একটা ধন্যবাদ অনন্ত জলিল পেতেই পারেন

আয়শা এরিন : চলচ্চিত্র ফলত সাংস্কৃতিক শক্তি। অন্যদিকে, কার্যত শক্তিশালী গণমাধ্যম। মুলত, মনুষ্য জীবনের  দৃশ্যমান বাস্তবতা  কাল্পনিক জগত তৈরি করে বার্তা রাখার প্রয়াসে যায়। বস্তুত, জনশ্রেণির বিনোদনের খোরাক হয়ে চলচ্চিত্র একটি ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। প্রাসঙ্গিক দাবীতে মুখরিত হয়ে নির্মাতা তখন বলেন, নির্যাস নাও, অতঃপর মনে রেখো !

চলচ্চিত্র  বিশেষ একটি শিল্প মাধ্যম। মানুষ সভ্যতাকে আলিঙ্গন করতে যেয়ে চলচ্চিত্রের ধারণা একদা নিতে শুরু করে। ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকেই এমন অভিযাত্রা শুরু। উপমহাদেশে বরেণ্য চিত্রশিল্পী রাজা রাভি বার্মার আধুনিক মানসিকতা ও ঝুঁকিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতায় দাদাসাহেব ফালকে উদ্যোক্তা পরিচালক হিসাবে চলচ্চিত্র মাধ্যমকে পরিচিত করান। তিনি ১৯১৩ সালে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চমক দেখান। এদিকে বাংলাদেশ প্রায় পঞ্চাশ বছরে এই শিল্পের অনগ্রসর জাহাজটিকে  প্রত্যাশিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারেনি।

দু’একটি সাহিত্য নির্ভর সিনেমা ব্যতিত বাংলাদেশ এই শিল্পে সেরা কিছু প্রদর্শন করতে পারেনি। কিন্তু, মানুষ একসময় সিনেমা হলগুলোয় গিয়েছে। আকাশ সংস্কৃতির বিস্তার যখন গ্রাস করেনি, সে পর্যন্ত মধ্যবিত্ত ও অতি অবশ্যই নিম্নবিত্ত মানুষ সিনেমা দেখতে যেত বলে ধরে নেয়ার সুযোগ আছে।

অন্যদিকে নির্মাতাদের অতি মাত্রায় বিদেশি সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল হয়েই এই দেশে সস্তা জনপ্রিয়তা লুফে নিতে হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বাংলাদেশে রাজ্জাক, কবরী,ববিতা, শাবানা যারাই জনপ্রিয় হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের অভিনীত অধিকাংশ চলচ্চিত্রই প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় চলচ্চিত্রের গল্প চুরি করেই নির্মিত। এবং, তেমন ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ অব্দি সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। মৌলিক গল্প লিখবার এখানে কেহ নেই। গীতিকার সুরকারেরাও অন্ধকার রাস্তায় যেয়েই পথিক হয়েছেন। মোদ্দকথা, বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যেয়ে নিজস্ব কৃষ্টির ওপর দাঁড়িয়ে থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি।

বক্স অফিস নেই, কিন্তু অধুনা সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট বিচারের আদ্যপান্ত যাচাইয়ে মনযোগি হলে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে, তিনটি ধারার সংবাদমাধ্যম তথা ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট এবং অনলাইন মাধ্যমগুলোর বিনোদন সংবাদকর্মীরা চলচ্চিত্রের বিকাশে বিপ্লব প্রত্যাশা করছেন। তাঁদের সাংবাদিকতার সাংস্কৃতিক মনবোধ তৈরি হোক বা না হোক, চলচ্চিত্র এবং এই শিল্পের সাথে থাকা অভিনয় শিল্পী, পরিচালকদের খবরাখবর দিচ্ছেন তাঁরা ঘন্টায় ঘন্টায়।

ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তিন সিনেমা; অনন্ত জলিলের ‘দিন : দ্য ডে’, শরিফুল রাজের ‘পরাণ’ ও জিয়াউল রোশানের ‘সাইকো’। এবারের ঈদে সর্বাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের ‘দিন : দ্য ডে’। বাংলাদেশের বিনোদন সংবাদকর্মীবৃন্দ তিনটি সিনেমারই প্রচারে থেকে দর্শকদেরকে বলতে চেয়েছেন, আপনিই বিচার করুন এবারের ঈদে কোন চলচ্চিত্রটি দেখতে পারেন !

