রাখি থেকে ফাতিমা, এর স্থায়িত্ব কতদিন!

বলিউডের জন্য এখনও নাম রাখি সাওয়ান্ত হলেও, ব্যক্তি জীবনে এখন তিনি ফাতিমা। অমরাহ করে এসেই ঠিক এমনটা বলেছেন বলিউডের ড্রামা কুইন। শুধু তাই নয়, স্বামী আদিল খান দুরানিকে নিয়ে করেছেন একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য। 

এছাড়া ওমরাহ পালনের পর থেকে বোরখা পরেই ক্যামেরার সামনে আসছেন তিনি। কেউ বলছেন রাখি নিজেকে সুধরে নিতে চাইছেন কেউ আবার মজা নিচ্ছেন। 

কারন তিনি যে তার কর্মকান্ডেই ড্রামা কুইন নামে পরিচিত, তার যেকোন কথা কিংবা কাজকে ড্রামা কিংবা নাটকই মনে করে থাকেন অনেকেই। আর তাই এবার রাখিকে দেখে সন্দীহান অনেকেই। 

সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, রাখি থেকে ফাতিমা কতদিন থাকবে? কিছু সময়ের ব্যবধানে আবারও পরিবর্তন হবেন নাতো এই নায়িকা?

বলিউড পাড়ায় অন্যতম বিতর্কিত তারকা রাখি সাওয়ান্ত। আদিল দুরানি খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত ঝামেলার কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই আবার আলোচনায় এসেছেন এই ভারতীয় অভিনেত্রী।

গত জুলাই মাসে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই রাখির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ শানিয়েছেন আদিল।

চুপ করে বসে থাকেননি রাখিও। আদিলের বিরুদ্ধে তার নগ্ন ভিডিও মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রির অভিযোগ এনেছেনবিগ বসখ্যাত টেলিভিশন তারকা। 

শান্তির খোঁজে ওমরাহ করতে মক্কায় গিয়েছিলেন রাখি। সম্প্রতি ফিরলেন সেখান থেকে।

মক্কা থেকে ফিরেই একেবারে নতুন মানুষ তিনি! এবার নামও বদলে নিলেন ছোট পর্দারড্রামা কুইন

মক্কা থেকে দেশে ফিরে রাখি জানান, তিনি নাকি আর রাখি নামে সাড়া দেবেন না। এখন থেকে তিনি ফাতিমা। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাকে ফাতিমা নামেই ডাকার আবেদন করেন রাখি।

এছাড়াও তিনি কথা বলেছেন আদিল দুরানির নামে। ওমরাহতে যাওয়ার আগে আদিলের সাথে বিচ্ছেদের কথা বলে গেলেও, ওমরাহ শেষ তিনি জানিয়েছেন আদিল তার স্বামী। আদিল মুসলিম ধর্মের হওয়ায় রাখিও মুসলিম ধর্ম পালন করছেন। 

এতো গেল স্বামীর প্রতি ড্রামা কুইনের ভালোবাসার প্রকাশ। কিন্তু এতে যে ক্ষোভ ছাড়তে ভুলে যাবেন সেতো নয়। তাই রীতিমতো অভিযোগও ঠুকেছেন আদিলের নামে। সাথে জড়িয়েছেন আরও একজন নারীর নাম।

সে নারী একটা সময় পর্যন্ত ছিলেন রাখিরই প্রিয় বান্ধবি। কিন্তু সেই বান্ধুবিকে নিয়ে রাখি বলেছেন তার স্বামীকে নাকি চুরি করে নিয়ে গেছেন। সেই বান্ধবি হচ্ছেন, রাজশ্রী। 

এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সামনে রাখি বলেছেন, রাজশ্রী তার স্বামীকে চুরি করে নিয়ে গেছেন। তাদের বন্ধুত্ব আর নেই। 

রাখি বলেন, আমাকে বললে আমি তাকে সতীন বানিয়ে নিতাম।কিন্তু তুমি সেটা না করে আমাকে ধোকা দিয়েছো। একজনকে নারী হয়ে আরেকজন নারীর সংসার ভাঙ্গার জন্য রাজশ্রীকে রীতিমতো দুশেছেন কন্ট্রোভার্সি কুইন রাখি।

