলিয়া ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জন বিচ্ছিন্ন বিএনপি’র একমাত্র অস্ত্রই হলো মিথ্যাচার ও গুজব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি-জামাত অশুভ জোট শাসনামলে (২০০১-২০০৬) বিবিসির সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালুসহ ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল। ওই সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫০০টিরও বেশি মামলা এবং ৮শ’ হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এমনকী বিট্রিশ টেলিভিশন চ্যানেল ৪-এর সাংবাদিক লিওপোল্ড ব্রুনো সরেন্তিনো, জেইবা মালিকসহ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত অনেক সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছিল। যার কারণে ‘রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারস’ বিএনপি’র শাসনামলে বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
তিনি বলেন, আমরা মির্জা ফখরুল ইসলামদের মর্মবেদনা বুঝি। রাজনৈতিক ব্যর্থতার ভারে ন্যুব্জ বিএনপি’র কাছে স্বাধীনতার অর্থ কী তা দেশবাসী জানে। বন্দুকের নলের মুখে গণমাধ্যমকর্মীদের জিম্মি করে রেডিও-টেলিভিশন ভাষণে নিজেকে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি নেতাদের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা মানায় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে তারা বাক স্বাধীনতার কথা বলেন। স্বাধীনতা তাদেরই থাকে যারা দায়িত্বশীল নিয়মসিদ্ধ আচরণ করে ও স্বীয় কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বাধীনতার নেতৃত্বাদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো এবং জাতীয় ঐক্যের মূল ভিত্তি ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বিকৃত করে বিএনপি সব সময় বাক-স্বাধীনতার অপব্যবহার করে আসছে।
বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এদেশে গণমাধ্যমের বিকাশ, উৎকর্ষ সাধন এবং সাংবাদিকদের কল্যাণ ও স্বার্থ সংরক্ষণে কী করেছে? বরং তারা গণমাধ্যমের বিকাশ রোধে এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। দেশবাসী যা ভুলে যায়নি।

আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগকে এখন থেকেই সুসংগঠিত ও স্মার্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তার রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।

অর্থ পাচারকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের নামের তালিকা প্রচার করতে সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, অর্থ পাচারকারীর নামের তালিকা যদি প্রচার করতেই হয়, তাহলে সবার আগে আপনাদের দলের দন্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম চলে আসবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে কথা বলার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাড়াবাড়ি করবেন না, বেশি বাড়াবাড়ি ভালো নয়, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।
পিকে হালদারের বিষয়ে কাদের বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নয়, তবুও তিনি অর্থ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত, তার বিচার প্রক্রিয়া আইনের মাধ্যমে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চোরা কারবারি ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত, দলে তাদের স্থান কোনভাবেই হবে না। ভালো লোক ও ত্যাগীদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে।

পকেট ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের দলে না টানতে নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না, ক্ষমতা চিরকাল থাকবে না।

শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই অবরুদ্ধ গণতন্ত্র শৃঙ্খলা মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলংকমুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান, আগামী মাসেই এই সেতুর উদ্বোধন করা হবে।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন, এডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, পারভীন জামান কল্পনা এবং মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

কারামুক্ত হলেও হাসপাতালেই থাকছেন সম্রাট

জানা গেছে, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বুধবার (১১ মে) সন্ধ্যায় হাসপাতাল ও তার ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, জামিনে কারামুক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে তাকে দেখতে ভিড় করেন তার অনুসারীরা। এসময় অনেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট জামিনে মুক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারা কর্মকর্তা জামিনের কাগজ নিয়ে গিয়ে বিএসএমএমইউ’র সিসিইউতে চিকিৎসাধীন সম্রাটের কাছে নিয়ম-কানুন মেনে তাকে জামিনে মুক্ত করেন। এসময় তার পাহারায় থাকা কারারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে জামিনে মুক্ত করা হয়।

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলাতেই জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। নতুন করে আর কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তি পেলেন তিনি।

বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন পান সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

শর্তসমূহ হলো- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করা যাবে না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতের ধার্য করা আগামী তারিখে জমা দিতে হবে।

এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। একই সঙ্গে তার জামিন আবেদনও করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ১১ এপ্রিল রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার। আগের দিন ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।

পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওইদিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।

ডেসটিনির রফিকুলের ১২, হারুনের ৪ বছরের কারাদণ্ড

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের মামলায় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২৭ মার্চ আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলায় ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনসহ আসামি ৪৬ জন। তাদের মধ্যে জামিনে রয়েছেন লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম, লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন), জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রুবেল। কারাগারে আছেন এমডি রফিকুল আমীন ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন। অন্য ৩৯ আসামি পলাতক।

পলাতক আসামিরা হলেন- ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার।

সব মামলায় সম্রাটের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

অবৈখ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনার (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সম্রাটের বিরুদ্ধে আর কোন মামলা না থাকায় মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

বুধবার (১১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন মন্জুর করেন।

 

বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে : হানিফ

বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে। এখন মুখে যাই বলুক বিএনপি আগামী নির্বাচনেও অংশ নেবে।’

হানিফ আজ সোমবার সকালে কুষ্টিয়ায় বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির নব নির্মিত ভবন উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীসহ সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে কোন ফন্দি ফিকির করেনা, এ অভ্যাস বিএনপির আছে। আমরা আগামী নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে যা যা করা দরকার তা করবো।

তিনি বলেন, যে দলের শীর্ষ নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাত করে কারগারে, আরেক নেতা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মামলায় বিদেশে পালিয়ে আছেন। সেই দলের নেতাকর্মীদের অন্যদল সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে আ্য়নায় নেজিদেরে চেহারা দেখা উচিত।

হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের একমাত্র দল যারা গণতন্ত্রে বিশ^াস করে। এই দল স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এসেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়ন্ত্রের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও আওয়ামী শান্তিপূর্ণভাবে ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। এর বাইরে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের কোন নজির নেই।

বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে : ওবায়দুল কাদের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই নির্বাচনে আসতে হবে। আমরাও একটি শক্তিশালী বিরোধীদলকে সংসদে স্বাগত জানাতে চাই। চাইবো বিরোধীদলের স্ট্যান্ড থাকুক।’ওবায়দুল কাদের আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না- জানতে চাইলে আওয়ামী লীড়ের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বলবো তাদেরকে নির্বাচনে আসতে। যদিও এটি বলা উচিৎ না। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার, এটা সুযোগের ব্যাপার না। বিএনপি অধিকার প্রয়োগ না করলে তাদের অস্তিত্ব সংকট হবে- আর সে ধরনের পরিস্থিতি তারা তৈরি করবে না, এটা আমার বিশ্বাস।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- সব দল নির্বাচনে আসুক। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়েই ভোট করতে চাই। নিশ্চয়তা দিচ্ছি নির্বাচন ফেয়ার হবে। ইভিএম-এ ভোট হবে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে। মির্জা ফখরুলের দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই।

‘অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা পুরোনো কথা, নতুন কিছু নয়। নির্বাচিত অনির্বাচিত বলে লাভ নেই। তাদের লোকও সংসদে আছেন। সংসদে বিএনপি সদস্যদের পাঠিয়েছে, তারাও কি অনির্বাচিত? স্পিকার তাদের কথা বলার সুযোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীও চান তারা আসুক। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ফখরুল সাহেব নিজেই গুরুত্বহীন হয়েছেন, তিনি সংসদে থাকলে জোরালোভাবে সংসদে কথা বলতে পারতেন।’

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে নিয়মিত। তিন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্মেলন করেছি। এবারও ডিসেম্বরে কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। বিজয়ের মাসেই আমরা সম্মেলন করতে চাই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন ও সম্মেলনের দিকে নজর রেখে দলের সভাপতি প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকীর আয়োজন করতে বলেছেন। ঘোষণাপত্র আপডেট করে নির্বাচনী ইশতেহারও প্রস্তুতের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলার সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে শেষ করতে হবে।

‘সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায়’ই তেলের মুল্যবৃদ্ধি : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঈদের আগে ভোজ্য তেলের সঙ্কট তৈরী করে যে সিন্ডিকেট জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সরকার তাদের শাস্তি প্রদান না করে তেলের মুল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে পুরস্কৃত করল বলে মন্তব্য করে বাংলাদেম ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেম ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জনগন নয় সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায়ই ভোজ্য তেলের মুল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার।

