চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৬৬, সংক্রমণ দ্বিগুণ

জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৬৬ জন নতুন শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।

উল্লেখ্য, এর আগের দিনও ৯৩৭ নমুনা পরীক্ষায় কোভিডে আক্রান্ত চিহ্নিত হন ৬৬ জন। তবে সংক্রমণ হার ছিল ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর বারো ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৬৬ জনের মধ্যে শহরের ৬১ ও তিন উপজেলার ৫ জন। উপজেলার ৫ জনের মধ্যে হাটহাজারী ও আনোয়ারায় ২ জন করে এবং পটিয়ায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৫১০ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৬৮ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে গতকালও সবচেয়ে বেশি ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২২টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৫৯ জনের নমুনায় শহরের ৯ ও গ্রামের একজন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজন সংক্রমিত মিলেছে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১২ নমুনার ৪ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়।

বেসরকারি পরীক্ষাগার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৯ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়।  শেভরনে ২৭ জনের নমুনায় শহরের ৫টির রেজাল্ট পজিটিভ হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ জনের নমুনার মধ্যে একজনের শরীরেও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৭ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। ল্যাব এইডে একমাত্র নমুনাটির ক্লিনিক্যাল রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টি আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১২ জনে একজন ভাইরাসবাহকও শনাক্ত হয়নি।

নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৫ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ২ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৬ দশমিক ১৯, চমেকহা’য় ১৬ দশমিক ৯৫, সিভাসু’তে ৫, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫ দশমিক ৬৪, শেভরনে ১৮ দশমিক ৫২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩ দশমিক ০৭, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ০, এপিক হেলথ কেয়ার ৮ দশমিক ১১, ল্যাব এইডে ০, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬, এভারকেয়ার হমপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

ইউক্রেনের জনাকীর্ণ শপিং মলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৬ জন নিহত

ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় ক্রিমানচাক নগরীর একটি জনাকীর্ণ শপিং মলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে রাশিয়ার ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। মঙ্গলবার জরুরি সার্ভিসের প্রধান একথা জানায়। খবর এএফপি’র।

টেলিগ্রামে পোস্ট করা সান্ধ্যকালীন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলানস্কি বলেন, ‘ক্রিমানচাকের কেন্দ্রস্থলে ওই শপিং মলে রাশিয়ার আজকের হামলা ইউরোপীয় ইতিহাসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকা-গুলোর অন্যতম।’

জরুরি সার্ভিসের প্রধান সার্গি ক্রাক বলেন, ওই শপিং মলে সোমবারের ক্রেপণাস্ত্র হামলার পর সেখানে প্রধান কর্ম ছিল উদ্ধার কাজ, ধ্বংসস্তুপ সরানো ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা।’
টেলিগ্রামে ক্রাক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এ ভয়াবহ হামলার ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ৫৯ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তথ্য হাল নাগাদ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকল গ্রুপ গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। সেখানে সার্বক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজ চলছে।’

এর আগে জেলানস্কি এ নগরীতে ক্ষ্পেণাস্ত্র হামলার সময় ওই শপিং মলে এক হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক থাকার কথা বলেছিলেন। এদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ওই নগরীতে জনসংখ্যা ছিল দুই লাখ ২০ হাজার।

ফেসবুকে দেওয়া বার্তায় জেলানস্কি লিখেছেন, ‘শপিং মলটিতে আগুন জ্বলছে। উদ্ধারকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে এখন যে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে হতাহতের সংখ্যা কল্পনা করা অসম্ভব।’

সৌদি আরবে ভিক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন বাংলাদেশি হজযাত্রী

বাংলাদেশের একজন হজযাত্রী সৌদি আরবের মদিনায় ভিক্ষা করতে গিয়ে সেখানকার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। যদিও পরে তাকে বাংলাদেশ হজ মিশনের লোকজন মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে যে এজেন্সির মাধ্যমে ওই ব্যক্তি হজে গেছেন সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