 কিন্তু ঘটনায় চুপ নেই রাজশ্রী এবং আদিল। তারা গণমাধ্যমের সামনে পাল্টা অভিযোগ করেছেন, রাখির সব কথা মিথ্যা। রাখির আদিলকে ফাঁসানোর ঘটনায় রাখিকে সহযোগীতা না করায় এমন অপচার ছড়াচ্ছে বলে দাবি রাজশ্রীর। 

সব মিলিয়ে যেন জলা ঘলাটে করার মতো পরিস্থিতি। এরই মাঝে নেটিজেনদের একাংশ আবার এই ভেবে চিন্তিত যে, রাখি ওরফে ফাতিমার এই রূপ কতদিন স্থায়ী থাকে। 

মৃত্যুর পরেও ফিরছেন ‘নায়ক মান্না’!

ঢালিউডের এমন একজন অভিনেতা, যিনি এমন কোন দর্শক নেই যার ভালোবাসা পাননি। কিন্তু আচমকা তার চির বিদায়ে যেন নড়েচড়ে বসেছিল গোটা দেশবাসি। 

এমনকি তার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। এখনও তাকে স্মরণ করে স্মৃতিচারন করে থাকেন এমন দর্শকদের সংখায় কিন্তু কম নয়। 

আর এই অভিনেতার ভক্ত যারা আছেন, তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। কারন শেষবারের মতো নিজের পছন্দের নায়ককে ফের বড় পর্দায় দেখার দেখতে চলেছে অনুরাগীরা। অর্থাৎ মুক্তি পেতে চলেছে এই প্রয়াত অভিনেতার শেষ সিনেমা। 

দর্শক নিশ্চয়ই ভাবছেন কোন নায়কের কথা বলা হচ্ছে? যার কথা বলছি, তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক আসলাম তালুকদার মান্না। তার মৃত্যুর প্রায় দেড় দশক পর মুক্তি পেতে চলেছে মান্নার অসমাপ্ত একটি সিনেমা। 

১৫ বছর আগে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান চিত্রনায়ক মান্না। যাওয়ার আগে কাজ করছিলেনজীবন যন্ত্রণানামক সিনেমাটির। তখন অবশ্য এটির নাম ছিললীলামন্থন পরে সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে নাম পাল্টে ফেলা হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমাটির। 

সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন জাহিদ হোসেন। জানা গেছে, সিনেমাটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তখন সিনেমাটির নাম ছিললীলামন্থন সিনেমার কিছু অংশের কাজ বাকি থাকতেই মারা যান নায়ক মান্না। 

 ছবিটির পরিচালক জাহিদ হোসেন জানান, সিনেমাটির শেষ দৃশ্য ডাবিংয়ের কাজ শেষ করে যেতে পারেননি মান্না। এর আগেই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় হন তিনি। মূলত কারণে থমকে যায় সিনেমার কাজ। 

পরে ডামি ব্যবহার করে গ্রেনেড হামলায় তার শহিদ হওয়ার দৃশ্যধারণ করা হয়। মান্নার অংশের আংশিক ডাবিং করেন অভিনেতা রাতিন।

পরবর্তীতে সিনেমার কাজ শেষ করে ২০১১ সালে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। কিন্তুলীলামন্থননামের জন্য সিনেমাটি আটকে যায়। 

এছাড়াও বেশ কয়েকবার মুক্তি দিতে চাইলেও নানা জটিলতায় আলোর মুখ দেখেনি ছবিটি। মান্নার মৃত্যুর প্রায় এক দশক আটকে থাকার পর অবশেষে নাম পরিবর্তন করে ছাড়পত্র পেল এই সিনেমা।

জীবন যন্ত্রণাপ্রযোজনা করেছেন খোরশেদ আলম খসরু। তিনি বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সেন্সর বোর্ড সিনেমাটি দেখেছে। 

মুক্তিযুদ্ধের গল্পে নির্মিত এই সিনেমা মুক্তিতে এখন আর কোনো বাধা নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একদল যৌনকর্মীর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছেজীবন যন্ত্রণা এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, পপি, শাহনূর, মুক্তি, দীঘি, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আনোয়ারা, শহিদুল আলম সাচ্চু, মিশা সওদাগরসহ আরও অনেকে।

এর আগে অমর নায়ক সালমান শাহ মৃত্যুর আগে অসমাপ্ত কিছু সিনেমাতে কাজ করেছিল। তার মৃত্যুর ফলে অসমাপ্ত ছিল সিনেমার কাজ। 