দিনঃ দ্য ডে
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এতটা ভাল সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে কোন সিনেমা ইতোপূর্বে নির্মিত হয় নাই। সুস্পষ্টভাবে অনন্ত জলিল তাঁর পরিশ্রমী সাংস্কৃতিক পথচলাকে শুধুমাত্র রঙ্গিনই করেন নি, ধারা ভেঙ্গে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। কারণ, বাংলদেশ এখন বলতে পারবে, ফিল্মিক ফ্রেম ধরাটা রপ্ত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। গল্পের নতুনত্ব, সম্পাদনা মিলিয়ে দিন দ্য ডে চলচ্চিত্রটির সাথে সত্যিকার অর্থে অন্যান্য সিনেমাগুলোর তুলনা করাটা ভুলই হচ্ছে। অসম প্রতিযোগিতার মত করে হয়ে যায় ! অনন্ত জলিল ও বর্ষা তাঁদের অভিনয় শৈলীকে ভবিষ্যতে আরো পরিণত করতে পারলে তাঁরা এক সময় অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসাবেও উৎরিয়ে যাবে বলে মনে করার সুযোগ আছে।

পরাণ
এই চলচ্চিত্রটির সেন্সর দেয়াটা সমীচীন হয়নি। সামাজিকভাবে চিন্তার উদ্রেকে মেতে উঠলে নয়ন বন্ড তৈরি হোক বা প্রজন্ম এমন ধরণের সাংস্কৃতিক সত্তায় সঁপে দিয়ে উগ্র মানসিকতায় ভর করুক, তেমন প্রভাবের আলোটিই কায়দা করে দর্শকদের চোখে পড়ুক— এটিই এই চলচ্চিত্রের ম্যাসেজ !

চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ দৃশ্যায়নে ক্লোজ শট ব্যতিরকে নাটকের ফ্রেম ধরা পড়েছে। যা খুবই দুর্বল ও চলমান বৈশ্বিক ধারাবাহিকতার সাথে যায় না। বিব্রতকর ! এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরকিয়া প্রেমকে সু স্বাগত বলার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যা সমাজের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনে না। তবে নবাগত রাজ অভিনয়টা ভাল করেছেন।

সাইকো
সাইকো চলচ্চিত্রটি তারুণ্য, ভিন্ন ভাবনায় প্রেমের উপস্থাপন ও কিছু বার্তার গল্পে নির্মাণাধীন বাংলাদেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসাবে প্রচারণায় থাকা হয়েছে। ট্রাডিশনাল ফিল্মের উপকরণের সম্ভার নিয়ে সিনেমাটি প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও মন্দের ভাল হিসাবেই দেখতে হবে। প্রধান দুই চরিত্রের বাইরে ছোট পর্দার শক্তিশালী অভিনেতা- অভিনেত্রীরা কাজ করার ফলশ্রুতিতে সিনেমাটিতে পেশাদারিত্ব ছিল।

নিজেদের উপযোগি শাসন ব্যবস্থার ওপর ভর করে যেমন রাষ্ট্রের গতির যান ও চালক নির্ধারণ করার দরকার—– ঠিক একইভাবে সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে স্ব-কৃষ্টি কষ্টি পাথরের মত করে জীবনকে ঘষুক। চলচ্চিত্র আসলে কি ? যখন তোমার নিত্যদিনের পথচলা তথা চলমান জীবনের ধারা ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করে বা এনিমেশনের মাধ্যমে উপস্থাপিত হবে এবং সবিশেষ বার্তা রেখে সমাজ ও প্রকৃতিকেও জেতায়। সেরকম কিছু করতে পারছো কিনা ! পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশে দিন দ্য ডে কি গল্প নিয়ে এসেছে, সেটা বড় নয়, বড় হল, এই  চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন। সিনেমাটিক ছিল। সঙ্গত যুক্তিতে একটা ধন্যবাদ অনন্ত জলিল পেতেই পারেন। ধন্যবাদ তাঁকে !

লেখকঃ সাংবাদিক, প্রযোজক, বৈষ্টমি প্রোডাকশন

তিনশ’ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরা আবিষ্কার

অ্যাঙ্গোলার খনি শ্রমিকরা বিরল ও খাঁটি এক গোলাপি হিরা আবিষ্কার করেছে। ধারনা করা হচ্ছে গত তিনশ’ বছরের আবিষ্কারের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় হীরা।

হীরাটির নাম দেয়া হয়েছে লুলো রোজ। এটির ওজন ১৭০ ক্যারেট।  দেশটিতে ব্যাপকভাবে হীরা পাওয়া যায় এমন উত্তরপূর্বাঞ্চলের লুলো খনিতে এটি পাওয়া গেছে।

লুকাপো ডায়মন্ড কোম্পানী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ যাবত পাওয়া সকল হীরার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।
বিরল ও বিশুদ্ধ প্রাকৃতিক পাথরের রূপের এই হীরার আবিষ্কারকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছে অ্যাঙ্গোলান সরকার। অ্যাঙ্গোলার সরকারও এই খনির অংশীদার।