সৌদি আরবে গিয়ে ভিক্ষা করা ওই হজযাত্রীর নাম মতিয়ার রহমান। তার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীতে। তিনি রাজধানীর ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এবার হজে গেছেন।

শনিবার ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিসের মালিক মো. আল মামুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

নোটিশে বলা হয়, আপনার এজেন্সির একজন হজযাত্রী (মো. মতিয়ার রহমান) গত ২২ জুন আনুমানিক ৫টায় মদিনা শরিফে ভিক্ষা করতে গিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এ ঘটনা জানার পর বাংলাদেশ হজ মিশনের একজন কর্মী থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।

‘আপনার এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো ওই হাজযাত্রী ব্যাগ ছিনতাই হওয়ার নাটক করে ভিক্ষাবৃত্তির কারণে গ্রেফতার হওয়ায় মদিনা তথা সৌদিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। আপনার এজেন্সির এরূপ কার্যক্রমের কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়েছে এবং সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে যা ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ এর পরিপন্থি।’

নোটিশে আরও বলা হয়, আপনার পাঠানো হজযাত্রীকে গাইড করার মতো কোনো মোনাজ্জেম ছিল না এবং হজযাত্রীর বসবাসের বাড়ি/হোটেলও ছিল না বলে জানা যায়। এটি হজযাত্রী প্রেরণের শর্তের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

তাই হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সেই জবাব তিনদিনের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা ৪ হাজার ১১৫ জন। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা ৫৫ হাজার ৮৮৫ জন। সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত ১০৮টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে গেছেন ৩৮ হাজার ৮৮৯ জন হজযাত্রী।

মিথ্যা অপবাদের শিক্ষকের গলায় জুতার মালা কিসের ইঙ্গিত : বাংলাদেশ ন্যাপ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে জুতার মালা পড়িয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

সোমবার (২৭ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তারা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে একজন শিক্ষককে এভাবে অসম্মান করা হলো। তাহলে কি কেবলমাত্র ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ওই শিক্ষককে এভাবে অপমানিত হতে হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের কোনো ভূমিকাই নেই। ওনাকে না বাঁচিয়ে পুলিশ তাকে বের করেছে। প্রশাসন যারা চালায় তারা কী চাইছে? কয়েকশ পুলিশের প্রহরায় এটা করা হলো। এটা বাংলাদেশের জন্য কিসের ইঙ্গিত বহন করছে ?

নেতৃদ্বয় বলেন, ধর্ম অবমাননার ধোয়া তুলে প্রকৃত অপরাধিরা মুলত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে কিনা তা খুজে বের করতে হবে। প্রকৃত অর্থেই দুর্নীতিবাজরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ধর্ম অববাননার বিষয়ে গুজব তুলেছে বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। এই ঘটনায় মধ্য দিয়ে প্রমানিত হচ্ছে দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও মানুষের মগজের উন্নয়ন হয় নাই। এখনও দুর্নীতিবাজ আর লুটেরারা নিজেরদের স্বার্থ রক্ষায় ধর্মকে ব্যবহার করছে আর আম জনতা ব্যবহৃত হচ্ছে।

তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে অধ্যক্ষকে সরিয়ে দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে ৫ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে তৎপর একটি চক্র, তারাই রাহুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে তোলে এবং স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনে যাতে তাকে অধ্যক্ষের পদ তেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। সেই পুরোনো কৌশল অবলম্বন করে। আর এই অপকৌশলের শিকার হয় সাধারন শীক্ষার্থীরা। যা আজকের ও আগামী দিনে জন্য কোন শুভ ইঙ্গিত বহন করছে না।

নেতৃদ্বয় ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার সাথে জড়িত দুর্নীতিবাজ ও সমাজবিরোধী প্রভাবশারী চক্রকে আইনের আওতায় এন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপমান করা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের অধপতনকেই ইঙ্গিত করছে।

মাননীয় অর্থ মন্ত্রীর কাছে তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ক প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানালো ২০০ জন তরুণ

