সীতাকুণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণ গেলো ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীর

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে একটি কনটেইনার ডিপোতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীসহ। এছাড়া আহত ১৫ কর্মীকে সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আগুনের উৎস সম্পর্কে বলতে না পারলেও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সীতাকুন্ডস্থ বিএম কন্টেইনার ডিপোতে একটি দাহ্য পদার্থের কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন লাগার ১০ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সেটি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৬ টি ইউনিট। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ডিপো এলাকার পাঁচ কিলোমিটার প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, প্রায় ২৬ একর আয়তনের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এখনো আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৪ টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩০ কর্মী ও পুলিশের ১০ সদস্য আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন চার শতাধিকের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা গুরুতর।

সীতাকুন্ডে বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই আহতদের আর্তনাদে এলাকায় বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রথমে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট অগ্নিনির্বাপনে যোগ দেয়। অবস্থা বেসামাল দেখে কুমিল্লা থেকেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সীতাকুন্ডে আসে। রাত একটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পানি সংকট সৃষ্টি হয়। পরে বিভিন্নভাবে পানি যোগাড় করে তারা আবার আগুন নিয়ন্ত্রণে নেমে পড়েন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে একের পর এক কন্টেইনার বিস্ফোরণ শুরু হলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিরাপদ স্থানে সরে যান। ভোর থেকে তারা আবার বিভিন্ন কন্টেইনার ও কন্টেইনারবাহী লরিতে লাগা আগুন নির্বাপনে কাজ শুরু করেছেন।

অন্যদিকে, আহতদের বিভিন্ন গাড়িতে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো শুরু হয়। ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত সকল স্তরের চিকিৎসকদের দগ্ধ ও আহতদের সেবায় কাজ করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার আহবান জানান।

সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

চট্টগ্রামঃ সময় যতো গড়াচ্ছে বিএম সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে লাশের সারি যেন দীর্ঘ হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোববার (৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন।

এখনও নিহত সবার পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার শতাধিক। দগ্ধদের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন।

সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানতে পেরেছি। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ কর্মী রয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত করে কারণ বের হরা হবে।

এদিকে চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত বলেন, ‘১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ অবস্থায় চার শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।’

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে আগুনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। এরই মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমরা নিরাপদে অবস্থান করছি। পানির ব্যবস্থা করে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কিছু বুঝে ওঠার আগে বিস্ফোরণে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ কনটেইনার ডিপো। মূলত এখান থেকে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়। ডিপোটিতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার মজুত ছিল। এসব কনটেইনারে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে। এখানে কর্তরত বেশিরভাগ লোকই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা।

করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৩১

ঢাকাঃ করোনায় আরও একটি মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় কেউ মারা যায়নি আর শনাক্ত হয়েছেন ৩১ জন।  এখন পর্যন্ত মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১ জন এবং শনাক্ত ১৯ লাখ ৫৩ হাজার  ৬২৩ জন।

শনিবার  (৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এদিন সুস্থ হয়েছেন ১৭১ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ ১৯ লাখ ৩ হাজার ৭৫১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৩টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ১২৪টি। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়,  গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়।

জীবন যুদ্ধে হার না মানা কানিজ ফাতেমাকে মেজর পদে পদোন্নতি
জীবন যুদ্ধে হার না মানা ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমাকে মেজর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে শনিবার (৪ জুন) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সকল ফরমেশন কমান্ডারদের উপস্থিতিতে তাকে মেজর পদবীতে উন্নীত করেন।
কানিজ ফাতেমা দেশ সেবার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ২০১১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ মেজর কানিজের প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে তার পক্ষে সেনাবাহিনীর কঠোর ও সুশৃঙ্খল স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভবপর ছিল না।
কিন্তু এই অকুতোভয় নারী, ভাগ্যের কাছে হার না মেনে দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন। সেনাবাহিনী কানিজ ফাতেমার এই অদম্য উদ্দীপনাকে সম্মান জানিয়ে সব বাধা উপেক্ষা করে ৬৯ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সঙ্গে ২০১৩ সালে বিশেষ বিবেচনায় কমিশন প্রদান করে। পরবর্তীতে কানিজ ফাতেমা হুইল চেয়ারের সাহায্যে চলাফেরা করলেও নিজের অদম্য মানসিক শক্তি এবং সহকর্মীদের সহায়তায় দৈনন্দিন কার্যক্রম স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে পালন করে আসছেন।
তার ইচ্ছাশক্তির কাছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা হার মেনেছে পদে পদে। দেশ ও জনগণের আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনী কর্তৃক একজন অকুতোভয় নারীর প্রতি এ বিরল সম্মাননা দেশের প্রতিটি নারীর অগ্রযাত্রায় সর্বদা অনুকরণীয় এবং ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে নিয়মিত বাহিনীতে সর্বপ্রথম নারী অফিসার নিয়োগ প্রদান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সাল থেকে নারী সৈনিকের সংযোজন, নারী অফিসারদের ইউনিট কমান্ড প্রদান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী অফিসারদের নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশে নারী উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে। সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে এই বিশেষ আয়োজন জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
 Ⓒ Bangladesh Military Affairs
আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দুর্বিষহ করবে জনজীবন : বাংলাদেশ ন্যাপ  

দেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এবং বিপিডিবি কমিশন নির্ধারিত ছকে গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারে রবিবার অথবা সোমবার সংবাদের গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছেন যে, গত দশ বছরে কয়েক দফায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ছে। আবাসিক গ্যাসের মূল্য আবারো বৃদ্ধির বিষয়টি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এর ফলে মানুষের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

শনিবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জনজীবন যখন দুর্বিসহ তখন আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি একেবারেই যৌক্তিক নয়। দেশের ভেতরে যে গ্যাস রয়েছে সেটা সরকার উত্তোলণ করে না। বরং বিদেশ থেকে আমদানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যা একটা আসাধু চক্রকে ব্যবসা পাইয়ে দিতে, বিশেষ সুবিধা দিতেই এটা করা হচ্ছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়ন হলে জনজীবন, সমাজ ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, সিস্টেম লস ও দুর্নীতি দূর করার কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া জনবিরোধী এবং সরকারকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসা উচিত। ‘ক্যাবের’ মতে এক শতাংশ মূল্যবৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং গ্যাসের মুল্য কমানোর সুযোগ রয়েছে।

তারা বলেন, অনিয়ম, অপচয় ও ব্যস্থাপনা ত্রুটি দূর করে গ্যাসের মুল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা উচিত। এটাই এ মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হলে শহরের বাইরের মানুষ জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারে দিকে আবার ঝুঁকে পড়বে। এতে কাঠের ব্যবহার বাড়বে। বৃক্ষ ও বনভূমি উজাড় হবে। বিনষ্ট হবে দেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের কৃষি, অর্থনীতি, অবকাঠামো এবং মানুষের জীবন-জীবিকা।

যানজটে আটকে মোটরসাইকেলে সমাবেশে এলেন তথ্যমন্ত্রী

যানজটে পড়ে নিজের গাড়ি ছেড়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ  আজ মোটরসাইকেলযোগে চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। বন্দর থানার ওসি’র (তদন্ত) মোটরসাইকেলের পিছনে বসে ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করে এ সমাবেশে যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
মন্ত্রী বিমানযোগে বিকেল সোয়া ৫ টায় চট্টগ্রাম পৌঁছান। এরপর মন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত গাড়িতে চড়ে জামালখানস্থ প্রেস ক্লাবের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে ইপিজেড এলাকায় পৌঁছে বন্দরকেন্দ্রিক যানজটে আটকা পড়ে মন্ত্রীকে বহনকারী ও পুলিশ প্রটোকলের গাড়ি। মাগরিবের সময় ঘনিয়ে আসায় সমাবেশে যোগ দেয়ার তাগিদে মন্ত্রী নিজের গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এ সময় তিনি বন্দর থানার ওসি’র (তদন্ত) মোটরসাইকেলে চড়ে সমাবেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি সমাবেশস্থলে পৌঁছালে সমাবেশে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক নারী ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। এ সময় তাঁকে ঘিরে নেতৃবৃন্দের মুহূর্মুহূ স্লোগানে সমাবেশে নতুন করে উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। দীর্ঘ পথ মোটসাইকেলে পাড়ি দিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও উপস্থিত সুধীজন মন্ত্রীর আন্তরিকতায় মুগ্ধ হন।

আর্জেনটিনারের খেলা দেখা শেষে খাবারের খোঁজে দুই বন্ধুর মৃত্যু!

দিনাজপুর প্রতিনিধি: পছন্দের প্রিয় ফুটবল টিম আর্জেনটিনা। রাতে খেলা চলছিল। তাজিন, সবুজ ও পলাশ তিনবন্ধু খেলাটি উপভোগ করছিল বেশ আনন্দে। রাত ১ টা ৩০ বাজে। খেলা তখন প্রায় শেষ। রাত ভারি হচ্ছে তার ওপরে পেটে খিদেও বাড়ছে। তিনবন্ধু মোটরসাইকেলে চেপে বের হয় হাঁসের মাংসের খোঁজে। গভীর রাতে দোকানপাটও সব বন্ধ। এদিক ওদিক খোঁজ করতে করতে মৃত্যুর মুখে পড়ে যায় তারা। খাবার না খেয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় দুই বন্ধুকে। অপর একবন্ধুর ঠাঁই হয় হাসপাতালে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌঁনে দুইটায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা ব্রিজ সংলগ্ন মন্ত্রী মার্কেটের সামনে এমনি এক হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রাকের চাপায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী নাহিদ হাসান সবুজ (২৪) ও তাজিন আহম্মেদ (১৯) নামের দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এতে গুরুত্বর আহত হয়েছেন মো. পলাশ (২০) নামের অপর এক বন্ধু।

