ডিজিটাল পাওয়ার ও ক্লাউড সার্ভিসে নতুনদের সুযোগ দিচ্ছে হুয়াওয়ে

ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২২ বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করেছে এমন ৬০ জনকে নিয়োগ দিবে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ব্যক্তি, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনসহ সকলের কাছে ডিজিটাল পাওয়ার এবং ক্লাউড সল্যুশনস পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই নিয়োগ দেয়া হবে।

হুয়াওয়ে ডিজিটালাইজেশন ও গ্রিন ডেভেলপমেন্টকে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। পাশাপাশি, তরুণরা যাতে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আইসিটি ইকোসিস্টেমকে বিকশিত করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন, সে সুযোগ তৈরিতেও কাজ করছে হুয়াওয়ে। আর এই লক্ষ্য থেকেই ৩য় পক্ষভিত্তিক চুক্তির আওতায় এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। পদগুলো হলো: বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ, সল্যুশনস আর্কিটেক্ট ও সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার।

এ নিয়ে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস ( বাংলাদেশ) লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক হুয়াং বাওশিওং বলেন, “গ্রিন ডেভেলপমেন্টকে উৎসাহিত করতে ও দেশের তরুণদের নানাভাবে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রাম আয়োজনের পাশাপাশি হুয়াওয়ে সদ্য পাশ করা শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে, যাতে করে তারা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করতে পারেন। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণে অনুপ্রাণিত করতে চাই, যা তাদের ক্যারিয়ারের পথচলাকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন ও গ্রিন ডেভেলপমেন্টকে উৎসাহিত করতেও ভূমিকা রাখবে।”

সারা দেশের সিএসই, ইইই, ইসিই কিংবা ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসব পদে আবেদন করতে পারবে। সদ্য স্নাতক পাশ করেছে অথবা ৪র্থ বর্ষ বা শেষ সেমিস্টারে পড়ছে এমন শিক্ষার্থীরা এই পদের জন্য অগ্রাধিকার পাবে। মাসিক বেতনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট ৬ মাসের চাকরীর শেষে এই ৬০ জন কর্মীদের একটি করে চাকরীর সনদ প্রদান করা হবে। জুন ২০২২ এর মধ্যে আগ্রহীরা pacd.bangladesh@huawei.com এ ঠিকানায় ইমেল প্রেরণের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

পরিস্থিতির ওপর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে।
নতুন রুটিনে কবে শুরু হবে পরীক্ষা, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বন্যার প্রভাবে পেছাতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাও।

তবে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঈদের ছুটি শেষে নতুন রুটিনে ১০-১৫ দিন পিছিয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে।
মাধ্যমিক স্তরের এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী দুই মাসের মধ্যেই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার জন্য নতুন রুটিন দেওয়া হবে।
আগের রুটিনের আলোকে নতুন পরীক্ষার রুটিন তৈরি করা হবে, এক্ষেত্রে শুধু পরীক্ষা শুরুর সময়টা পরিবর্তন হবে।
পরীক্ষার্থীদের নতুনভাবে প্রস্তুতির জন্য ৭ থেকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হতে পারে।

উৎসব বাদ দিয়ে সংকটাপন্ন বানবাসীদের পাশে দাঁড়ান : জাগপা
সিলেটসহ সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই চরম বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। গ্রাম কিংবা শহর, সবই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব ও আনন্দ মিছিল বাদ দিয়ে সরকারসহ দেশবাসীকে সংকটাপন্ন বানবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত।মঙ্গলবার (২১ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

তারা বলেন, সবমিলিয়ে বানভাসি মানুষদের দুর্ভোগ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় সরকার, রাজনৈতিক দল, বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায় থেকে বিপন্ন এবং দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানবিক বিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া অন্যকিছু প্রাধান্য পেতে পারে না।

নেতৃদ্বয় বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উৎসবের নামে শত শত কোটি টাকা ওড়ানো হচ্ছে। অথচ সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরাঞ্চলসহ বন্যা উপদ্রুত এলাকাসমূহে পানিবন্দি মানুষের জন্য যে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই অপ্রতুল।

তারা বলেন, আমরা অবিলম্বে সরকারকে বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে দুর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ওইসব অঞ্চলে যেন আর বন্যা না হয়, তার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

