এখন থেকে ফেসবুক চালাতে হলে পকেট হবে ফাঁকা!

গোটা বিশ্বজুড়ে মানুষ জড়িয়ে আছে এমনই একটি অ্যাপ ফেসবুক। বলা যায়, এই অ্যাপের মধ্য দিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটে মানুষের। অনেকেই আবার আছেন যারা এই ফেসবুকফ্রিক। অর্থা এই অ্যাপে আসক্ত। আর তাদের জন্যই চলে এসেছে দুঃসংবাদ। কারন এখন থেকে আর ফ্রিতে নয়, বরং টাকা দিয়ে চালাতে হবে ফেসবুক। 

শুধু ফেসবুকই নয়, পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম চালানোর জন্য টাকা দিতে হবে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের। আর এমনই পেইড সিস্টেম পরিকল্পনা করেছে মেটা। 

প্রশ্ন আসতে পারে, হুট করেই কেন সামনে এসেছে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। এই পরিকল্পনায় বাংলাদেশের নাম নেইতো

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে মেটার। সমস্যা সমাধানে নতুন এক উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। 

ইইউর দেশগুলোতে দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে পেইড সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মেটা। এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

বর্তমান সময়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের চোখে যেই বিষয়টি সর্বাধিক চোখে পড়ে সেটি হচ্ছে বিজ্ঞাপন। যেকোন ভিডিও কিংবা রিলস দেখার ক্ষেত্রে কিংবা স্ক্রল করতে গেলেই হরহামেশাই ইচ্ছা থাকুক আর না থাকুন বিজ্ঞাপন দেখতে হচ্ছে। 

কিন্তু জানা গেছে, বিজ্ঞাপনের কারণে অনেকেই ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম চালাতে গিয়ে বিরক্ত হন। আর এই কথা ভেবেইতো অনেক আগেই পেইড সিস্টেম চালু করেছিল ইউটিউব। এমনকি বাংলাদেশেও এই ফিচার যুক্ত হয়েছে। 

তাই এবার ইইউর দেশগুলোতে একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে মেটা। অনেকদিন দরেই এমন চিন্তা থাকলেও অবশেষে এখন পরিকল্পনা করেই ফেলেছে সংস্থাটি। 

মেটার উচ্চপদস্থ তিনজন কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, সরকারি বিভিন্ন নীতির কারণে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। আমেরিকায় যে নিয়মে সহজেই ব্যবসা করা যাচ্ছে, ইউরোপে তেমনভাবে করা যাচ্ছে না। 

আর তাই, নিজেদের ব্যবসাকে সফল রাখতেই পেইড সিস্টেম এর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে মেটা। যার ফলে এখন থেকে ফেসবুক চালাতে গুনতে হবে টাকা। তবে কবে নাগাদ এই ফিচার যুক্ত হবে, বিষয়টি এখন পর্যন্ত মেটার কোন কর্মকর্তা জানাননি। 

এই ফিচার আনা হলে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে মেটায়। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে এই ফিচার নিলে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা অ্যাপে আর কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন না। 

পেইড সিস্টেম চালু থাকলেও ফ্রি ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম চালানোর ব্যবস্থাও রাখবে মেটা। এছাড়া নতুন ফিচার পেতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে, ব্যাপারেও মেটার এই তিন কর্মকর্তা তেমন কিছুই জানাননি। 

মূলত বিজ্ঞাপনের কারণেই ইউরোপে একের পর এক মামলা হচ্ছে মেটার নামে। ফলস্বরুপ, কোটি কোটি ডলার গচ্ছা যাচ্ছে সংস্থাটির।  তাই লোকসান থেকে ঘুরে উঠতেই নতুন পথে মেটা। 

কিন্তু ব্যবহারকারীরা যদি বিজ্ঞাপন দেখতে না চান, তবে অর্থ খরচ করে বা ফেসবুক সাবস্ক্রাইব করে ফেসবুক চালাতে হবে। কিন্তু রাজি হবেন কয়জন?

অনেকেই হয়তো টাকা খরচ করে ফেসবুক চালাতে রাজি হবে না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষও সেটি জানে। তাই বিষয়টি নিয়েও পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

কারন এখন ফেসবুক ব্যবহার করতে টাকা লাগে না বলে ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ছে। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ফেসবুকের বিশেষ সংস্করণ চালু হলে ব্যবহারকারী বাড়ানো যাবে কি না, সে বিষয়টিও বিবেচনা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে!

