৭২টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ২৬ হাজার ৫০৪ হজযাত্রী

সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ২৬ হাজার ৫০৪ হজযাত্রী। গত ১১ দিনে ৭২টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। আজ সোমবার (২৫ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

বুলেটিন সূত্রে জানা যায়, গত ১১ দিনে ৭২ ফ্লাইটে মোট ২৬ হাজার ৫০৪ হজযাত্রী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩৪টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৩৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের পাঁচটি ফ্লাইট রয়েছে। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ৪ আগস্ট।

গত ৮ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী। এরপর গত ১৪ জুলাই থেকে হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৩ হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬ জন এবং নারী সাতজন। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৯, মদিনায় তিন ও জেদ্দায় একজন মারা যান।

তারা হলেন- ঢাকার বিউটি বেগম, মাদারীপুরের শিবচরের লায়লা আক্তার, রংপুরের পীরগাছার আবদুল জলিল খান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরের মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, রাজধানীর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকার মোছা. ফাতেমা বেগম, নোয়াখালী জেলার নুরুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির, টাঙ্গাইলের মো. আব্দুল গফুর মিয়া, ঢাকা জেলার তপন খন্দকার, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুরের মো. খয়বর হোসেন, নওগাঁর মো. আব্দুল মোত্তালিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিরিনা আক্তার, সিলেটের মো. ফয়জুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা জেলার ফারজিন সুলতানা, ঢাকা জেলার মোরশেদ হাসান সিদ্দিকী এবং সর্বশেষ ময়মনসিংহ জেলার মোছা. মমতাজ বেগম।

দেশে ফিরলেন ১৪৮৬২ হাজি

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৪০টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৮৬২ হাজি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ১৯টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ৫টি।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সৌদি আরবের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৯৬৬টি। এর মধ্যে মক্কায় ৮১ শতাংশ এবং মদিনায় ১৯ শতাংশ। পুরুষ ৭৪ শতাংশ এবং মহিলা ২৬ শতাংশ।

এদিকে হজে গিয়ে এ বছর বাংলাদেশি ২৩ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী সাতজন।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজ পালন করেছেন। হজ ব্যবস্থাপনা ও হজ প্রতিনিধি দলসহ এবার ১৬৫টি ফ্লাইটে হজে যান তারা।

এরমধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬৩ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩ হাজার ৯১৯ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী সৌদি গিয়েছিলেন।

নড়াইলে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিকারী আকাশ সাহা গ্রেফতার

ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে অবমাননামূলক মন্তব্য করার অভিযোগে কলেজ ছাত্র আকাশ সাহাকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আকাশ সাহা জেলার লোহাগড়া উপজেলার দীঘলিয়ার সাহাপাড়ার অশোক সাহার ছেলে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান- শনিবার রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজ ছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করে। গত ১৫ জুলাই জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা বেড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়।

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে হজে যেতে পারলেন না ৩০০ জন

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ৩০০ জন এবার হজে যেতে পারলেন না। শেষ ফ্লাইট চলে গেছে গত মঙ্গলবার। কোটা পূরণ হওয়ার পরও তাদের হজে পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।এই প্রতারক এজেন্সিগুলো ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩০০ জনের ভিসা করানোর চেষ্টা করলেও সৌদি সরকারের কোটা শেষ হওয়ায় ভিসা পায়নি।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজে যাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৩০০-এর মতো হজযাত্রী।

যারা প্রতারণা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ট্রাভেলস কোম্পানিসহ অন্য যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হজযাত্রীদের হয়ে কাজ করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সৌদি আরবে ভিক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন বাংলাদেশি হজযাত্রী

বাংলাদেশের একজন হজযাত্রী সৌদি আরবের মদিনায় ভিক্ষা করতে গিয়ে সেখানকার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। যদিও পরে তাকে বাংলাদেশ হজ মিশনের লোকজন মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে যে এজেন্সির মাধ্যমে ওই ব্যক্তি হজে গেছেন সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

সৌদি আরবে গিয়ে ভিক্ষা করা ওই হজযাত্রীর নাম মতিয়ার রহমান। তার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীতে। তিনি রাজধানীর ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এবার হজে গেছেন।

শনিবার ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিসের মালিক মো. আল মামুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

