বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২” এর সফল আয়োজন

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে, বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন এর উদ্যোগে পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে ৩ দিন ব্যাপী “বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২” অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৪ মে ২০২২) তারিখে স্থানীয় জামুর স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স-এ টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনার তারিক আহসান।

তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে “ইয়াং টাইগার্স” টিমকে হারিয়ে “লিসবন সিক্সার্স” “বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২”- এর শিরোপা অর্জন করে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রীড়ামোদী দর্শক ছাড়াও, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীবৃন্দ, ছাত্র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ দূতাবাসের এই আয়োজন উপভোগ করেন।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত জনার তারিক আহসান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং জাতির পিতার কর্ম ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে দূতাবাস এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-এর আয়োজন করেছে। তিনি আরো বলেন, দেশ হতে সহস্র মাইল দূরে বিদেশের মাটিতে এইরকম এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রবাসীদের মাঝে আনন্দের উপলক্ষ্য বয়ে এনেছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১৭ মে দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ হতে টুর্নামেন্টের ঘোষণা দেয়া হয় এবং দল আহ্বান করা হয় যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিপুল সাড়া ফেলে। ২০ টি দলের অংশগ্রহণে নক-আউট ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্যায় এবং কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সান্তা আপোলোনিয়া মাঠে। এবং সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ গুলো অনুষ্ঠিত হয় জামুর স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে। শুধুমাত্র লিসবন-ই নয়, পর্তুগালের নানা প্রান্ত হতে ক্রীড়াপ্রেমী বাংলাদেশীগণ এর টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ করেন।

সকালটাও রাঙালেন সাকিব

শেষ বিকেলে যেখানে থেমেছিলেন, সাকিব আল হাসানের শুরুটা করলেন সেখানেই। ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিথাকে ফিরিয়েছিলেন এবাদত হোসেন।

কিন্তু তাতে স্বস্তি মিলছিল না পুরোপুরি। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নেই যে তখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অস্বস্তির।
সেটা অবশ্য বেশিক্ষণ রাখলেন না সাকিব। করুণারত্নেকে আউট করলেন দুর্দান্ত এক ডেলেভারিতে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের চেয়ে তারা এখনও পিছিয়ে আছে ১৯৫ রানে।

২ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিনে ১ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরত যান কাসুন রাজিথা। ১২ বলে ০ রান করে তিনি বোল্ড হন এবাদতের বলে।

এরপর বাংলাদেশকে দ্রুতই দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন সাকিব। ১৫৫ বলে ৮০ রান করা করুণারত্নেকে করা তার বল অফ স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে স্টাম্পে আঘাত হানে। গতকাল বিকেলে কুশল মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে রেখে বাংলাদেশের জন্য দিনশেষ করেন তিনি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

প্রথম টেস্টের একাদশ থেকে দু’টি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া স্পিনার নাঈম হাসান ও পেসার শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও এবাদত হোসেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক।

একাদশে দু’টি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলংকাও। লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ও বিশ্ব ফার্নান্দোর পরিবর্তে ঢাকা টেস্টের একাদশে প্রাভীন জয়াবিক্রমা ও কাসুন রাজিথা।
এখন পর্যন্ত শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৩টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জয় ১টি। ১৭টি হার ও ৫টিতে ড্র করেছে টাইগাররা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছিলো।
বাংলাদেশ একাদশ : মোমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ।

শ্রীলংকা একাদশ : দিমুথ করুনারতেœ (অধিনায়ক), ওশাদা ফার্নান্দো, কুশাল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দিনেশ চন্ডিমাল, নিরোশান ডিকবেলা, রমেশ মেন্ডিস, আসিথা ফার্নান্দো, প্রাভীন জয়াবিক্রমা ও কাসুন রাজিথা।

পরিবর্তন ছাড়াই দ্বিতীয় টেস্টের বাংলাদেশ দল

বড় কোন পরিবর্তন ছাড়াই শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় টেস্টটি শুরু হবে ২৩ মে।

হাতে চিড় ধরায় দ্বিতীয় টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তবে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে থাকা অন্যান্যরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন। এর আগে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলার সময় হাতের আঙ্গুলের ইনুজরির কারনে প্রথম টেস্টের দলে অর্ন্তুভুক্ত হবার পরও বাদ পড়েন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, দ্বিতীয় টেস্টের দলে জায়গা করে নিতে পারেননি মিরাজ। তবে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে মিরাজের ফিট হয়ে ওঠার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে ।
আজ আবেদিন বলেন, ‘সে দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছে। আশা করা হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে তাকে বিবেচনা করা হবে।’

তিনি আরও জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ মিস করবেন শরিফুল। তবে সীমিত ওভারের সিরিজে তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবেদিন বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ফিট হবার সম্ভাবনা নেই শরিফুলের। তবে সীমিত ওভারের সিরিজে তার খেলার সুযোগ রয়েছে।’
আবেদিন জানান, ঢাকায় ফেরার পর মুস্তাফিজুর রহমান টেস্ট ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।

দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াড : মোমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নুরুল হাসান সোহেল, মোসাদ্দেক হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, এবাদত হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা।

তামিম সেঞ্চুরিতে জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ

শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তার সেঞ্চুরিতে ৭২ ওভারে ৩ উইকেটে ২২০ রান তুলে তৃতীয় দিনের চা-বিরতিতে গেল বাংলাদেশ। এখনো ১৭৭ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রান করেছিলো শ্রীলংকা।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি তুলে ১৩৩ রানে অপরাজিত আছেন তামিম।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দ্বিতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৭৬ রান করেছিলো বাংলাদেশ। জয় ৩১ ও তামিম ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

আজ তৃতীয় দিন জয়ের সাথে ১৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তামিম। জয় ৫৮ রানে আউট হন। এরপর মিডল-অর্ডারে দ্রুত ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মোমিনুল হক। দু’জনই ২ রান করে আউট হন।

১৬২ বলে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তামিম। তার সাথে ১৪ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থর্প

‘গুরুতর’ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার গ্রাহাম থর্প। ইংল্যান্ডের গতকাল প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিসিএ) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

থর্পের পরিবারের অনুরোধে এক বিবৃতিতে পিসিএ জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন থর্প এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অসুস্থতার কারন এখনও অস্পষ্ট এবং এই সময়ে আমরা তার ও তার পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনুরোধ করছি। গ্রাহাম ও তার পরিবার আমাদের ভাবনায় আছে।’

১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ১শটি টেস্ট ও ৮২টি ওয়ানডে খেলেছেন থর্প। টেস্টে ১৬টি সেঞ্চুরি ও ৩৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬৭৪৪ রান করেছেন তিনি।  আর ২১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ওয়ানডেতে ২৩৮০ রান রয়েছে তার।
সদ্য আফগানিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান ৫২ বছর বয়সী থর্প। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কোচিং প্যানেলে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের কারনে এক দশক পর ইংল্যান্ডের কোচিং প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ান থর্প।

২০০৫ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন থর্প। নিউ সাউথ ওয়েলসের সাথে কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের কোচিং প্যানেলের সাথে কাজ শুরু করেন থর্প। ক্রিস সিলভারউডের অধীনে তার সহকারী কোচ ও ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

সাকিবের জোড়া আঘাত

৩২৪ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতেই বিপর্যয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ

কার্লোস ব্রাফেট আর কাইরেন পাওয়েলের ওপেনিং জুটি ধীরে-সুস্থেই এগোচ্ছিল। ২৯ রান স্কোরবোর্ডে উঠেও গিয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধলেন তাইজুল ইসলাম। পাওয়েলকে এলবিডব্লু  করে বাংলাদেশকে এনে দিলেন প্রথম সাফল্য। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বড় বিপর্যয়ে ফেলে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। দলীয় ৩০ রানে বোল্ড শাই হোপ আর ৩১ রানে ব্রাফেটকে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৪। ১৯ রানে অপরাজিত আছেন রোস্টন চেজ। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন সুনীল আমব্রিস।

উইন্ডিজের ৩ উইকেট ফেলে দিয়েছে সাকিবরা। ছবি: শামসুল হকএর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আগের দিনের সঙ্গে ৯ রান যোগ করে ৩২৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২৩৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংসটাকে ৩২৪ পর্যন্ত এগিয়ে নেয় নবম উইকেটে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান জুটি। এই জুটিতে আসে ৬৫ রান। তাইজুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৯ রানে। নাঈম হাসান ফেরেন ২৬ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২০ রান করেছেন মুমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া ইমরুল কায়েস ৪৪ আর সাকিব ৩৪ রান করেন।

বিশ্বকাপে যেমন হতে পারে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার গ্রুপ

বাছাই পর্বের লড়াই শেষ। স্বাগতিক রাশিয়াসহ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ৩২টি দেশ। আগামী ১ ডিসেম্বর হবে দলগুলোর গ্রুপ নির্ধারণের ড্র।