সালমান শাহ অসমাপ্ত একটি ছবি ছিল উত্তম আকাশ পরিচালিতকে অপরাধী। ছবিতে সালমান কিছু অংশের কাজ করে গিয়েছিল। সালমানের মৃত্যুর পর ছবিটি নতুন করে শুরু করা হয় ওমর সানীকে নায়ক করে। 

এছাড়া মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিতকুলিছবিতেও সালমান কিছু কাজ করে গিয়েছিল। ছবিটিও পরে নতুন করে ওমর সানীকে দিয়ে করানো হয়। 

দুটি বাদে সালমানের কাজ করার কথা ছিল এমন দুটি ছবিমধুর মিলনঅধিকার চাই’-তেও ওমর সানী নায়ক ছিল পরে। বলা যায় সালমানের অসমাপ্ত কাজ করার কথা ছিল এমন ছবির বেশিরভাগ নায়কই ওমর সানী। 

কিন্তু প্র্যাত নায়ক মান্নার সিনেমাতে অন্য কোন অভিনেতাকে আর কাজ করতে হয়নি। কারন অভিনয়টা শেষ করে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। তাই ডাবিংয়ের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে অসমাপ্ত সিনেমার কাজ। সেই সিনেমাতে শেষবারের মতো নায়ক মান্নাকে দেখবেন ভক্তরা। 

নায়িকা থেকে সংবাদ পাঠিকা সানাই মাহবুব!

এবার অভিনেত্রী থেকে সংবাদ পাঠিকা সানাই মাহবুব! কিন্তু কেন? নতুন কোন সমালোচনার জন্ম দিতে, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন কারন? 

প্রায়ই দেখা যায়, সংবাদ পাঠিকা থেকে মডেল কিংবা নায়িকা হতে। কিন্তু সানাই মাহবুবের ক্ষেত্রে ঘটলো উল্টো ঘটনা। অভিনয়ের বদলে খবর পাঠ করতে দেখা মিলল তার। 

এই মডেল এবং অভিনেত্রীর নাম মিডিয়া পাড়ায় বেশ আলোচিত। কারন তিনি যে কন্ট্রোভার্সাল একজন অভিনেত্রীও বটে। নানান বিতর্ক রয়েছে তাকে ঘিরে। 

পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সর্বদাই সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন সানাই। কারন শরীরে একাধিক সার্জারি করিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন এই মডেল। 

এরই সাথে অন্যান্য তারকাদের নিয়ে কটুক্তিকর মন্তব্য করা ছিলই তার নিয়মিত কাজ। আর তাইতো তার নাম আসতেই শুরু হয়ে যায় আলোচনা সমালোচনা।

তবে কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারের জানিয়েছিলেন, তার জীবনের সকল বিতর্ক ভুলে এখন নতুনভাবে জীবন পার করতে চান তিনি। সেই কথাই রেখেছেন সানাই।  

এবার নতুন এক আঙ্গিকে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। ফেসবুক স্ক্রোল করতে করতে হঠাত সামনে চলে আসে একটি নিউজ ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যায় সংবাদ পাঠ করছেন আলোচিত নায়িকা সানাই মাহবুব।  

সংবাদের শিরোনামনারী কিসে আটকায়”? যেই প্রশ্নটি এখন ট্রেন্ডিং রয়েছে বটে। আর এই প্রশ্নকে ঘিরে সংবাদ পাঠ করে যাচ্ছেন সানাই। 

তার পড়নে দেখা মেলে লাল রঙের সিল্ক শাড়ি এবং গাঢ় আকাশী ক্রপটপ। টকটকে মেরুন লিপস্টিক এবং খোলা চুলে নায়িকার ভঙ্গিতে খবর পড়ছেন তিনি। 

ভিডিওটি দেখে বেশ চমকে যান নেটিজেনরা। নায়িকাকে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে দেখে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যান অনেকেই। আর তাই বিষয়টি খুটিয়ে দেখতে সেই অনলাইন নিউজ পেইজ ঘুরে দেখতে শুরু করেন নেটজনতারা। 

সেই পেজে দেখা যায়, সানাই মাহবুবের আরও একটি সংবাদ পাঠ করা ভিডিও রয়েছে সেখানে। যা পাবলিশ করা হয়েছিল শুক্রবার ১১ই আগস্ট। সেই ভিডিওটি সকলের চোখে ধরা না পড়লেও ধরা পড়ে যায় ১৩ই আগস্ট প্রকাশিত নিউহ ভিডিও। 