আন্তর্জাতিক দরপত্রে হীরাটি চমকপ্রদ দামে বিক্রি করা হবে। এর আগে হংকংয়ে ২০১৭ সালে ৫৯.৬ ক্যারেটের একটি গোলাপি হীরা নিলামে ৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়। এটি এখনও পর্যন্ত বিক্রি হওয়া এ যাবতকালের সবচেয়ে দামী হীরা।

ফেনীতে ৬ মাসে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণের মাদক দ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফেনী ব্যাটালিয়ন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিজিবির জায়লস্কর সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংস করা হয়।

এতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- কুমিল্লা সেক্টর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার উপ-মহাপরিচালক কর্নেল মো. মারুফুর আবেদীন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম আরিফুল ইসলাম, উপ-অধিনায়ক মেজর মো. জাকির হোসেন, সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আলীউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান, জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিম উল্যাহ।

বিজিবি’র সূত্র জানায়, ধ্বংসকৃত মাদক দ্রব্যের আর্থিক মূল্যে ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৩০০ টাকা। ৬ মাসে উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯ হাজার ৩৬৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল যার আনুমানিক মূল্য ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬শ টাকা, ১৯ বোতল ইস্কপ সিরাপ আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার ৬শ টাকা, ৬৮৮ ক্যান ও বোতলজাত বিয়ার  আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ১৩ হাজার ২১১ বোতল হুইস্কি, আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯৮ লাখ ১৬ হাজার ৫শ টাকা, ৫১৫ দশমিক ৫ কেজি গাঁজা যার আনুমানিক মূল্য ১৮ লাখ ৪ হাজার ২৫০ টাকা, ১৬ হাজার ৪৭৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, আনুমানিক মূল্য ৪৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭শ টাকা, ১৩ লাখ ৮৩ লাখ ৬৬২ পিস ভারতীয় সেনেগ্রা, টার্গেট ও অন্যান্য নেশা জাতীয় ট্যাবলেট মূল্য ১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৬৬ হাজার ২শ টাকা, ৩৯ দশমিক ৫ লিটার বাংলা মদ মূল্য ১১ হাজার ৮শ ৫০ টাকা, ৯ বোতল রিকোডেক্স সিরাপ মূল্য ৩ হাজার ৬শ টাকা।

সাবেক ওসি প্রদীপের ২৮ বছর, স্ত্রী চুমকির ২৯ বছর কারাদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ওসি প্রদীপের ২০ বছর এবং স্ত্রী চুমকির ২১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুইজনের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ মামলা করেন।

মামলায় তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন চুমকি। গত ২৩ মে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ

বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন ও নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।

জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা মিলেছে।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।

সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি,রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপ একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছে এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের পাশাপাশি স্থানে উভয় পক্ষ এ কর্মসূচি আহ্বান করে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি দুভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সেতুমন্ত্রীর তিন ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু,ফখরুল ইসলাম রাহাত,রামপুর ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকীন রিমন।

অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আইযুব আলীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যের এনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে এক প্রতিবাদ মিছিলের আহ্বান করেন সেতুমন্ত্রীর তিন ভাগনের অনুসারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন। ওই প্রতিবাদ মিছিলকে চ্যালেন্জ করে একই সময়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনিয়ন যু্বলীগের সভাপতি আহছান উল্যাহ ভুট্রু একই বাজারের আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের ব্যানারে এক মতবিনিময় সভা আহ্বান করে। ইউপি সদস্য ভুট্রু বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আইযুব আলীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছে, এ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা ব্যাপক বেড়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা। মুছাপুর ইউনিয়ন ফেনীর সোনাগাজীর সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কা বেশি।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন বলেন, ফেসবুকে সেতুমন্ত্রীকে দেওয়া একটি জনমত জরিপের পোস্টে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে আমরা প্রথমে কর্মসূচি ঘোষণা করলে তারা পাল্টা মতবিনিময় সভার আহ্বান করে। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব।

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনিয়ন যু্বলীগের সভাপতি আহছান উল্যাহ ভুট্রু বলেন, আগামী ৩১ জুলাই ইউনিয়ন যু্বলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই মতবিনিময় সভাকে সফল করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা একটি প্রস্তুতি সভার আহ্বান করি। । ওই সভা থেকে বাংলাবাজরে একটি বিক্ষোভ মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। প্রথম আমরা এ কর্মসূচি আহ্বান করি। তারা পাল্টা কর্মসূচি ডেকে অন্যায় করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে জানতে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষ চেয়ারম্যান মো.আইযুব আলীর মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন,আমি ফেসবুকে দেখেছি মুছাপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ডেকেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মেজবা উল হক ভূঁইয়া বলেন,সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে কোন তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান জানান, তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সম্পর্কে জানেন না। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫২তম জন্মদিন আগামীকাল বুধবার।

সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।