সয়াবিন তেলের দাম না বাড়িয়ে উপায় ছিল না: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ প্রায় সব দেশেই তেলের দাম বেড়েছে। সোমবার (৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেনের শুরুতে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, সেটা সত্যি। সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটাও সত্যি। তবে সয়াবিন তেলের দাম না বাড়িয়ে উপায় ছিল না। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ তেল উৎপাদন করি, কিন্তু ৯০ শতাংশই বাইরে থেকে আসে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তেলের দাম নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর ছাপা হচ্ছে। কিন্তু কোথাও বলা হচ্ছে না, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। গত এক বা দেড় মাসে গ্লোবাল মার্কেটে দামের কেমন তারতম্য সেটা নিয়ে কোনো নিউজ করা হচ্ছে না।

 

ঈদের আগে হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

 এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, এখন খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সোমবার রাজধানীর খিলগাঁও, মুগদা, বাড্ডা ও কারওয়ান বাজার এলাকায় ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। খিলগাঁও কাচাবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফখরুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে দুই কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৫০ টাকা দিয়ে। কেজি পড়েছে ২৫ টাকা। আজকে কেজি চাচ্ছে ৩৫ টাকা। এমনকি সমস্যা হলো যে হঠাৎ করেই ১০ টাকা বেড়ে গেল? দুই-তিন দোকান ঘুরে দুই কেজি কিনলাম ৬৫ টাকা নিল। মুগদায় রাস্তায় ভ্যানে পেঁয়াজ বিক্রি করছে কুদ্দুস। তিনি জানান, চারদিন আগেও ঘাটে (পাইকারি বাজারে) পেঁয়াজের কেজি খরচসহ ২১ থেকে ২২ টাকা পড়ত। এনে ২৫/২৬ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন খরচসহ ২৮ টাকার ওপর কেনা পড়ে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিক্রি কম। তাই ৩০ টাকায় বিক্রি করছি।

কিন্তু ৩০ টাকায় বিক্রি করলে এখন লাভ থাকে না। কারণ কাঁচামাল অনেক ঘাটতি হয়ে যায়। পেঁয়াজের বাজার একটু চড়া বলছেন কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মোজাম্মেল। তিনি জানান, গত তিন-চারদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার বাড়তির দিকে। আজকে পেঁয়াজ খুচরা দেশি ৩২ টাকা আর হাইব্রিড ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পাইকারারদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করি। তারা দাম বাড়িয়েছে, বলছে সরবরাহ কম। পাইকারিবাজার ও আড়তে দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে রাজধানীর শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের নেতা মেসার্স আলী ট্রেডার্সের পরিচালক মো. শামসুর রহমান বলেন, কাঁচামাল সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়ে।

বেশি থাকলে দাম কমে। গত কয়েক দিন সরবরাহ কম ছিল তাই বাজার এখন বাড়তি। আজকে পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৬ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে। জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে ৩৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২৩ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে উৎপাদন হয়। ঘাটতিতে থাকা বাকি পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

এদিকে বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তাই হঠাৎ দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তারপরও হঠাৎ দাম কেন বাড়ছে বিষয়টি দেখতে আমাদের তদারকি টিম মাঠে যাবে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়। যদি কেউ সরবরাহর কথা বলে নিয়মবহির্ভূত দাম বাড়িয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তরায় ফায়কা বুটিকসের যাত্রা শুরু

দেশীয় পোশাকের সমাহারে রাজধানী উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে যাত্রা শুরু করলো ফায়কা ওম্যানস ক্লথিং বুটিকস। ঐতিহ্যবাহী মসলিন-জামদানির ওপর আধুনিক ডিজাইন ও শৈল্পিক প্রিন্টের শাড়ি, তরুণীদের সালোয়ার কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, কুর্তি আর কাফতান পাওয়া যাচ্ছে এই বুটিকস হাউসে।

সম্প্রতি বুটিকস হাউসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ফায়কা বুটিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়কা ইসলাম এ্যানি। এ সময় বিবিয়ানা ফ্যাশনসের স্বত্বাধিকারী লিপি খন্দকার, অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম প্রোডিউসার পুনাম প্রিয়াম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফায়কা ইসলাম এ্যানি বলেন, ফায়কা বুটিকসের বেশিরভাগ পোশাকই তার একান্ত ভাবনা-চিন্তার প্রতিফলন। প্রতিটি পোশাকের ডিজাউন ও রঙের ব্যবহারে রয়েছে নতুনত্ব। একজন ফ্যাশন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে চেষ্টা করি সুন্দর কিছু সৃষ্টি করতে। যা মানুষকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলে।’