সানাই মাহবুবের এই ভিডিও রীতিমতো নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। জানা গেছে, সেই অনলাইন নিউজ পেজে নিয়মিতই সংবাদ পাঠ করবেন তিনি। আর সেই বিষয়ের জানানও সানাই নিজেই দিয়েছেন। 

একই পেজে ১০ই আগস্ট একটি ১১ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় সানাই মাহবুব জানান, আলোচিত সকল ঘটনার আপডেট নিয়ে থাকবেন তিনি। এরই সাথে, বিনোদনসহ যেকোন ঘটনার আপডেট পেতে চোখ রাখতে আমন্ত্রন জানিয়েছেন তিনি। 

তার এই ভিডিও পাবলিশ হবার পর থেকে, পেজটি সার্চ করে দেখছেন নেটিজেনরা। ফলস্বরুপ, সেই নিউজ পেজটি এখন রয়েছে ট্রেন্ডিংএ। 

সানাই মাহবুব, বাংলাদেশের মিডিয়ায় আলোচিত তার কর্মকান্ডের জন্য। কারন তিনি যে বাংলাদেশের প্রথম নায়িকা যিনি স্তন সার্জারি করে আলোচনা এসেছিলেন। যদিও ভালো কাজ পেতে এবং আলোচনায় আসতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের নেয়ার সিদ্ধান্তের আশানুরূপ ফল পাননি। 

মূলত মডেল হিসেবেই শোবিজে কাজ শুরু করেন সানাই মাহবুব। একই সাথে উপস্থাপনাও করেছেন এরপর ২০১৬ সালেভালোবাসা ২৪×নামে একটি সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলেও তার কোনো সিনেমাই মুক্তি পায়নি।

এর মাঝেই সার্জারির মাধ্যমে শারিরিক ঘঠন পরিবর্তন করে ফেলেন তিনি। কিছুদিন আলোচনায় থাকলেও, আবারও আড়ালে চলে যায় এই মডেলের নাম। এরপর ২০২২ সালে বিয়ে করেন সানাই। যদিও বিয়ের বছরের মাথায় বিচ্ছেদের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি নিজেই। 

বিয়ের পর মিডিয়া থেকে দূরে থাকলেও, বিচ্ছেদের ঘোষণা দিতেই জানিয়েছিলেন আবারও কাজে ফিরবেন তিনি। যেই কথা সেই কাজ। কাজে ফিরেছছেন সানাই। তবে এবার অভিনয়ে নয়, বরং সংবাদ পাঠিকা হিসেবে। এখন দেখার পালা, সংবাদ পাঠের মধ্য দিয়ে এই অভিনেত্রীকাম ব্যাককতটা সফল হবে।

পশ্চিমবঙ্গের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি!

মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা! ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গায়েব! মামলা পশ্চিমবঙ্গের আদালতে! সংসদ সদস্য এবং দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ রীতিমতো অস্বস্তিকর অবস্থায়!

বাংলাদেশের এই ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ ।কথা দিয়ে নাকি কথা রাখেননি মমতাজ। পারফর্ম্যান্সের জন্য টাকা নিয়েও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি তিনি। 

গত ১৫ বছর ধরেই পশ্চিম বঙ্গের আদালতে চলছিলো এই মামলা। জানা যায়, প্রায় চৌদ্দ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ। 

২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য সেখানকার শক্তিশঙ্কর বাগচী নামে এক ইভেন্ট অর্গানাইজারের সাথে গায়িকার লিখিত চুক্তি হয়। 

সে অনুযায়ী ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজের সাথে ১৪ লক্ষ রূপীর বিনিময়ে চুক্তি হয়েছিলো। 

কিন্তু চুক্তি মোতাবেক অর্থ অগ্রিম নিয়ে কনসার্টে হাজিরই হননি মমতাজ। আর এজন্য ভেন্যুতে ব্যাপক ভাঙচুর হয়।  এতে করে চরম হেনস্তার মুখে পড়তে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজক শক্তিশঙ্কর বাগচীকে।

অভিযোগ উঠেছে, সেই টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে সরাসরি অস্বীকার করেন মমতাজ। এরপর চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন শক্তি বাগচি।  

