সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ড রাষ্ট্রের অবহেলার বহিঃপ্রকাশ : মোস্তফা ভুইয়া  

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯জন ফায়ার ব্রিগেড সৈনিক ও ৪৫ জনের বেশি প্রাণহানি এবং দেড় শতাধিক শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, খিচুড়ি রান্নার প্রশিক্ষণ আনতে সরকারী কর্মকর্তারা কোটি টাকা ব্যায় করে বিদেশে যায়। ফায়ার ফাইটারদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়না কেন ? কোটি টাকার বালিশ কেনা হয়, কিন্তু পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট কেনা হয়না কেন ?

তিনি বলেন, সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডে ও হতাহতের ঘটনা রাষ্ট্রের অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রের অবহেলার কারণেই এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা প্রায়শই প্রত্যক্ষ করতে হয়, কিন্তু এর কোনো প্রতিকার হয় না। সাধারন নাগরিকের জীবন সুরক্ষায় বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। উন্নয়নের তকমায় নাগরিকের জীবনকেই কেবল বলি দেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির চরম দুর্ভাগ্য।

বুধবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত “সীতাকুন্ডের বিস্ফোরনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, নিহতদের পরিবার ও আহত-ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরনের দাবীতে” শোক ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবী জানান।

তিনি বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকছে। অপরদিকে স্বার্থান্বেষী মহল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কেমিক্যাল মজুদ রেখে শ্রমিক, কর্মচারী ও সাধারণ জনগণের জীবন-মৃত্যু নিয়ে খেলায় মেতেছে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী মালিকপক্ষ এবং কর্তব্যে অবহেলায় দায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসাথে এ জাতীয় দুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও যুগোপযোগী করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সীতাকুন্ডে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক কর্মচারীদের বিনামূল্যে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে।

তিনি বলেন, নিমতলী ট্রাজেডির একযুগ পেরিয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিস আধুনিক সরঞ্জামাদিতে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় তা কন্টেইনার ডিপোর অগ্নি দুর্ঘটনা আবারো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। দ্রæততম সময়ে অগ্নি নির্বাপণে অক্ষম জাতিকে সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখানো আর ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা একই কথা।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান, জাতীয় জনতা ফেরাম সভাপতি মুহম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জাতীয় নারী আন্দোলনের সহ-সভাপতি জীবন নাহার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা বেগম, প্রচার সম্পাদক মাহিনূর মাহি প্রমুখ।

বিএম ডিপো’র আরও একজনের মৃত্যু

সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বাসস’কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সীতাকু-ের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনে দগ্ধ মাসুদ রানা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।

মাসুদ রানা (৩৪) বিএম কনটেইনার ডিপোর অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জামালপুর জেলার খলিলুর রহমানের পুত্র।

সীতাকুণ্ডে আগুন বিস্ফোরণের ঘটনায় এনডিপি’র শোক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি ঘটনার জন্য দায়িদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে।

সোমবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা এ দাবী জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। একইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।

তারা বলেন, বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দুর্ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড – প্রতিকার নাই কেনো? : বাংলাদেশ ন্যাপ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

নেতৃদ্বয় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং দুর্ঘটনায় আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন।

রবিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানান।

নেতৃদ্বয় বলেন, এই দূর্ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনে শোক ও কঠিন মানবিক মনোবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ জানেনা এর ক্ষতি ও বিপর্যয় কতটুকু সূদুর প্রসারি। অন্যদিকে নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড – আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড চলছেই। এ ‘অবিশ্বাস্য উন্নয়নের রোল মডেল’ গরীবের জানমালের নিরাপত্তাকে আরো বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে। নিমতলী থেকে সীতাকুণ্ড… গরীবরা মরছেই। কোন প্রতিকার নাই কেনো? কোন বিহিত নাই কেনো?

তারা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, মানব দরদী সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতি আবেদন জানান ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য। একই সাথে সকল রাজনৈতিক কর্মী ও সহযোদ্ধাদের সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়ে যেন পীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ইতমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিএমএইচ – এর চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বিনিদ্র-নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক কর্মীরা সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আহতদের শুস্রুষা ও রক্ত দেয়ার জন্য অভূতপূর্ব ত্যাগের নজীর স্থাপন করেছেন। তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

নেতৃদ্বয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষের কাউকে খুঁজে না পাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ভয়াবহ দুঘর্টনার জন্য মালিকপক্ষ তাদের দায় এড়াতে পারে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এটি কোনো দুর্ঘটনা নয় এটি সম্পুর্ণ ডিপো মালিকের গাফেলতির পরিণতি। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিস কে জানানো হয়নি সেখানে রাসায়নিক দাহ্য বস্তু আছে। বলা হয়েছে শুধু রপ্তানিযোগ্য পোশাক আছে।

নেতৃদ্বয় স্যালুট জানান সেই সকল তরুণ-যুব দের। বরাবরের মতো তারাই রক্ত দিয়ে, শ্রম দিয়ে দূর্যোগ মোকাবেলায় সবার প্রথম দাঁড়িয়েছে। একই সাথে তারা অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও নিহত ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরন প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই হবে মেট্রো ওয়াশিংটন আ. লীগের নতুন কমিটি

নিউ ইয়র্ক : কথিত কাউন্সিল বা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে নয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি সংবিধান মোতাবেক গঠন করা হবে। অসাংবিধানিকভাবে কেউ কাউন্সিলের নামে দলের ভাঙ্গনের চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করবেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। স্থানীয় সময় বুধবার (১ জুন) ভার্জিনিয়ার নিরালা রেস্তোঁরায় অনুষ্ঠিত মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এ ঘোষনা দেন আওয়ামীলীগ নেতারা। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের বর্তমান সভাপতি সাদেক এম খান এবং সভা পরিচালনা করেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন| সভায় বক্তরা বলেন, ঐক্যবদ্ধ মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগকে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে কাউন্সিলের অজুজাত দেখিয়ে দলকে যেভাবে বিভক্তের পথে নেবার চেষ্টা করছেন তা থেকে বিরত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে আহবান জানিয়েছেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের নেতারা।

বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগকে সরাসরি দেখাশোনা করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। একমাত্র তাঁর নির্দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি সংবিধান মোতাবেক গঠন করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শিব্বীর আহমেদ, সহ-সভাপতি জুয়েল বড়ুয়া, নুরুল আমিন নুরু, আনোয়ার হোসাইন, মজিবুর রহমান, আকতার হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির পাটোয়ারী, দপ্তর সম্পাদক নারায়ন দেবনাথ, ক্রীড়া সম্পাদক আবুল আযাদ, সদস্য শেরিনা চৌধুরী, দেব শর্মা, হাসনাত সানি, আবু সরকার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আবুল শিকদার ও সহ-সভাপতি সিরাজুল হক। এছাড়াও ফোনে সংযুক্ত ছিলেন সহ-সভাপতি জি আই রাসেল, জীবক বড়ুয়া ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল গফুর প্রমুখ।

মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, শুধু মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগ নয় আমরা বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যেই কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়টি ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেনওয়াশিংটন মেট্রো আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে বেশির ভাগ সময় বাংলাদেশেই থেকেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন কোনো জাতীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন না বা আয়োজন করেন না। সম্প্রতি আ.লীগের দুই শক্তিশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে অবস্থান করেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতারা হাজিরা দিলেও তিনি সেখানে আসেননি এবং ছিলেন না। ফেসবুকে কাউন্সিল বিরোধী এ ধরনের চিঠি পোস্ট করার এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগকে দোষারোপ করার অধিকার তার আছে। ওয়াশিংটন মেট্রো আওয়ামী লীগ অন্য কারো দ্বারা নয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং অনুমোদিত। এখানে বিতর্কের কিছু নেই। দলের জন্য উপযুক্ত যে কোন সময় একটি কাউন্সিল আহ্বান করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ রয়েছে।

বাজেটে কৃষিখাতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের

আসন্ন বাজেটে কৃষিখাতে বিশেষ বরাদ্দসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্ত আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ক মো. মহসীন ভুইয়া এ দাবি জানান।

তারা বলেন, সরকার প্রতিবছর বলে বাজেটে বেসরকারি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কৃষিখাত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি খাত। অথচ প্রতিবছর বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়। এ খাতের টাকা নিয়ে অন্য খাতে ব্যয় করা হয়। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের অর্ধেকের বেশি মধ্যস্বত্বভোগীর পকেটে চলে যাচ্ছে। কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে কৃষিখাতে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ, বিদ্যুৎসহ সব কৃষি উপকরণের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সার, বীজ, কীটনাশকে ভেজাল দিয়ে মুনাফা লুটছে। কৃষক লাভ তো দূরের কথা, ফসলের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছে না। ফলে জমি হারিয়ে ভূমিহীন ও মাঝারি কৃষক গরিব কৃষকে পরিণত হচ্ছে। খরা, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে কৃষককে রক্ষা করতে হবে।