এদিকে গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের পটগুলোও নির্ধারণ হয়ে গেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে ফিফা র‍্যাংকিং অনুযায়ী পটগুলোতে জায়গা পাচ্ছে কোয়ালিফাই করা দলগুলো। কোয়ালিফাই করা ৩২ দলের মধ্যে র‍্যাংকিংয়ের প্রথম ৭ দল এবং স্বাগতিক রাশিয়া আছে পট-১ এ। র‍্যাংকিং অনুযায়ী পট-২, পট-৩ এবং পট-৪ এ থাকছে যথাক্রমে আটটি করে দল।

এই চার পটের প্রত্যেকটি থেকে লটারির মাধ্যমে একটি করে দল নিয়ে গড়া হবে আটটি গ্রুপ। অর্থাৎ, ‘এ’ থেকে ‘এইচ’ পর্যন্ত প্রতি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দল।

নিয়ম অনুযায়ী, একই কনফেডারেশন থেকে কোয়ালিফাই করা একাধিক দল একই গ্রুপে থাকতে পারবে না। উয়েফাভুক্ত দলগুলোর এ ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা ব্যতিক্রম। এ অঞ্চলের দল বেশি হওয়ায় সর্বোচ্চ দুইটি দল একই গ্রুপে থাকতে পারবে। একই পটে থাকায় গ্রুপ পর্বে দেখা হবার কোন সম্ভাবনা নেই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার।

তবে গ্রুপ পর্বে মেসি/নেইমারদের দেখা হয়ে যেতে পারে স্পেনের। স্পেনকে না পেলে আর্জেন্টিনা/ব্রাজিল পেতে পারে ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্য থেকে একটি দল অথবা মেক্সিকোকে। পট-২ থেকে যদি ইউরোপের কোন দলকে না পায় আর্জেন্টিনা অথবা ব্রাজিল, তবে পট-৩ থেকে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড এবং সুইডেনের মধ্য থেকে একটি দল হতে পারে তাদের গ্রুপ সঙ্গী। তিউনিসিয়া, মিসর এবং সেনেগালের মধ্য থেকেও একটি দলকে পেতে পারে দলদুটি। তবে এক্ষেত্রে পট-২ থেকে কোন আফ্রিকান দল গ্রুপে থাকতে পারবে না। গত আসরের মতো ইরানকেও একই গ্রুপে পেতে পরে মেসি-নেইমাররা।

পট-২ এবং পট-৩ থেকে ইউরোপের কোন দলকে না পেলে অথবা যে কোনো একটি দল পেলে গ্রুপ পর্বেই আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিলের সঙ্গে দেখা হতে পারে সার্বিয়ার। তা যদি না হয় তবে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা সৌদি আরবের মধ্য থেকে যে কোনো একটি দলকে পেতে পারে মেসি-নেইমাররা তবে যদি ইরান না থাকে।

আর্জেন্টিনা অথবা ব্রাজিলের সম্ভাব্য সহজ গ্রুপ: আর্জেন্টিনা/ব্রাজিল, মেক্সিকো, মিশর এবং সৌদি আরব।

আর্জেন্টিনা অথবা ব্রাজিলের সম্ভাব্য কঠিন গ্রুপ: আর্জেন্টিনা/ব্রাজিল, স্পেন, ডেনমার্ক এবং নাইজেরিয়া।

রিয়ালের ড্রতে আরও এগিয়ে গেল বার্সা

চলতি মৌসুমটা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের। জিরোনা ও রিয়াল বেতিসের মত দলের কাছে হেরে আছে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে। এরই মধ্যে আগের ম্যাচে লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোলে লেগানেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সাও এগিয়ে ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে।

তাই বার্সার সঙ্গে ব্যবধান কমাতে মাদ্রিদ ডার্বিটি ছিল রোনালদোদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাথলেটিকোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে জিনেদিন জিদানের দল। এতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার সঙ্গে ব্যবধান একের বেশি কমাতে পারলো রিয়াল মাদ্রিদ

অ্যাথলেটিকোর নতুন মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোয় ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় স্বাগতিক দলের ফরোয়ার্ড কোরিয়া। মার্সেলো ও রাফোয়েল ভারানের ভুলে বল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন এই তারকা। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে বসেন এই তারকা।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে রিয়ালের হয়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রুস। তবে রোনালদোর বাড়ানো বল পাশের জালে জড়ান জার্মান তারকা। চার মিনিট পর রোনালদোর ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইনজুরিতে ভোগা নিয়মিত অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে তুলে নেন জিদান। বেনজেমার বদলে মাঠে আসেন মার্কো আসেনসিও। এরপর রিয়ালের আক্রমণের ধার বেড়ে যায়। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় আরাধ্য গোলের দেখা আর মেলেনি।