কিন্তু থানা অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপরই এক প্রকারের বাধ্য হয়েই সরাসরি আদালতে মামলা ঠুকে দেন মুর্শিদাবাদের একটি আদালতে। 

দীর্ঘদিন পর গত ৯ই অগস্ট মুর্শিবাদবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অলক দাস মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন

তবে এই ঘটনা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিন তিনবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল মমতাজের নামে, প্রত্যেকবারই নানান টালবাহানা করে সেই পরোয়ানা এড়িয়েছেন মমতাজ।

জানা গিয়েছে, গত ৯ই অগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল গায়িকার। বিচারক আগেই জানিয়েছিলেন ওইদিন চার্জ  গঠন করা হবে মমতাজের নামে। উপস্থিত না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কথাও জানানো হয়েছিল, তা সত্ত্বেও হাজির হননি মমতাজ বেগম।

মমতাজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। সেই সূত্রে ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। 

পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এরই মধ্যে আগাম জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর বাগচী। 

২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। 

তবে মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একে একে তিনবার আগাম জামিন পেয়ে যান গায়িকা। আর গত ১৫ বছর ধরে আদলতের মারপ্যাচে একরকম নাজেহাল অবস্থা আয়োজকের! 

এ বিষয়ে বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়োজক বলেন,  ‘এই মামলায় আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার সেদিনের ১৪ লাখ রুপি অগ্রিম নিয়ে অনুষ্ঠান না করায় বহু আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার অগ্রিম অর্থ সুদসহ এবং মামলার সব খরচসহ আমার ১৫ বছরের হয়রানির ক্ষতিপূরণের টাকা চাই।

এর আগে মামলায় সহযোগিতা করার কথা বলেই তিনবার জামিন পান মমতাজ। কিন্তু গত ৯ই অগস্ট হাজিরা ফের এড়িয়ে যান তিনি। তারপরেই আবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়।

নীলুর কণ্ঠে এলো ‘যতই তোমায় ভালোবাসি’

নব্বই দশকের আধুনিক বাংলা গানের জনপ্রিয় গায়কদের একজন মখলেছুল ইসলাম নীলু। ‘সুখপাখি উড়ে গেছে’, ‘সাগরের নীল থেকে’, ‘তোমারই জন্যে’, ‘আমার যে দিকটায় তুমি’, ‘বরষার রিমঝিম’-এমন অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত এই শিল্পী তিন যুগের ক্যারিয়ারে ছয়টি একক অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন। গেয়েছেন অসংখ্য অনুষ্ঠানে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) নতুন গান-ভিডিও নিয়ে হাজির হয়েছেন মখলেছুল ইসলাম নীলু। যার শিরোনাম ‘যতই তোমায় ভালোবাসি’। গানটির কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন।

সুর করেছেন শাওন গানওয়ালা। সংগীতায়োজনে আদিব কবির। গানের সঙ্গে মিল রেখে গল্প সাজিয়ে এর ভিডিও নির্মাণ করেন সৈকত রেজা। ভিডিওতে মডেল হয়েছেন তারেক তাজ ও সাথী।

গানটি নিয়ে মখলেছুল ইসলাম নীলু বলেন, ‘আমরা যখন গভীরভাবে কারো প্রেমে পড়ি তখন তাকে যতই ভালোবাসি না কেন তা অল্প মনে হয়। আরো আরো ভালোবাসার আকুলতায় ভরে ওঠে প্রেমিক মন। এমনই গল্পে ফুটে উঠেছে গানটির কথায়। ভিডিওটিও করা হয়েছে সে অনুযায়ী। শুদ্ধ ও সুরেলা গান যারা পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। ’ ‘যতই তোমায় ভালোবাসি’ উন্মুক্ত হয়েছে ইউটিউবে ডেডলাইন মিউজিকের চ্যানেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২

একটা ধন্যবাদ অনন্ত জলিল পেতেই পারেন

আয়শা এরিন : চলচ্চিত্র ফলত সাংস্কৃতিক শক্তি। অন্যদিকে, কার্যত শক্তিশালী গণমাধ্যম। মুলত, মনুষ্য জীবনের  দৃশ্যমান বাস্তবতা  কাল্পনিক জগত তৈরি করে বার্তা রাখার প্রয়াসে যায়। বস্তুত, জনশ্রেণির বিনোদনের খোরাক হয়ে চলচ্চিত্র একটি ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। প্রাসঙ্গিক দাবীতে মুখরিত হয়ে নির্মাতা তখন বলেন, নির্যাস নাও, অতঃপর মনে রেখো !