শনিবার (৭ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেছেন।

তারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দোকানে কোনও তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়। ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হতে থাকে। বাজারে এমন সঙ্কটের মাধেই সরকার দেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নিমে আসবে তার দায় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, বাণিজ্যমন্ত্রী-সচিবও এড়াতে পারবেন না।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও লুটেরা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার নিজেই প্রমান করলো দেশের বাজার আজ মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি।

তারা আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এসব সিন্ডিকেট সরকারী দলের নেতারাই তৈরী করেছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে যেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল, সেই সুবিধা তো জনগণ পেলই না, উল্টো আরও মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে হঠাৎ করে তেল উধাও করে দেওয়া হলো। যেখানে লুটেরাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা, তা না করে সরকার মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া অন্যকিছুই নয়।

বাংলাদেশ চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ চীনের ‘ঋণের ফাঁদে’ পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আবারও বলেছেন, অর্থনীতিবিদদের যারা এ ধরনের কথা বলছেন, তারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চান।

গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে, তবে চীনের ঋণ নিয়ে তাদের একমাত্র মাথাব্যথা, কিন্তু জাপানের কথা কেউ বলে না।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ঋণ নেওয়ার সময় আমরা খুব সতর্ক থাকি। ঋণের ফাঁদে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি দিক সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেন এবং কোনোভাবেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা উচিত নয়।

এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি না, তবে মাঝেমধ্যে আমরা আপনাদের কাছ থেকে শুনি, আপনারা লিখেন যে, বাংলাদেশ নাকি চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। পরে দেখি যে, আপনারা সম্পূর্ণ অলীক কথা লিখেন।’

চীনের ঋণ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের নেতিবাচক মন্তব্যের কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন, ‘তারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চায়।

জাতি অদ্ভুত এক দুঃসময় পার করছে : জেবেল গাণি

 

জাতি অদ্ভুত এক দুঃসময় পার করছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিমুখতা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য শুভ নয়। রাজনীতির প্রতি নতুন প্রজন্মের এই অনীহার অনেকটা দায় রাজনীতিবিদদেরও আছে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) গুলাশানের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নীলফামারী জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের দুর্ভাগ্য রাজনীতির জগতে তাদের এখন কোনো রোল মডেল নেই। আদর্শিক রাজনীতি এখন নির্বাসিত। দেশবাসীর কল্যাণ চিন্তার কোনো লেশ নেই আমাদের রাজনীতিকদের ক্ষমতার মসনদে পৌঁছার দৌড়ে। তার মধ্যে আমাদের নেতানেত্রীরা যেভাবে নিজেদের উন্মোচিত করছেন নতুন প্রজন্মের সামনে তাতে এই ভবিষ্যতের কান্ডরিরা কী শিক্ষা পাবে তা ভেবে শঙ্কিত জাতি।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতি অনেকদিন ধরেই রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। রাজনীতি এখন ব্যবসায়ী, মাস্তান, চাঁদাবাজ আর দুর্বৃত্তদের দখলে। রাজনীতিকে পরিচ্ছন্ন করার বদলে আমরা পরিত্যক্ত করে ফেলেছি। অথচ আমাদের স্বাধীনতা, অগ্রগতি, উন্নতি সবটাই এসেছে রাজনীতির হাত ধরে, রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে।

তিনি বলেন, শুরুতে যে রাজনীতি বিমুখতা, সে ভয়ংকর প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নীতিনির্ধারণের দায়িত্ব কিন্তু রাজনীতিবিদদেরই। তাই আমাদের সবাইকে মিলে রাজনীতিকে দুর্বৃত্তমুক্ত করতে হবে, পরিচ্ছন্ন করতে হবে। রাজনীতিকে দূরে ঠেলে দেওয়া যাবে না, দুর্বৃত্তদের কাছে লিজ দেওয়া যাবে না। কারণ রাজনীতিই আমাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে, রাজনীতিই আমাদের শেষ ভরসা।

এসমসয় আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি, নীলফামারী জেলা নেতা আবদুর রহমান, আবদুল মান্নান মাষ্টার প্রমুখ।