স্বল্প সুদে এসএমই ঋণ দিতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) প্রতিষ্ঠানে কম সুদে ঋণ দিতে ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে প্রস্তাবিত এ তহবিলে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বাকি ৪০ মিলিয়ন ডলার দেবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, এ পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট প্রকল্প অর্থের সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশের যোগান দেবে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ বহন করবে ঋণ গ্রহীতা।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে এ তহবিলের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ৪ শতাংশ হারে সুদ নেবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা ঋণ পাবেন। এর মধ্যমেয়াদী ঋণের কার্যকাল হবে ৩ বছর এবং দীর্ঘমেয়াদী ৫ বছর।

এতে পুরুষ ঋণ গ্রহীতাদের বাজার ভিত্তিক সুদের হারে ঋণ দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তহবিলের ১৫ শতাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণের হার হবে ১০ শতাংশ। মোট তহবিলের দুই-তৃতীয়াংশ কুটির, ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প এবং অবশিষ্ট মাঝারি শিল্পের জন্য নির্ধারিত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরেও এ তহবিল থেকে ঋণ নেয়া যাবে।

​পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে রফতানির স্বীকৃতি দিল এইচএসবিসি

রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে দ্য হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ (এইচএসবিসি)। শুক্রবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘এইচএসবিসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের রফতানি আয়ের প্রধান খাত ছিল পাট, চা এবং চামড়া। এখন পোশাক আমাদের প্রধান রফতানি পণ্য। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের রফতানি আয় ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসলে রফতানি আয় বেড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার হয়। আর এখন তা বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সওয়া দ্য মেরিকো।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার সব রকম চেষ্টা করা হবে।

এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সওয়া দ্য মেরিকো বলেন, আমাদের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থেনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সব সময়ই নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। এ সকল ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দিতে পেরে এইচএসবিসি গর্বিত।

অনুষ্ঠানে তৈরি পোশাক শিল্পে বছরের সেরা রফতানিকারকের (গ্রুপ এ) পুরস্কার দেয়া হয় স্কয়ার ফ্যাশন্স লিমিটেডকে। ২০০১ সালে প্রকল্প এবং ২০০২ সালে উৎপাদন শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ২৫টি ব্রান্ডের পণ্য বিশ্বের ৭৫টি দেশে রফতানি হয় বলে জানানো হয়। কোম্পানিটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের উপরে।

এ ছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পে ‘বি’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারকের পুরস্কার দেয়া হয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড। ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ ওভেন গার্মেন্টসটি বিশ্বের ৪০টি দেশে পণ্য রফতানি করছে। কোম্পানিটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে।

‘সাপ্লাই চেইন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ অ্যাপারেল’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারকের পুরস্কার দেয়া হয়েছে- এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডকে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করা এ কোম্পানিটি ২১টি দেশে পণ্য রফতানি করছে। প্রতিষ্ঠানটির রফতানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

‘সনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্রে’ বছরের সেরা রফতানিকারক পুরস্কার দেয়া হয়েছে- সীমার্ক (বিডি) লিমিটেডকে। ২০০২ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে সী-ফুড রফতানি করে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার দেয়া হয়েছে- ক্লাসিকাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বাংলাদেশকে। নীলফামারিতে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটিতে ২ হাজার কর্মী কাজ করে। বিশ্বের ৩৩টি দেশে হাতে তৈরি গৃহসজ্জা সামগ্রী রফতানি করে এ কোম্পানিটি বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।

শেহ্জাদ মুনীম ফরেন চেম্বারের নতুন সভাপতি

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটি বাংলাদেশ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম।

তিনি ফিকির ২০১৭-২০১৯ বর্ষের পরিচালক বোর্ডে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর শেহ্জাদ মুনীম ১৯৯৭ সালে টেরিটোরি অফিসার হিসেবে বিএটি বাংলাদেশে কর্মজীবন শুরু করেন।

তিনি ২০১০ সালে বিএটি বাংলাদেশের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ২০১৩ সালে প্রথম বাংলাদেশি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিএটি বাংলাদেশে দীর্ঘ দুই দশকের কর্মজীবনে তিনি নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

অন্যদিকে দেশের বৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট কেভিন লায়ন ফিকির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পেশায় প্রকৌশলী লায়ন ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েমিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি লাভ করেন।

কমেছে সব ধরনের সবজির দাম

শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। বেশকিছু সবজি প্রতি কেজি ৩০ টাকার কমেও পাওয়া যাচ্ছে। পাঁচ টাকায় মিলছে লাল, সবুজ ও মুলা শাক। তবে টমেটো ও নতুন আলুর কেজি এখনও ১০০ টাকার ঘরেই রয়েছে।