জল্পনাকল্পনা শেষে এবং অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে অবশেষে উদ্বোধন হল দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেস। এরই মধ্য দিয়ে স্বস্তির মুখ দেখয়ার সুযোগ মিলেছে নগরবাসীর। 

২রা সেপ্টেম্বর, শনিবার এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য নেতারা। 

বিকেল সাড়ে ৩টায় শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধনের পর বিমানবন্দরফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। 

এখন আর ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে না থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে এক্সপ্রেস ওয়ে ব্যবহার করে যেতে পারবেন গন্তব্যে। আর এই পুরো সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন বিমানবন্দর , কুড়িল, বনানী, মহাখালীতে, বিজয় ফার্মগেটে যাতায়াতকারী জনসাধারণ।

তবে আপাতত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আংশিকভাবে চালু হওয়ায় এখন থেকেই নগরবাসীর জন্য এই স্বস্তি বাড়ছে। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১. কিলোমিটার অংশটি উদ্বোধন হয়েছে ইতিমধ্যে, যা শহরের অন্যতম ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়কে বিকল্প রুট হিসাবে কাজ করবে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অংশটি চালু হলে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে ১০ মিনিটেরও কম সময় লাগবে, যা সাধারণত নিয়মিত রাস্তায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তি সইয়ের এক যুগ পর আলোর মুখ দেখছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। 

এক্সপ্রেসওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের সামনে নামছে একটি র্যাম্প। 

এর মধ্যে বনানী মহাখালীর দুটি র্যাম্পের কাজ শেষ হয়নি। এজন্য আপাতত র্যাম্প দুটি বন্ধ থাকবে।

এদিকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ দুটি এক্সপ্রেসওয়ের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে যানবাহন, বিশেষ করে ভারী যানবাহনের জন্য একটিভার্টিকাল বাইপাসতৈরি করা।

অর্থাৎ, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েঢাকা ইপিজেড এলাকা থেকে আশুলিয়া আবদুল্লাহপুর হয়ে আসার পর বিমানবন্দর এলাকার কাছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে যুক্ত হবে। 

২০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েটিও ২০২৬ সালের জুনের সময়সীমা নিয়ে নির্মাণাধীন রয়েছে। ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পাশাআপ্সহি বেধে দেয়া হয়েছে নিয়ম।

সেই অনুযায়ী, থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না।একই সাথে মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।

এর আগে সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরফার্মগেট অংশের টোল রেট ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে।

ক্যাটাগরি এর অধীনে যে কোনো স্থান থেকে বিমানবন্দরফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জীপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক ( টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা।

মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি এর অধীনে ৩২০ টাকা।

ক্যাটাগরি এর অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। 

যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যে কোনো বাসের (১৬ সিটের বা তার বেশি) টোল রেট ক্যাটাগরির অধীনে ১৬০ টাকা।

তবে স্বস্তির মুখ দেখার পাশাপাশি, জনসাধারনের মনে অন্য প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে, এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে যেমন স্বস্তির সুযোগ রয়েছে তেমনি নতুন ভোগান্তির কারন তৈরি হচ্ছে নাতো?

কারন প্রকল্পের শুরু থেকেই পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, শহরের মধ্যে নামার ্যাম্প বিশেষ করেবনানী, মহাখালী বিজয় সরণিতে গাড়ির চাপ তৈরি করবে।

পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবীব বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তা ভাগ হচ্ছে, কিন্তু গাড়ির পরিমাণ সেই একই আছে। ঢাকায় যে গাড়িগুলো এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে, সেগুলো সুবিধা পাবে। যে গাড়িগুলো নগরের বিভিন্ন ্যাম্পে নামবে, সেখানে তো আগে থেকেই গাড়ির একটা জট থাকবে। ফলে আরও জট হতে পারে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ দিনের ব্যবধানে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু!

বছরের সেপ্টেম্বর মাস। এখন পর্যন্ত যেন নগরবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় আতংকের নাম ডেঙ্গু। যেই আতংকের সাথে লড়াই করে কেউ পার পেয়ে যায়, কেউ আবার জীবন হারায়। 

আর সেই তালিকায় যোগ হয়েছে দুই ভাইবোনের নাম। দেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দিনের ব্যবধানে বিদায় নিয়েছেন একই পরিবারের ফুটফুটে দুই সন্তান। 

ডেঙ্গু! যা এবছর যেন দেশবাসীর কাছে কোন মহামারীর থেকে কম নয়। কারন বনছর বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ এবং মৃত্যুর সংখ্যা। শহরের পাশাপাশিপাশি পার্বত্য এলাকা এবং গ্রামেও রয়েছে এর বিস্তার। 