বিবৃতিতে তারা (১) সার, বীজ, কীটনাশক, বিদ্যুৎ, সেচসহ কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে। (২) উৎপাদন খরচের সঙ্গে ৫০ শতাংশ যুক্ত করে কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করতে হবে। (৩) ধান, ভুট্টা, আলুসহ সকল কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, সরকারি উদ্যোগে ক্রয় কেন্দ্র খোলা, ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম, জেলায় হিমাগার নির্মাণ করতে হবে। (৪) সহজ শর্তে সুদমুক্ত কৃষিঋণ প্রদান ও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণে সুদ মওকুফ করতে হবে একই সাথে কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফ, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, বিনাসুদে সহজ শর্তে ঋণ দান, এনজিও মহাজনি ঋণের অমানবিক শোষণ জুলুম আইন করে নিষিদ্ধ, কিস্তির হয়রানি বন্ধ করতে হবে। (৫) ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, কর্মসৃজন প্রকল্পসহ সামাজিক নিরাপত্তার গ্রামীণ প্রকল্পে ঘুষ, দুর্নীতি, দলীয়করণ বন্ধ করে প্রকল্প বরাদ্দ ও উপকারভোগীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। (৬) বন্ধ পাটকল, চিনিকল চালু করা এবং কৃষিভিত্তিক নতুন শিল্প-কারখানা নির্মাণ করতে হবে। (৭) সব শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এই ৭ দফা দাবী উত্থাপন করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। পাশাপাশি খাদ্যশস্য, সবজি সংরক্ষণ উপযোগী হিমাগার ও খাদ্য গুদাম নির্মাণের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রেখে কৃষকের প্রত্যাশা সরকার পূরণ করবে, এটাই সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা।

পথ মওলানা ভাসানীর মানববন্ধন : সরকার বাজার নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ভিন্নমতের নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় না ইতিহাস তা বার বার প্রমান করেছে। সরকার পরিচালনায় ব্যার্থ সরকার আজ বিরোধী দলের উপর নির্যাতন চালাতে স্বক্ষম হলেও বাজার নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “বিরোধী দলের উপর সরকারী দলের নির্যাতন ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে” পথ মওলানা ভাসানী আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

সংগঠনের সমন্বয়কারী ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ডিএল সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ফরওয়ার্ড পার্টির সদস্য সচিব মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাার্টির সাধারন সম্পাদক এ এ এম ফায়েজ হোসেন, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এনডিএম সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, নারী নেত্রী এলিজা খাতুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ খাতকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। নিজেদের পোষ্য লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। এই অব্যাহত লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই উপর্যুপরি বিদূতের মুল্যবৃদ্ধি করছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার তুলনায় ভীষণ ব্যয়বহুল বিদ্যুত উৎপাদন সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলছে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ মজুতদার-মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের স্টক গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষকে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে।

তিনি বিদ্যুতে মুল্যবৃদ্ধির গুবিরোধী তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তেরর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট এসব সিন্ডিকেট সরকারী দলের নেতারাই তৈরী করেছেন।

মন্ত্রীদের বক্তব্যই প্রমান করে তারা জনগনের সরকার নয় : মোস্তফা ভুইয়া

বর্তমান সরকার দেশের জনগন নয়, ব্যবসায়ী আর লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যই প্রমান করে তারা জনগনের সরকার নয়। জনগনের সুবিধা-অসুবিধার কোন চিন্তাই তাদের মাথায় নাই।

সোমবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ “গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ : খাদ্য পণ্যের দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও” মানববন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ব্যবসায়ীরা কথা রাখেন নাই”’, মৎস মন্ত্রী বলেন, “জনগন তিন বেলা গরুর মাংস খেতে পারে” তখন বুঝতে হবে সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীদের সাথে জনগনের কোন সম্পর্ক নাই। তারা শুধু মাত্র লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত। লুটেরাদের অবস্থান দেখে তারা জনগনের অবস্থা বিচার করছে।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই এবং এই দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে কুপোকাত। সরকার পণ্যের দামের এই উর্ধ্বগতি থামাতে পারছে না। কেননা সরকারের পরিচালিত সিন্ডিকেটই মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তাই সরকার এই দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করতে না পারলেও নতুন করে গ্যাস আর বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগনের পকেট কাটার পায়তারা করছে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের ম্ল্যূবৃদ্ধি হলে বহুগুণিতক হারে সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে। ফলে সাধারন মানুষের জীবনকে জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাজার অর্থনীতি অব্যাহত রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই ক্রয় ক্ষমতাও তার নাগালের বাইরে চলে গেছে।