২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটকে সামনে রেখে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূয়র (ডরপ) এর তামাক বিরোধী কার্যক্রমের আওতায় ডরপ ইয়ুথ ফোরামের সদস্যরা এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়সহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন আলোচনা সভা, মানববন্ধন ও সোশ্যাল মিডিয়া ক্যামপেইনের মাধ্যমে তামাক পণ্যে একবারে কয়েকধাপ মূল্য বাড়িয়ে সুনির্দিষ্ট করবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিল।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী বিগত ৯ জুন, জাতীয় সংসদে ২২-২৩ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট পেশ করেন। উক্ত বাজেট প্রস্তাবনায় সিগারেটের ৪টি স্তরে নামমাত্র মূল্যবৃদ্ধি করা হয় এবং বিড়ি, গুল ও জর্দার ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোর মতোই মূল্য ও কর হার অপরিবর্তিত রাখা হয়। উক্ত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ডরপ ২৭ জুন, ২০২২ একটি ওয়েবিনার এর আয়োজন করে।

ডরপ এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, এবারের বাজেটে যুব সমাজের ও তামাক বিরোধী সংস্থাগুলোর সুনির্দিষ্ট কর প্রস্তাবের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে সকল স্তরের সিগারেটের ক্ষেত্রে সামান্য মূল্য বৃদ্ধি তরুণ ও জনসাধারণের মাঝে এর ব্যবহারের প্রবণতা কমাবে না বরং বাড়াতে পারে। বিড়ি, গুল ও জর্দার দাম অপরিবর্তিত থাকায় এর প্রকৃত মূল্য কমে যাবে এবং ব্যবহার বেড়ে যাবে। বিড়ি, গুল ও জর্দা সস্তা হওয়ার ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারীরা অধিক স্বাস্থ্য ক্ষতির স্বীকার হবে। অন্যদিকে তামাক কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ বেড়ে যাবে এবং কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। আর এতে বাংলাদেশ সরকার ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে।

এ ছাড়াও প্রবন্ধে ২০২২-২৩ অর্থবছরের তামাককর ও মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর পুনর্বিবেচনা করার জন্য উল্লেখ করা হয়। যথা-

সিগারেট: প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের নিম্ন স্তরে খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩২.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; মধ্যম স্তরে খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৮.৭৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; উচ্চ স্তরে খুচরা মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮.০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৫০ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৯৭.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এরফলে সকল মূল্যস্তরে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কের হার হবে চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫ শতাংশ। সিগারেটের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল থাকবে।

বিড়ি: ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১১.২৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৯.০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এরফলে উভয় ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কের হার হবে চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫ শতাংশ। বিড়ির খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল থাকবে।

ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য (জর্দা ও গুল): প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ২৭.০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১৫.০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এরফলে উভয় ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কের হার হবে চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০ শতাংশ। জর্দা ও গুলের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল থাকবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মেজবাহ উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি এ্যাডভাইজার সিটিএফকে বাংলাদেশ ও সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ডরপ-এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আজহার আলী তালুকদার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “ডরপ কর্তৃক উত্থাপিত তামাককর ও মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব ও তরুণদের উত্থাপিত দাবিগুলো খুবই যুক্তি সংগত। মূলত এই প্রস্তাব এবং দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর ঘোষণা “শুল্ক কাঠামো সহজ করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক নীতি গ্রহণ করা এবং একই সাথে সরকারের শুল্ক আয় বৃদ্ধি করা” বাস্তবায়নের একটা

পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু শুধু হাত দিয়ে খোলা হয়নি, ধারণা সিআইডির

পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা হয়নি, তা খোলার জন্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ।

তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আমরা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি, এত বড় একটা স্থাপনার নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা যাবে না। এতে বোঝা যায় নাট-বল্টু হাতে দিয়ে খোলা হয়নি, নাট-বল্টু খোলার জন্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুন) রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানো বা ছবি তোলা নিষেধ হলেও প্রথম দিনে শিথিলতার সুযোগে বায়েজিদ তালহা নামের এক যুবক অসৎ উদ্দেশ্যে খুলে নিয়েছেন পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু যা তার নিজস্ব টিকটক অ্যাকাউন্টে ভাইরাল হয়। আটক বায়েজিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করবে সিআইডি।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালেও রিপোর্ট হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মা সেতু নিয়ে যুবকটি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এবং ব্যাঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি এবং হাসাহাসি করছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের দুটি নাট খুলে, খোলা নাট হাতে নিয়ে তিনি বলেন, এই হলো পদ্মা সেতু আমাদের…পদ্মা সেতু। দেখো আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু। এই নাট খুইলা এহন আমার হাতে। এ সময় পাশে থেকে আরেক ব্যক্তি বলেন, ভাইরাল কইরা ফালায়েন না।

রেজাউল মাসুদ আরও বলেন, টিকটকে ভিডিওটি আপলোড হওয়ার পর তা সিআইডির সাইবার পুলিশের মনিটরিং টিমের নজরে আসে। সিআইডি সাইবার মনিটরিং টিম দ্রুত যুবককে শনাক্ত করে। এরপর বিকেল চারটায় রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। কিন্তু আমরা তার অপরাধটাকেই গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

৪০০০পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি তেজগাঁও

রাজধানীর মতিঝিল থানা এলাকা থেকে ৪০০০ পিস ইয়াবাসহ তিনজন  মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ রুমান হোসেন ওরফে হুমায়ুন কবির, মোঃ আতিকুর রহমান ওরফে লাভলু ও মোঃ শাহজাহান।

রবিবার (২৬ জুন ২০২২) সন্ধ্যা ৭:৫০ টায় মতিঝিল থানার ফকিরাপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ডিবি তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম ডিএমপি নিউজকে জানান, ঢাকা মহানগর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে তথ্য আসে মতিঝিল থানার ফকিরাপুল এলাকার তোতা মিয়া ম্যানশন এর সামনে কতিপয় মাদক কারবারি ইয়াবা বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ উল্লেখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৪০০০ পিস ইয়াবাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এসব ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার মাদক কারবারিদের নিকট পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা এ পুলিশ কর্মকর্তা।

পদ্মা সেতুর বিরোধিদের খুঁজে বের করতে হবে : হাইকোর্ট

পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধিতাকারীদের খুঁজে বের করতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে স্বপ্রণোদিত রুল শুনানির জন্য উঠলে আদালত বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বারোপ করে মন্তব্য করেন। শুনানিকালে আদালত বলেন, পদ্মা সেতু জাতীয় সম্পদ, জাতীয় উন্নয়ন। আমাদের অহংকার। জাতীয় স্বার্থে পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যাঁরা থাকেন, তারা জাতির ও দেশের শত্রু। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আদালত প্রয়োজনীয় আদেশের বিষয়টি কালও ধার্য থাকবে বলে আদেশ দেন।

এটর্নি জেনারেল, দুদক কৌঁসুলিসহ সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য আজ ২৭ জুন দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক রুলটি শুনানির জন্য গতকাল দিন ধার্যে উপস্থাপন করলে আদালত এ আদেশ দিয়েছিলেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি : আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুলে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের কেন বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ওই বছরের ২০ মার্চ রুলের জবাব ও প্রতিবেদন দিতে আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে কয়েক দফা সময়ের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে কমিশন গঠনের জন্য ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর একজন সদস্যের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তিনি হলেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামান। পরবর্তীতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ার রুলটি আর শুনানিতে ওঠেনি।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মাসেতু নির্মাণে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়ার ঘটনা গোটা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে ওই ঘটনা ফলাও করে প্রচার করায় বাংলাদেশ এবং বর্তমান সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুর্ণ হয়। সাড়ে তিন বছর আগের ওই ঘটনার পর বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কিছু ব্যক্তিত্বের দৌড়ঝাপ, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ক্রিয়াকর্ম ও মিডিয়ার অতি উৎসাহ পদ্মা সেতু ইস্যুতে সরকারতে বিপাকে ফেলে দেয়। যা ছিল সরকারের জন্য চরম অবমাননাকর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেশব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে গত ২৫ জুন শনিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় স্বপ্ন, আবেগ ও আত্মমর্যাদার পদ্মা সেতু নির্মিত হলো। গতকাল রোববার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে গাড়ী চলাচল শুরু হয়েছে।