ফলাফলস্বরুপ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এতই ভয়ানক হয়ে দাড়িয়েছে, যা গেল কয়েক বছরের মধ্যে মানুষ কখনও দেখেননি। আর তাইতো এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে জনসাধারণ মরিয়া হয়ে আছেন। কিন্তু তবুও যেন মিলছে না নিস্তার।  

আব্বু ঢাকায় অনেক মশা, ঢাকায় থাকবো না’-এমনই কথা ভেষে বেড়াচ্ছে গণমাধ্যমে। কথাটি বলেছিল এক অসহায় বাবার ফুটফুটে সন্তান। কারন মশার কামড়েই যে ভাইকে হারিয়েছিল এক সপ্তহ আগে। 

তাই বারংবার বাবার কাছে সন্তানের আবদার, থাকবে না নগরে। কিন্তু সেই আবদার রাখতে পারলেন না মাবাবা কেউই। কারন এর আগেই যে সেই সন্তান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিদায় নিয়েছে দুনিয়া থেকে। 

দুই সন্তানকে হারিয়ে এখন নিঃস্ব বাবামা। জীবন থেকে যেন বেঁচে থাকার আশা ফুরিয়ে গেছে মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাবেয়া আক্তার দম্পত্তির। গত ১৬ আগস্ট প্রথমে বছরের ছেলে আরাফাত জাহান রাউফের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

গত১৪ আগস্ট আরাফাতের হালকা জ্বর আসে। ১৫ আগস্ট এলাকার এক চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। ১৬ আগস্ট রক্তের পরীক্ষায় ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। 

 ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর থেকে দ্রুত প্লাটিলেট কমতে থাকে তাদের বড় সন্তানের। কিন্তু  চিকিৎসক বলেছিলেন, হাসপাতালে নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু পরের দিন ১৭ আগস্ট প্লাটিলেট দ্রুত কমতে থাকে। 

১৮ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই আরাফাত মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, ছেলে মারা গেছে। ভাইয়ের মৃত্যুর পর অসুস্থ হয়ে পড়ে বোন ইসনাত জাহান রাইদা। 

জ্বর আসার পরেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রেন্টকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানালেন, ধানমন্ডির একটি হাসপাতালের পিআইসিইউতে মেয়েকে পাঁচ দিন রেখে মেয়ে ভালো আছে বলে বাসায় আনতে বলে। 

তবে মেয়েকে বাসায় আনার পরই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন মহাখালীর আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের পিআইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতাল তিন লাখ টাকা দিয়ে সাতটি ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলেছিল। দুটি ইনজেকশন দেওয়াও হয়। কিন্তু বাবামার শেষ সম্বল বছর বয়সের রাইদাও ২৫ আগস্ট সকালে না ফেরার দেশে চলে যায়।

দুই সন্তানের আকস্মিক মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না বাবামা। সাজানো গোছানো সংসারজুড়ে শুধু সন্তানদের স্মৃতি। তাই রাজধানীর মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ার বাসা ছেড়েছেন তারা।

জানা গেছে, রাজধানীর আইকন একাডেমি নামে একটি স্কুলে রাউফ কেজি আর রাইদা নার্সারিতে পড়ত। শ্রেণি শিক্ষকদেরও চোখের মণি ছিলো দুইভাইবোন। স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যুতে শিক্ষকরাও শোকাহত।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু আর আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে চলতি আগস্ট মাসে। মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৪২ জন। আর চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ৫৯৩ জন।

এদিকে ডেঙ্গুতে জ্বর ছেড়ে গেলেও মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন আক্রান্তরা। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, একাধিক স্ট্রেইন দ্বারা যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে জটিলতাটা বেশি হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, এটা শুধু বয়স্ক মানুষ, যাদের আগে থেকেই রোগ আছে তাদের হচ্ছে এমনটা না। ইয়াং মানুষ যাদের অন্য রোগ নেই তাদেরও হচ্ছে। এতে আমার ধারনা, একধিক স্ট্রেইন দ্বারা যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে জটিলতাটা বেশি হচ্ছে।

ডেঙ্গু থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না জানিয়ে বেনজির আহমেদ বলেন, জনসচেতনতায় সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

নায়িকা থেকে সংবাদ পাঠিকা সানাই মাহবুব!

এবার অভিনেত্রী থেকে সংবাদ পাঠিকা সানাই মাহবুব! কিন্তু কেন? নতুন কোন সমালোচনার জন্ম দিতে, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন কারন? 