নোটিশে বলা হয়, আপনার এজেন্সির একজন হজযাত্রী (মো. মতিয়ার রহমান) গত ২২ জুন আনুমানিক ৫টায় মদিনা শরিফে ভিক্ষা করতে গিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এ ঘটনা জানার পর বাংলাদেশ হজ মিশনের একজন কর্মী থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।

‘আপনার এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো ওই হাজযাত্রী ব্যাগ ছিনতাই হওয়ার নাটক করে ভিক্ষাবৃত্তির কারণে গ্রেফতার হওয়ায় মদিনা তথা সৌদিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। আপনার এজেন্সির এরূপ কার্যক্রমের কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়েছে এবং সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে যা ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ এর পরিপন্থি।’

নোটিশে আরও বলা হয়, আপনার পাঠানো হজযাত্রীকে গাইড করার মতো কোনো মোনাজ্জেম ছিল না এবং হজযাত্রীর বসবাসের বাড়ি/হোটেলও ছিল না বলে জানা যায়। এটি হজযাত্রী প্রেরণের শর্তের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

তাই হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেই জবাব তিনদিনের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা ৪ হাজার ১১৫ জন। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা ৫৫ হাজার ৮৮৫ জন। সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত ১০৮টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে গেছেন ৩৮ হাজার ৮৮৯ জন হজযাত্রী।

মসজিদে নববির সাবেক ইমামের ইন্তেকাল

সৌদি আরবের ঐতিহাসিক মসজিদ মসজিদে কিবলাতাইনের ইমাম ও মসজিদে নববীর সাবেক ইমাম শায়খ মাহমুদ খলিল আলক্বারী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওইয়ান্না ইলাইহি রাজিউন।

স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৮টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। এর আগে অসুস্থ হওয়ার কারণে তাকে সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা বেগতিক হলে তাকে আইসিউতে স্থানান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়-ই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

প্রভাবশালী আরবি সংবাদমাধ্যম আলআইন জানায়, শনিবার মাগরিবের নামাজের পর মসজিদে নববীতে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শায়খ মাহমুদ খলিল আলক্বারীর ইন্তেকালে গভীর শোক জানিয়েছেন সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী শেখ ড. আব্দুল লতিফ আলে শায়খ। এক টুইটবার্তায় তিনি লিখেন, ‘শায়খ মাহমুদ খলিল আলক্বারীর ইন্তেকালে আমি গভীর শোক অনুভব করছি।’ তিনি শায়খের মাগফেরাতের দোয়া করেছেন।

সূত্র : আলআইন

ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতি কি মুসলিম বিশ্বে ভারতের স্বার্থ ঝুঁকিতে ফেলছে?

 

ইসলামের নবীকে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন নেতা এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত এক মন্তব্য নিয়ে সেদেশের মুসলমান এবং বিরোধীরা গত কয়েকদিন ধরে হৈচৈ করলেও সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কান দেয়নি।

কিন্তু দু’দিন আগে কাতার সরকার দোহাতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্রের বক্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার নড়েচড়ে বসে।

এরপর কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব থেকে শুরু করে এক ডজনেরও বেশি মুসলিম দেশ একে একে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কারো কারো বিবৃতির ভাষা বেশ কড়া। আরব বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে কুয়েতে দোকানপাটে ভারতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।

সুন্নী ইসলামের অত্যন্ত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান মিশরের আল আজহার আল-শরীফ তাদের এক বিবৃতিতে নবীকে নিয়ে বিজেপি নেতার বক্তব্যকে “সন্ত্রাসী আচরণের” সঙ্গে তুলনা করে বলেছে যে এমন আচরণ “পুরো বিশ্বে ভয়াবহ সংকট তৈরির উস্কানি”।

আল আজহারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিছু কট্টর লোকজনের ভোটের জন্য ইসলামের এমন অবমাননা উগ্রবাদের সমার্থক। এর ফলে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণা এবং অবিশ্বাস জন্ম নেবে।”

ভারত নিয়ে এসব শক্ত বিবৃতি আরব বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও মূলধারার প্রায় সব মিডিয়াতে প্রকাশ পাচ্ছে।