উল্টো ম্যাচের ৭৮ মিনিটে প্রায় গোল খেয়েই বসেছিল রিয়াল। কেভিন গ্যামিরোর চিপ শটে বল কিকো কাসিয়ার মাথার উপর দিয়ে ভিতরে ঢুকতে যাচ্ছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে হেড করে ফেরান ভারানে।

এই ড্রয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লো জিদানের শিষ্যরা। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে মেসির বার্সা। এক ম্যাচ কম খেলা ভালেন্সিয়া ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।

বাংলাদেশের বিপক্ষেই কোচ হয়ে আসছেন হাথুরু!

পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করে ফেলেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব আর পালন করবেন না তিনি। অথচ বিসিবি এখনও চেয়ে আছে তার ফেরার আসায়। আগেরদিনই বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘হাথুরু আসলে তাকে থেকে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হবে। অন্ততঃ সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজটা যেন তিনি সম্পন্ন করে যান, সে অনুরোধ জানানো হবে।’ একই সঙ্গে আকরাম খান এও জানিয়েছেন, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে হাথুরুর।

কিন্তু বিসিবি এখনও অলীক স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। হাথুরু যে বাংলাদেশ দলের কোচিংয়ে আর ফিরছেন না এটা এখন পুরোপুরিই নিশ্চিত। শুধু তাই নয়, তিনি ঢাকায় ফিরবেন, তবে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে নয়, কিংবা এ সম্পর্কিত কোনো আলোচনার জন্যও নয়। তিনি ঢাকায় ফিরে আসবেন, বাংলাদেশেরই বিরুদ্ধে, শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে।

ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো সংবাদ প্রকাশ করেছে, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে হাথুরুসিংহের মৌখিক আলোচনা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবে দুই পক্ষ এবং আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম সিরিজে লঙ্কানদের কোচ হয়েই ঢাকায় আসবেন হাথুরুসিংহে।’

নভেম্বর ৯ তারিখই ক্রিকইনফোর মাধ্যমে সবাই জানতে পারে, বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ওইদিনই সন্ধ্যায় বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাহমুল হাসান পাপন মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময়ই বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান হাথুরু। তবে তারা তার (হাথুরু) সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে যাবেন না বলেও জানান পাপন। যদিও পাপন, এমনকি বিসিবির কয়েকজন কর্মকর্তা মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, হাথুরু আর তাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। কারও কল ধরছেন না। বিসিবির সিইও যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাননি।

হাথুরুসিংহে শ্রীলঙ্কার কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন নাকি অন্য কোথাও যাচ্ছেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানে না বিসিবি। বোর্ড পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ক্রিকইনফোকে জানান, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনও জানি না সে আমাদের এখানে থাকছে কী থাকছে না। কিংবা অন্য কোথাও চাকরি নিচ্ছে কি-না সেটাও জানি না।’

যখন জিজ্ঞাসা করা হলো যে, শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে তো সম্ভবত তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ। বিষয়টা কেমন হবে? জবাবে জালাল ইউনুস বলেন, ‘যদি সে শ্রীলঙ্কার কোচের পদ গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেই এখানে আসে, তাহলে এটা লঙ্কানদের জন্য বিশাল সুবিধার। কারণ, আমাদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে এ মুহূর্তে হাথুরুসিংহে ছাড়া আর কেউ বেশি জানে না। শুধুমাত্র ল্যাপটপে বসেই নয়, একেবারে হাতে-কলমে সব কিছু জানে সে। তিনি আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সম্পর্কেও অবহিত। আমাদের উইকেট এবং পরিবেশ সম্পর্কেও তার স্বচ্ছ ধারনা, জানা-শোনা। তবে এটা ঠিক, লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে সে দীর্ঘদিন পর কাজ করতে যাবে। সুতরাং, এখানে তার মানিয়ে নিতে কিছু সময় লাগতেই পারে।’

২০১৪ সালে ঠিক একই অবস্থায় পড়েছিল শ্রীলঙ্কাও। কারণ, লঙ্কানদের প্রধান কোচের পদ থেকে হঠাৎ পদত্যাগ করে ইংল্যান্ডের সহকারী কোচের দায়িত্ব নেন পল ফারব্রেস। তার এক সপ্তাহ পরই ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।