শুক্রবার রামপুরা, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এবং খিলগাঁও এলাকার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম ও লাউয়ে এখন বাজার ভরপুর। সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে পালং শাক ও শালগম। এছাড়া ঝিঙা, পটল, করলা, ঢেঁড়স, ধুন্দল, চিচিংগা, বেগুনসহ সবকিছুর পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। যে কারণে সব ধরণের সবজির দাম গত মাসের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমার দিকে থেকে সবার ওপরে রয়েছে শিম ও বেগুন। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি দু’টির দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা কমেছে। বাজার ও মানভেদে এখন প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৯০ টাকা।

আর বেগুনের দাম এক লাফে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় নেমে এসেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে।

এদিকে হঠাৎ করে ৯০ টাকা ছুঁয়ে ফেলা দেশি পেঁয়াজের দাম অনেকটাই স্থির রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে।

এদিকে ৩০ টাকা কেজি দরের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পটল, মুলা, ধুন্দল, শালগম, পেঁপে। গত সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পটলের দাম কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় চলে এসেছে। এছাড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া মুলার দাম এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

ধুন্দল পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এ সবজিটির দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। পেঁপের দাম ৩০ টাকা থেকে কমে ২০ টাকায় নেমে এসেছে। বাজারে নতুন আসা সবজি শালগমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।

রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইমরান আলী বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরণের সবজির দাম কমেছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতিকেজি শিম বিক্রি করেছি ৮০ টাকায়। আজ বিক্রি করছি ৫০ টাকায়। তবে গতকাল প্রতি কেজি শিমের দাম ছিল ৪০ টাকা। আসলে শুক্রবার দাম একটু বেশি থাকে, তাই গতকালের চেয়ে আজ দাম একটু বেশি।

এ ব্যবসায়ী বলেন, বাজরে এখন সব ধরণের শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে দাম কমে আসছে। সামনে বৃষ্টি-বন্যা না হলে সরবরাহ আরও বাড়বে; তখন দাম আরও কমে যাবে।

শুক্রবার দাম কমার তালিকায় রয়েছে- ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, লাউ, ফুলকপি ও বাঁধাকপি। করলার দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ঝিঙে, চিচিংগা, ঢেঁড়সের দাম কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতিটি লাউয়ের দাম কমে আজ ৩০ টাকা হয়েছে। আর ৫ টাকার মতো কমে প্রতি পিস ছোট ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। বড় আকারের প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আর মাঝারি আকারের ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।

রামপুরা বৌ-বাজারে আয়েশা বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, সবজির দাম কমায় কিছুটা হলেও ভাল লাগছে। সত্যি কথা বলতে গত সপ্তাহ পর্যন্ত সবজির দাম আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। এখন কিছু কিছু সবজি ৩০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারছি, যা ১৫ দিন আগেও ৬০ টাকার বেশি ছিল। তবে ইচ্ছা থাকলেও টমেটো এখনও কিনে খাওয়ার পর্যায়ে আসেনি। বিক্রেতারা ২৫০ গ্রাম টমেটোর দাম চাচ্ছেন ৩০ টাকা।

সবজির মতো এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের শাকের দাম। ২০ থেকে ২৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হওয়া লাল শাক ও সবুজ শাকের দাম কমে ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হওয়া মুলা শাকের দাম কমে হয়েছে ৫ টাকা। আর ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া লাউশাক এক লাফে নেমে এসেছে ১৪ থেকে ২০ টাকায়।

দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে কাঁচামরিচও। গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাদা ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁও তালতলা বাজারের ব্যবসায়ী জসিম মিয়া বলেন, বাজারে শাক-সবজি ভরপুর থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। মাত্র পাঁচ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে লাল, সবুজ ও মুলা শাক। এর থেকে দাম আর কতো কমবো। সব ধরণের শাক এখন বেশ সস্তা। তবে কিছু কিছু সবজির দাম এখনও ৪০ টাকার ওপরে। আশা করছি এসব সবজির দামও খুব শিগগিরই কমে যাবে।

এডিবির সঙ্গে ২১০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় দুই হাজার একশ কোটি টাকা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এ অর্থ ব্যয় হবে।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মলেন কক্ষে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া একটি প্রকল্প চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। সরকারের পক্ষ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। এছাড়া প্রকল্প চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক।

সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো উন্নয়ন সুবিধার তৃতীয় প্রকল্পে এই ঋণ নেয়া হচ্ছে। এ ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশকে লন্ডন আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সুদ হারের সঙ্গে আরও দশমিক ৫০ শতাংশ যুক্ত করে সুদ দিতে হবে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের ৯২৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। এজন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের বিপরীতে বিদেশি সংস্থার প্রতিশ্রুতির যে পরিমাণ অর্থ ছাড় হয়েছে তা গত বছরের দ্বিগুণ। ভবিষ্যতে এর হার আরও বাড়বে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এডিবির দেয়া ঋণের মধ্য ২৫ কোটি ডলার অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্সেস (ওসিআর)। এটি পাঁচ বছর গ্রেসপিরিয়ডসহ ২০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এতে সুদহার লাইবোরের (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট) সঙ্গে দশমিক ৫০ শতাংশ। এছাড়া দশমিক ১০ শতাংশ হারে ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম ও অব্যয়িত অর্থের উপর দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে। বাকি এক কোটি ডলার হবে ওসিআর কনসেশনাল ঋণ। এটি পাঁচ চছর গ্রেসপিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সুদ হার দুই শতাংশ।

ইআরডি সূত্র জানায়, ঋণের পরিমাণ হবে ২৬ কোটি মার্কিন ডলার (দুই হাজার একশ কোটি টাকা)। আগের মতোই দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এডিবি এ ঋণ দেবে।

জানা গেছে, আগের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করায় ‘তৃতীয় পাবলিক-প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটি ট্র্যাচ-১’ নামে পিপিপি প্রকল্পগুলোতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে এডিবি। এতে সরকারি বাজেট থেকে সরাসরি অর্থায়নের চাপ কমবে।

প্রকল্পের লক্ষ্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সুবিধার সহায়তা প্রদান।

১১০ দেশে ওষুধ রফতানি হয়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১১০টি দেশে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ রফতানি হয়েছে। রোববার জাতীয় সংসদে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওষুধ রফতানির উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তান, আরমানিয়া অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইন, বসনিয়া, বেলজিয়াম, বুকিনাফাসু, বুরুন্ডি, স্টেন্ট বার্থলেমি, ব্রাজিল, ভুটান, বোসতানা, বেলিজ, কানাডা, কঙ্গো, সুইজারল্যান্ড, কোড ডি আইভেরি, চিলি, ক্যামেরুন, চিন, কলোম্বিয়া, কোস্টারিকা, জার্মানি, ডেনমার্ক, ডোমিনিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, ইথিওপিয়া।

এছাড়া ফিজি, ফ্যালকন, আইল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্জিয়া, ঘানা, ঘিনি, গুয়েতেমালা, হংকং, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল, ভারত, ইরাক, ইরান, ইতালি, জ্যামাইকা, জর্ডান, কেনিয়া, কম্বোডিয়া, কোরিয়া, লাউস, লেবানন, শ্রীলংঙ্কা, লেসোথা, লিবিয়া, মরক্বো, মালাদোভা, ম্যাসেডোনিয়া, মালি, মিয়ানমার, মঙ্গোলিয়া, মেকাও, মরিশাস, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, নিকারাগুয়া, নেদারল্যান্ডস, নেপাল, ওমান, পানামা, পেরু, পাপুয়া নিউ গিনি।

ফিলিপাইন, পাকিস্তান, পালাউ, রোমানিয়া, রোয়ান্ডা, সৌদি আরব, সলোমান, আইল্যান্ড, সুদান, সিঙ্গাপুর, স্লোভেনিয়া, সিয়েরা লিওন, সেনেগাল, সোমালিয়া, সুরিনাম, চাদ থাইল্যান্ড, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তিউনেশিয়া, তুরস্ক, তাইওয়ান তাঞ্জানিয়া, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে।

বিনিয়োগ বাড়াতে চীনের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান

দেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। রোববার ফেডারেশন ভবনে সফররত চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (সিসিপিআইটি) ৯ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় এফবিসিসিআই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এ আহ্বান জানান।

সিসিপিআইটির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ভাইস চেয়ারম্যান মি. লিন জিয়ং। মি. লিন বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এফবিসিসিআই এবং সিসিপিআইটি, গুয়াংডং-এর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এফবিসিসিআই পরিচালক সালাহউদ্দিন আলমগীর, রেজাউল করিম রেজনু প্রমুখ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাক্স হলিডে, কর্পোরেট কর সুবিধা ইত্যাদি গ্রহণ করে চীনা ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান এবং সমুদ্র বন্দরে ( চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা) সুবিধা গ্রহণ করে চীনা ব্যবসায়ীরা এ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ ছাড়াও তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে তা গ্রহণ করে চীনা ব্যবসায়ীদেরকে এ দেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৯৪৯.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য চীনে রফতানি করে এবং চীন থেকে ১০১২৮.১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। চীনে বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে- ওভেন, গার্মেন্টস, চামড়াজাত পণ্য, নীটওয়্যার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, ফ্রোজেন ফুড এবং প্লাস্টিক ও প্লাস্টিক সামগ্রী। আর চীন থেকে মূলত টেক্সটাইল এবং টেক্সটাইল সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রী আমদানি করা হয়।