প্রায়ই দেখা যায়, সংবাদ পাঠিকা থেকে মডেল কিংবা নায়িকা হতে। কিন্তু সানাই মাহবুবের ক্ষেত্রে ঘটলো উল্টো ঘটনা। অভিনয়ের বদলে খবর পাঠ করতে দেখা মিলল তার। 

এই মডেল এবং অভিনেত্রীর নাম মিডিয়া পাড়ায় বেশ আলোচিত। কারন তিনি যে কন্ট্রোভার্সাল একজন অভিনেত্রীও বটে। নানান বিতর্ক রয়েছে তাকে ঘিরে। 

পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সর্বদাই সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন সানাই। কারন শরীরে একাধিক সার্জারি করিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন এই মডেল। 

এরই সাথে অন্যান্য তারকাদের নিয়ে কটুক্তিকর মন্তব্য করা ছিলই তার নিয়মিত কাজ। আর তাইতো তার নাম আসতেই শুরু হয়ে যায় আলোচনা সমালোচনা।

তবে কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারের জানিয়েছিলেন, তার জীবনের সকল বিতর্ক ভুলে এখন নতুনভাবে জীবন পার করতে চান তিনি। সেই কথাই রেখেছেন সানাই।  

এবার নতুন এক আঙ্গিকে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। ফেসবুক স্ক্রোল করতে করতে হঠাত সামনে চলে আসে একটি নিউজ ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যায় সংবাদ পাঠ করছেন আলোচিত নায়িকা সানাই মাহবুব।  

সংবাদের শিরোনামনারী কিসে আটকায়”? যেই প্রশ্নটি এখন ট্রেন্ডিং রয়েছে বটে। আর এই প্রশ্নকে ঘিরে সংবাদ পাঠ করে যাচ্ছেন সানাই। 

তার পড়নে দেখা মেলে লাল রঙের সিল্ক শাড়ি এবং গাঢ় আকাশী ক্রপটপ। টকটকে মেরুন লিপস্টিক এবং খোলা চুলে নায়িকার ভঙ্গিতে খবর পড়ছেন তিনি। 

ভিডিওটি দেখে বেশ চমকে যান নেটিজেনরা। নায়িকাকে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে দেখে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যান অনেকেই। আর তাই বিষয়টি খুটিয়ে দেখতে সেই অনলাইন নিউজ পেইজ ঘুরে দেখতে শুরু করেন নেটজনতারা। 

সেই পেজে দেখা যায়, সানাই মাহবুবের আরও একটি সংবাদ পাঠ করা ভিডিও রয়েছে সেখানে। যা পাবলিশ করা হয়েছিল শুক্রবার ১১ই আগস্ট। সেই ভিডিওটি সকলের চোখে ধরা না পড়লেও ধরা পড়ে যায় ১৩ই আগস্ট প্রকাশিত নিউহ ভিডিও। 

সানাই মাহবুবের এই ভিডিও রীতিমতো নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। জানা গেছে, সেই অনলাইন নিউজ পেজে নিয়মিতই সংবাদ পাঠ করবেন তিনি। আর সেই বিষয়ের জানানও সানাই নিজেই দিয়েছেন। 

একই পেজে ১০ই আগস্ট একটি ১১ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় সানাই মাহবুব জানান, আলোচিত সকল ঘটনার আপডেট নিয়ে থাকবেন তিনি। এরই সাথে, বিনোদনসহ যেকোন ঘটনার আপডেট পেতে চোখ রাখতে আমন্ত্রন জানিয়েছেন তিনি। 

তার এই ভিডিও পাবলিশ হবার পর থেকে, পেজটি সার্চ করে দেখছেন নেটিজেনরা। ফলস্বরুপ, সেই নিউজ পেজটি এখন রয়েছে ট্রেন্ডিংএ। 

সানাই মাহবুব, বাংলাদেশের মিডিয়ায় আলোচিত তার কর্মকান্ডের জন্য। কারন তিনি যে বাংলাদেশের প্রথম নায়িকা যিনি স্তন সার্জারি করে আলোচনা এসেছিলেন। যদিও ভালো কাজ পেতে এবং আলোচনায় আসতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের নেয়ার সিদ্ধান্তের আশানুরূপ ফল পাননি। 

মূলত মডেল হিসেবেই শোবিজে কাজ শুরু করেন সানাই মাহবুব। একই সাথে উপস্থাপনাও করেছেন এরপর ২০১৬ সালেভালোবাসা ২৪×নামে একটি সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলেও তার কোনো সিনেমাই মুক্তি পায়নি।