অবশেষে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিলে স্বাক্ষর করলেন বাইডেন
নোমান ইবনে সাবিত/বিপি, নিউ ইয়র্ক: অবশেষে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিলে স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবারই মার্কিন সিনেটে পাশ হয়েছে বিলটি। এরপর শুক্রবার পাওয়া যায় চূড়ান্ত সম্মতি। এবার ওই বিলে স্বাক্ষর করলেন বাইডেন। যার ফলে বিলটি পরিণত হলো আইনে। তৈরি হলো ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
গত কয়েক সপ্তাহে বারবার বন্দুকধারীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এলোপাথাড়ি গুলির শিকার হয়েছে নিরীহ মানুষ। এমনকি স্কুলের শিশুরাও রেহাই পায়নি বন্দুকধারীদের হাত থেকে। বারবার এই ধরনের হামলায় অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক আঙুল তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক-আইনের দিকে। এই পরিস্থিতিতে বহু প্রতীক্ষিত আগ্নেয়াস্ত্র বিলটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন বাইডেন। কিন্তু হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বিল স্বাক্ষরের কাজটি সম্পন্ন করলেন তিনি। মার্কিন প্রেনিডেন্ট জানান, ‘যদিও এই বিল আমি যা চেয়েছিলাম তার সবকিছু করতে পারবে না। কিন্তু এতে সেই পদক্ষেপগুলো রয়েছে যার কথা আমি দীর্ঘ দিন যাবত বলে এসেছি।’
বাইডেন বলেন, ‘আমি জানি এখনো অনেক কাজ বাকি। কিন্তু আমি আশা ছাড়িনি। আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন।’ আগামী ১১ জুলাই এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের কথাও ঘোষণা করেন বাইডেন। ওই অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত পরিবারের সদস্যরা যোগ দেবেন। থাকবেন আইনজীবীরাও।
লিসবনে “সপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন” এর আনন্দমুখর উদযাপন

উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপিত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদযাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি আনন্দমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু নির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা এবং অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। একইসাথে বক্তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে পানি প্রবাহের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী পাদ্মার ওপর সেতু নির্মাণের দু:সাধ্যতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রথম মেয়াদের শেষপ্রান্তে ২০০১ সনে পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার পর তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১২ সনে তিনি বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের প্রথিতযশা পুর-কৌশলীগণ সহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের কারিগরি তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সনে টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাইলিং স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর প্রথম বাস্তব নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাত বছর পর এই সেতুর কাজ সফল সমাপ্তিতে তাই দেশবাসী আনন্দে উচ্ছ্বসিত। দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে যুক্ত হবার কথা উল্লেখ ক’রে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রাই শুধু যোগ করার পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এক ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে। তিনি মন্তব্য করেন যে, বিদেশী অর্থায়ন ছাড়া এই কঠিন প্রকল্পটির সফল সমাপ্তি  বাংলাদেশের জনগণকে রপকল্প ২০৪১ অনুসারে ২০৪১ সনের মধ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। দেশের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম জানাচ্ছে তাঁর সাহসিকতা আর  সংকল্পের দৃঢ়তার জন্য – যার ফলেই বাংলাদেশ তার ৫১ বছরের ইতিহাসের এই অন্যতম প্রধান সাফল্য অর্জন করল আর জনগণ তার দীর্ঘ-লালিত স্বপ্ন পূরণ করল।

আলোচনা সভা শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রতিপাদ্য সংগীত এবং বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর পর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া/প্রার্থনা করা হয়