চলচ্চিত্র  বিশেষ একটি শিল্প মাধ্যম। মানুষ সভ্যতাকে আলিঙ্গন করতে যেয়ে চলচ্চিত্রের ধারণা একদা নিতে শুরু করে। ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকেই এমন অভিযাত্রা শুরু। উপমহাদেশে বরেণ্য চিত্রশিল্পী রাজা রাভি বার্মার আধুনিক মানসিকতা ও ঝুঁকিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতায় দাদাসাহেব ফালকে উদ্যোক্তা পরিচালক হিসাবে চলচ্চিত্র মাধ্যমকে পরিচিত করান। তিনি ১৯১৩ সালে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চমক দেখান। এদিকে বাংলাদেশ প্রায় পঞ্চাশ বছরে এই শিল্পের অনগ্রসর জাহাজটিকে  প্রত্যাশিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারেনি।

দু’একটি সাহিত্য নির্ভর সিনেমা ব্যতিত বাংলাদেশ এই শিল্পে সেরা কিছু প্রদর্শন করতে পারেনি। কিন্তু, মানুষ একসময় সিনেমা হলগুলোয় গিয়েছে। আকাশ সংস্কৃতির বিস্তার যখন গ্রাস করেনি, সে পর্যন্ত মধ্যবিত্ত ও অতি অবশ্যই নিম্নবিত্ত মানুষ সিনেমা দেখতে যেত বলে ধরে নেয়ার সুযোগ আছে।

অন্যদিকে নির্মাতাদের অতি মাত্রায় বিদেশি সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল হয়েই এই দেশে সস্তা জনপ্রিয়তা লুফে নিতে হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বাংলাদেশে রাজ্জাক, কবরী,ববিতা, শাবানা যারাই জনপ্রিয় হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের অভিনীত অধিকাংশ চলচ্চিত্রই প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় চলচ্চিত্রের গল্প চুরি করেই নির্মিত। এবং, তেমন ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ অব্দি সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। মৌলিক গল্প লিখবার এখানে কেহ নেই। গীতিকার সুরকারেরাও অন্ধকার রাস্তায় যেয়েই পথিক হয়েছেন। মোদ্দকথা, বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যেয়ে নিজস্ব কৃষ্টির ওপর দাঁড়িয়ে থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি।

বক্স অফিস নেই, কিন্তু অধুনা সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট বিচারের আদ্যপান্ত যাচাইয়ে মনযোগি হলে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে, তিনটি ধারার সংবাদমাধ্যম তথা ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট এবং অনলাইন মাধ্যমগুলোর বিনোদন সংবাদকর্মীরা চলচ্চিত্রের বিকাশে বিপ্লব প্রত্যাশা করছেন। তাঁদের সাংবাদিকতার সাংস্কৃতিক মনবোধ তৈরি হোক বা না হোক, চলচ্চিত্র এবং এই শিল্পের সাথে থাকা অভিনয় শিল্পী, পরিচালকদের খবরাখবর দিচ্ছেন তাঁরা ঘন্টায় ঘন্টায়।

ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তিন সিনেমা; অনন্ত জলিলের ‘দিন : দ্য ডে’, শরিফুল রাজের ‘পরাণ’ ও জিয়াউল রোশানের ‘সাইকো’। এবারের ঈদে সর্বাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের ‘দিন : দ্য ডে’। বাংলাদেশের বিনোদন সংবাদকর্মীবৃন্দ তিনটি সিনেমারই প্রচারে থেকে দর্শকদেরকে বলতে চেয়েছেন, আপনিই বিচার করুন এবারের ঈদে কোন চলচ্চিত্রটি দেখতে পারেন !

দিনঃ দ্য ডে
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এতটা ভাল সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে কোন সিনেমা ইতোপূর্বে নির্মিত হয় নাই। সুস্পষ্টভাবে অনন্ত জলিল তাঁর পরিশ্রমী সাংস্কৃতিক পথচলাকে শুধুমাত্র রঙ্গিনই করেন নি, ধারা ভেঙ্গে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। কারণ, বাংলদেশ এখন বলতে পারবে, ফিল্মিক ফ্রেম ধরাটা রপ্ত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। গল্পের নতুনত্ব, সম্পাদনা মিলিয়ে দিন দ্য ডে চলচ্চিত্রটির সাথে সত্যিকার অর্থে অন্যান্য সিনেমাগুলোর তুলনা করাটা ভুলই হচ্ছে। অসম প্রতিযোগিতার মত করে হয়ে যায় ! অনন্ত জলিল ও বর্ষা তাঁদের অভিনয় শৈলীকে ভবিষ্যতে আরো পরিণত করতে পারলে তাঁরা এক সময় অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসাবেও উৎরিয়ে যাবে বলে মনে করার সুযোগ আছে।

পরাণ
এই চলচ্চিত্রটির সেন্সর দেয়াটা সমীচীন হয়নি। সামাজিকভাবে চিন্তার উদ্রেকে মেতে উঠলে নয়ন বন্ড তৈরি হোক বা প্রজন্ম এমন ধরণের সাংস্কৃতিক সত্তায় সঁপে দিয়ে উগ্র মানসিকতায় ভর করুক, তেমন প্রভাবের আলোটিই কায়দা করে দর্শকদের চোখে পড়ুক— এটিই এই চলচ্চিত্রের ম্যাসেজ !

চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ দৃশ্যায়নে ক্লোজ শট ব্যতিরকে নাটকের ফ্রেম ধরা পড়েছে। যা খুবই দুর্বল ও চলমান বৈশ্বিক ধারাবাহিকতার সাথে যায় না। বিব্রতকর ! এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরকিয়া প্রেমকে সু স্বাগত বলার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যা সমাজের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনে না। তবে নবাগত রাজ অভিনয়টা ভাল করেছেন।

সাইকো
সাইকো চলচ্চিত্রটি তারুণ্য, ভিন্ন ভাবনায় প্রেমের উপস্থাপন ও কিছু বার্তার গল্পে নির্মাণাধীন বাংলাদেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসাবে প্রচারণায় থাকা হয়েছে। ট্রাডিশনাল ফিল্মের উপকরণের সম্ভার নিয়ে সিনেমাটি প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও মন্দের ভাল হিসাবেই দেখতে হবে। প্রধান দুই চরিত্রের বাইরে ছোট পর্দার শক্তিশালী অভিনেতা- অভিনেত্রীরা কাজ করার ফলশ্রুতিতে সিনেমাটিতে পেশাদারিত্ব ছিল।

নিজেদের উপযোগি শাসন ব্যবস্থার ওপর ভর করে যেমন রাষ্ট্রের গতির যান ও চালক নির্ধারণ করার দরকার—– ঠিক একইভাবে সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে স্ব-কৃষ্টি কষ্টি পাথরের মত করে জীবনকে ঘষুক। চলচ্চিত্র আসলে কি ? যখন তোমার নিত্যদিনের পথচলা তথা চলমান জীবনের ধারা ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করে বা এনিমেশনের মাধ্যমে উপস্থাপিত হবে এবং সবিশেষ বার্তা রেখে সমাজ ও প্রকৃতিকেও জেতায়। সেরকম কিছু করতে পারছো কিনা ! পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশে দিন দ্য ডে কি গল্প নিয়ে এসেছে, সেটা বড় নয়, বড় হল, এই  চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন। সিনেমাটিক ছিল। সঙ্গত যুক্তিতে একটা ধন্যবাদ অনন্ত জলিল পেতেই পারেন। ধন্যবাদ তাঁকে !

লেখকঃ সাংবাদিক, প্রযোজক, বৈষ্টমি প্রোডাকশন

অশালীন পোশাকে খোলামেলা আজমেরী হক বাঁধন, সমালোচনার ঝড়

সম্প্রতি স্পেনের ‘ভ্যালেন্সিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-সিনেমা জোভ’-এ প্রদর্শিত হয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। এই ছবিটি দিয়ে স্পেনের এ উৎসবে তিনি জিতে নিয়েছেন সেরা চলচ্চিত্র ও সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার। পুরস্কার পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি। প্রতিক্রিয়া ব‍্যক্ত করে জানিয়েছেন,

গত ২ জুলাই আজমেরী হক বাঁধন তার ফেসবুক ওয়ালে ছবিগুলো পোস্ট করার পর থেকে শুরু হয় সমালোচনার কিন্তু একের পর এক লেগেই আছে থামছেনা যেন সমালোচনার ঝড়। নোংরা ভাষায় তাকে আক্রমণ করেন অনেকেই। কেউ কেউ হাহা রিয়েক্ট দিয়ে নিজের অপছন্দ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তবে কেউ কেউ আবার প্রশংসা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ফেরার কথা ছিল ৩ জুলাই। কিন্তু উৎসব কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রণে সময়টা বাড়াতে হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ৬ জুন ফিরব।’

প্রভাসের বর্তমান পারিশ্রমিক ১২০ কোটি!