নিহতরা হলেন, নাহিদ হাসান সবুজ উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের ওয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি এবছর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। তাজিন আহম্মেদ একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বুলবুল আহম্মেদের ছেলে। তিনি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত মো. পলাশ উত্তর সুজাপুর গ্রামের ওহেদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আর্জেনটিনার চলছিল। নাহিদ হাসান সবুজের সুজাপুরস্থ বাড়িতে খেলা দেখতে আসেন তার বন্ধু তাজিন আহম্মেদ ও মো. পলাশ। খেলা শেষে তারা খাবার খেতে পালসার মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-ল ৪৪-৬৬-৭৯) নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। প্রথমে নিমতলামোড়সহ ঢাকামোড়ের কিছু দোকানে খাবারের সাথে হাঁসের মাংসের খোঁজ চালায় তারা। কোনো খাবারের দোকানেই হাঁসের মাংস না পেয়ে তারা ঢাকামোড় থেকে দিনাজপুরের লক্ষ্মীতলার উদ্দ্যেশে রওনা দেন। যাবার পথে ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা ব্রিজ সংলগ্ন মন্ত্রী মার্কেটের সামনে ঢাকাগামী জান্নাত-জোনায়েত নামের পণ্যবাহী ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৬-৫২৫৬) সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে নাহিদ হাসান সবুজ ও তাজিন আহম্মেদের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরুত্বর আহত পলাশকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় হলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকসহ ট্রাকের চালক জানে আলম (৫১) ও হেলপার সবুজকে (৩২) আটক করা হয়। তাদের বাড়ী ঢাকার সাভারে। চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুই শিশুকে বিদেশ নিতে জাপানি মায়ের আবেদন খারিজ

ঢাকাঃ গ্রীষ্মকালীন ছুটিকে সামনে রেখে দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে সঙ্গে নিয়ে জাপান ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে শিশুদের মা নাকানো এরিকোর করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে গত ১৭ মে দুই শিশুকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন নাকানো এরিকোর আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।

নাকানো এরিকো যেদিন দুই শিশুকে নিয়ে জাপান ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন সেদিন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, জাপানে জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার ছোট বোন ও নানা-নানী রয়েছে। শিশুদের নিয়ে তাদের মা জাপানে বেড়াতে যেতে চান।  এ কারণে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে বলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এ বিষয়ে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়।

কলেজ ছাত্রকে বান্ধবীসহ তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি,গ্রেপ্তার-৩

নোয়াখালীর চাটখিলে খাওয়ার রেষ্টুরেন্ট থেকে এক কলেজ ছাত্রকে বান্ধবীসহ তুলে চাঁদা দাবি করে সংঘবদ্ধ বখাটেরা। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের আশিক মুহুরী বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে নূরুল ইসলাম (৩৮) একই গ্রামের হাজী বাড়ির নুর আলমের ছেলে  অটো রিক্সা লাইনম্যান শিপন (১৯), একই বাড়ির নুরুল ইসলাম হাজীর ছেলে হাজী কলোনীর কেয়ারটেকার মো. স্বপন (২০)।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর গতকাল বুধবার (১ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজারের সিএনজি স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়,গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে ও ঢাকা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল বাশার তারেক (২২) তাঁর বান্ধবী ফাতেমা আক্তারকে (১৮) নিয়ে চাটখিল বাজারের সেন্টার কাবাব হাউসে দুপুরের খাওয়ার খাচ্ছে। ওই সময় একই উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের আশিক মুহুরী বাড়ির নুরুল ইসলাম (৩৮) একই গ্রামের হাজী বাড়ির শিপন (১৯) মো.স্বপন (২০) ও মো.আনোয়ার (২২) সহ আরো ২/৩ জন যুবক রেষ্টুরেন্টে খারাপ ভাষায় তারেকও তাঁর বান্ধবীকে বলে তোরা কোথা থেকে এসেছিস। পরে বখাটেরা কলেজ ছাত্র তারেককে ৫হাজার টাকা না দিলে তাঁর বান্ধবীকে রাস্তায় নিয়ে মানহানি করার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক তাদেরকে মার্কেটের ভিতরের নিয়ে ১হাজার টাকা আদায় করে। শেষে অবশিষ্ট ৪ হাজার টাকা আদায়ের জন্য তাদেরকে সিএনজি স্ট্যান্ডে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে চাঁদা আদায়ের ১হাজার টাকাসহ কলেজ ছাত্র ও তাঁর বান্ধবীকে উদ্ধার করে এবং ৩জনকে গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন,এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ৩আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পলাতক অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

সমুদ্র বন্দরসমূহে বহাল রয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত আজও বহাল রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে৷ সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং এর আশপাশের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে । সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় মাইজদীকোর্টে সর্বোচ্চ ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সিলেটে ৩৫, কক্সবাজারে ৩১ ও ঈশ্বরদীতে ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকায় কোন বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে । এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে । আজ সীতাকুন্ডে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দমমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয, লঘুচাপের বাড়তি অংশ বিহার হতে উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকা হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ূ টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এটি আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। পরবর্তী তিন দিনে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ূ চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।

আজ সকাল থেকে ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৪২ মিনিটে এবং আগামিকাল সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ১১ মিনিটে ।