তারা বলেন, দেশের এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। অন্য কেউ দায়ী নয়। জনগণকে ক্ষুধায় রেখে পানিতে ডুবিয়ে আপনারা ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মা সেতু দেখাবেন, এটা দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না।

Attachments area
ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে ১ জুলাই

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১০ জুলাই ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরে এ টিকিট বিক্রি করা হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র।

জানতে চাইলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ১ জুলাই টিকিট বিক্রি শুরু হবে, এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা এখন টিকিট বিক্রি ও ট্রেন চলাচলের শিডিউল তৈরি করছি।
বুধবার (২২ জুন) রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে টিকিট বিক্রির আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা করবেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

এর আগে টিকিট বিক্রি বা শিডিউল নিয়ে কিছু বলা যাবে না। রেলওয়ে সূত্র জানায়, সাধারণত ঈদ যাত্রার পাঁচদিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়। ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। গত ১৪ জুন রেল ভবনে এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রেনের ৫ জুলাইয়ের টিকিট ১ জুলাই, ৬ জুলাইয়ের টিকিট ২ জুলাই, ৭ জুলাইয়ের টিকিট ৩ জুলাই, ৮ জুলাইয়ের টিকিট ৪ জুলাই এবং ৯ জুলাইয়ের টিকিট ৫ জুলাই বিক্রি করা হবে।

 

বন্যায় দেশে ১৫ হাজার গরুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত

চলমান বন্যায় এ পর্যন্ত সারাদেশে ১৫ হাজার গরুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তবে এটি প্রাথমিক হিসাব, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

সোমবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, চলমান বন্যায় এ পর্যন্ত দেশের ১২টি জেলার ৭৪টি উপজেলার ৩১৬টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার ৬০টি গরুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে খামারীদের সম্ভাব্য ক্ষতি ২৬১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ বলেন, এটি প্রাথমিক হিসাব। প্রতিদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
আর ক্ষয়ক্ষতি যতটুকু সম্ভব কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

বন্যাকবলিতে এলাকা পরিদর্শন শেষে সিলেট সার্কিট হাউজে প্রধানমন্ত্রী

সিলেটঃ হেলিকপ্টারযোগে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার বন্যাকবলিতে এলাকা পরিদর্শন শেষে সিলেট সার্কিট হাউসে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ৯টা ৫৮ মিনিটে তিনি লালগালিচা দিয়ে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট আওয়ামী লীগ ও বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র।

জানা গেছে, সার্কিট হাউসে প্রধানমন্ত্রী বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করবেন এবং দিকনির্দেশনা দেবেন। এরপর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। সফরসূচি অনুযায়ী দুপুর ১টায় সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে তিনি রওনা দেবেন।

এর আগে সকাল ৮টায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে তিনি বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাত্রা শুরু করেন। টানা দুই ঘণ্টার সফরে তিনি কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের যেসব এলাকায় বন্যা উপদ্রুত হয়েছে, সেসব এলাকা তিনি পরিদর্শন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘসময় ‘লো ফ্লাই’ করেছেন। অর্থাৎ যতটুকু সম্ভব নিচ দিয়ে যেতে যেতে হেলিকপ্টার থেকে এসব এলাকা দেখেছেন। এসব এলাকার মানুষ কতটা দুর্ভোগে আছেন, বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো যেসব বাড়ি পানিবন্দি হয়ে আছে, সেসব তিনি অবলোকন করেছেন।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র থেকে জানানো হয়, দুটি হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বন্যাকবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। একটি হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব-১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, এডিসি ও বিটিভির ক্যামেরাম্যান যাওয়ার কথা রয়েছে।

আরেকটি হেলিকপ্টারে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিন ২৫ জুনের জন্য তিন সেতুর টোল মওকুফ

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা অতিথিদের যানবাহনসহ সাধারণ যানবাহনের যানজটবিহীন নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে আগামী ২৫ জুন মাওয়া রোডের বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুর টোল মওকুফ করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আজ সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন (কেবল ২৫ জুনের জন্য) অভ্যাগত অতিথিদের যানবাহনসহ সাধারণ যানবাহনের যানজটবিহীন নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করার স্বার্থে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের একই করিডোরে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুর টোল মওকুফ করা হলো।