১০০ এর অধিক আবেদন করেও চাকরি হয়নি মাস্টার্স পাস রফিকের

বেকারের কান্না কারও চোখে পড়েনা। এক যন্ত্রনাদায়ক জীবনের নাম বেকার। অনেক স্বপ্ন ও বুকভরা আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় একজন বেকারকে। প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে এক একটি স্বপ্ন দেখা বেকার তরুণ তরুণীর জীবন। কে শুনে কার কথা, বেকার জীবনে থাকে অনেক ব্যাথা। প্রতিনিয়ত-স্বপ্ন ভাঙ্গে স্বপ্ন দেখা এই মানুষদের। অনেকের স্বপ্ন দাফনে সমাহিত হচ্ছে। বেকার একটা অভিসপ্ত জীবনের নাম। শত সংগ্রামেও অনেকের ভাগ্যের চাকা ঘুরেনা। শুধু মাত্র বেঁচে থাকার নাম বেকার। আজ আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণী। প্রতিনিয়ত তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে জীবন পার করতে হচ্ছে তাদের।

শিক্ষিত হয়ে বেকার থাকা যে কত কষ্ট তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই ভাল জানেন। তেমন একজন নোয়াখালী,কবিরহাট উপজেলা, সুন্দলপুরের মো: রফিক উল্যাহ, যিনি গত ১৭ বছর যাবৎ একাধারে একশরও বেশী সরকারী চাকুরীর আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় টিকলেও ভাইবাতে টেকেননা, শুধু মাত্র মামা-চাচা কেউ না থাকায়। তিনি প্রথম সপ্ন নিয়ে ২০০৬ সালে আবেদন করেন বাংলাদেশ সেনাবহিনীতে। এভাবে শুরু করেন সরকারি চাকুরির আবেদন। সরকারি প্রায় প্রতিটি সেক্টরে আবেদন করেন তিনি। এমনকি পরিচ্ছন্ন কর্মী পদেও অবেদন করেছেন এই উচ্চশিক্ষিত তরুণ।সর্বশেষ তিনি গত শুক্রবার (১৩ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পরিক্ষা দিতে এসে আবেগ আপ্লুত হয়ে এসব কথা বলেন। বতর্মানে তার সরকারি চাকুরির আবেদনের বয়স শেষ।

তিনি বলেন, আমার মত ছেলেরা কি সরকারি চাকুরির স্বপ্ন দেখা ভূল? এভাবে হাজারো বেকার যুবক আছে, যারা মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করে বেকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। বাংলাদেশ তখনই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে, যখন প্রতি ঘরে অন্তত একটি করে হলেও সরকারি চাকুরীজীবী থাকবে।

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *