প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনার দাবি এনডিএম’র

ভোট প্রদানের গোপন কক্ষ ব্যতীত প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা এবং এই সিসিটিভির লাইভ ফুটেজ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দেখার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নিয়ে দলের নেতারা ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের বিকল্প হিসেবে সিসিটিভি স্থাপনের এই দাবি জানান। সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে তারা সংলাপে বসে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দলের যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন এ সময় বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশা করে, নির্বাচনকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনপ্রশাসনকে নিরপেক্ষ এবং পেশাদারভাবে কাজ করতে প্রয়োজনীয় অনুশাসন প্রদান করবে। তফশিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের গোপন তালিকা থেকে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট, তথ্য এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং প্রয়োজন অনুসারে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার পরিবর্তন করতে হবে।
এসময় তিনি ইভিএম ব্যবহারে পেপার অডিট ট্রেইল সংযুক্ত করা ও একাধিক দিনে ভোট করার দাবি জানান।

এ ছাড়া এনডিএম’র পক্ষ থেকে অবাধ রাজনৈতিক চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করা, নির্বাহী বিভাগ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ না দেয়া, নির্বাচনকালীন গণমাধ্যম বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন করা, ভোটের আগেই আসনভিত্তিক সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা, জেলা পর্যায়ে শক্তিশালী নির্বাচনী ট্রাইবুনাল গঠন করা, রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার বন্ধ করা, বিদেশী পর্যবেক্ষকসহ নির্বাচনী পর্যবেক্ষন টিমকে অনুমতি দেয়া, নির্বাচনী ব্যয়সীমা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা ও প্রচারকালীন প্রতিটি বিভাগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করার দাবি জানানো হয়।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দিয়ে সংলাপ শুরু হয়। ৩১ জুলাই বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতবিনিময়ের মাধ্যমে শেষ হবে ইসির এই ধাপের সংলাপ পর্ব।

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *