নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’ সমাপ্ত

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি-
নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘নোয়াখালী উৎসব’। শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপপ্তি টানা হয়।
এর আগে ‘কেমন নোয়াখালী চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা তাদের ভাবনা তুলে ধরেন।
উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সমাপনী দিন পুরস্কার বিতরণ করেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান।
বৃহস্পতিবার উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত।
উৎসবে অভিবক্ত নোয়াখালী জেলার অংশ ফেনী এবং লক্ষীপুর জেলা থেকেও নানা শ্রেণি পেশার নানা বয়সী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উৎসস্থল নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলে নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত বই এবং নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পন্যসামগ্রী প্রদর্শণ করা হয়।
নোয়াখালীর আদি নাম ভুলুয়া। ১৭৭৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গোটা বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করে। এর মধ্যে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮২২ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।
বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত।

ড. তানভীর ‘আইএফওএএম’ গ্লোবাল অর্গানিক অ্যাম্বাসেডর মনোনীত

‘আইএফওএএম গ্লোবাল অর্গানিক অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে প্রথম বাংলাদেশি মনোনীত হয়েছেন ড. শেখ তানভীর হোসেন। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত আইএফওএএম সাধারণ পরিষদে জার্মানির আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব জৈব কৃষি আন্দোলন (আইএফওএএম) তানভীর হোসেনকে এ মনোনয়ন দিয়েছে।

তিনি প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি যিনি আইএফওএএম-এশিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট, ‘অর্গানিক ফার্মিং ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ এবং এবার ‘আইএফওএএম অর্গানিক অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

‘আইএফওএএম’ সাধারণ পরিষদে বিশ্বব্যাপী ‘আইএফওএএম গ্লোবাল অর্গানিক অ্যাম্বাসেডর’ হওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী ১৭ জন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেছে এবং আইএফওএম- অর্গানিক ইন্টারন্যাশনালের ব্যাজ পরতে এবং গ্লোবাল, আঞ্চলিক এবং জাতীয় গুরুত্বের ঘটনাবলীর ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড এজেন্ট হিসেবে কাজ করার মনোনয়ন দিয়েছে।

ড. তানভীর এখন জাপানের টোকিওতে অবস্থিত আন্ত:সরকারি সংস্থা এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনে (এপিও) কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, এপিও, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কাজ করছে, যা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।

মালয়েশিয়ায় সংগ্রামী নাসিরের গল্প

মালয়েশিয়ার সুরিয়া কেএলসিসি (টুইন টাওয়ার)। কুয়ালালামপুরের এ টাওয়ারটি দেখতে সারা বিশ্বের পর্যটকদের ভিড় জমে প্রতিদিন। শনিবার বিকেলে কাজের ফাঁকে টুইন টাওয়ারের নিচে ফোয়ারার পাশে চিনুজ অন দ্য পার্ক রেস্তোরাঁয় বসে বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন এই প্রতিবেদক।

মিনিট দশেক পরই হাস্যোজ্জ্বল একজন ওয়েটার সামনে হাজির। কী খাবেন স্যার? এক কাপ কফির অর্ডার নিয়ে তিনি চলে গেলেন।

কিছুক্ষণ পরই ফিরে এসে বললেন, আপনি কি বাংলাদেশি? এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে ‘হ্যাঁ’ জবাব পেয়ে জানালেন তিনিও বাংলাদেশি। বাড়ি তার ঝালকাঠি সদরে। নাম মো. নাসির খান।

 

নিজের পরিচয়ে নিজেই জানালেন প্রবাসে ১০ বছরের সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস। জানালেন, তার বাবা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। দু’ভাইয়ের মধ্যে তিনিই বড়।

২০০৮ সালে ষ্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসার পর থেকেই আর্থিক স্বচ্ছলতা ও শান্তির খোঁজে প্রবাসে জীবন যুদ্ধের মুখোমুখি নাসির। ২০১০ সালে ভিসা পরিবর্তন করে টুইন টাওয়ারে চাইনিজ মালয়েশিয়ান তেং-এর রেস্তেরাঁয় চিনুজ অন দ্য পার্কেই কাজ করছেন ১০ বছর ধরে। মাসে বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজারের মতো বেতন তার। সব মিলিয়ে দিন এখন ভালোই যাচ্ছে তার।

কেমন আছেন মালয়েশিয়ায়- এমন প্রশ্নে নাসির বলেন, সকল প্রশংসা সৃষ্টিকর্তার। নয় তো আমার মতো একজন ক্ষুদ্র ‘ওয়েটার’ আজকে বিদেশে কাজ করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কি আশা করতে পারি?

 

নাসির যে রেস্তোরাঁটিতে কাজ করছেন সেখানে বিদেশি ক্রেতাই বেশি। তাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এবং সমাদৃত এ রেস্তোরাঁটি। বাংলাদেশি হিসেবেও বেশ নাম অর্জন করেছেন এই পেশায়। অর্থ সংকটও দূর হয়েছে তার।

আলাপে প্রকাশ পেল-বাবা-মায়ের প্রতি অগাত শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রয়েছে নাসিরের। রয়েছে কৃতজ্ঞতাও। সর্বদাই বাবা-মায়ের খোঁজ রাখেন।

দেশ প্রসঙ্গে নাসির বললেন, মন সব সময় দেশেই পড়ে থাকে। বারবার বাড়ির খোঁজ খবর নেয়া লাগে।

বিদায়ের সময় আবার আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বললেন, ‘বাংলাদেশিদের দেখলে আত্মা শান্তি পায়।’

ভারতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপোতে বাংলাদেশ

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (ডব্লিউটিসি) মুম্বাই ও অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এআইএআই) উদ্যোগে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী (১৬-১৭ নভেম্বর) ওয়ার্ল্ড ট্রেড এক্সপো। মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রথমবারের মতো এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এ ইভেন্টে ৩৭টি দেশ, ভারতের পাঁচটি রাজ্য সরকার এবং ৩০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. অরুণ কুমার পান্ডা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মুম্বাইয়ের কনস্যুলার কোরের ডিন ড. নরবার্ট রেভাই বেড়ে (হাঙ্গেরির কনসাল জেনারেল), বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সোনিয়া শেঠি, কেভিআইসি-এর চেয়ারম্যান ভিনাই কুমার সাক্সেনা এবং অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এআইএআই) প্রেসিডেন্ট ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় কালান্তরি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, ভারতে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য সুযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে অধিকসংখ্যক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও সংবাদকর্মীদের কাছে বাংলাদেশের অপার বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্য ও বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প সম্পর্কে অধিকতর ধারণা প্রদানের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশের ব্যাপারে অধিকতর আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এই এক্সপোতে অংশ নেয়।

এক্সপোতে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের উপস্থিতিতে মুম্বাইয়ে উপ হাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান একটি কান্ট্রি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অপার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

আগত সকল দর্শণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে প্রাপ্ত বাংলাদেশের ব্যবসা, বিনিয়োগ ও পর্যটনের ওপর প্রকাশিত স্মারক ও ভিসা প্রদানের যাবতীয় তথ্যাদিসহ বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করা হয়।

সৌদিতে ২৪ হাজার অভিবাসী গ্রেফতার

অভিবাসী ও শ্রমিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে ৩ দিনে প্রায় ২৪ হাজার প্রবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার এ খবর প্রকাশ করে সৌদি গ্যাজেট।

জানা গেছে, ১৫ হাজার ৭০২ জনকে অভিবাসী আইনে, তিন হাজার ৮৮৩ জন সীমান্ত নিরাপত্তা আইনে ও চার হাজার ৩৫৩ জনকে শ্রমিক আইনে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এরা কোন দেশের নাগরিক, তা বলা হয়নি।

২৪ হাজার জনের মধ্যে ৪২ শতাংশ মক্কা থেকে, ১৯ শতাংশ রিয়াদ, ১১ শতাংশ আসির, ৬ শতাংশ জাজান ও ৫ শতাংশ দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩৯৪ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে সৌদিতে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আট হাজার ৪৩৩ জনকে সৌদি আরবের প্রবাসী দফতরে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত হাজার ৪৯১ জন পুরুষ ও ৯৪২ জন নারী রয়েছে।

এদিকে অবৈধভাবে সৌদিতে প্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগে ২৫ সৌদি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কুয়েতেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা

বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে ১৯ নভেম্বর থেকে কুয়েতেও শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা। রোববার কুয়েতের স্থানীয় সময় সকাল ৮-১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত দূতাবাসের প্রতিরক্ষা শাখা হল রুমে প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় কুয়েতে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ জন। কিন্তু প্রথম দিনের পরীক্ষায় একজন অনুপস্থিত ছিল। ৯ জন মেয়ে ও ৭ জন ছেলে মোট ১৬ জন পরীক্ষার্থী প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অসুস্থতার কারণে একজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

কুয়েতেও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা শেষ হবে ২৬ নভেম্বর। পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।

আবুধাবিতে মীরসরাই সমিতির নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির মুসাফ্ফায় মীরসরাই সমিতির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন শুরু হয়েছে। শনিবার স্থানীয় জনতা রেস্টুরেন্টের হল রুমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

সভাপতি মযহার উল্ল্যাহ মিয়ার সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আজমের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির পৃষ্ঠপোষক ফখরুল ইসলাম খাঁন (সিআইপি)।

শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, সমিতির প্রচার সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এম এ হাশেম ভূঁইয়া, উপদেষ্ঠা জাফর উল্ল্যাহ ও পারভেজ, সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন হেলাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম খোকন ও আনোয়ার নিজামি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নাসির, সহ-দফতর সম্পাদক মাহফুজসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আমিরাতে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) শারজাহ হুদাইবিয়া রেস্টুরেন্টের হল রুমে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে জাতীয় সংগীত ও শহীদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ তাজউদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এস,এম,শফিকুল ইসলাম, কাজী মোহাম্মদ আলী, সু প্রকাশ বড়ুয়া, ড. মোহাম্মদ সেলিম (সিআইপি), আল জকির, শাহ মোহাম্মদ মাকসুদ প্রমুখ।

এ সময় শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ, এসএম কামাল, মাহাবুবর রহমান, আনসারুল হক আনসার, মনোয়ার কাদের মুন্না, শিমুল মোস্তফা, মোহাম্মদ ফরিদ, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ জাহেদ চোধুরী, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ফাহাদ আলী ফাহাদ, মোহাম্মদ খালেদ, মোহাম্মদ দিদার, মোহাম্মদ ইয়াসিন তালুকদার, ইয়ার মোহাম্মদ, সাজ্জাদ আমিন রনি, রিঙ্কু শর্মা, মোহাম্মদ ফরিদ রেজা, মোহাম্মদ রাশেদ বাঙ্গালী, মোহাম্মদ মুক্তার, মোহাম্মদ মাহাবুবসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

আমিরাতে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মাইজভান্ডারীয়ার অভিষেক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়ার আল-আইন শাখার অভিষেক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি আল আইন সানাইয়া ৫নং রহমানিয়া মঈনিয়া খানকাহ শরীফে এ অভিষেক আয়োজিত হয়।

মওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিনের পরিকল্পনায় ও মুহাম্মদ মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের ১ম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়া আল আইন শাখার প্রধান উপদেষ্টা খলিফা আলহাজ মুহাম্মদ রুহুল আমিন পাখি।

২য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়া আল আইন শাখার নব-নির্বাচিত সভাপতি মওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি খলিফা আলহাজ জানে আলম দুলাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমিন আল আইন শাখার সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি আল আইন বাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মঈনিয়া মাইজভান্ডারীয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত জায়েদ শাখার সভাপতি মুহাম্মদ খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ওসমান।

বেনিয়াছ শাখার উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবু তালেব, সভাপতি মুহাম্মদ শফি, লেওয়া শাখার সহ-সভাপতি আহমদ নবী, আল আইন শাখার উপদেষ্টা সচিব মুহাম্মদ জাবেদুল আলম জাফর, উপদেষ্টা সদস্য মুহাম্মদ সেলিমুর রহমান, মুহাম্মদ আরিফুর রশিদ, মহাম্মদ আলম, আবুল বশির, মুহাম্মদ ইউনুচ প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা সচিব মুহাম্মদ জাবেদুল আলম জাফর। আরও বক্তব্য রাখেন খলিফা আলহাজ রুহুল আমিন পাখি, আলহাজ জানে আলম দুলাল, মুহাম্মদ সেলিমুর রহমান, মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মুহাম্মদ নুরুল আলম প্রমুখ।

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনা

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের অশংগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে সিঙ্গাপুর-চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিদেশে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে মাত্র চার মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সফল প্রয়াস। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘রাইমস অ্যান্ড রিদম ফ্রম দি হিলস’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ স্ব স্ব সম্প্রদায়ের নৃত্য পরিবেশন করেন। শিল্পীরা তাদের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন।

 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। অতিথি এবং দর্শকবৃন্দ বাংলাদেশে বিভিন্ন ভাষা-ধর্ম-বর্ণ-সংস্কৃতির মানুষের সহাবস্থান, মৈত্রীর বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাজিুর রহমান আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের সাংস্কুতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির অবদানের কথা স্মরণ করেন।

 

সমাপনী পর্বে হাইকমিশনারের সহধর্মীনি তানজিনা বিনতে আলমগীর শিল্পী ও প্রতিনিধিদলকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন। বিদেশের মাটিতে দেশের এবং নিজ সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতিকে নৃত্যকলার মাধ্যমে নিপুণভাবে উপস্থাপন করার জন্য হাইকমিশনার শিল্পী ও কলাকুশলীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।