এর মাঝেই সার্জারির মাধ্যমে শারিরিক ঘঠন পরিবর্তন করে ফেলেন তিনি। কিছুদিন আলোচনায় থাকলেও, আবারও আড়ালে চলে যায় এই মডেলের নাম। এরপর ২০২২ সালে বিয়ে করেন সানাই। যদিও বিয়ের বছরের মাথায় বিচ্ছেদের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি নিজেই। 

বিয়ের পর মিডিয়া থেকে দূরে থাকলেও, বিচ্ছেদের ঘোষণা দিতেই জানিয়েছিলেন আবারও কাজে ফিরবেন তিনি। যেই কথা সেই কাজ। কাজে ফিরেছছেন সানাই। তবে এবার অভিনয়ে নয়, বরং সংবাদ পাঠিকা হিসেবে। এখন দেখার পালা, সংবাদ পাঠের মধ্য দিয়ে এই অভিনেত্রীকাম ব্যাককতটা সফল হবে।

পশ্চিমবঙ্গের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি!

মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা! ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গায়েব! মামলা পশ্চিমবঙ্গের আদালতে! সংসদ সদস্য এবং দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ রীতিমতো অস্বস্তিকর অবস্থায়!

বাংলাদেশের এই ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ ।কথা দিয়ে নাকি কথা রাখেননি মমতাজ। পারফর্ম্যান্সের জন্য টাকা নিয়েও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি তিনি। 

গত ১৫ বছর ধরেই পশ্চিম বঙ্গের আদালতে চলছিলো এই মামলা। জানা যায়, প্রায় চৌদ্দ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ। 

২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য সেখানকার শক্তিশঙ্কর বাগচী নামে এক ইভেন্ট অর্গানাইজারের সাথে গায়িকার লিখিত চুক্তি হয়। 

সে অনুযায়ী ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজের সাথে ১৪ লক্ষ রূপীর বিনিময়ে চুক্তি হয়েছিলো। 

কিন্তু চুক্তি মোতাবেক অর্থ অগ্রিম নিয়ে কনসার্টে হাজিরই হননি মমতাজ। আর এজন্য ভেন্যুতে ব্যাপক ভাঙচুর হয়।  এতে করে চরম হেনস্তার মুখে পড়তে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজক শক্তিশঙ্কর বাগচীকে।

অভিযোগ উঠেছে, সেই টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে সরাসরি অস্বীকার করেন মমতাজ। এরপর চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন শক্তি বাগচি।  

কিন্তু থানা অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপরই এক প্রকারের বাধ্য হয়েই সরাসরি আদালতে মামলা ঠুকে দেন মুর্শিদাবাদের একটি আদালতে। 

দীর্ঘদিন পর গত ৯ই অগস্ট মুর্শিবাদবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অলক দাস মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন

তবে এই ঘটনা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিন তিনবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল মমতাজের নামে, প্রত্যেকবারই নানান টালবাহানা করে সেই পরোয়ানা এড়িয়েছেন মমতাজ।

জানা গিয়েছে, গত ৯ই অগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল গায়িকার। বিচারক আগেই জানিয়েছিলেন ওইদিন চার্জ  গঠন করা হবে মমতাজের নামে। উপস্থিত না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কথাও জানানো হয়েছিল, তা সত্ত্বেও হাজির হননি মমতাজ বেগম।

মমতাজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। সেই সূত্রে ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। 

পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এরই মধ্যে আগাম জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর বাগচী। 

২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। 

তবে মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একে একে তিনবার আগাম জামিন পেয়ে যান গায়িকা। আর গত ১৫ বছর ধরে আদলতের মারপ্যাচে একরকম নাজেহাল অবস্থা আয়োজকের! 

এ বিষয়ে বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়োজক বলেন,  ‘এই মামলায় আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার সেদিনের ১৪ লাখ রুপি অগ্রিম নিয়ে অনুষ্ঠান না করায় বহু আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার অগ্রিম অর্থ সুদসহ এবং মামলার সব খরচসহ আমার ১৫ বছরের হয়রানির ক্ষতিপূরণের টাকা চাই।

এর আগে মামলায় সহযোগিতা করার কথা বলেই তিনবার জামিন পান মমতাজ। কিন্তু গত ৯ই অগস্ট হাজিরা ফের এড়িয়ে যান তিনি। তারপরেই আবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়।

আল-কায়দার নতুন টার্গেট বাংলাদেশ এবং ভারত!

আলকায়দার নতুন টার্গেট বাংলাদেশ। সাথে রয়েছে ভারত। এই দুই দেশে পুনরায় সংগঠিত হবার চেষ্টায় মরিয়া আল কায়দা গোষ্ঠীটি। এমন তথ্য বেড়িয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক মহলে। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।

সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য অ্যানালিটিকাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ) এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে ওই সতর্কবার্তা এসেছে।

মূলত ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে সক্রিয় হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আল কায়েদা তাদের আঞ্চলিক মিত্রদলগুলোকে আবারও ‘সংগঠিত’ করছে বলে সতর্কবার্তা এসেছে জাতিসংঘের সেই প্রতিবেদনে।

জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন একিউআইএসকে (আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট) সংগঠিত করছে, তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।

আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা দুই হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

সেখানে বলা হয়েছে, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যাদের নেতা ওসামা মেহমুদ।

এছাড়া আফগানিস্তানে সক্রিয় আরেক জঙ্গি দল আইএসআইএল-কে কে এখন ওই অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে। পরিবারের সদস্যদের মিলিয়ে আইএসআইএল-কে এর ৪ থেকে ৬ হাজার সদস্য আফগানিস্তানে রয়েছে।

সানাউল্লাহ গাফারিকে আইএসআইএল-কে এর সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা ধরা হয়। যদিও একটি সদস্য রাষ্ট্র বলেছে, সানাউল্লাহ গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন। তবে ওই তথ্যের সত্যতা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আর জানা গেছে, “আইএসআইএল-কে আফগানিস্তানে তালেবান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয়ের উপরই হামলা করছে এবং দিন দিন তাদের হামলার সক্ষমতা এবং সফলতা বাড়ছে। তারা ‘হাই প্রোফাইল টার্গেটে’ হামলার কৌশল নিয়েছে, যাতে দেখানো যায় দেশটির বর্তমান তালেবান প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে কতটা ব্যর্থ।”

বলাই বাহুল্য আফগানিস্তান এখনো সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি দলগুলোর চারণভূমি হয়ে আছে। দেশটিতে প্রায় ২০টি জঙ্গি দল সক্রিয়। তারা ওই অঞ্চলের পুরোটা জুড়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে এবং ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে।

আফগানিস্তানের কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে নতুন নতুন প্রশিক্ষণ সেন্টার বানিয়ে আল-কায়েদা নিজেদের ‘পুনর্গঠন’ করছে বলেও ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন আর পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার ঘটনায় পর ধীরে ধীরে পুরা বিশ্বে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটায় আল-কায়েদা।

এ দলের নেতা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হওয়ার পর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। আরেক সন্ত্রাসী দল আইএস এর উত্থানও আল-কায়েদার প্রভাব কমাতে ভূমিকা রাখে।

লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি । ২০২২ সালের অগাস্টে আফগানিস্তানে সিআইএ-এর ড্রোন হামলায় তিনিও নিহত হন।

এরপরই বাংলাদেশে ২০১৩ সালের পর থেকে একের পর এক জঙ্গি হামলা ও হত্যার মধ্যে বেশ কিছু ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়েছিল আল-কায়েদার তরফ থেকে। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্য দাবি করে আসছে, ওইসব ঘটনা ঘটিয়েছে দেশীয় উগ্রবাদীরাই।

২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় বাংলাদেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদের’ ডাক দিয়েছিলেন জাওয়াহিরি। ওই বছরই আরেক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন তিনি।

শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক আরেক সন্ত্রাসী দল আইএসও গুলশান হামলাসহ বেশ কিছু জঙ্গি হামলার ‘কৃতিত্ব’ দাবি করেছিল। তারাও বাংলাদেশে আলাদা ‘খিলাফত’ ঘোষণা করে তাদের নেতার নাম ঘোষণা করেছিল। তবে গুলশান হামলার পর কয়েক বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যে দেশে জঙ্গি দলগুলোর তৎপরতা স্তিমিত হয়ে আসে।

বিশ্লেষকদের মতে আল কায়দার পুঃসঙ্গঠিত হওয়ার খবরে শংকিত আন্তর্জাতিক মহল। কারন দলটি বর্তমান বাংলাদেশ এবং ভারতে নজর দিয়ে রাখলেও, শংকায় আচ্ছান্ন কিন্তু অন্যান্য দেশ। কারন অতীতের ঘটনা থেকে বলাই যায়, অত্যন্ত লুকিয়ে লুকিয়ে নিজেদের গোষ্ঠী সংঘঠন করে থাকে দলটি। এরপরই নিজের মিশন কার্যকর করে থাকে। তাই এই দুই দেশের পর তাদের পরবর্তী টার্গেট কোন দেশে আটকায় তা ভাবতেই সন্দীহান অন্যান্য দেশ।

বিমানে বিড়ি খেয়ে ভাইরাল এক বাঙ্গালী!