পূরো-ভারতীয় দর্শককে মাথায় রেখে এখন যে সমস্ত ছবি তৈরি হচ্ছে বাজেটের দিক থেকে সেখানে তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে ‘আদিপুরুষ’।

রামায়ণের কাহিনি নির্ভর ও ওম রাউত পরিচালিত এই ছবিতে রামের চরিত্রে রয়েছেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস। কিন্তু শোনা যাচ্ছে ছবির বাজেট বাড়তে চলেছে। কারণ প্রভাস তাঁর পারিশ্রমিক প্রায় কুড়ি শতাংশ বাড়াতে চাইছেন। ফলে পারিশ্রমিকের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১২০ কোটি টাকা! ফলে প্রযোজকদের কপালে আপাতত চিন্তার ভাঁজ। ছবির অনেকটাই শ্যুটিং হয়ে গিয়েছে।

এমতাবস্থায় প্রভাসের দাবি মেনে নেওয়া ছাড়া নির্মাতাদের কাছে আর কোনও পথ খোলা নেই। সূত্রের খবর, ছবির প্রযোজনা সংস্থা পর্দার ‘বাহুবলী’র সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনায় বসতে চাইছেন। কিন্তু তাতে শেষপর্যন্ত চিঁড়ে ভিজবে কি না সেটাই দেখার।

উল্লেখ্য, প্রভাস ছাড়াও বলিউড থেকে এই ছবিতে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন, সইফ আলি খান ও কৃতী শ্যানন।

সূত্র: বর্তমান

সিলেটে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে শাকিবের উদ্যোগ

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসী। বানভাসি মানুষের নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থেকে পাশে দাঁড়ালেন সুপারষ্টার শাকবি কান। তিনি জানিয়েছেন, পানি বন্দি সিলেট ও সুনামঞ্জের মানুষদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন।

শনিবার দুপুর নিজের ভেরিফায়েড ইন্সটাগ্রাম ও ফ্যান পেজ পেজে একটি পোষ্ট দেন ঢাকা রিপোর্ট এর সম্মানিত পাঠকের জন্য হুবহু তা তুলে ধরলাম :- এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও সংবাদমাধ্যম ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে জেনেছি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বন্যা কবলিত মানুষের দুর্দশা আমাকে ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া মানুষের পাশে আছি। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমার সামর্থ্যের মধ্যে অর্থ সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি।

সেই সাথে একটি তহবিল গঠনেরও কথা ভেবেছি; যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে যাবে কষ্টে থাকা সেই সব বানভাসি মানুষের সাময়িক সংকট মোকাবিলায়। বন্যা কবলিতদের যে কোনো ধরনের সহায়তা দিয়ে যারা পাশে থাকতে চান, এই ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারবেন skhumanity1@gmail.com
বাংলাদেশ ও প্রবাসে থাকা আগ্রহী বিত্তবানদের কাছে আহ্বান – আপনারাও নিজেদের সামর্থ্যের মধ্য থেকে বানভাসি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোক। সবার জন্য প্রার্থনা।

৬৫ লাখ করে সরকারি অনুদান পেলেন শাকিব-অপু

সাবেক দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস একসঙ্গে সরকারি অনুদান পেয়েছেন। আলাদাভাবে প্রযোজক হিসেবে সিনেমা নির্মাণের জন্য তাদের এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।

‘লালা শাড়ি’ সিনেমার জন্য অপু বিশ্বাস পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা। এটি পরিচালনা করবেন বন্ধন বিশ্বাস। এদিকে শাকিব খানও ‘মায়া’ সিনেমার জন্য একই পরিমাণ অর্থ অনুদান পাচ্ছেন।

বুধবার (১৫ জুন) এক তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।