তিনি বলেন, সরকারের আচরনেই প্রমানিত হয় এই সরকার দুর্নীতিবাজ, আমলা, লুটেরা রাজনীতিবিদ, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে। জনগণের কাছে এরা দায়বদ্ধ নয়। দুর্নীতি, লুটপাট, ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম, টাকা পাচার আর মেগা প্রজেক্ট দেশকে সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ মজুতদার-মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের স্টক গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষকে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাধারন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক  মহিউদ্দিন আহমেদ, সোনার বাংলা পার্টির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, জাতীয় জনতা ফেরাম সভাপতি মুহম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, জাতীয় নারী আন্দোলনের সহসভাপতি জীবন নাহার, আসমা মল্লিকা, যুগ্ম সম্পাদক মির্জা তাহমিনা রহমান প্রমুখ।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ পরিণতি হবে ভয়াবহ: কাদের

 আওয়ামী  লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১৫ আগস্টের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ বিএনপি নেতাদের এমনশ্লোগান তাদের ঘাতক চরিত্রের পরিচয় আবারও স্পষ্ট করেছে।
আজরোববার সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয়প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও তাদেরদোসররা সমাবেশের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে,তাদের বক্তব্য বিবৃতিতেকোন শালীনতা,সৌজন্যবোধও দেখাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও তারা নোংরা ভাষায় শ্লোগান দিচ্ছে, যা কোন ভাবেই মেনেনেয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় শ্লোগান ও গালিগালাজ করার পরিনতি হবে ভয়াবহ।
‘এ সরকারের অধীনে নাকি আরকোন নির্বাচন হবে না,নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোন ব্যক্তি বাগোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যকে মেনে নেয় না।কোন ষড়যন্ত্রকারীর রক্তচক্ষু ও ত্রাসের কাছে মাথা নত করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ওদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বুটের তলায় পিষ্ট করে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছিলেন। একই সাথেসেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে সংবিধান ও আইনকে ভূলুন্ঠিত করেছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সে অপরাজনীতির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে আজকের বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যার ধারাবাহিকতায়কোন আইন বা নিয়ম নীতির কথা শুনলেই বিএনপি নেতাদের গায়ে জ্বালা ধরে। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, আর এ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সরকারের অধীনে নয়।
শেখ হাসিনা সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিবে জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী সেভাবেই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা বিএনপি মহাসচিবের মামার বাড়ীর আবদার। বিএনপি একেক সময় একেক দাবি নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তারা কখনো বলে জাতীয় সরকার, কখনো তত্ত্বাবধায়ক, আবার কখনো বলে নিরপেক্ষ সরকার,দেখতেদেখতে এক যুগেরও বেশি সময় পার করলেন বিএনপি নেতারা কিন্তু এখনো জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে পারেনি আসলে বিএনপি কী চায়?
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটাতো মীমাংসিত একটি বিষয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। বিএনপির নেত্রীই তো বলেছিলেন শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নাকি নিরপেক্ষ নয়। তবে কি ক্ষমতা পাগল বিএনপি কোন শিশু আর পাগলের অধীনে নির্বাচন চায় কিনা সেটাই প্রশ্ন?
আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না, বিএনপিনেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় থাকতেদেওয়া না দেওয়ার বিএনপিকে ? ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহপাক, এবং ক্ষমতার উৎস এদেশের জনগণ। যতদিন জনগণ চাইবে ততদিন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকবে।

 

কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় লাইনচ্যুত হওয়া পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। ১‌‌২ ঘণ্টা পর শনিবার (২৮ মে) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বগিগুলো উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

মৌচাক রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাষ্টার শাহীনুর রহমান শাহীন জানান, ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে বগি উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু করে। বগিগুলো উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এদিকে শনিবার (২৮ মে) সকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম জানান, বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় চার সদস্যর তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ায় উত্তরবঙ্গ ও খুলনার পথে চলাচলকারী অনেক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের দুর্ভোগ কমাতে রেল পুলিশের পক্ষ থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।’

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন রাত ১২টায় রওনা দিয়ে রাত ৩টায় দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

এর আগে শুক্রবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ৯টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন মৌচাক স্টেশন পার হওয়ার পরই ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গ ও খুলনার পথে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১‌‌২ ঘণ্টা বন্ধের পর সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে আবারও ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।