বিমানে বিড়ি খেয়ে ভাইরাল এক বাঙ্গালী। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেষে বেড়াচ্ছে এমনই এক ভিডিও। এমন অপ্রিতিকর ঘটনা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।

ধুমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। যেখানেই এই কথা সিগারেটের প্যাকেটেই লেখা থাকে, সেখানে মানূষ যেন এই বাক্যের তোয়াক্কা না করেই চলে। বাসা থেকে বের হয়ে কোঠাও যেতে নিলে আর কোন কিছু চোখে পড়ুক আর না পড়ুক, একটা দৃশ্য একই ভাবে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ে, সেটা হচ্ছে মানুষের ধুমপান করা।

শুধু কিন্তু রাস্তাঘাতে এমন দৃশ্য দেখা যায় এমনটাও নয়। কিছু কিছু পরিবারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ঘড়ের মধ্যে অবলীলায় ধুমপান করে থাকে মানুষ। কিন্তু কিছু জায়গা আছে যেখানে ধুমপান নিষিদ্ধ। যেই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক ভাবে বেধে দেয়া আছে।

তার মধ্যে একটি স্তান হচ্ছে বিমানে। কঠোর নিয়ম বেধে দেয়া আছে এই বলে, বিমানে ধুমপান নিষিদ্ধ। সেই নিয়ম পালন হয়ে থাকে বিশ্বজুড়ে।

কিন্তু এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে এখন ভাইরাল এক ব্যক্তি। তিনি অন্য কোন দেশের নন, বাংলাদেশের। বিমানে চরে ধুমপান করেছেন সে ব্যক্তি। কি ঘটেছিল সেই মুহুর্তে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।

ঘটনাটি ঘটেছে মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের ভেতরে। বিমানের ভিতরে বসে ধুমপান করেছেন বাংলাদেশের এক লোক। বিষয়টি যখন আশেপাশের যাত্রীরা লক্ষ্য করেন তখনই তাকে থামিয়ে দেয়া হয়। এবং একটা সময়ে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।

গত ২৩ জুন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকাগামী একটি প্লেনে ধূমপানের ঘটনাটি ঘটে। মালয়েশিয়ার মালিনদো এয়ারলাইন্সের OD-166 ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার ঠিক আগমুহূর্তে এ ঘটনা ঘটায় তৎক্ষণাৎ সেই ব্যক্তিকে নামিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বুকিংয়ে দেওয়া তার মালামাল খুঁজে পেতে দেরি হওয়ায় এক ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ে বিমানটি। তবুও তাকে সাথে নিয়ে বিমান চালনা শুরু করতে চাননি বিমান কর্তৃপক্ষরা।

বিষয়টি শুনে তাজ্জব হয়ে গেছেন নিশ্চয়ই।ভাবছেন কিভাবে এমন কাজ করে ফেললেন সেই ব্যক্তি। এই ঘটনার চেয়ে বেশি অবাক করার মতো দ্ররশ্য দেখা গেছে তাকে নামিয়ে দেয়ার সময়। যা শুনলে আপনি যাবেন চমকে।

ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, নিজের কর্মের জন্য বিন্দুমাত্র লজ্জিত নন সেই ব্যক্তি। বরং অনবরত হাসতে হাসতে সিট থেকে বের হচ্ছেন তিনি।  যদিও এখন পর্যন্ত সেই ব্যক্তির নাম এবং পরিচয় প্রকাশ্যে আসেনি।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ব্যক্তিকে নিয়ে চলছে তোড়জোড় সমালোচনা। এই ঘটনায় মজা নিচ্ছেন এমন নেটিজেনদের পোস্ট ভেষে বেড়াচ্ছে নেটদুনিয়াতে।

এখন অনেকের মধ্যে এই প্রশ্ন উঠে এসেছে, বিমানে কেন ধুমপান নিষিদ্ধ?