মহানবিকে কটূক্তি : ভারতীয় পণ্য অপসারণ, মুসলিম বিশ্বের নিন্দা

মহানবি হজরত মোহাম্মদকে (স.) নিয়ে বিজেপির এক কর্মকর্তার কটূক্তির জেরে কুয়েতে সুপারমার্কেট থেকে সব ভারতীয় পণ্য অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান।

সোমবার আল-আরদিয়া কো-অপারেটিভ সোসাইটি সুপারশপের কর্মীরা কটূক্তির প্রতিবাদে ভারতীয় চা এবং অন্যান্য পণ্যগুলো সরিয়ে ফেলে।

সৌদি আরব, কাতার এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোসহ কায়রোর প্রভাবশালী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বিজেপির একজন মুখপাত্রের বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে।
যদিও ইতোমধ্যে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

কুয়েত শহরে সুপার মার্কেটের বাইরে চালের বস্তা ফেলে রাখা হয় এবং মশলা ও মরিচের তাকগুলো প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা দেওয়া হয়।
এগুলোর ওপরে আরবিতে লেখা- ‘আমরা ভারতীয় পণ্য সরিয়ে দিয়েছি’।

দোকানের সিইও নাসের আল-মুতাইরি এএফপিকে বলেন, আমরা কুয়েতের মুসলিম জনগণ হিসেবে মহানবীকে অবমাননা মেনে নেব না।

ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র নুপুর শর্মার মন্তব্য মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
গত সপ্তাহে একটি টেলিভিশন বিতর্কে করা নুপুর শর্মার মন্তব্যকে উত্তরপ্রদেশে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। তার মন্তব্যে মুসলিম দেশগুলোতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (৫ জুন) নুপুর শর্মাকে ‘দলের অবস্থানের বিপরীতে মতামত’ প্রকাশের জন্য বরখাস্ত করেছে বিজেপি এবং দলটি জানায় তারা ‘সব ধর্মকে সম্মান করে’।

নুপুর শর্মা টুইটারে বলেন, মহানবি (স.) সম্পর্কে তার মন্তব্যগুলো তাদের দেবতা শিবের বিরুদ্ধে করা ‘অপমানসূচক’ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া ছিল।

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

জানা যায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে। ফেস দ্য পিপল নামের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়।

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী গত ১৪ মে রাত ৯টার দিকে ইউটিউবে ফেস দ্য পিপল নামের একটি টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, জঙ্গিবাদ কি খারাপ জিনিস! কে বলেছে, জঙ্গিবাদ খারাপ জিনিস! জঙ্গিবিমান! এটা কি সন্ত্রাসী বিমান! জঙ্গি শব্দটা এসেছে ‘জাং’ থেকে, ফার্সিতে জাং বলে যুদ্ধকে- ফাইট। অতএব, ফ্রিডম ফাইটাররাও এক অর্থে জঙ্গি।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

সময় ঘনিয়ে আসায় বিপাকে হজযাত্রীরা

এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৯ জুলাই। সেই মতে ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর ঘোষণা দেন বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ বিমান বাংলাদেশ ও বাকি ৫০ শতাংশ পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স। সবকিছুই দ্রুত সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতি এবং সৌদি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক। অথচ হজের সময় রয়েছে মাত্র দুই মাস।
এতে বিপাকে পরেছেন হজযাত্রী এবং হজ এজেন্সি গুলো।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) এর নেতারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ যাত্রার সব কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব নয়। এর আগের বছরগুলোতে হজ কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনার জন্য এজেন্সিগুলো গড়ে ৭-৮ মাস সময় হাতে পেতো।

তারা বলছেন, ১৫ জুনের আগে ফ্লাইট শুরু করা প্রায় অসম্ভব। কারণ এখনও হজ প্যাকেজই ঘোষণা হয়নি। লিড এজেন্সি নির্ধারণ, মোনাজ্জেম, বাড়ি ভাড়া, খাবার ও যানবাহনসহ অনেক কিছুই নির্ধারণ করা হয়নি।

এদিকে, হাব সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দ্রুত হজ প্যাকেজ ঘোষণা ও যথাসময়ে অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করার তাগিদ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে তিনি সময় কমের কারণে হজ ব্যবস্থাপনা যথাসময়ে শেষ করা যাবে না বলে মত দেন।