এয়ারলাইনসের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনুসারে, বিমানে ধূমপান নিষিদ্ধ করার প্রধান দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমটি অগ্নি নিরাপত্তা। জানা যায় যে সিগারেট প্রায়শই অ্যাপার্টমেন্ট এবং শিল্প প্রাঙ্গনে আগুনের কারণ হয় এবং বিপজ্জনক উত্পাদনে এ জাতীয় তদারকি এমনকি একটি সত্য বিপর্যয়ের দিকেও ডেকে আনতে পারে।

দ্বিতীয় কারণ হ’ল ধূমপায়ী তার আশেপাশের লোকদের স্বাচ্ছন্দ্যে হস্তক্ষেপ করে। গবেষণা অনুসারে মানবসৃষ্ট ধোঁয়া সক্রিয় ধোঁয়ার চেয়ে কম ক্ষতিকারক নয়।

এছাড়াও বিমান যেহেতু এক বদ্ধ ঘর হিসেবে তুলনীয় এবং সেখানে অক্সিজেনের পরিমান সীমিত থাকে, তাই সেখানে ধুমপান করা হলে অন্যান্য যাত্রীদের শ্বাসপ্রস্বাসে সমস্যা তৈরি করতে পারে। শুধু তাই নয়, সেখানে যেই ধোয়ার গন্ধ তৈরি হবে, তাতে অনেকে স্বাচ্ছাদ্যবোধ করবে না।

ইতিহাস ঘেটে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে আমেরিকান রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রেগান প্রথম ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিলেন।

তিনি এমন একটি আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন যা বিশ্বজুড়ে সমস্ত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিল। একই বছর আমেরিকান এয়ারলাইনস তাদের বিমান ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিল।

নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ অসন্তুষ্ট থাকা সত্ত্বেও, বিপুল সংখ্যক যাত্রী এই আইনটি সহমত পোষন করেছেন এবং শীঘ্রই একে একে সকল বিমান সংস্থা ধূমপান নিষিদ্ধ করতে শুরু করে।

তবে বেশিরভাগ এয়ারলাইনস এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের খুঁজে পেলে তাদের শাস্তি দেয় এবং জরিমানার করে থাকে। যার পরিমাণ খুব বেশি। এমনকি কিছু দেশে, এই বিধি লঙ্ঘনকারিকে প্রশাসনিক দায়িত্বে আনা হয়ে থাকে। এখন দেখার পালা, ভাইরাল এই ধুমপায়ই ব্যক্তির জন্য কেমন সিদ্ধান্ত নিবেন বাংলাদেশের প্রসাশন। কারন তার কর্মকান্ডে দেশের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৪২ জনের মৃত্যু

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে বিষাক্ত মদপানে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু ও প্রায় একশ’ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ মদ আমদানি-রপ্তানি ও প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
খবরে বলা হয়, এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে গুজরাট রাজ্যের অনেক গ্রামে বিক্রি করা বিষাক্ত মদপান করার পর অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা অশোক ইয়াদেব এএফপি’কে বলেন, ওই মদপানের পর থেকে এ পর্যন্ত বোতাদ জেলায় ৩১ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাজে মদ্যপান ও মদ বিক্রি আইনগতভাবে নিষিদ্ধ।
পুলিশের আরেক সিনিয়র কর্মকর্তা ভি চন্দ্রশেখর এএফপি’কে বলেন, পার্শ্ববর্তী আহমেদাবাদ নগরীতে অপর ১১ জনের মৃত্যু হয়।
রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্শ সাংবি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তারা বিষাক্ত মদপান করেছিলেন।’
তিনি বলেন, এ মদপানের ঘটনায় চিকিৎসার জন্য ৯৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি তকরা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক।

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ৬ আসামীর মৃত্যুুদণ্ড

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটার ছয়জনের মৃত্যুদন্ড দিয়ে আজ রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন-বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হফিজুল আলম।

দন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার, সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক। কারাগারে থাকা ৫ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৪৮ তম রায়।
এর আগে গত ২২ মে খুলনার বটিয়াঘাটায় এ ছয়জনের বিরুদ্ধে রায় যে কোন দিন (সিএভি) ঘোষণার জন্য রেখে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। তিনি বলেন, এই মামলায় প্রাথমিকভাবে মোট আটজন আসামি থাকলেও একজন মারা গেছেন। ফলে তাকে বাদ দিয়ে বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হেলালউদ্দিনসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। তাদের মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করার পর মামলার আইও’র জেরার কার্যক্রম শুরু হয়।
২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে সাত ভলিউমের ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হয়।

এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত চারটি অপরাধেই অভিযোগ রয়েছে আসামি আমজাদ হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং পরে জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। অন্য ছয় আসামিও মুক্তিযুদ্ধকালে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং জামায়াতের সমর্থক ছিলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মন্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মন্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

তৃতীয় অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে।

চতুর্থ অভিযোগ: ’৭১ এর ২৯ নভেম্বরে এই আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মন্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে।

দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। একই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তার একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র দূর্বল অবস্থায় রয়েছে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা থাকবে তেঁতুলিয়ায় ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২৬ মিনিটে।